Tag: বিজয় দিবস

  • আজকের তরুণেরা সমাজ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারে: বিভাগীয় কমিশনার

    আজকের তরুণেরা সমাজ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারে: বিভাগীয় কমিশনার

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, এক সময় মহাকাশে আমাদের কোন অস্তিত্ব ছিলনা, কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন করে ডিজিটাল প্রযুক্তির মধ্যেদিয়ে আমরা মহাকাশ জয় করেছি। তাছাড়া চট্টগ্রামে নদীর নীচে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বপ্রথম টানেল স্থাপনের মধ্যেদিয়েও আমরা বিজয়ের নিশান উড়িয়েছি। আজকে মাথাপিছু আয় থেকে শুরু করে, এনআইডি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জুম মিটিং, ইএফটি, আইবাস এবং ক্যাশলেস ইত্যাদি ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহরের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আজকের তরুণ সমাজ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে না পারলেও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারে।

    গতকাল ১৬ ডিসেম্বর শনিবার নগরীর জেলা শিল্পকলা একডেমিতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে রেঞ্জ ডিআইডি নুরেআলম মিনা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফি উল্লাহ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, মহানগরীর ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর উদ্দিন বক্তৃতা করেন। এসময় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

    এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আর্দশ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য।

    অনুষ্ঠান শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও জেলা শিশু একাডেমি আয়োজিত সাংস্কৃতিক ও চিত্রাংকন প্রযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে বিভাগীয় কমিশনার পুরস্কার বিতরণ করেন।

    বিভাগীয় কমিশনার বলেন, একটি রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে চারটি উপাদান ভূখন্ড, সরকার, জনগণ এবং সার্বভৌমত্বের প্রয়োজন রয়েছে। স্বাধীনতার আগে আমাদেরও তিনটি উপাদান ছিল কিন্তু সার্বভৌমত্ব ছিলনা। এ সার্বভৌমত্ব বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আনার জন্য আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছে। স্বাধীনতার অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবার আমাদের লক্ষ্য হতে হবে এটিকে রক্ষা করা।

    তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে সমুদ্র বিজয় হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে সুনীল অর্থনীতির কোন বিকল্প নেই। মৎস্যখাত থেকে শুরুকরে, সমুদ্র পরিধি এবং সমুদ্রের নিচে প্রাকৃতিক সম্পদ ও বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন ধরনের কোপ খনন করা হয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করে কিভাবে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা যায় সে ব্যাপারে আমাদের মনোযোগী হওয়া উচিত।

    পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করার ক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত সুদৃঢ়। নিজেদের করতে হবে স্মার্ট এবং দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নিজেদের সংশ্লিষ্ট করা। জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের সবোর্ত্তম চেষ্টা করে যেতে হবে।

    অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আজকে পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন দিকদিয়ে তুলনামূলক ব্যবধান অনেক। আমরা যদি দেখি আমাদের জিডিপি তাদের তুলনায় অনেক এগিয়ে গেছে। তাছাড়া মাথাপিছু আয় ও গড় আয়ু তাদের তুলনায় আমাদের অনেক বেশি। মাতৃমৃত্যুর ও শিশুমৃত্যু হার তাদের তুলনায় আমাদের অনেক কম। আমরা এখন অনেক সুখী ও সমৃদ্ধশালী হয়ে গেছি। কিন্তু তারপরেও ১৯৭১ এ পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মারা এখনো আমাদের মাঝে আছে এবং তারা সুযোগ পেলে দেশের পরিস্থিতি অস্তিতিশীল করে তোলার চেস্টা করে। তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

    এদিকে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করে। দিবসের মূল কর্মসূচি শুরু হয় ১৬ ডিসেম্বর শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর শেখ রাসেল চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে। একই সময়ে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস.এম শফি উল্লাহ্, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল, মহানগর ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শহীদুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকাল ৮টায় এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন-পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম। সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদেও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

  • বিজয় দিবসে চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ

    বিজয় দিবসে চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ

    চট্টগ্রামে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ।

    শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কুচকাওয়াজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এম শফিউল্লাহ।

    সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, নগরীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার স্কাউটস, গার্লস গাইড এবং বিভিন্ন শিশু কিশোর সংগঠন কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করেন।

  • বিজয় দিবসে চট্টগ্রামে নানা আয়োজনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

    বিজয় দিবসে চট্টগ্রামে নানা আয়োজনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

    নানা আয়োজনে চট্টগ্রামে পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের পর নগরীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শেখ রাসেল চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়।

    ৬টা ২২ মিনিটে চট্টগ্রামের মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনারে প্রথমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে সশস্ত্র অভিবাদন জানানো হয়। এরপর শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    পরে বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, জেলাপ্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এম শফিউল্লাহ একে একে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    এরপর শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে মানুষের বাঁধভাঙ্গা জোয়ার সৃষ্টি হয়। ফুল দিতে আসা মানুষের কারও হাতে ব্যানার, কারও হাতে প্ল্যাকার্ড, আবার কেউ নিয়েছেন স্বাধীন বাংলার লাল সবুজ পতাকা, সবাই যেন মিলেছেন এক মোহনায়, শহীদ মিনারে।

    এসময় একে একে শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

  • মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    মহান বিজয় দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

    শেখ হাসিনা প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, পরে দলীয় সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষনেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় দলের শীর্ষনেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

  • বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। বিজয়ের ৫৩ বছরে বাংলাদেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, গোটা জাতি। ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মরণ করেন, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদকে।

    শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

    মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    পরে দলীয় নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতিসহ বিশিষ্টজনরা। পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য খুলে দেওয়া হয়, জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

    ১৯৭১ সালের দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। স্বাধীন হয়েছিলি প্রিয় মাতৃভূমি। তাই বাঙালি জাতির জীবনে এই দিনটি অবিস্মরণীয় ও গৌরবময়।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসেবে বিজয়ের ৫২ বছর পেরিয়ে ৫৩ বছরে পদার্পণের দিন আজ।

  • আজ মহান বিজয় দিবস

    আজ মহান বিজয় দিবস

    আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয় দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তির দিন আজ।

    জাতীয় পর্যায়ে এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থনরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

    দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী প্রদান করবেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু বিকাশ কেন্দ্রসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহে বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে।

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজীবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে।

  • চট্টগ্রামে এবারও বিজয় দিবস মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে

    চট্টগ্রামে এবারও বিজয় দিবস মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে

    এ বছরও চট্টগ্রামের বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী।

    আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার সকালে নগরীর চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র রেজাউল করিমের আহবানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ শহীদ মিনার ও বিজয় দিবস উদযাপন বিষয়ে তাদের মন্তব্য তুলে ধরেন।

    সভায় মেয়র বলেন, নির্মাণাধীন শহীদ মিনারের দৃশ্যমান না হওয়া এবং সিড়ি সঙ্কীর্ণ ও বয়োবৃদ্ধদের উপযোগী না হওয়া নিয়ে অনেকের অভিযোগ আছে। এ বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় তা বুঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা একটি কমিটি করে নির্মাণাধীন শহীদ মিনারের স্থপতিদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের অভিজ্ঞ অন্য স্থপতিদের মতামত নিয়ে কীভাবে শহীদ মিনারকে দৃশ্যমান ও জনবান্ধব করা যায় তা নিয়ে কাজ করব। সভায় উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হল-এইবারের বিজয় দিবসে এই নির্মাণাধীন শহীদ মিনারে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবনা। গতবারের মতো এবারও মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে ১৬ ডিসেম্বর আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করব।

    সভায় একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. অনুপম সেন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাহিম উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ হারিছ ও কাজী আবু তৈয়ব, ১৪ দলীয় জোট নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্দুনন্দন দত্ত, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, সাংবাদিক ওমর কায়সার, কামরুল হাসান বাদল ও রনজিত কুমার শীল, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি ডা. চন্দন দাশ ও সাধারণ সম্পাদক শীলা দাশগুপ্তা, নাট্য সংগঠক শেখ শওকত ইকবাল, দীপক চৌধুরী, শাহীন আহমেদ, সুচরিত দাশ খোকন ও অলোক মাহমুদ, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম আর আজিম, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী ও আতাউল্লা চৌধুরী, ন্যাপ নেতা মিটুল দাশগুপ্ত, সাবেক কাউন্সিলর জাভেদ নজরুল, নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তী ও অনন্য বড়ুয়া, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল, উদীচীর সহ-সভাপতি সুনীল ধর, সঙ্গীত শিল্পী শিলা দাশ, দীপেন চৌধুরী, নৃত্যশিল্পী শারমিন হোসেন, আবৃত্তি শিল্পী মিলি চৌধুরী, সৃজনশীল প্রকাশক সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস, প্রকল্প পরিচালক লুৎফুর রহমান খান, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার পরিচালক সুশান আনোয়ার চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরী, ছড়াকার সংসদের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, বিজয় ‘৭১ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন চৌধুরী, নাট্যকর্মী মোঃ আলী টিটু, জানে আলম, সঙ্গীত ভবন সম্পাদক নূর নবী মিরন, কণ্ঠনীড় আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি সেলিম রেজা সাগর, নিরাপদ সড়ক চাই’র সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমদ, প্রদীপ খাস্তগীর উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য যে, ২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কে.সি.দে রোডে মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ভেঙে একটি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স বা সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণ করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এর কাজ শুরু হয়।

    প্রকল্পের অধীনে আছে, মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ও পাবলিক লাইব্রেরির অংশের পুরনো স্থাপনা ভেঙে ১৫ তলা গণগ্রন্থাগার ও আটতলা অডিটরিয়াম ভবন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কার, ২৫০ জন ধারণ ক্ষমতার একটি উন্মুক্ত গ্যালারিসহ মুক্তমঞ্চ, ক্যাফে ও ছোট জাদুঘর।

  • চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

    চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবের দিন। এই বিজয় অর্জনে আমাদের হয়তো সময় কম লেগেছে, কিন্তু ত্যাগ করতে হয়েছে সবচেয়ে বেশি। পৃথিবীতে স্বাধীনতার এতো প্রাণের বিসর্জন খুবই বিরল। বিজয়ের অর্ধশতাব্দী পরেও আমরা স্বাধীনতার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি। স্বাধীনতা বিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এখনও দেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে তৎপর। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সোনার বাংলার অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। এখন তিনি ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের সাথে এগিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রগামী ভূমিকা রাখতে হবে। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্কটকে পূঁজি করে ভার্চুয়াল জগতে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী নানামুখী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে আমাদের শিক্ষিতসমাজকে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।”

    ১৬ই ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় চুয়েট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত মহান বিজয় দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান। ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ, মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানা এবং উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোছাম্মৎ তাহমিনা আক্তার, প্রভোস্টগণের পক্ষে শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফারজানা রহমান জুথী, স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এম.কে. জিয়াউল হায়দার, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে রিয়ানা এবং কামরুল হাছান। উক্ত অনুষ্ঠানমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীগণ অংশগ্রহণ করেন।

    এর আগে শুক্রবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে উপাচার্য ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর সূচনা হয়। পরে সকাল ৮.৪৫ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের দুই শহিদ শিক্ষার্থী শহিদ মোহাম্মদ তারেক হুদা ও শহিদ মোহাম্মদ শাহ-এর কবর জেয়ারত করা হয় এবং বাদে জুমা মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বিজয় দিবসের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- শিক্ষক বনাম শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা বনাম কর্মচারীদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, ছাত্র-ছাত্রীদের রচনা প্রতিযোগিতা, শিশুকিশোরদের দৌঁড় ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান, ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।

  • রাউজানে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

    রাউজানে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাউজানে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস।

    ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৬টায় রাউজান উপজেলা সদরস্থ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, উপজেলা প্রশাসন,রাউজান পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, থানা পুলিশ,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,উপজেলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, রাউজান প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ।

    এরপর মহন বিজয় দিবস উপলক্ষে রাউজান আর আর এ সি মডেল সরকারি হাই স্কুলের মাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্সূচির আয়োজন করা হয়।

    এসব অনুষ্ঠানমালায় ছিল চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা,মহিলা ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা,আনসার, ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ স্কাউটস, গার্ল গাইডস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা প্রদশর্নী ও আলোচনা সভা।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ শিকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা কাজী আব্দুল ওহাব, রাউজান পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিদুয়ানুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন রাউজান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হারুন।

    এছাড়াও লাখো শহীদ স্মরণে হাতে লাল সবুজের পতাকা আর রং-বেরঙের ফুল, হৃদয় নিংরানো গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের ঢল নামে রাউজান উপজেলা সদর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে।বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালি বের হয়।

  • মহান বিজয় দিবস আজ

    মহান বিজয় দিবস আজ

    আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। এটি বাঙালি জাতির শৃঙ্খল ভাঙার দিন, গৌরবোজ্জ্বল মহাঅর্জনের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে পরিচালিত দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

    ৩০ লাখ শহিদের আত্মদান আর দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও গণবীরত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাঙালি জাতি।

    বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সালে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পথ বেয়ে ’৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ’৫৬-এর সংবিধান প্রণয়নের আন্দোলন, ’৫৮-এর মার্শাল ল বিরোধী আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফার আন্দোলন, ‘৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’, ’৬৯-এর রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থান, ৬-দফাভিত্তিক ১৯৭০ সালে ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন প্রভৃতি ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠে বাঙালি জাতি।

    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতি।

    ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

    ১৬ ডিসেম্বর বীর বাঙালির বিজয় দিবস। এ বছর দিনটিতে বাঙালি জাতি বিজয়ের ৫১ বছর পূর্ণ করছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের সাথে একাত্ম হয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে যথাযথ মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর ও জাকজমকপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে।

    জাতীয় পর্যায়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে আছে— সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

    বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

    সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ হবে। রাষ্ট্রপতি এতে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

    দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে।

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের শোষণের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্য। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয়—জয় বাংলা, বাংলার জয়।

  • বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরীতে যানবাহন চলাচলে সিএমপি’র ট্রাফিক নিদের্শনা

    বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরীতে যানবাহন চলাচলে সিএমপি’র ট্রাফিক নিদের্শনা

    এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ইংরেজি শুক্রবার মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের জন্য সরকারীভাবে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে স্থাপিত স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    উক্ত অনুষ্ঠান সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও রাস্তাসমূহে বিশেষ ট্রাফিক পুলিশী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    আজ ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন কর্তৃক গণমাধ্যমে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে কতিপয় নির্দেশনা জারী করা হয়েছে।

    নির্দেশনা সমূহের মধ্যে রয়েছে-আগামী ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে নগরীর তিনপুল থেকে আমতল, আমতল থেকে নিউ মার্কেট ও নিউ মার্কেট থেকে আমতল রোডে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তিনপুল মোড় থেকে শিক্ষা অফিস (রাইফেল ক্লাব) হয়ে আমতল পর্যন্ত একমুখী চলাচল বজায় থাকবে। নিউমার্কেট, আমতল ও তিনপুল মোড়ে রোড ব্লক স্থাপন করে যানবাহনসমূহ ডাইভারশন দেওয়া হবে।

    স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ ডিসি হিল হয়ে বোস ব্রাদার্স (পুলিশ প্লাজা) হয়ে এসে রাইফেল ক্লাব ও আমতল মোড় ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহার করবেন এবং পরবর্তীতে প্রধান পার্কিং স্থান হিসেবে রাইফেল ক্লাব মাঠে গাড়ি পার্কিং করবেন। এছাড়াও অন্যদিক থেকে আগত গাড়িসমূহ নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী নিউমার্কেট ও তিনপুল মোড় ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং সংযুক্ত রুট ম্যাপে প্রদর্শিত পার্কিং স্থানে গাড়ি পার্ক করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে আসা সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী কর্মকর্তাগণ আমতল হতে পায়ে হেঁটে স্মৃতিসৌধে (চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ) এসে পুষ্প স্তবক অর্পণপূর্বক পুনরায় আমতল মোড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে জুবলী রোড হয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন।

    অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ প্রত্যাবর্তনকালে স্ব-স্ব গাড়ির পার্কিং স্থলে গিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত সুবিধাজনক সড়ক ব্যবহার করবেন।

    মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপনের জন্য সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • রাউজান প্রেসক্লাবে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীত উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

    রাউজান প্রেসক্লাবে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীত উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

    রাউজান প্রতিনিধি: যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছেন কলম সৈনিকদের একমাত্র সংগঠন রাউজান প্রেসক্লাব।

    ১৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করেন রাউজান প্রেসক্লাব।

    পরে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠিত হয়। রাউজান প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিউল আলমের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম রমজান আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক রাউজান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মীর মোহাম্মদ আসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান টাইমস ও প্রিয় কাগজ পত্রিকার প্রকাশক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জিয়াউর রহমান, রাউজান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রদীপ শীল, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম জাহাঙ্গীর নেওয়াজ। বক্তব্য রাখেন রাউজান প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.এম ইউসুফ উদ্দিন, সহ সভাপতি নেজাম উদ্দিন রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক এম কামাল উদ্দিন হাবিবী, অর্থ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আমীর হামজা,নির্বাহী সদস্য আরফাত হোসাইন, শাহাদাত হোসন সাজ্জাদ,মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, লোকমান আনসারী, ফটো সাংবাদিক মোহাম্মদ রায়হান প্রমূখ।

    বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগে কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করলেও স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরে বঙ্গবন্ধু সহ স্বপরিবারকে হত্যা ছিল কলংক জনক। এ হত্যাকান্ড ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা। বক্তারা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সফলতা কামনা করেন।