Tag: বিচারক

  • ৩০ বিচারক হোম কোয়ারেন্টাইনে

    ৩০ বিচারক হোম কোয়ারেন্টাইনে

    করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিদেশফেরত ৩০ বিচারককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

    বুধবার (১৮ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।

    রেজাউল করিম বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ওই বিচারকরা অস্ট্রেলিয়ায় প্রশিক্ষণের জন্য যান। পরে ১৫ মার্চ তারা দেশে ফেরেন।

    এর আগে গত ১৬ মার্চ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসা সবাইকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয় সরকার।

  • জামিন না দিতে আদালতকে প্রভাবিত করেন মন্ত্রী রেজাউল

    জামিন না দিতে আদালতকে প্রভাবিত করেন মন্ত্রী রেজাউল

    পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল অভিযোগ করে বলেন, দুদকের মামলায় আমার জামিন নামঞ্জুর করতে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নানকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম প্রভাবিত করেন।

    বুধবার (৪ মার্চ) পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন একেএমএ আউয়াল।

    আউয়াল বলেন, তিনি প্রভাব খাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে তার প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছেন।

    মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মান্নান তিনটি পৃথক দুর্নীতি মামলায় আউয়াল ও তার স্ত্রী লিলি পারভীনের জামিন আবেদন নাকচ করার চার ঘণ্টার মধ্যে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। বদলি করা হয় বিচারককে। পরে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন অভিযুক্তদের রিভিউ আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।

    মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্যে আউয়াল বলেন, মন্ত্রী রেজাউল তার ভাইদের অনৈতিকভাবে ঠিকাদারি কাজে যুক্ত করে কয়েকশ’ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। তিনি জি কে শামীমের কাছ থেকে তিনটি গাড়ি উপহার নিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ দিয়েছেন।

    ১৯৭১ সালে মাত্র ৯ বছর বয়স থাকা রেজাউল করিম মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার বিষয়ে মিথ্যাচার করেছেন বলেও আউয়াল এ সময় অভিযোগ করেন।

    এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।

  • নুসরাত হত্যা : ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছর কারাদণ্ড, সন্তুষ্ট নুসরাতের মা

    নুসরাত হত্যা : ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছর কারাদণ্ড, সন্তুষ্ট নুসরাতের মা

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ফুটেজ সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় আইসিটি মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায় এটি।

    বিচারক ওসি মোয়াজ্জেমকে মামলার ২৬ নম্বর ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া ২৯ নম্বর ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ডের এই টাকা ভুক্তভোগী নুসরাতের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    এর আগে ২০ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন।

    আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ওসি মোয়াজ্জেমকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। মামলাটিতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের দীর্ঘ শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

    নুসরাত হত্যা মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায়ে ওসির বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান করায় খুশি নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আখতার।

    বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফেনী সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের আট বছরের কারাদণ্ডাদেশ হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

    এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আজ রায় ঘোষণায় আমি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিচার বিভাগ, মিডিয়া এবং ব্যারিস্টার সুমনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেয়।

    তদন্ত শেষে গত ২৭ মে পিবিআইর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই দিন ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় চলতি বছর ১৬ জুন ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার হন এবং ১৭ জুন ট্রাইব্যুনাল তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

  • ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলায় দিদারুল আলম মাসুম ফের কারাগারে

    ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলায় দিদারুল আলম মাসুম ফের কারাগারে

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলায় ফের কারাগারে গেলেন এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম।

    উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মাসুমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ।

    তিনি বলেন, সুদীপ্ত হত্যা মামলায় এর আগে হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম। পরে বাদিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আপিল বিভাগ সেই জামিন বাতিল করে। পাশাপাশি ১৩ নভেম্বর মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেয় আদালত।

    উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাসুম আজ মঙ্গলবার দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে আত্মসর্মপণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু জানিয়েছেন, দিদারুল আলম মাসুম অসুস্থ, তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। ফলে আদালতে তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করলে বিচারক কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    দিদারুল আলম মাসুম লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যায় ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত। এর আগে ৪ আগষ্ট রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় ঢাকা বনানীর কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউ-এর ব্লু-ওশান টাওয়ারের সামনে থেকে মাসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিম।

    উল্লেখ্য : ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাবুল বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার মিজানুর রহমান নামে এক আসামি গত ১২ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে তিনি সুদীপ্ত খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ‘বড় ভাই’ হিসেবে দিদারুল আলম মাসুমের নাম উল্লেখ করেন।

    এদিকে হত্যাকান্ডের এক বছর পর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিলে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ১৫ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পান মাসুম।

  • প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি: গিয়াস কাদেরের ৩ বছরের কারাদণ্ড

    প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি: গিয়াস কাদেরের ৩ বছরের কারাদণ্ড

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। অনাদায়ে আরো ৩ মাসের জেলের আদেশ দেয়া হয় রায়ে। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালত এ রায় দেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মহুরীর দায়ের করা মামলায় এ রায় দেন আদালত।

    মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি জেলার অতিরিক্ত পিপি সমির দাশগুপ্ত তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে মামলাটিতে (সিআর মামলা-১৪৪/১৮, ফটিকছড়ি) সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।

    পরে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করে বিচারক। আজ রায় ঘোষণায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট বলে জানান তিনি।

    এর আগে গত ৩০ মে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে ফটিকছড়ি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। নাজিম উদ্দিন মহুরীর দায়ের করা এ মামলায় বিএনপি তো গিয়াস কাদের ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়।

    উল্লেখ্য- ২০১৮ সালে ২৯ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘আপনার বাবার চেয়েও আপনার অবস্থা খারাপ হবে।

    আপনার বাবার মৃত্যুর পর যেমন ইন্নালিল্লাহ্ পড়ার লোক ছিল না, আপনার পরিণতি তার চেয়েও খারাপ হবে। আপনাকে বাবার চেয়েও নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করতে হবে।