Tag: বিদ্রোহী প্রার্থী

  • পীরগঞ্জে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী একরামুলের জয়

    পীরগঞ্জে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী একরামুলের জয়

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক ৯ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে পীরগঞ্জ পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জিলহাস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তার নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাশিরুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৭৬১। এর আগে সকাল ৮টা থেকে পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণের সময় কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

    এ পৌরসভায় মোট ২১ হাজার ১৭৯জন ভোটার ভোটার । এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৪৭জন আর মহিলা ১০ হাজার ৬৩২জন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

    এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর বাইরেও বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    এ ছাড়া ৯টি ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিলর পদে ৩২জন এবং ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/গৌতম চন্দ্র বর্মন

  • খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল আলম

    খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল আলম

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আগামী ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন, বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলম।

    এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাতে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড দলের মেয়র প্রার্থী হিশেবে জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী’র নাম ঘোষণা করা হয়।

    এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান মেয়রের বিদ্রোহী প্রার্থী হবার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রের কাছে জেলা আওয়ামীলীগের প্রেরিত প্রস্তাবিত প্রার্থী তালিকায় মেয়র রফিকের নামও ছিল।

    মেয়র রফিকুল আলম নিজেই শনিবার বিকেলে টেলিফোনে সাংবাদিকদের কাছে মেয়র প্রার্থী হবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল(২০ ডিসেম্বর) রোববার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করবো।

    খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য মো: রফিকুল আলম জানান, তিনি জেলা আওয়ামীলীগের কাছে দলীয় মনেনানয়ন পেতে আবেদন করেননি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ডেকে নিয়ে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্যানেলে নাম দিয়েছিলেন। তাই তিনি, দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাত্র। পৌরবাসীদের অনুরোধে অতীতের মত এবারও তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারেই এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করবেন।

    পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: জাবেদ হোসেন জানান, রফিকুল আলম দলের মনোনয়ন পাবার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা-তদবির করেছেন। তাঁর বড়োভাই জাহেদুল আলম এবং ছোট ভাই দিদারুল আলমকে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি’র কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বিভিন্ন টিভিতে নিজের মনোনয়ন পাবার বিষয়ে দাম্ভিকতা প্রকাশ করেছেন।

    আওয়ামীলীগ নেতা জাবেদ দাবি করেন, চূড়ান্ত মনোনয়ন না পেয়ে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
    জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সা: সম্পাদক এম. এ. জব্বার জানান, মো: রফিকুল আলম জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির অন্যতম নির্বাহী সদস্য। গত ৫ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি সদরসহ জেলার তিন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর প্যানেল তৈরী করতে বিশেষ বর্ধিত হয়েছে। ঐ সভায় খাগড়াছড়ি সদর পৌরসভায় মেয়র পদে ৭ জনের নাম প্রস্তাব আসে। পরে ঐ প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, বর্তমান পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

    জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান জানান, অতীতের দুটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী হেরে গেলেও এবার সে সুযোগ নেই। জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রার্থী যথেষ্ট যোগ্য এবং জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তাঁকে জিতিয়ে আনতে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।

    আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, যে কারো প্রার্থী হবার অধিকার রয়েছে। আমিও দেশের প্রাচীনতম একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। যে দল মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে, যে দল পদ্মা সেতু বানিয়েছে; আমি সে দলেরই প্রার্থী।

    তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন, আমি বিশ্বাস করি; শান্তি ও সহাবস্থানের স্বার্থে পৌর এলাকার সম্মানিত ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করবেন।

    উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকাল ৪টাঢ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ মনোনয়ন চুড়ান্ত হয়।

    রোববার (২০ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়িতে রিটার্নি অফিসারের কাছে প্রার্থীরা মনোনয়পত্র জমা দেবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • আ.লীগের বিদ্রোহীদের বিষয়ে ৮ মার্চ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

    আ.লীগের বিদ্রোহীদের বিষয়ে ৮ মার্চ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

    চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নিয়ে নির্ভার আওয়ামী লীগ কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই । তবে প্রায় সবগুলো ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহীদের নিয়ে দুশ্চিন্তা কমেনি ক্ষমতাসীন দলের। এদিকে বিদ্রোহীদের সরে দাঁড়াতে হবে বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চসিক নির্বাচনে দলের প্রধান সমন্বয়কারি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

    বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চসিক নির্বাচনে দলের সমর্থন পাওয়া এবং সমর্থনবঞ্চিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

    ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে উপস্থিত দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা সবাইকে নির্বাচনের সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানালে তা নাকচ করে দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন উপস্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এই নির্বাচনে যারা দলের সমর্থন পেয়েছেন, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের হাই কমান্ডের দেওয়া এ সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কারও নেই।

    বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই একই পরিবারের সন্তান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তান। দলে আপনাদের অবদান রয়েছে। দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন আপনারা। তবে সবার উপরে দল। তাই দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে।

    দুই পর্বের এ বৈঠকের শেষ পর্যায়ে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ চান। তবে তাদের সুযোগ না দিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলেন, ৮ মার্চ আইসিসি কনভেনশন সেন্টারে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আসবেন। আপনাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তার কাছেই বলতে পারবেন। বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তারা চিৎকার করে তাদের কথা বলার চেষ্টা করেন। তাদের ক্ষোভের মধ্যেই মঞ্চ ছাড়েন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। ভিতরে কথা বলতে না দেওয়ায় বাইরে এসেও বিক্ষোভ করেন বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

    জানা গেছে, এক ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ১০ জনও বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। দলের আহ্বান-অনুরোধও তারা আমলে নেননি। তাই এবার বিদ্রোহীদের বাগে আনতে হার্ডলাইনে দলটির নীতিনির্ধারকরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্রোহীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যথায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

    চসিক নির্বাচনে ৫৫টি সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মধ্যে ৫১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। নগরীর একটি ওয়ার্ডে (চান্দগাঁও) সর্বোচ্চ ১০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে আওয়ামী লীগের। ৫১টি ওয়ার্ডে প্রায় ১২৫ জন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ায় এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।