Tag: বিক্রি

  • চট্টগ্রামের ৪০ পয়েন্টে টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে বিক্রি অব্যাহত

    চট্টগ্রামের ৪০ পয়েন্টে টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে বিক্রি অব্যাহত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতিতে এবং পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সারা দেশের মতো বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ও সাধারণ মানুষের জন্য টিসিবির ন্যার্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

    আজ ১৯ মে মঙ্গলবার নগরীর দামপাডা, কাজির দেউরি, নিউমার্কেট, টাইগারপাশ, কোতোয়ালি, সদর ঘাট, মাঝির ঘাট, আন্দরকিল্লা, জামাল খান, ২ নং গেইট আগ্রাবাদ দামপাডাসহ ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিক্রি হয়েছে টিসিবির পণ্য।

    প্রতিটি পয়েন্টে টিসিবি নিযুক্ত ডিলারগণ ন্যায্যমূল্যে গুডা দুধ, চিনি, চা- পাতা, আদা, পেয়াজ, ময়দা, মশুর ডাল, নুডলস, সয়াবিন তেল, খেজুর ও ছোলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে বিক্রি করেছেন।

    সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ ন্যায্যমূল্যে এসব ভোগ্যপণ্যে ক্রয় করছে। শুক্রবার ছাড়া, সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ১০ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত নগরীতে টিসিবির ভোগ্যপণ্যে বিক্রি কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন টিসিবির ডিলাররা।

    ২৪ ঘণ্টা/শারমিন সুমি/ আর এস পি

  • ‘রেনিটিডিন’ ওষুধ বিক্রি স্থগিত

    ‘রেনিটিডিন’ ওষুধ বিক্রি স্থগিত

    দেশে সকল প্রকার রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ উৎপাদন, বিক্রি, বিতরণ ও রফতানি স্থগিত ঘোষণা করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।

    ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেসার্স সারাকা ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, ভারত এবং মেসার্স এসএমএস লাইফসাইন্স, ভারত থেকে আমদানি করা রেনিটিডিন হাইড্রোক্লোরাইড কাঁচামাল (এপিআই) এবং উক্ত কাঁচামাল দ্বারা উৎপাদিত ফিনিশড প্রোডাক্ট-এর নমুনা অত্র অধিদফতরের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক্রিডিটেড ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করা হয়।

    পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষাকৃত কাঁচামাল ও ফিনিশড প্রোডাক্টে NDMA impurity গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশে সকল প্রকার রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধের উৎপাদন, বিক্রি, বিতরণ ও রফতানি স্থগিত করা হলো।

  • আনোয়ারায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

    আনোয়ারায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন অরক্ষিতভাবে অবাধে চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। মান নির্ণয় ছাড়াই এই সব সিলিন্ডার গ্রামীন জনপদের মানুষ ব্যবহার করছে। কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই এ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার।

    যেকোন সময় এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবার ( ১৭ অক্টোবর) আনোয়ারায় অ্যাম্বুলেন্সে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জন নিহত ও চারজন আহত হওয়ার পর আনোয়ারার বিভিন্ন স্থানে সিলিন্ডার বিক্রি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক আরো বেড়ে যায়।

    জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার একটি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস উত্তোলন হলেও আবাসিক গ্যাস লাইনের সংযোগ পায়নি অধিকাংশ পরিবার। তাদের একমাত্র ভরসা সিলিন্ডার গ্যাস। যা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে উপজেলার সর্বত্র বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে অরক্ষিত অবস্থায়। অধিকাংশ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে নেই বিস্ফোরক অধিদফতরের অনুমতি।

    সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট বাজারে ও প্রধান সড়কের মোড়ে দেখা যায়, সরকারী নীতিমালার তোয়াক্কা না করে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানের সামনে, এমন কি ফুটপাথেও সিলিন্ডার ফেলে রেখে এ ব্যবসা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করছেন ব্যবসায়ীরা।

    মুদির দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান, ফ্ল্যাক্সি লোডের দোকান, মেশিনারি দোকানে, সারের ডিলার এবং চা-দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে সিলিন্ডার ভর্তি এসব গ্যাস। অরক্ষিত অবস্থায় বিক্রির উদ্দ্যেশে যত্রতত্র সিলিন্ডার মজুদ করার ফলে যে কোন মূহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অনেক দোকানে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকলেও তা অকেজো ও মেয়াদোত্তীর্ণ।

    বর্তমানে এ উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকারী প্রায় লাখের উপরে। ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের মন গড়া ভাবে যেখানে সেখানে সিলিন্ডারের বোতল মজুদ রেখে ব্যবসা করছে। বেশিরভাগ দোকানি শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে যেসব দোকানে সনদ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাসবিক্রি হচ্ছে সেগুলোকে আইনের আওতায় আনা হবে। শীঘ্রই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসব দোকানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

  • ডায়াবেটিকস্ ফুড’ নামে অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি, একজনকে অর্থদন্ড

    ডায়াবেটিকস্ ফুড’ নামে অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি, একজনকে অর্থদন্ড

    চট্টগ্রামের রাউজানে ‘ডায়াবেটিকস্ ফুড’ নামের অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রী করায় পরিচালকসহ পাঁচজনকে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।

    পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে সোর্পদ করার পর ভ্রাম্যমান আদালত ‘ডায়াবেটিকস্ ফুড’ নামের অনুমোদনহীন ওষুধের পরিচালক বাবুল আকতারকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদন্ড দেন এবং চট্টগ্রামের আর কোথাও এই অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি করবেনা মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।

    স্থানীয় লোকজন জানান, ‘ডায়াবেটিকস্ ফুড’ নামে একটি চক্র রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নে গত মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় উরকিরচর মোহাম্মদীয়া গাউছিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় একটি ক্যাম্প করে মানুষকে ডায়াবেটিকস্ রোগ থেকে নিরাময়ের কথা বলে ‘মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ কৃষি মন্ত্রণালয় সোহানবাগ, সাভার, ঢাকা লেখা মোড়ক সম্বলিত অনুমোদনহীন ডায়াবেটিকস্ ফুড নামে মাশরুমের গুঁড়ি বিক্রি করছিল।

    এ সময় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অনেকের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হলে তারা ইউপি সদস্যকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে ইউপি সদস্য ও এলাকার লোকজন এসে ওষুধ বিক্রির সাথে জড়িত পাঁচজনকে নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে সোর্পদ করা হয়।

    পুলিশ মাগুরা জেলার মাগুরা সদরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ও ‘ডায়াবেটিকস্ ফুড’ পরিচালক বাবুল আকতার, তার সহযোগী শরিফুল ইসলাম, নাজমুল হাছান, কানিজ ফাতেমা, সোনিয়া খাতুনকে ভ্রাম্যমান আদালতে সোর্পদ করে।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ পরিচালক বাবুল আকতারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন এবং তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন।

  • টাকার বিনিময়ে নিজ সন্তানকে বিক্রি করলো পিতা

    টাকার বিনিময়ে নিজ সন্তানকে বিক্রি করলো পিতা

    মাথার উপর ঋনের বোঝা। ঋণ পরিশোধের চাপের মাঝেই ৫২ হাজার টাকার লোভনীয় প্রস্তাব। তাই ঋণ থেকে মুক্তি পেতে নিজের বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে কিছু টাকার জন্য নিজের ঔরসজাত সন্তানকে বিক্রী করে দিয়ে জন্মদাতা পিতা।

    সন্তানকে বিক্রি করে ক্লান্ত হননি পিতা, কখনো কখনো অভিনয়ের ছলে সন্তানের জন্য ফেলেছেন চোখের পানিও। সামাজিকতা রক্ষায় সাজিয়েছেন ছেলে নিখোঁজের নাটক। কখনো সন্তানের জন্য নিজের বউকে পাঠিয়েছেন বৈদ্য বাড়িতে। ওঝার তাবিজ দোয়ায় সন্তানের খোঁজ মেলে এই আশাতেই মা দৌঁড়ঝাঁপ করেছেন এখান থেকে ওখানে। এভাবেই কেটে গেছে টানা তিনমাস। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সমাপ্তি ঘটে তিনমাস পর পুলিশ ছেলেটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে।

    আজ ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে রাউজান থানা কার্যালয়ে সাত বছরের শিশু সন্তান রাব্বিকে যখন তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তখন সেখানে আনন্দ অশ্রুতে ছলছল করে উঠে মায়ের চোখ। সিনেমার গল্পকেও হার মানানো এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে তিনমাস পূর্বে।

    শিশু রাব্বীর নিকট আত্মীয় রহিম বিন হোসেন জানান, শিশু রাব্বির পিতা কুমিল্লা নিবাসী আহসান উল্ল্যাহ পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। রাব্বির নানার বাড়ি মহেশখালী শাপলাপুর মিঠাখালী গ্রামে। সেখান থেকে পেশায় দিনমজুর আহসান উল্লাহর পরিচয় ঘটে রাউজানের কচুখাইন এলাকার জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তির সাথে।

    পরিচয়ের সূত্র ধরে জাকির হোসেন তার বউয়ের বড় বোন বাচু আকতারের জন্য একটি ছেলে সন্তান কেনার আগ্রহ দেখালে টাকার লোভে পড়ে আহসান উল্ল্যাহ নিজ সন্তানকে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রী করেন। এর মাঝে পরিবারে আহসান উল্ল্যাহ তার মেয়ে নিখোঁজের কল্পকাহিনী সাজান। বাচু আকতারের সংসারে চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

    টানা তিনমাস সন্তানের জন্য হণ্যে হয়ে এখানে সেখানে ছুটে বেরিয়েছেন তার মা নাছিমা আকতার। দিনে দৌঁড়ঝাপ শেষে রাতে অশ্রুচোখে নিন্দ্রাহীন চোখে তাকিয়ে থাকতেন কখন কোলে ফিরে আসবে বুকের মানিকধন। এভাবে তিনমাস অতিক্রম হওয়ার পর জাকির হোসেন রাব্বির মায়ের কাছে তার সন্তানের খবর জানিয়ে সন্তান ফেরত নিলে ৯০ হাজার টাকা দাবী করেন।

    হত-দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া নাসিমা আকতার উপায়ান্তর না দেখে অবশেষে পুলিশের শরণাপন্ন হন। নিজে স্বশরীরে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহর কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনার আদোপ্যন্ত খুলে বললে ওসি বিষয়টি দেখার জন্য নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ জাভেদ মিয়াকে নির্দেশ দেন।

    ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ফোর্স নিয়ে রাতে নগরীর দিদার মার্কেট এলাকা থেকে শিশুকে উদ্ধার করে রাউজান থানা কার্যালয়ে নাছিমা আকতারের হাতে তার সন্তানকে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় পিতা আহসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। মায়ের কাছে সন্তান ফিরিয়ে দেওয়ার সময় থানা চত্বরে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

    টাকার জন্য সন্তান বিক্রীর বিষয়ে পিতা আহসান উল্ল্যাহ বলেন, ঋণের দায়ে তিনি এই কাজটি করেছেন।

    রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহ বলেন, শিশু রাব্বিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।