Tag: বিএসএমএমইউ

  • বিএসএমএমইউতে প্রথম টিকা নিলেন উপাচার্য কনক কান্তি

    বিএসএমএমইউতে প্রথম টিকা নিলেন উপাচার্য কনক কান্তি

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রথম টিকা নিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

    বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে বিএসএমএমইউয়ে এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। এই কর্মসূচি সুশৃঙ্খল করতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

    টিকা নেয়ার পর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘টিকা নেয়াটা আমার সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত দায়িত্ব। আমাকে দেখে মানুষ আস্থা পাবে, সাহস পাবে। এখানে আজ অনেক লোক জড়ো হয়েছেন। গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত মানুষের মনে সংশয় ছিল টিকা নেবেন কি-না। সংশয় কেটে যেতে শুরু করেছে। আমরা এটাই চাই।’

    এদিকে টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত পাশে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে সুসজ্জিত ভবনে করোনার টিকাদান কেন্দ্রে ৪টি বুথ সাজানো হয়েছে। টিকাদানে কয়েকটি বেডও বসানো হয়েছে। টিকাদান নিবন্ধনের জন্য বেশ ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে। করোনা ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে টিকা দেয়া হচ্ছে।

    আজ সকালে এই কেন্দ্রে প্রথমে টিকা নেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। এরপর সকাল ১০টায় এই কেন্দ্রে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের টিকা নেয়ার কথা রয়েছে।

    এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে করোনা টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেয়া হয়। প্রথম টিকা নেন কুর্মিটোলা হাসপাতালের নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা।

    এ দিন রুনু ছাড়া টিকা নিয়েছেন- চিকিৎসক আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল বিভাগের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ। সবমিলিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন পেশার মোট ২৬ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়।

  • করোনায় বিএসএমএমইউ চিকিৎসকের মৃত্যু

    করোনায় বিএসএমএমইউ চিকিৎসকের মৃত্যু

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ হোসেন (৫৬) আর নেই।

    বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।

    তিনি স্ত্রী, ছেলে, দুই মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করা ডা. মুহাম্মদ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এমএস (ইউরোলজি) ডিগ্রি অর্জন করেন। তার শিক্ষা ও শিক্ষকতা জীবনে গবেষণাধর্মী ১৯টি প্রকাশনা রয়েছে।

    ডা. মুহাম্মদ হোসেনের মৃত্যুতে শোক জানানোর পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

    এছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী শোক প্রকাশ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাসেল

  • নকল মাস্ক সরবরাহ : সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে বিএসএমএমইউর মামলা

    নকল মাস্ক সরবরাহ : সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে বিএসএমএমইউর মামলা

    নকল মাস্ক সরবরাহ করায় ‘অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের’ স্বত্বাধিকারী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ।

    মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

    শুক্রবার (২৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাতে বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জানান।

    এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি আবুল হাসান বলেন, এই কার্যাদেশের বিপরীতে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল ৩০ জুন প্রথম দফায় ১৩০০, ২ জুলাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ৪৬০ ও ১০০০ এবং চতুর্থ দফায় ৭০০ মাস্ক সরবরাহ করে। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় পণ্য ‘সামগ্রিক গুণগতমানের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পাওয়া যায়নি’ বলে অভিযোগ করা হয়।

    মামলায় অভিযোগ করা হয়, কোনো কোনো ফেইস মাস্কের বন্ধনী ছিঁড়ে গেছে, কোনো মাস্কের ছাপানো ইংরেজিতে লেখা ‘ত্রুটিপূর্ণ’ পাওয়া গেছে। এ ধরনের ত্রুটিতে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে, মাস্ক নিম্নমানের ছিল। এর ফলে কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারত।

    এবিষয়ে ১৮ জুলাই অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় বিএসএমএমইউ। ২০ জুলাই লিখিত জবাবে শারমিন দুঃখপ্রকাশ করেন, যা আসামির দোষ স্বীকারের শামিল।

    তিনি জানান, বিষয়টি আমলে শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

    জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন-১ শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত শারমিনের মালিকানাধীন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল ২৭ জুন ১১ হাজার মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ পায়। আসল এন-৯৫ মাস্কের সঙ্গে নকল মাস্কও সরবরাহ করে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে প্রায় ৮০-৯৫ লাখ টাকার মাস্ক কিনেছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

    এ ঘটনায় ‘অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল’কে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

    বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কারণ দর্শানোর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে তার উত্তর দিয়েছেন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন জাহান। তারা বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উলেখ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, নকল মাস্ক সরবরাহ করার কোনো ইচ্ছা তাদের ছিল না। তাদের কাছে প্যাকেটজাত অবস্থায় মাস্কগুলো যেভাবে এসেছে সেভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তারা সেসব মাস্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

    শারমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ২০০২ সালে ছাত্রলীগের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। বর্তমান কমিটিতে কোনো পদ না পেলেও দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।

    শারমিন ২০১৬ সালের ৩০ জুন স্কলারশিপ নিয়ে চীনের উহানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে উহানে লকডাউন শুরু হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তার শিক্ষা ছুটির মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যে চীনে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের মার্চে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল নামে সরবরাহকারী নিজের ব্যবসা শুরু করেন।

    নকল মাস্ক সরবাহর নিয়ে যা হচ্ছে তাকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালে স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহান।

    তিনি বলেন, আমার দেয়া মাস্ক দেখে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বেশ সন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু যখন মাস্কে সমস্যা দেখা দিল তারা সেগুলো ফেরত দিয়েছে। আমি দুঃখপ্রকাশ করেছি। কারণ এটা তো আমি তৈরি করিনি। কিন্তু এখন যা হচ্ছে তা তো দুঃখজনক।

    আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে শারমিন জাহান জানান, তিনি আইনিভাবে মোকাবেলা করবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পরীক্ষার খরচসহ কিট বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে হস্তান্তর করলো গণস্বাস্থ্য

    পরীক্ষার খরচসহ কিট বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে হস্তান্তর করলো গণস্বাস্থ্য

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ:নানা নাটকীয়তা এবং জটিলতার পর অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) খরচসহ নিজেদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস নির্ণায়ক ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিট হস্তান্তর করলো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

    প্রথম দফায় পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট দেওয়া হয়েছে। পরে আরও ২০০ কিট দেওয়া হবে।

    বুধবার (১৩ মে) বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এবং গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সমন্বয়ক ড. মহিবুল্লাহ খন্দকার বিএসএমএমইউতে গিয়ে কিট জমা দেন।

    এখন চাইলে যেকোনো সময় এই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করতে পারবে বিএসএমএমইউ।

    কিট হস্তান্তর প্রসঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ গতকাল আমাদের চিঠি দিয়েছিল। চিঠিতে পরীক্ষার খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সেই চিঠি আসায় আমরা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে কিট দিতে পারিনি। তবে আজ বুধবার সকাল নয়টা থেকেই আমরা কাজ শুরু করি। সকাল ১১টার দিকে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়াসহ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা কিট পৌঁছে দিয়েছি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এতদিন পর তারা (বিএসএমএমইউ) কিট নিয়েছে, আমি বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছি। এখন তারা পরীক্ষার কাজটি শুরু করলেই হয়।’

    তিনি বলেন,‘আসলে করোনা তো আমার একার সমস্যা না। এটি জাতীয় সমস্যা। আমাদের যত সক্ষমতা আছে সবকিছু নিয়েই একে মোকাবিলা করতে হবে। এই গুরুত্বটি বুঝতে হবে। ব্যাপক হারে পরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই করোনা জয় সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিট দেশের মানুষের মনে আশার সঞ্চার করবে। এটুকুই বলতে পারি’ যোগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

    এর আগে গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ে পরীক্ষা করার অনুরোধ করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

    এরপর ২ মে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দল। ওই বৈঠকে কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

    পরে বিএসএমএমইউ’র বিলম্ব দেখে গত সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের উদ্ভাবিত কিট ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে সাময়িক সনদ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কর্তৃপক্ষ।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ করোনায় আক্রান্ত

    বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ করোনায় আক্রান্ত

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম ও যৌন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ শিকদার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কণক কান্তি বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ল্যাব টেস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ডা. শহীদুল্লাহ শিকদারের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে বলছেন, বৃহস্পতিবার করোনা পজেটিভ ফলাফল আসার আগেও মো. শহীদুল্লাহ শিকদার ক্যাম্পাসে ছিলেন। তিনি আক্রান্ত হয়ে থাকলে অনেকেই আক্রান্ত হবেন। কারণ তিনি নিজেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে অনেক চিকিৎসক ও অন্যান্য স্টাফকে নিজ হাতে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেছেন। অনেক টিভি চ্যানেলে গিয়ে তিনি টকশোতেও অংশ নিয়েছেন।

  • কাদেরকে দেখতে বিএসএমএমইউতে রাষ্ট্রপতি

    কাদেরকে দেখতে বিএসএমএমইউতে রাষ্ট্রপতি

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

    রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে যান আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী।

    এসময় বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকসহ রাষ্ট্রপতির দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    শুক্রবার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কাদের। পরদিন সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় তাকে।

  • ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল

    ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল

    আজ সকালে হটাৎ শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আহসান।

    তিনি বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। ওবায়দুল কাদেরের শ্বাসকষ্ট হয়েছিল, প্রেসার বেড়ে গিয়েছিল, ওষুধ দিয়ে এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’

    উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া হবে কি-না, জানতে চাইলে অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, ‘এটা সময়ের ব্যাপার। তিনি (ওবায়দুল কাদের) ভালো অবস্থায় ছিলেন। কর্ম অবস্থায় থাকলে স্ট্রেস হয়। এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে স্ট্রেসের কারণে। তিনি আশঙ্কামুক্ত। হার্টের অবস্থাও ভালো। তবে চিকিৎসার জন্য লম্বা সময় এখানে থাকতে হতে পারে। আগেও আমাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। যেকোনো সমস্যা হতে পারে, তাই রেস্টে (বিশ্রামে) রাখা হয়েছে।’

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা বলে দিবে তাকে কোথায় নিতে হবে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি অবস্থার অবনতি হয় বলে দেব বিদেশে নেয়া হবে কি-না। এ ব্যাপারে তিনি সব উদ্যোগে নিয়ে রেখেছেন। যখন যে প্রয়োজন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

    হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে এসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য নেতাকর্মী তাদের মধ্যে রয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক, এস এম কামাল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামূল হক শামীম।

  • চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না,কীভাবে বাঁচবে খালেদা:প্রশ্ন বোন সেলিমার

    চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না,কীভাবে বাঁচবে খালেদা:প্রশ্ন বোন সেলিমার

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন স্বজনেরা।

    খালেদার বড় বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে খালেদা জিয়া কীভাবে বাঁচবেন এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেলিমা। বোনের যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

    সোমবার বিকালে খালেদা জিয়ার পরিবারের পাঁচজন সদস্য এক মাসেরও বেশি সময় পর তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে বেরিয়ে এসে বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেলিমা ইসলাম।

    স্বজনদের মধ্যে আরও ছিলেন- সেলিমার স্বামী রফিকুল ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা এবং শামীম ইস্কান্দারের ছেলে অভিক ইস্কান্দার।

    স্বজনরা প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় খালেদা জিয়ার কাছে ছিলেন। বেরিয়ে এসে সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওনার শরীর খুবই খারাপ। হাঁটাচলা করতে পারছেন না, খেতে পারছেন না, খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। সুগার কন্ট্রোলে (নিয়ন্ত্রণ) আসছে না। এ অবস্থায় তার তো উন্নত চিকিৎসা দরকার। আদালত তো জামিন দিলেন না। পেটে ব্যথা হচ্ছে, ডাক্তার ওষুধ দিচ্ছে না, চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না। এখানে কীভাবে সে বাঁচবে।’

    সেলিমা ইসলাম জানান, খালেদা জিয়ার সুগার লেভেল এখন ১৪। তিনি দেশবাসীর কাছে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য দোয়া চান।

    প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে খালেদা জিয়া কিছু বলেছেন নাকি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা বলেন, ‘এই ব্যাপারে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তারা খালেদ জিয়াকে তো জামিন দিলেন না। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে জামিন দিতে পারতো। জামিন মানে তো মুক্তি না। জামিন না দেয়াকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।’

    আদালতে দেয়া মেডিকেল প্রতিবেদনের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই বলে দাবি করেন খালেদা জিয়ার বোন। তিনি বোনের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।

  • খালেদা জিয়া ভালো আছেন : বিএসএমএমইউ পরিচালক

    খালেদা জিয়া ভালো আছেন : বিএসএমএমইউ পরিচালক

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক।

    সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের শহীদ ডা. মিল্টন হলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক।

    দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে দেড় বছর ধরে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    গত শুক্রবার খালেদাকে দেখে আসেন কয়েকজন স্বজন। সেখান থেকে ফিরে তার বোন সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, খালেদার শারীরিক অবস্থা ‘খুবই খারাপ’। তিনি পঙ্গু হওয়ার উপক্রম। জামিন হলে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার আগ্রহের কথাও বলেছিলেন সেলিমা।

    এছাড়া খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ বলে বিএনপির অনেক নেতা বিভিন্ন সময় বক্তব্য দেন। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বিএনপি প্রধানের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিএসএমএমইউ পরিচালক।

    ডা. মাহবুবুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, কোনোভাবেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়নি।

    বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, গত সাত মাস আগে খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও বাতজ্বরজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময়ের চিকিৎসায় বেশিরভাগ অসুখের উন্নতি হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

    মাহবুবুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার বাতজ্বরের আধুনিক চিকিৎসার শুরু করার জন্য এক ধরনের ভ্যাকসিন নেয়া প্রয়োজন কিন্তু তিনি ভ্যাকসিন নিতে রাজি হচ্ছেন না। চিকিৎসকরা কাউন্সেলিং করে যাচ্ছেন।

    এ সময় খালেদার চিকিৎসার্থে গঠিত মেডিকেল টিমের প্রধান ও বিএসএমএমইউ মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিঞা সরকার, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।