Tag: বিজয় দিবস

  • জাতীকে শপথ করালেন প্রধানমন্ত্রী

    জাতীকে শপথ করালেন প্রধানমন্ত্রী

    বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে সারা দেশের মানুষকে শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আজ (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী এই শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। দেশের বিভাগীয় জেলা, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম ও বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করেন।

    এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এরপরই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।কিছুক্ষণ পরেই জাতীকে শপথ করাতে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠেন।এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

    বিকাল পৌনে ৫টায় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত থেকে শপথ বাক্য পাঠ করান।দেশের সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা শপথে অংশ নেন।

    এদিকে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ঢাকায় সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত থাকছেন।

    বিজয় দিবসের দিনে দেশবাসীকে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের যে শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী- নিচে তা দেওয়া হলো:

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।

    আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না- দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব।

    মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।

    লাল-সবুজের পতাকা হাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে সবাই পাঠ করেছেন এই শপথ। এর মধ্যে পুরো বিশ্বকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশের মানুষের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার বার্তা দেওয়া হলো।

    এন-কে

  • সীতাকুণ্ডে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

    সীতাকুণ্ডে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দন উৎসবের মধ্যে দিয়ে সীতাকুণ্ডে মহান বিজয় দিবস ও সুবর্ণজয়ন্তী উৎযাপিত হয়েছে।

    ১৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে সীতাকুণ্ড কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করে মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    এসময় শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পন করে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি। এরপর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম আল মামুন, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হোসেনসহ উপজেলা প্রশাসন, সীতাকুণ্ড মডেল থানা, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। এরপর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

    দিনটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম।

    এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম আল মামুন, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, জেলা পরিষদের সদস্য আ ম ম দিলসাদ, মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পৌর মেয়র নায়েক সফিউল আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়নব বিবি জলি।

    উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সাবেরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধাবৃন্দসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • গণতন্ত্র বিলীন হয়েছে দেশ থেকে : মির্জা ফখরুল

    গণতন্ত্র বিলীন হয়েছে দেশ থেকে : মির্জা ফখরুল

    বিজয় দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদবেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছে, তাদের শ্রদ্ধা জানাই। আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, তা অর্জন হয়নি। আজ দেশ থেকে গণতন্ত্র বিলীন হয়েছে।

    তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার। কিন্তু তা হয়নি। আজ এই স্বৈরাচারী-কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকার একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে।

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে বিরোধী দলকে নির্মূল করছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ঝুলিয়ে দিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে।

    তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া আজ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তাকে বিদেশে চিকিৎসা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা আবারও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করব এবং দেশকে মুক্ত করব ইনশা আল্লাহ।

    এর আগে বিজয়ের প্রথম প্রহরে শহীদবেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সৌধ প্রাঙ্গণ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

    এন-কে

  • বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ৯ পদাতিক ডিভিশন-এর জিওসি, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার এবং ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।

    তাদের পর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

    এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    উল্লেখ্য, গতবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও বিজয়ের ৪৯তম ১৬ ডিসেম্বরে বৈশ্বিক মহামারি করোনা থাকায় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারেননি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

    বিজয় দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’

    মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান। মহান বিজয় দিবসে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আবদুল হামিদ।

    অন্যদিকে, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকে বাঙালির শ্রেষ্ঠতম অর্জন হিসেবে আখ্যা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবাইকে জানতে ও জানাতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা পৌঁছে দেব— বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

    শেখ হাসিনা বলেন, ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি হলো। আজ বাঙালি জাতির এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাঙালি।

    তিনি বলেন, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সেইসব দেশ ও ব্যক্তিদের প্রতি যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

    করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব অনুষ্ঠান উদযাপন করা হচ্ছে।

    এন-কে

  • লোহাগাড়ায় বিজয় দিবসে আ’লীগের আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ

    লোহাগাড়ায় বিজয় দিবসে আ’লীগের আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ

    লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : নানা কর্মসুচির পালনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

    এ উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ১০টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ এবং একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় উপজেলা পাবলিক হলে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া- লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড .আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

    এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার। প্রধান বক্তা ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরু।

    লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্রীনিবাস দাশ সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান মিন্টু, দপ্তর সম্পাদক শাহজাদা তৈয়বুল হক বেদার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ বেঙ্গল, কোষাধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হাজ্বী মাহমুদুল হক, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম আব্দুল জব্বার, সলিল কান্তি বড়ুয়া, এইচ এম গণি সম্রাট, পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন, চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার শফিকুর রহমান, মামুন-উর রশিদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিয়া মো : শাহজাহান, সদস্য নুরুল আলম জিকু, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হেফাজত উল্লাহ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, পদুযা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবচার আহমদ, চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিন, আধুনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচএম ইউসুফ কবির ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম আসিফুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

    এদিকে, সকাল ১০টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/আজাদ

  • বিজয় দিবসে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও র‍্যালি

    বিজয় দিবসে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও র‍্যালি

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দুইটি গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় পক্ষ ইউনিয়ন আ.লীগের ব্যানারে আলাদা আলাদা র‍্যালি ও সভার আয়োজন করে।

    মঙ্গলবার সকালে একটি পক্ষের নেতৃত্ব সাংসদ পন্থী নেতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আর অন্যটির নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদক পন্থী নেতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব খাইরুল আজম জসিম। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে র‍্যালি অনুষ্ঠিত।

    র‍্যালি শেষে শহীদ মিনার চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।

    এতে বক্তব্য রাখেন আ.লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফেরদৌস, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল শুক্কুর, আব্দুল হাদী, ইউপি সদস্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কামাল উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, আলমগীর হোসেন মাসুম,অহিদুল আলম, মোঃ মাঈন উদ্দিন, আ ন ম মাসুদ মেম্বার, যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মোঃ ফারুক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শাহীন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিজয় সরণি কলেজ মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, এছাড়া ছাত্রলীগের অর্থায়নে ২শত গরীব মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

    অপরদিকে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আজম জসিম এর নেতৃত্বে র‍্যালি ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সাঃ সম্পাদক আলহাজ্ব এস এম আল মামুন।

    বিশেষ হিসেবে বক্তব্য রাখেন আ’লীগ নেতা নুরুল ইসলাম, শামসুল আল,আবদুস সালাম, এস এম ইউসুপ, মোহাম্মদ হোসেন, সাব্বির আহমদ মেম্বার,শামীম ইউসুপ,আবুল কালাম,মোঃ আলী কন্টাক্ট্রর জানে আলম। মহিলা নেত্রী দেলোয়ারা বেগম বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    এসময় এস এম মামুন বলেন, কোন বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হয়ে আ’লীগকে পরিচালিত করা যাবে না। অচিরেই জামায়াত, বিএনপিসহ অন্যদল থেকে আগত হাইব্রিডদের চিহ্নিত করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন বিজয় দিবসের অঙ্গীকার : কাদের

    সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন বিজয় দিবসের অঙ্গীকার : কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দুয়ারে দাঁড়িয়ে, তখনও একটি অশুভ শক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে। সাম্প্রদায়িক এই বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটনই হবে এবারের বিজয় দিবসের অঙ্গীকার।

    আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দলের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

    হেফাজতসহ ধর্মীয় সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুও পাকিস্তানিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তারা কি চেয়েছিল, তা জানতে। তাদের (ধর্মীয় সংগঠন) সঙ্গে বৈঠকটা করা হয়েছে, কারণ আমরা জানতে চাই, তারা কী চায়। আমাদের যে শপথ, আমাদের যে আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ, এ প্রশ্নে আমরা কোনো আপোষ করবো না। সেটাও আমরা তাদের জানিয়ে দিতে পারি। তা নাহলে বৈঠক কেন?

    তিনি বলেন, আমরা বিজয় দিবস উদযাপন করছি, কিন্তু এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে একটি অশুভ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি। এবারকার বিজয় দিবসের অঙ্গীকার হচ্ছে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখব। এক দিকে ১৯৪৭-এর চেতনা, অন্য দিকে ’৭১-এর চেতনা, একদিকে সাম্প্রদায়িকতা, আরেক দিকে অসাম্প্রদায়িকতা, আজ আমাদের এ দু’টি ধারা চলছে, আমাদের আজকের শপথ হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যে বিষবৃক্ষ, ডালপালা বিস্তার করেছে, সেই বিষবৃক্ষকে আমরা সমূলে উৎপাটন করব। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করব। এটাই হোক এবারকার বিজয় দিবসের শপথ।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের যে শপথ, আমাদের যে আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ- এই প্রশ্নে কোনো আপস আমরা করব না।’

  • বিজয় দিবসে রাউজান প্রেস ক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন

    বিজয় দিবসে রাউজান প্রেস ক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মহান বিজয় দিবসে রাউজান স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে রাউজান প্রেস ক্লাব।

    বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাউজান প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিউল আলম, সাবেক সভাপতি জাহেদুল আলম, সাবেক সভাপতি প্রদীপ শীল, সহ সভাপতি নেজাম উদ্দীন রানা, সাংগঠনিক ও অর্থ সম্পাদক এম কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদ প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • অনুমতি নিয়ে বিজয় দিবসে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করা যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    অনুমতি নিয়ে বিজয় দিবসে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করা যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    করোনাভাইরাসের কারণে আসছে বিজয় দিবসে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‌‘বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান যারা করতে চান তারা করতে পারবেন। কিন্তু সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগে জানাতে হবে। যাতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’

    মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত জাতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোথায় করছেন (অনুষ্ঠান), কীভাবে করছেন, কতজনের আয়োজন। কারা কারা সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন। অনুষ্ঠানগুলোতে যাতে নাশকতা না করতে পারে, সেজন্য দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম…গোয়েন্দারা তাদের মতামত দিয়েছেন।

    গোয়েন্দাদের মতামত মাথায় রেখে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছেন। ’

    ‘আমরা আশঙ্কা করছি, মহান বিজয় দিবসে আনন্দের দিনে লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসবেন। বেরিয়ে এলে আমরা তাদের নিরাপত্তা দেব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে চলবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিজয় দিবসে যেসব কর্মসূচি দিয়েছে সেগুলো যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, বিজয় দিবসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা সঠিকভাবে উত্তোলন করতে হবে।

     

  • চলতি বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বাতিল

    চলতি বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বাতিল

    মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা আসার শঙ্কার মধ্যে বাতিল করা হয়েছে চলতি বছরের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের কুচকাওয়াজ বাতিল বিষয়ে বিশেষ অনুশাসন দিয়েছেন বলে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় ভার্চুয়াল সভার কার্যপত্র থেকে জানা গেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

    কার্যপত্রে বলা হয়, বিজয় দিবসসংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রথম সভায় একটি বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কর্মসূচি উপস্থাপন করা হলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থাকায় বড় ধরনের জনসমাগম হওয়ার কারণে জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান এ বছর রাখা সম্ভব নয় বলে তিনি অনুশাসন দিয়েছেন। অন্য কর্মসূচিগুলো সীমিত আকারে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

    প্রতি বছর বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতার অন্যতম হলো জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সামরিক কুচকাওয়াজ। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক ও আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকেন। বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ দেখতে ভিড় করেন অসংখ্য সাধারণ মানুষও।

    গত বছরের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে বাতিল করা হয়েছে অনেকগুলো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। মহামারির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সীমিত করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর নানা আয়োজন। সবশেষ বাতিল হলো বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ।

  • আমিরাতে বাংলাদেশ সমিতির উদ্যোগে বিজয় দিবস পালিত

    আমিরাতে বাংলাদেশ সমিতির উদ্যোগে বিজয় দিবস পালিত

    ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাত থেকে : বিজয়কে আরো অর্থবহ করে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের স্ব স্ব অবস্থান হতে কাজ করে যেতে হবে বলে মন্ত্বব্য করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্টদূত ডাঃ মোহাম্মদ ইমরান।

    তিনি গত শুক্রবার (২৭/১২/২০১৯) বাংলাদেশ সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে দেশের ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সমিতির আবুধাবীস্থ অফিস মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন তালুকদার।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমিরাতের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতছিলেন দুতাবাসের লেবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবদুল হালিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চসিকের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি,বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আবুধাবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমু, জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুল হাই প্রমুখ।

    বক্তব্য রাখেন শওকত আকবর, জাকির হোসেন খতিব, নুর মোহাম্মদ ,আব্দুল কুদ্দুস, প্রকৌশলী আশীষ বড়ুয়া, রহুল আমিন, ইসমাইল হোসেন তালুকদার, মহিউদ্দিন, সৈয়দ লুৎফরসহ আরো অনেকে।

    অতঃপর সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলুল করিম চৌধুরী ফজলুর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসী শিল্পীদের নানা পরিবেশনা সকলকে মাতিয়ে রাখে।

    পরিশেষে আহলিয়া এক্সচেঞ্চের সৌজন্যে শিল্পীদের পুরুস্কার বিতরন করা হয় ও উপস্থিত বিপুলভাবে প্রবাসীদের আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

  • দুবাইয়ে বঙ্গমাতা পরিষদের উদ্যোগে বিজয় দিবস ও বনভোজন অনুষ্ঠিত

    দুবাইয়ে বঙ্গমাতা পরিষদের উদ্যোগে বিজয় দিবস ও বনভোজন অনুষ্ঠিত

    ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাত থেকে: সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক নগরী দুবাইয়ের মুশরিফ পার্কে বঙ্গমাতা পরিষদের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষে শতাধিক প্রবাসিদের মিলনমেলায় রূপ নেয় মুশরিফ পার্ক। আয়োজিত অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইকবাল বকুল।

    সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল হকের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক ওবায়দুল হক মানিক । এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য এহসানুল হক সাগর, আনিসুল হক অন্তর , নাসিম উদিন আকাশ, শেখ ইউনুস, ইদিস রানা, নাজিম উদ্দিন, রাসেল, ফারুক, রমজান, আকবর সহ আরো অনেকে ।

    পরে নানা রকম দেশীয় খেলাধুলা এবং দেশজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেষে নানা প্রতিযোগিতায় বিজযীদের পুরস্কৃত করা হয়।