Tag: বিজিবি

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা নিহত, ১ লক্ষ ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা নিহত, ১ লক্ষ ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    কক্সবাজার জেলার টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা কারবারি রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে।

    এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

    শুক্রবার ২৪ জানুয়ারি ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া নাফনদী সংলগ্ন এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

    টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সাল হাসান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, শুক্রবার ভোরের দিকে দমদমিয়া বিওপি বিজিবির একটি বিশেষ টিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া মসজিদের পূর্ব পাশের কেওড়া বাগানের নিকট নাফনদী এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় কয়েকজন লোককে বস্তা মাথায় নিয়ে হেঁটে যেতে দেখে চ্যালেঞ্জ করলে সশস্ত্র ইয়াবা কারবারিরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে এসময় পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে তারা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা একজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দিয়েছে। সে উখিয়ার থ্যাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতো বলে জানিয়েছে। তবে তার নাম ঠিকানা বিস্তারিত জানা যায়নি।

    নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তা।

  • বিজিবি’র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা নিহত

    বিজিবি’র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা নিহত

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালীতে বিজিবি’র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

    নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। নিহত ২ জনই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থী বলে জানিয়েছে বিজিবি। এসময় নিহতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ হাজার ইয়াবা ও একনলা ১টি বন্দুকসহ দুই রাউন্ড কার্তুজ।

    সোমবার ৬ জানুয়ারি সকালে কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবি’র সদস্য ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

    নিহত রোহিঙ্গা শরনার্থী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা হলেন- মিয়ানমারের উনচিপ্রাং এলাকা থেকে পালিয়ে আসা উখিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের ২২নং ব্লকে আশ্রয় নেয়া মৃত সুলতান আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ইসমাইল (২৮) ও মো. আবু সৈয়দের পুত্র মো. হেলাল উদ্দিন (২০)।

    ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী উখিয়ার পালংখালী পূর্ব ফাঁড়িরবিল এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করার খবরে বিজিবির টহলদল অভিযান চালায়। এসময় বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে মাদক ব্যবসায়ীরা।

    আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও গুলি চালায়। এক পর্যায়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হলে তাদের আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন

  • টেকনাফে বিজিবির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

    টেকনাফে বিজিবির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

    টেকনাফ প্রতিনিধি : টেকনাফে ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে অসহায়-দরিদ্র ও শীতার্ত ২ শতাধিক নারী-পুরুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে হ্নীলা হাইস্কুল প্রাঙ্গনে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হ্নীলা বিওপির আওতাধীন এলাকার অসহায়-দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ উপলক্ষ্যে একসভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি)। বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাপ্টেন আহসানুল করিম রাইন, এডি নুরুল হুদা, হ্নীলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, হ্নীলা বিওপির কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল মোতাবেক প্রমুখ।

    অনুষ্ঠান শেষে তালিকাভূক্ত ২শতাধিক পরিবারের অসহায়-দরিদ্র নারী-পুরুষ এবং শিশুদের মাঝে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

  • বিজিবি-কে বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার:প্রধানমন্ত্রী

    বিজিবি-কে বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার:প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিজিবিকে বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভিশন ২০৪১’পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার এ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিজিবি পুনর্গঠনের আওতায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে একটি বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

    প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিজিবি’র সুনাম অক্ষুন্ন রাখার জন্য এই বাহিনীর সদস্যদের দেশপ্রেম এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং চেইন অব কমান্ড মেনে চলার আহবান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশাকরি যে, আপনারা সব সময় দেশপ্রেম,সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সব সময় এই বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা সমুন্বত রাখবেন।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

    শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ডকে একটি বাহিনীর অন্যতম চালিকা শক্তি আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার আবেদন থাকবে উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের কমান্ড মেনে চলবেন এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আর আপনাদের কোন সমস্যা হলে সেটা দেখার জন্য আমরাতো আছিই।’
    ‘কাজেই আপনারা সবসময় সততার সাথে নিষ্ঠার সাথে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। যেন দেশ আজকে অর্থনৈতিকভাবে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে,’যোগ করেন তিনি।

    তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতার হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠান। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পার হতে হয়েছে। আগামী দিনে এই সীমান্তরক্ষী বাহিনী সারাবিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মর্যাদা অর্জন করবে-সে বিশ্বাস আমার আছে।’

    এরআগে, বিজিবি সদস্যরা মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। একটি সুসজ্জিত খোলা জিপে করে প্যারেড পরিদর্শনকালে বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম এবং প্যারেড কমান্ডার কর্নেল এ এম এম খায়রুল কবির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

    এছাড়া মটর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় এবং বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুল রউফ পাবলিক কলেজের প্রায় ৬শ’ শিক্ষার্থী ‘স্বাধীনতা ও উন্নয়নের আগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’শীর্ষক ডিসপ্লে প্রদর্শন করে।

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজিবি দিবস উপলক্ষে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিডিআর কর্মকর্তাদের মাঝে বর্ডার গার্ড পদক-২০১৯, রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক-২০১৯, বর্ডার গার্ড পদক সেবা-২০১৯ এবং রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক সেবা-২০১৯ বিতরণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণকারী প্যারেড কমান্ডার এবং অন্যান্য কন্টিনজেন্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    এরআগে প্রধানমন্ত্রী পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এবং বিজিবি মহাপরিচালক তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

    পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর-উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে বিজিবি সদস্যদের বিশেষ দরবারে অংশগ্রহণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিব এদেশের গরিব-দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্যই এই বাংলাদেশ সুখী ও সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। তারপরেই থেমে যায় আমাদের অগ্রযাত্রা।’

    তিনি উল্লেখ করেন, আবার ২১ বছর পর ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই কেবল দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়।

    ‘আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্রের হার ২০ দশমিক ৫ ভাগে নামিয়ে এনেছি। মানুষের আয় মাথাপিছু বেড়েছে এবং সকলের বেতন-ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আমাদের আর কারো কাছে ভিক্ষে চেয়ে চলতে হয় না।’

    অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করেই আজকের এই অর্জন-এমন অভিমত ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের ধরে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। আমরা মাথা উঁচু করে চলবো এবং বিশ্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে আমাদের অবস্থান আমরা করে নিতে সক্ষম হব।’

    তিনি বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের কাছে এটাই আমরা চাই- আপনারা এদেশকে ভালবেসে সেদেশের মানুষের প্রতি কর্তব্য পালন করবেন।’

    ‘দেশ যদি উন্নত হয় তাহলে আপনাদের পরিবার-পরিজনরা এবং দেশের মানুষই উন্নত হবে। সে কথাটা সব সময় মনে রাখবেন,’ বলেন তিনি।
    প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত বিদ্রোহ ও হত্যাকা- বিজিবি’র (তৎকালিন বিডিআর) ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। ঐ ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

    প্রধানমন্ত্রী ঐ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,‘বাহিনীর তৎকালীন মহাপরিচালকসহ যে সকল অফিসার, অন্যান্য সদস্য ও বেসামরিক ব্যক্তি শহিদ হয়েছেন, আমি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’

    তিনি বলেন,‘বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পৃক্ত উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী বিডিআর সদস্যদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে এ বাহিনী এখন সম্পূর্ণ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।’

    জাতির পিতা দেশের স্বাধীনতা দিয়ে গেলেও দেশ স্বাধীনের মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ায় বাংলার জনগণকে তাঁর কাঙ্খিত অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করাই তাঁর এবং আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন।

    তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেলে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে তোলার সুযোগ না পাওয়ায় এটা তাঁর দায়িত্ব মনে করে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এই কাজটি এগিয়ে নেয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।’

    প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতার ১৯৭৪ সালে সম্পাদিত মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির আওতায় ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সুরক্ষা এবং বিজিবির আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগীকরনে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য সীমান্তের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩১৭ কিমি সীমান্তবর্তী রিং সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। ভারত ও মায়ানমার সীমান্তে ব্যাটালিয়ন সৃজনের মাধ্যমে ৫৩৯ কি:মি: অরক্ষিত সীমান্তের মধ্যে ৪৪২ কি. মি. সীমান্ত নজরদারীর আওতায় আনা হয়েছে।

    জানুয়ারি মাসে অত্যাধুনিক ২টি হেলিকপ্টার বিজিবিতে যুক্ত হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩২৮ কি.মি. সীমান্তে স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভিল্যান্স এন্ড ট্যাকটিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, আধুনিক, যুগোপযোগী ও কার্যকর ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র ক্রয় করা হচ্ছে। ১২টি আর্মাড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) এবং ১০টি রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল ক্রয় করা হচ্ছে। সীমান্তের স্পর্শকাতর আইসিপি/এলসিপি সমূহে ভেহিক্যাল এক্স-রে স্ক্যানার মেশিন স্থাপন এবং ‘বিজিবি ডগ স্কোয়াড’ গঠন করা হয়েছে।

    এছাড়াও তল্লাশী কার্যক্রম জোরদার করার জন্য ৬টি মেকানাইজড ইনস্পেকশন সিস্টেম ক্রয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত ডাটা সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে। ডিজিটাল মোবাইল রেডিও (ডিএমআর) নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে সদর দপ্তর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত বিওপি’র সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে ভূমিকম্পের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিজিবি যশোর অঞ্চলে ডিজেস্টার রিকভারি সাইট নির্মাণ করছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, বিজিবি সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য সাতকানিয়ার ‘বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজ’ এর পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গায় আরও একটি প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

    তিনি বলেন, বিজিবি সদস্যদের জন্য নতুন র‌্যাংক ব্যাজ প্রবর্তন, জেসিওদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি,বিজিবি’র সকল স্তরে বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর, যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভাগীয় অফিসার পদে পদোন্নতি এবং সীমান্ত ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।

    এছাড়া ২ মাসের বাৎসরিক ছুটি ও অগ্রিম বেতন প্রদান, পারিবারিক রেশন, ৩ বছরের নীচের সন্তানদের পূর্ণ স্কেল রেশন প্রদানসহ বিজিবি সদস্যের প্রতিবন্ধী সন্তানদের অবসরের পূর্ব পর্যন্ত নগদ মূল্যে রেশন প্রদান করা হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজিবিতে বিদ্যমান ৫টি হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং ২০৫ জন কর্মচারীর দেশে-বিদেশে চিকিৎসার জন্য বিজিবি স্বাস্থ্য সহায়তা প্রকল্প তহবিল থেকে ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি অনুদান হিসেবে দেয়া হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বিজিবি তথা তৎকালিন বিডিআর সদস্যদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

    তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে তৎকালীন ইপিআর-এর বেতারকর্মীরা এই পিলখানা থেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা সমগ্র দেশে ওয়্যারলেস যোগে প্রচার করায় ইপিআরের (তৎকালিন) সুবেদার মেজর শওকত আলীকে পাক হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে।’

    অনুষ্ঠানে ১৯৭৪ সালে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ বাজিয়ে শোনানো হয়। সেই ভাষণের আলোকে এই বাংলার মাটি থেকে চোরাকারবারী, দুর্নীতি এবং সমাজ বিরোধীদের উৎখাতে এই বাহিনীর সদস্যদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহবানের সঙ্গেও একাত্মতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসাথে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার পুনর্বাসনে বিজিবি’র ভূমিকার প্রশংসা করেন।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ

    নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ

    বান্দরবা‌নের নাইক্ষ্যংছ‌ড়ি‌র ঘুমধু‌মের রেজুমুখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বি‌জি‌বি) ক‌য়েকজন সদস্য‌কে লক্ষ্য ক‌রে মাদক ব্যবসায়ীরা গু‌লি করেছে। এতে দুই বি‌জি‌বি সদস্য গু‌লি‌বিদ্ধ হ‌য়ে‌ছেন।

    সোমবার (১১ ন‌ভেম্বর) রাত ৯টার দি‌কে এ ঘটনা ঘ‌টে।

    আহতরা হলেন- সৈ‌নিক ফ‌রিদ উ‌দ্দিন‌ (২৪) ও সৈ‌নিক মৃত্যুঞ্জয় (২৩)।

    এর মধ্যে ফরিদ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আর মৃত্যুঞ্জয়কে বিজিবি সেক্টর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    কক্সবাজার বি‌জি‌বির রি‌জিয়ন কমান্ডার সা‌জেদুর রহমান বলেন, ‘টহলের সময় মাদক বিক্রেতারা গু‌লি চালা‌লে দুজন গু‌লি‌বিদ্ধ হন। প‌রে ফ‌রিদ উ‌দ্দিন‌কে সিএমএইচে ও মৃত্যুঞ্জয়‌কে রামু সাম‌রিক হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করা হ‌য়।’

    সা‌জেদুর রহমান জানান, নাইক্ষ্যংছ‌ড়ির ঘুমধু‌মের সীমা‌ন্তের রেজুমুখ বি‌জি‌বির সদস্যরা টহল দেওয়ার সময় থোয়াইংগা পাড়ায় মাদক বিক্রেতারা গু‌লি চালায়। এসময় তা‌দের গু‌লি‌তে দুই বি‌জি‌বি সদস্য গু‌লি‌বিদ্ধ হ‌ন। প‌রে পু‌লিশ ও বি‌জি‌বি ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে তা‌দের উদ্ধার ক‌রে।

  • বোরহানউদ্দিনে বিজিবি মোতায়েন

    বোরহানউদ্দিনে বিজিবি মোতায়েন

    ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)। জরুরি ভিত্তিতে সেখানে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

    দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য এক প্লাটুনকে হেলিকপ্টারযোগে নেওয়া হয়েছে।

    রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজিবি মুখপাত্র শরিফুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, ‘ভোলায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’

    এদিকে, রোববার (২০ অক্টোবর) সাড়ে ১১টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চার জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে শতাধিক।

    জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্ম বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় শনিবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বিপ্লব নামের এক যুবককে আটক করে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ।

    বিপ্লবের বিচারের দাবিতে রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বোরহানউদ্দিন হাই স্কুল মাঠে পূর্বঘোষিত একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল স্থানীয় জনতা।

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত

    টেকনাফে চলমান মাদক উদ্ধার অভিযানে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। পুলিশ-বিজিবির ৫জন সদস্য আহত হয়েছে।

    ২০ অক্টোবর (রবিবার) রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে আটক একাধিক মামলার আসামী ও মাদক কারবারী সদর ইউপির ডেইল পাড়ার ছালেহ আহমদের পুত্র মোঃ আজিজ (২৪) স্বীকারোক্তিতে মহেশখলিয়াপাড়া নৌকাঘাটে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে যায়।

    তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে এসআই কামরুজ্জামান (৫০), এএসআই মিশকাত (৩৩) ও কনস্টেবল রোমন দাশ(৩০)গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। পরে উভয়পক্ষের গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১টি এলজি, ৭ রাউন্ড কার্তুজ ৩ হাজার ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ আজিজকে উদ্ধার করে টেকনাফ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।

    হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাদক কারবারী আজিজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাতে মৃত ঘোষণা করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

    অপরদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের হোয়াইক্যং ঊনছিপ্রাং বিওপির এলাকা দিয়ে মাদকের চালান নিয়ে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির সাথে গোলাগুলিতে দুই বিজিবি জওয়ান আহত হলেও এক মাদক কারবারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে মারা যায়।

    অপর দিকে ২০ অক্টোবর রাতের প্রথম প্রহরের দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ঊনছিপ্রাং ক্যাম্পের একটি টহল দল মদিনার জোরা নামক খালে অবস্থান নেয়। সেখানে এক ব্যক্তি ঘোরা-ফেরা করতে দেখার কিছুক্ষণ পর ১টি নৌকা আসলে ঐ ব্যক্তি এগিয়ে যায়। বিজিবি জওয়ানেরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় থাকা দূর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়। তখন বিজিবিও প্রাণ এবং সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

    কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৬০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২টি ধারালো কিরিচসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কাঁদার মধ্যে পরিত্যক্ত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তখন আহত ব্যক্তি মধ্যম কাঞ্জর পাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র মোঃ রহিম উদ্দিন (৩৭) ওরফে রফিক বলে পরিচয় দেয়।

    সেখানে আহত দুই বিজিবি সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ রহিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) নিশ্চিত করেন।

  • সীমান্তে অনুপ্রবেশ : বিজিবির গুলিতে বিএসএফ জওয়ান নিহত

    সীমান্তে অনুপ্রবেশ : বিজিবির গুলিতে বিএসএফ জওয়ান নিহত

    রাজশাহীর পদ্মা নদীর বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে এসে ইলিশ ধরার সময় ভারতীয় জেলেকে আটক করাকে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে গোলাগুলিতে এক বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বড়াল নদীর পদ্মার মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।

    এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেখানে আসলে কী ঘটেছিল তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজশাহী ব্যাটালিয়নের অন্তর্গত চারঘাট বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে পদ্মা নদীর পাড়ে আনুমানিক ৩৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী তিনজন জেলেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়।

    এ সময় বিজিবির চারঘাট বিওপির টহল দল মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান তদারকির জন্য উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট আবু রায়হান এবং আরও দুই জন সহকারীসহ ঘটনাস্থলে যান। তারা সেখানে একজন জেলেকে অবৈধ কারেন্ট জালসহ আটক করতে সক্ষম হলেও বাকি দুজন জেলে ভারতের দিকে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যান।

    পরে বিএসএফের ১১৭ ব্যাটালিয়নের কাগমারী বিওপি থেকে স্পিডবোটে করে চারজন বিএসএফ সদস্য রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বালুঘাট এলাকার শাহারিয়াঘাটের বড়াল নদীর মুখে আনুমানিক ৬৫০ গজ বাংলাদেশের ভিতরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেন। এ সময় চারঘাট বিওপির টহল দল তাদেরকে বাধা দেন।

    এখানে উল্লেখ্য যে, ওই চার জনের মধ্যে একজন বিএসএফ সদস্য ইউনিফর্ম পরিহিত থাকলেও বাকিরা হাফ প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিহিত ছিলেন। তাদের কাছে অস্ত্রও ছিল। পরবর্তীতে ওই বিএসএফ সদস্যরা আটক জেলেকে জোর করে ফিরিয়ে নিতে চাইলে তাদেরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিয়ম মাফিকভাবে ফেরত দেওয়া হবে বলে বিজিবি টহল দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

    এ ছাড়া বিজিবি টহল দল বিএসএফ সদস্যদেরকে আরও জানায় যে, আপনারাও অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছেন, তাই আপনাদেরকেও নিয়ম অনুযায়ী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তখন বিএসএফ সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে জোর করে আটক জেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থল হতে থেকে যেতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেন।

    এ সময় বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে গুলি করতে করতে স্পিডবোট চালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যেতে থাকেন। তখন বিজিবি টহল দলও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোঁড়ে।

    এ বিষয়ে অধিনায়ক রাজশাহী ব্যাটালিয়ন এবং কমান্ড্যান্ট ১১৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পতাকা বৈঠকে জানা যায় যে, উক্ত ঘটনায় বিএসএফের একজন সদস্য নিহত এবং একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

    উল্লেখ্য, এ বৈঠকে উভয়পক্ষ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এ ছাড়া এ বিষয়ে আরও আলোচনার জন্য আবারও পতাকা বৈঠক করার বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হয়েছেন। আলোচ্য পতাকা বৈঠক শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

    এদিকে,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাজশাহীর চারঘাটে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) গুলিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য নিহতের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন।

    তিনি বলেছেন, ‘বিএসএফ’র ফায়ারের পরিবর্তে বিজিবি কাউন্টার ফায়ার ওপেন করতে গিয়ে একজন ভারতীয় বিএসএফ সৈনিক প্রাণ হারিয়েছে এবং একজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত।’

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঘটনার পরবর্তী তাৎক্ষণিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ভারতের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের (পতাকা বৈঠক) মাধ্যমে ঘটনাটি সুরাহা করে থাকে। কিন্তু এই ঘটনায় এটা হয়নি। বিজিবি’র সঙ্গে ভারতের বিএসএফ’র সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, সেটা নিরসনে কাজ চলছে।’

    ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের নদীতে ইলিশ মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নদীতে জেলেদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। বিজিবি হঠান করে দেখতে পায়। নদীতে মাছ ধরছে কয়েকজন জেলে। বিজিবি তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে, তারা জানতে পারে জেলেগুলো ভারতের নাগরিক। তারা বাংলাদেশ সীমানায় ৫০০/৬০০ গজ ভেতরে চলে এসেছিল। এর মধ্যে একজন বিএসএফ’র সদস্য রয়েছে। তখন বিজিবি বলেছে, যেহেতু আপনি ভেতরে ঢুকে গিয়েছেন, তাই ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে আপনাকে হস্তান্তর করব। এই অবস্থায় তারা দ্রুত সরে পড়ার জন্য তাদের স্পিড চালিয়ে পালাচ্ছিল। পালানোর সময় বিএসএফ ফায়ার ওপেন করেছে, তখন বিজিবিও কাউন্টার ফায়ার ওপেন করে। তখনই ঘটনাটি ঘটে।’

  • ঘুমধুমে নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবির গুলিতে নিহত ১

    ঘুমধুমে নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবির গুলিতে নিহত ১

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবির গুলিতে একজন মারা গেছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো একজন।

    নিহত ব্যক্তির নাম মংকিচা তঞ্চঙ্গ্যা (৪৫)। আহত ব্যক্তির নাম অংচামং তঞ্চঙ্গ্যা (৩৪)।

    সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

    বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ জানান, কেন্দ্রের বাইরে কিছু ভোটার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়ে।

    নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। তখন বিজিবি গুলি ছুড়লে একজন নিহত ও একজন আহত হন। এরা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী বাবুল তঞ্চঙ্গ্যা ও মোহাম্মদ আলীর সমর্থক।

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন ঘুমধুমে এবারের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মেম্বার পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • সীমান্তে শান্তি রক্ষায় বিজিবি ও বিজিপির বৈঠক

    সীমান্তে শান্তি রক্ষায় বিজিবি ও বিজিপির বৈঠক

    কক্সবাজারের টেকনাফে বাংলাদেশ সীমান্ত প্রহরী বিজিবি ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি রিজিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শুরু হয়েছে। (১৪ অক্টোবর) সোমবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে টেকনাফে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ‘সেন্ট্রাল রির্সোট’ এর সম্মেলন কক্ষে দু’দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্টিত হয়।

    বিজিবির তথ্য সুত্রে জানা যায়, বৈঠক অংশ নিতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিন্থ সোয়ে এর নেতৃত্বে সে দেশের ১৪ জনের প্রতিনিধিদল সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে এসে পৌছায়। সেখানে থেকে সেন্ট্রাল রির্সোটে পৌছে বৈঠকে যোগ দেয়।

    বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই বৈঠকে দুই দেশের সীমান্তে শান্তি সু-রক্ষা বজায় রাখা, মাদক, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

    বৈঠকে টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়সল হাসান খান, কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহামেদ,রামু সেক্টর ৩০ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল জাহিদুর রহমান ও টেকনাফ ২ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর রুবায়াৎ কবীর প্রমুখ।

    টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়সল হাসান খান বলেন, সোমবার সকালে রিজিয়ন পর্যায়ে বিজিবি ও বিজিপির বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। বৈঠকে দু’দেশের সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা চলবে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে জানান।

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা নিহত

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা নিহত

    সীমান্ত উপজেলা কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দু’জন ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে বিজিবি জানিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, দুটি দেশীয় বন্দুক, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।

    নিহতরা হলো- মোহাম্মদ ইউনুছ (২১) ও মোহাম্মদ জামাল (২৭। তারা দু’জনই মিয়ানমারের মংডু শিকদার গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য আহত হন।

    টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া নাফ নদী সংলগ্ন এলাকায় ইয়াবার বড় চালানসহ একদল সশস্ত্র ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অবস্থানের খবর পেয়ে, বিজিবির একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় ঘেরাও করে। এ সময় তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায় বিজিবি। এতে সাড়া না দিয়ে বিজিবির ওপর গুলি চালায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। এ সময় বিজিবি তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে দুই পক্ষের মধ্যে ১০ মিনিট গোলাগুলি হয়। পরে ওই এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। কক্সবাজার নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

    বিজিবির ওই কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। লাশ দুটি কক্সবাজার মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।