Tag: বিজিবি

  • সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সদস্যরা এখন জলে স্থলে ও আকাশপথে বিচরণ করবেন : প্রধানমন্ত্রী

    সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সদস্যরা এখন জলে স্থলে ও আকাশপথে বিচরণ করবেন : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিজিবি’কে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করে বলেছেন, হেলিকপ্টার সংযোজন কেবল শুরু মাত্র, এই যাত্রা বিজিবি’র সার্বিক কর্মকান্ডকে আরও গতিশীল করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্ব পালনে এখন থেকে বিজিবি সদস্যরা জলে, স্থলে ও আকাশপথে বিচরণ করবেন।’

    প্রধানমন্ত্রী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা সবসময় দেশপ্রেম, সততা ও ঈমানের সাথে দায়িত্ব পালন করে এই বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন। একদিন এ বাহিনী বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মর্যাদা লাভ করবে-এ আমার আশা।’

    শেখ হাসিনা বিজিবি এয়ার উইং-এর জন্য ক্রয়কৃত ২টি এমআই-১৭১ই হেলিকপ্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

    তিনি আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরে এ উপলক্ষে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজিবি এখন অন্যান্য বাহিনীর মত ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত হয়েছে। আমরা আধুনিক হেলিকপ্টার ক্রয় করেছি, প্রকৃতপক্ষে হেলিকপ্টারের কথা আমি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে বলেছিলাম। কারণ, এটা অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দুর্গম পার্বত্য এলাকার নিরাপত্তা দেয়া একান্ত ভাবে দরকার। সেকারণেই এই হেলিকপ্টার ক্রয় করে দিয়েছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করছি, এই মুজিববর্ষেই বিজিবি হেলিকপ্টার পেল এটা অত্যন্ত গৌরবের এবং আনন্দের বলে আমি মনে করি।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘২টি হেলিকপ্টার উদ্বোধনের মাধ্যমে (‘বীর শ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ’ এবং ‘বীর শ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ’) আমি আজ বিজিবি’কে একটি ‘ত্রিমাত্রিক বাহিনী’ হিসেবে ঘোষণা করছি।’

    প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার ভাষণের উদ্ধৃতি দেন।
    তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর পিলখানায় তৎকালিন বাংলাদেশ রাইফেলস-এর তৃতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বলেছিলেন, ‘ঈমানের সঙ্গে কাজ করো, সৎ পথে থেকো, দেশকে ভালোবেসো।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা শুধু বিজিবি নয় বাংলাদেশের সকলের জন্যই প্রযোজ্য।’
    তিনি বিজিবি’র উন্নয়নে তাঁর সরকারের পক্ষে যা যা করণীয় তা করারও আশ্বাস দেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

    অনুষ্ঠানে বিজিবি’র কর্মকান্ড সম্পর্কে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।

    বিজিবি’র একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল প্রধানমন্ত্রীকে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্তের সার্বিক সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার জন্য বিজিবি’র সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত অতি পুরাতন ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্রের পরিবর্তে আধুনিক, যুগোপযোগী ও কার্যকরী ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল ক্রয় করা হচ্ছে।

    তিনি বলেন, ভারত এবং মিয়ানমারের সাথে ৫৩৯ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় নতুন ৬২টি বিওপি নির্মাণের মাধ্যমে ৪০১ দশমিক ৫ কিলোমিটার সীমান্ত ইতোমধ্যে নজরদারীতে আনা হয়েছে। অবশিষ্ট ১৩৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় আরও বিওপি স্থাপন করা হবে।

    সরকার প্রধান বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে একনেকের সভায় আরও ৭৩টি নতুন কম্পোজিট বিওপি নির্মাণের বিষয়ে অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। এতে বিজিবি’র অপারেশনাল সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধিসহ সৈনিকদের মনোবলের উপরে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • উখিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ৩ রোহিঙ্গা নিহত, তিন লাখ ইয়াবা উদ্ধার

    উখিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ৩ রোহিঙ্গা নিহত, তিন লাখ ইয়াবা উদ্ধার

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে তিন রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারী নিহত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ভোররাতে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের তুলাতলী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

    এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিন লাখ ইয়াবা, দেশীয় তৈরি দুইটি পাইপগান ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    নিহতরা হলেন, তুমব্রু রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত জুলুর মলুকের ছেলে নুর আলম (৪৫), বালুখালী ক্যাম্পের মো. হামিদ (২৫) ও কুতুপালংয়ের নাজির হোসেন (২৫)।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে তুলাতলী সীমান্তে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাদক কারবারিরা। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এসব অস্ত্র ও ইয়াবাসহ তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত, ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত, ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৫০ হাজার ইয়াবা, একটি চায়না পিস্তল ও দুই রাউন্ড কার্তুজ।

    রবিবার (৫ জুলাই) গভীর রাতে টেকনাফের হ্নীলার ওয়াব্রাংয়ের নাফ নদীর তীরে এই ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলো: উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের মোহাম্মদ শফিকের ছেলে মো. আলম (২৬) ও বালুখালী ক্যাম্পের মো. এরশাদ আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন (২৪)।

    মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান নিয়ে নাফ নদী সাঁতরে অনুপ্রবেশের সময় গুলি বিনিময়ের ঘটনায় প্রাণ হারায় বলে বিজিবির দাবি।

    এই ঘটনায় বিজিবি ল্যান্স নায়েক মো. আব্দুল কুদ্দুস ও নায়েক মো. শাকের উদ্দিন আহত হন বলে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান।

    তিনি জানান, রবিবার রাতে হ্নীলা বিওপির সংলগ্ন ওয়াব্রাংয়ের নানীরবাড়ি নামক সীমান্ত দিয়ে মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি দল সেখানে অবস্থান নেন। এসময় কয়েকজন লোককে নাফ নদী সাঁতরে কিনারায় আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করলে তারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন।

    তিনি আরও জানান, এ সময় বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে মাদককারবারি চক্রের সদস্যরা কেওরা বাগানের দিকে পালিয়ে যায়। এসময় উভয়পক্ষে ৪-৫ মিনিট গুলিবিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি চায়না পিস্তল ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পর তাদের মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত

    টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত

    কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মো. জাফর আলম (৩০) নামে এক ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছেন।

    শনিবার (১৮ এপ্রিল) গভীর রাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীর ঘোলারচড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাফর টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার জবর মুল্লুকের ছেলে।

    এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ১টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন।

    রোববার (১৯ এপ্রিল) সকালে টেকনাফস্থ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ওই সময় টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চড় এলাকায় শাহপরীর দ্বীপ বিওপি বিজিবির একটি নিয়মিত বিশেষ টহলদল অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর দূর থেকে একটি নৌকা নিয়ে ৩/৪ জন ব্যক্তি নাফ নদী ও সাগরের মোহনা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে নদীর কিনারায় আসার সাথে সাথে বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ইয়াবা পাচারকারীরা নৌকা থেকে নেমে সাগরের তীর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

    এসময় বিজিবি তাদের ধাওয়া করলে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক পাচারকারীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।

    পরে ওই এলাকা থেকে ইয়াবা অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

    নিহত ইয়াবা কারবারির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তা।

  • বিএসএফ’র গুলিতে নিহত জয়নালের লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি

    বিএসএফ’র গুলিতে নিহত জয়নালের লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি

    গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র গুলিতে নিহত বাংলাদেশীকে নাগরিকের লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি।

    বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বৃহষ্পতিবার ভোরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চোষপাড়া সীমান্তের এস ৩৭৯/১ এস নম্বর মেইন পিলার এলাকায় জয়নাল আবেদিন(৩৫) নামে এক বাংলাদেশী নাগরিককে গুলি করে হত্যার পর তার লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে মরদেহ ফেরত নিতে বিজিবিকে চিঠি দেয় বিএসএফ। কিন্তু বিজিবি তাঁতে সাড়া দেয়নি এবং গ্রহণ করেনি জয়নালের লাশ।

    জানা যায়, নিহত জয়নাল অবেদিন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে। সে কয়েক বছর আগে কাজের সন্ধ্যানে ভারতে গিয়ে পশ্চিম দিনাজুপর জেলার পানজিপাড়া গ্রামের ভারতীয় এক নারীকে বিয়ে করেন।

    গত বৃহস্পতিবার ভোরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চোষপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলো জয়নাল। এ সময় বিএসএফ’র ১৭১ চাকলাগড় ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

    এ ব্যপারে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শহীদুল ইসলাম জানান, সীমান্তে নিহত ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ দেশে থাকেন না। তাকে হত্যার পর লাশ বিএসএফ সদস্যরা ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। তার দেহ তল্লাশি করে ভারতের রেশন ও আধার কার্ড পায় তারা। তথাপি বিএসএফ তার লাশ ফেরত দিতে চাইলে আমরা তা গ্রহণ করিনি। যেহেতু সে (জয়নাল) কাগজপত্রে ভারতের নাগরিক তাই আমরা তার মরদেহ গ্রহণ করতে পারি না।

  • মাদকসহ পুলিশ সদস্য ও রেলওয়ে নিরাপত্তা সদস্য আটক

    মাদকসহ পুলিশ সদস্য ও রেলওয়ে নিরাপত্তা সদস্য আটক

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদকসহ এক পুলিশ কনস্টেবল ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

    শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আখাউড়া উপজেলা আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে আজমপুর বিজিবি ক্যাম্পের টহল জোয়ানরা তাদেরকে আটক করে।

    বিজিবির হাতে আটককৃতদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আসাদুল্লাহ (৪২)। যার পুলিশ (বিপি নম্বর – ৭৮৯৭০৩০৬৮৮)। তিনি দক্ষিণ লালবাগ থানায় কর্মরত আছেন বলে বিজিবিকে জাবায়। সে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের আকবর নগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের ছেলে।

    অন্যজন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সুমন চন্দ্র বিশ্বাস (৩৬)। তিনি সিলেটের কদমতলী রেলওয়ে ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন। সে নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার নারায়নপুরের গকূলনগর এলাকার বাসিন্দা হরিদাস চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কবির জানান, আখাউড়ার সীমান্তের আজমপুর বিওপির টহল জোয়ানরা রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একজন পুলিশ কনস্টেবল ও অন্যজন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে আধা কেজি গাঁজাসহ আটক করে ক্যাম্পে নেন।

    তিনি বলেন, আটকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর রাতেই তাদের আখাউড়া থানা হেফাজতে দেয়া হয়েছে।

    আখাউড়া থানার ওসি রসুল আহম্মদ নিজামী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেয়নি বিজিবি। তবে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আটকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

  • মাটিরাঙ্গার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত: বিজিবি

    মাটিরাঙ্গার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত: বিজিবি

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। স্থানীয়রা বিজিবির অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে গুলিবর্ষণ করে বলেও জানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    মঙ্গলবার রাতে বিজিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধ কাঠ পাচাররোধে মঙ্গলবার বেলা ১১:৪৫ মিনিটে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর বাজার এলাকায় টহলে যায় বিজিবির একটি দল। এসময় বিজিবির উপস্থিতি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা টহল দলকে ঘিরে ফেলে। এতে উভয়পক্ষ্যের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে স্থানীয়রা বিজিবির অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে বিজিবির সিপাহী শাওন ও স্থানীয় পাঁচজনের গায়ে গুলি লাগলে বিজিবি সদস্যসহ চারজন মৃত্যুবরণ করে।

    ঘটনার পর বিজিবি-সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এই ঘটনায় নিহতরা হলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর এলাকার সাহাব মিয়া, তার স্ত্রী রঞ্জু বেগম, তাদের বড় ছেলে আকবর আলী, ছোট ছেলে আহমদ আলী, একই এলাকার সিরাজ মিস্ত্রির ছেলে মফিজ মিয়া এবং বিজিবি সদস্য শাওন।

    এদিকে স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বৈদ্যুতিক তার টানার জন্য কয়েকটি গাছ কাটা হয়। এ সময় ট্রাক্টরে সাহাব মিয়া ও তার ছেলে আহামদ আলী কয়েক টুকরা গাছ গাজীনগর বাজারের একটি কাঠের মিলে নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা দেয় বিজিবি। একপর্যায়ে বিজিবির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সাহাব মিয়া ও তার ছেলে। বিষয়টি দেখে এগিয়ে আসে গ্রামবাসী। এরপরই বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী।

    সংঘর্ষের সময় বিজিবি সদস্যরা গুলি করলে ঘটনাস্থলেই সাহাব মিয়া ও তার ছেলে আকবর আলী নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিজিবি সদস্য শাওন, আহমদ আলী, মফিজ মিয়া এবং হানিফ মিয়াকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে বিজিবি সদস্য শাওন ও আহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মফিজ মিয়া। স্বামী ও দুই ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মারা যান রঞ্জু বেগম।

  • মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ ৪ জন নিহত

    মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ ৪ জন নিহত

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাজিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- ৪০ বিজিবির সিপাহী শাওন ও আলুটিলা বটতলী গ্রামের সাহাব মিয়া এবং তার ছেলে  মো. আহাম্মদ আলী ও মজিদ। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, ছেলে এবং স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

    এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুদ্দিন ভুঁইয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

  • আজ পিলখানা হত্যাকান্ডের শাহাদাত বার্ষিকী

    আজ পিলখানা হত্যাকান্ডের শাহাদাত বার্ষিকী

    রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় শহীদদের স্মরণে আজ মঙ্গলবার শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হবে।

    ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

    এই বিদ্রোহের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিজিবি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবি’র সকল মসজিদে এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

    এছাড়া সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় সকাল ৯ টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

    এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষে বিজিবি’র যে সকল স্থানে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন হয় সে সকল স্থানে বিজিবি পতাকা অর্ধনিমিত থাকবে এবং এর সকল সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করবে।

    আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদ আসর সাড়ে ৪ টার দিকে পিলখানাস্থ কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়গণ, পিলখানায় কর্মরত সকল অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করবেন।

    বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় পৃথক মামলা হয়। এরমধ্যে বিদ্রোহ ও হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

    পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিডিআর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এ মামলায় ৮৩৪ জন আসামির মধ্যে ১৫২ জনের মৃত্যুদন্ড ও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

    এছাড়া বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ হাজার ৪১ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়।

  • সীমান্তে চোরাচালান রোধে সজাগ থাকুন: বিজিবিকে রাষ্ট্রপতি

    সীমান্তে চোরাচালান রোধে সজাগ থাকুন: বিজিবিকে রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সব ধরনের লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে সীমান্তে চোরাচালান রোধে সর্বদা সজাগ থাকতে আজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    চট্টগ্রামে বিজিবি’র ৯৪তম রিক্রুট ব্যাচের শপথ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ‘আপনাদের চরিত্রের কঠোরতার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটাতে হবে। আপনাদের লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

    আব্দুল হামিদ দেশ ও জাতির প্রয়োজনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে বিজিবির নতুন সদস্যদের পরামর্শ দেন। ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর এ বাহিনীর তৃতীয় রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সীমান্ত এলাকাগুলোতে চোরাচালানের বিরুদ্ধে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন।’

    তিনি ওই অনুষ্ঠানে দেয়া বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, স্মাগলারদের কোন জাত নাই, ধর্ম নাই, তারা মানুষ নামের নরপশু। ওরা সামান্য অর্থের লোভে এ দেশের সম্পদকে বিদেশে চালান দেয়।’

    রাষ্ট্রপতি হামিদ বিজিবির নতুন সদস্যদের প্রতি এই বাহিনীর সীমান্তে পাহারার সুনাম বৃদ্ধির লক্ষে সততা, নিষ্ঠা, কর্মদক্ষতার পাশাপাশি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে অক্লান্তভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। অন্যান্য বাহিনীর নারী সদস্যদের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বিজিবি’র নারী সদস্যদেরও প্রশংসা করে বলেন, তারা কর্মক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা প্রমাণ করে নিজেদের শপথ রক্ষা করতে পারবেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের রয়েছে দু’শত বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই দেশমাতৃকার সেবায় এই বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে।

    তিনি আরো বলেন, বিজিবি সদস্যরা দেশের অভ্যন্তরে যে কোন দুর্যোগময় মুহূর্তে জনগণের সেবায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং সাধারণ মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে।
    সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছুলে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শাফিনুল ইসলাম তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বীর উত্তম মুজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি আকর্ষনীয় কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।

    রাষ্ট্রপতি ছাদখোলা জিপে দাঁড়িয়ে প্যারেড গ্রাউন্ডের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

    এ সময় রাষ্ট্রপতির সাথে ছিলেন বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলাম এবং বিজিটিসি’র কমান্ড্যান্ট ও সি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর জাহিদ।

    ৯৪তম ব্যাচে ২৪ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে ৪৯ নারীসহ মোট ৫৪৪ জন নতুন সদস্য বাহিনীতে রিক্রুট হয়েছে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এই ব্যাচ শুরু হয়।

    রাষ্ট্রপতি হামিদ পরে বিজিবি’র সেরা শিক্ষানবিশদের হাতে পদক তুলে দেন। তিনি একটি কেক কাটেন এবং অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ফটো সেশনে অংশ নেন।

    জাতীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল আজিজ আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, কূটনীতিকবৃন্দ এবং সামরিক ও বেসামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

  • জব্দ করা ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে মানচিত্র, বিতর্কে বিজিবি

    জব্দ করা ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে মানচিত্র, বিতর্কে বিজিবি

    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুষ্টিয়ায় জব্দ করা ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র বানিয়েছে। এ ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা ও বিতর্ক।

    মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘৪৭ বিজিবি’ জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংসের অনুষ্ঠানে এ কাণ্ড ঘটায়।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে জব্দকৃত ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের আদলে একটি প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়। প্রতিকৃতির ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট হলে তা দ্রুত ভাইরাল হয়।

    বিজিবি’র পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা হলেও বিশিষ্টজনরা সমালোচনা করে বলছেন, অজ্ঞতা ও দেশপ্রেমের বোধ যাদের নেই তারাই এমনটা করতে পারে। জাতীয় মর্যাদাকে যারা লাঞ্ছিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইন তৈরি করে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা দরকার।

    ৪ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন সময়ে ৪৭ বিজিবি’র আটক করা ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। ওই দিন দুপুরে জেলার মিরপুরে ৪৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) অভ্যন্তরে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করে। এর আগে আটক মাদকদ্রব্য (ফেনসিডিলের বোতল) দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করা হয়।

    এর আগে ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আটক করা বিপুল পরিমাণ মদ ও ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুষ্টিয়া সেক্টর। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই এমনটা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।

    তবে মঙ্গলবারের এমন ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিজিবি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্ম কতোটা যুক্তিসংগত, এমন প্রশ্নও তোলা হয় সেখানে। এমন কাজের জন্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে বলেও লেখেন তারা।

    জীবন রহমান মোহন নামের এক ব্যক্তি নিজের পোস্টে লিখেছেন: ‘অবৈধ ফেনসিডিল দিয়ে দেশের মানচিত্র, সেটা কোন যুক্তিতে করলো বিজিবি আমার মাথায় আসে না। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের বাংলাদেশের মানচিত্র। কুষ্টিয়ার মিরপুর মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃক মাদকদ্রব্য ধ্বংসের পূর্বে ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র বানানোর যৌক্তিকতা কি দেখাবেন কুষ্টিয়া মিরপুর বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ? এমন ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড দেশের মানচিত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে কিনা? একটা মানচিত্র মানে একটা দেশ, একটা সার্বভৌমত্ব, সেই দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে এমন তামাশা বাংলাদেশের মানচিত্রের অবমাননার শামিল।’

    মো. আকবর হুসেন লিখেছেন: ‘স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করলো ফেন্সিডিলের বোতল দিয়ে!’

    আ. রহমান চৌধুরী তুহিন লিখেছেন, ‘চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে…মানচিত্রে এক বিন্দু জায়গাও খালি নাই, প্রতিটি কোনায় কোনায় মাদক দখল করে ফেলেছে!!! ফেনসিডিল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র…!!!’

    ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মতো বিশিষ্টজনরাও বিজিবি’র এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন।

    একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন: বিজিবি অবশ্যই নিন্দনীয় কাজ করেছে। এটা করার বুদ্ধি তাদের কে দিয়েছে? আমাদের মনে রাখতে হবে, এ মানচিত্র আমরা অর্জন করেছি ৩০ লাখ শহীদের রক্তের মূল্যে। পৃথিবীর কোনো জাতি স্বাধীনতার জন্য এতো মূল্য দেয়নি যা আমরা দিয়েছি।

    তিনি বলেন: আমরা মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশের মানচিত্র নিয়ে এমন তামাশা বরদাশত করা উচিত না।

    এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা এবং ‘৭৫-এর প্রতিরোধী যোদ্ধা বীরপ্রতীক সরদার নাজিমুদ্দিন আহমেদ গেরিলা বলেন: এমন কর্মকাণ্ড কাণ্ডজ্ঞানহীন, অজ্ঞতা ও অবজ্ঞার ব্যাপার। যাদের দেশপ্রেমের বোধটুকু নেই তারাই এ ধরনের কাজ করতে পারে।

    ‘দেশের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, মমত্ববোধ থাকতে হয়’ জানিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন: দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে ঠিকই। কিন্তু উন্নয়নকে ধরে রাখার জন্য যে মজবুত কাঠামো দরকার সেটা আমাদের তৈরি করতে হবে।

    তিনি বলেন: দেশকে অসম্মান করে, দেশের প্রতি ভালোবাসাকে বহি:প্রকাশের জন্য আমরা বিকৃত কর্মকাণ্ড করি তাহলে আমাদের ষোলোআনাই মিছে হয়ে দাঁড়াবে।

    ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র নির্মাণ করায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন: দেশের মানচিত্রকে, দেশের জাতীয় পতাকাকে, দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে যারা অশ্রদ্ধা করে তাদের শাস্তির জন্য বিশেষ আইন তৈরি করা দরকার।

    জাতীয় মর্যাদাকে অবমাননা করা হয় এমন বিষয়ে বিশেষ আইন করার প্রস্তাব ২০১৬ সালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি করেছে। সংস্থাটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন: মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত ইতিহাস ও অস্বীকার আইন প্রণয়নের জন্য প্রস্তাবটা আমরা আইন কমিশনকে লিখিতভাবে দিয়েছি। পরে তারা খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।

    তিনি বলেন: এই আইনে আমাদের জাতীয় মর্যাদাকে কেউ যদি অবমাননা, লাঞ্ছিত ও অবমূল্যায়ন করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

    ২০১৫ সালেও ফেনসিডিল ও মদ দিয়ে বিজিবি বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করেছিল

    এ ধরনের কাজ যারা করেছে তারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শামিল অপরাধ করেছে জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন: আমরা বারবার আইন মন্ত্রণালয়কে বলছি আইনটি দ্রুত পাশ করার জন্য। আইনটি বাস্তবায়ন হলে অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়ে যাবে।

    ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে মানচিত্র তৈরির বিষয়ে বিজিবি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    তবে বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন: বিষয়টি ভুলে করা হয়েছে। এমন ভুলের জন্য বিজিবি দুঃখপ্রকাশ করছে।

     

  • সীমান্তে দেড় মাসে ১১ বাংলাদেশি নিহত : বিজিবি

    সীমান্তে দেড় মাসে ১১ বাংলাদেশি নিহত : বিজিবি

    ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক গত দেড় মাসে সীমান্তে ১১ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পরিচালক (পরিকল্পনা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ আশিকুর রহমান।

    আজ বুধবার সকালে বিজিবি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর থেকে সীমান্তে নিহতের সংখ্যা ১১ জন। এ ধরনের মৃত্যু যাতে না হয় সে জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেওয়া হয়েছে।

    আশিকুর রহমান বলেন, সীমান্ত এলাকায় পুরনো ও পরিত্যক্ত বিওপিগুলোয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিবি। প্রাথমিকভাবে চারটি বিওপি যাচাই-বাছাই করে স্কুলের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এসব স্কুলের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিকেতন’।

    তিনি বলেন, আমাদের পুরনো কিছু এলাকার বিওপিগুলো সীমান্ত থেকে একটু ভেতরে। দেশ উন্নত হওয়ায় এখন বাজারঘাট ও স্থাপনা হচ্ছে সীমান্তকেন্দ্রিক। বিওপিগুলো ভেতরে হওয়া আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে কিছুটা সমস্যা হয়। তাই আমরা বিওপিগুলো সীমান্তের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছি। সরকার এটি অনুমোদন দিয়েছে। সারাদেশে আমাদের ১২৬টি বিওপি আছে।

    সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কিছু বিওপি চিহ্নিত করেছি, যেগুলো পরিত্যক্ত। এসব বিওপিতে স্কুল করা হবে। সীমান্তবর্তী এসব এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। সীমান্তের মানুষ দরিদ্র হওয়ায় তারা চোরাকারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাদের শিক্ষিত করতে পারলে এই অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। তাই আমরা বিওপিতে স্কুল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    প্রাথমিকভাবে চারটি বিওপিতে স্কুল করা হবে, সেগুলো হলো- ঠাকুরগাঁওয়ের মুন্ডুমালা, সুনামগঞ্জের নবীনগর, কুমিল্লা শিবের বাজার এবং ফেনীর শালধর বিওপি।

    এছাড়াও আরও ছয়টি রয়েছে। যেগুলোতে ধীরে ধীরে স্কুল করা হবে। এসব স্কুলে দিনে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করবে, রাতে বয়স্কদের সচেতন করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পাঠদান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিকেতনে বয়স্কদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর পর তাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। এ সব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও কথা হয়েছে বিজিবি। বিজিবির ধারণা সীমান্তে দরিদ্র মানুষকে সাবলম্বী করতে পারলে চোরাচালান কমে আসবে।

    গত মাসে বিজিবির অর্জন তুলে ধরে আশিকুর রহমান বলেন, এক মাসে ৯৭ কোটি ১৮ লাখ ৩ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালানের পণ্য ও মাদক দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা মাদকের মধ্যে রয়েছে ৭ লাখ ২৩ হাজার ৬৮৫ ইয়াবা, ৪০ হাজার ৭৪১ বোতল ফেনসিডিলসহ মদ, গাঁজা, হেরোইন ও নেশাজাতীয় ইনজেকশন। এ সময়ের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৪ কেজি সোনা, ইমিটেশন গহনা, কসমেটিক, পোশাক, থান কাপড়, কষ্টি পাথরের মূর্তি, কাঠ, ২১ ট্রাক, ৬টি পিকআপ, ১টি প্রাইভেটকার, ১১টি অটোরিকশা ও ৫৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

    এ সময় মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৭২ চোরাকারবারিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার অপরাধে ৩৮ জন বাংলাদেশি ও দুজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।