Tag: বিপিএল

  • রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে বরিশালকে ফের হারাল সিলেট

    রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে বরিশালকে ফের হারাল সিলেট

    মিরপুর শেরেবাংলায় দেখা গেল আরো একটি উপভোগ্য ম্যাচ। চলতি টুর্নামেন্টের সেরা দুই দল সিলেট স্ট্রাইকার্স এবং ফরচুন বরিশালের লড়াই দেখতে গ্যালারি ছিল দর্শকে ভর্তি। ম্যাচের ফলাফল আসতে শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে মাত্র ২ রানের জয় তুলে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথম দেখায় তারা বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল।

    রান তাড়ায় নেমে ঝোড়ো শুরু করেন বরিশালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও ইব্রাহিম জাদরান। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন মাশরাফি। তবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ইব্রাহিম জাদরানের দেওয়া সহজ ক্যাচ ছাড়েন জাকির হাসান। এর পরও দেখা গেছে সিলেট ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়া। অন্যদিকে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে আগ্রাসী ছিলেন সাইফ হাসান। বিশেষ করে মাশরাফিকে বেদম পিটুনি হজম করতে হয়েছে। ১৯ বলে ৪ ছক্কায় ৩১ রান করা সাইফকে থামান তানজিম সাকিব। এই তরুণের দ্বিতীয় শিকার এনামুল হক বিজয় (৩)।

    এরপর জমে ওঠে ইব্রাহিম আর সাকিবের জুটি। ৩৭ বলে ৪২ রান করা ইব্রাহিমকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন রেজাউর। ভাঙে ৬১ রানের জুটি। রেজাউরের ওই ওভারের পঞ্চম বলেই সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে। আরেকটি দুর্দান্ত ডেলিভারিতে উপড়ে যায় ১৮ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ২৯ রান করা সাকিব আল হাসানের অফ স্টাম্প। বরিশালের পঞ্চম উইকেটের পতন হয় করিম জানাতের বিদায়ে। ১২ বলে ২১ করা করিমকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন মোহাম্মদ আমির। ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন মাহমুদউল্লাহ।

    জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে বরিশালের দরকার ছিল ২৩ রান। মোহাম্মদ আমিরের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ (৭)। শেষ ওভারে ১৫ রান প্রয়োজন ছিল। রেজাউরের করা প্রথম বলেই ক্যাচ দেন ইফতেখার (১৭)। পরের বলে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউট মিরাজ (৭)। পঞ্চম বলে ছক্কা মারেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। শেষ বলে দরকার হয় ৭ রানের। ওই বলে বাউন্ডারি এলে ২ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

    এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রানের স্কোর গড়ে সিলেট। ব্যাট হাতে সিলেটের শুরুটা হয়েছিল খুবই বাজে। প্রথম ওভারে ১০ রান এলেও দ্বিতীয় ওভারেই তিন উইকেট হারায় দলটি। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের করা ওই ওভারে সাজঘরে ফিরে যান জাকির হাসান, তৌহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহীম। এর মধ্যে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরেছেন জাকির ও মুশি।

    এরপর দলকে টেনে তোলেন শান্ত ও টম মুর। চতুর্থ উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৩০ বলে ৪০ রান করে মুর থামলেও অটল থাকেন শান্ত। পঞ্চম উইকেটে আরো ৬৮ রান যোগ করেন শান্ত ও থিসারা পেরেরা। ১৬ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন লঙ্কান অলরাউন্ডারও। শান্ত ৬৬ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন চ্যালেঞ্জিং স্কোর। শান্তর ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ১টি ছক্কা। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।

  • ঢাকাকে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় বরিশালের

    ঢাকাকে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় বরিশালের

    শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসকে ১৩ রানে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয়ের দেখা পেল ফরচুন বরিশাল। নাসির হোসেন-মোহাম্মদ মিঠুনের লড়াইয়ের পরেও হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি ঢাকা দল। এদিন ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন নাসির। এরপর ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন ঢাকার এই অধিনায়ক।

    নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ঢাকা ৪ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৬০ রান।

    বরিশালের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল ঢাকার দুই ওপেনার। তবে ১৬ রানে সৌম্য সরকার এবং উসমান ঘানি বিদায় নেন ৩০ রানে। এরপর দ্রুত মোহাম্মদ ইমরান ফিরলে চাপে পড়ে ঢাকা। তবে সে চাপকে জয় করে এগিয়ে যেতে থাকেন মিঠুন-নাসির জুটি। এই দুই ব্যাটার মিলে গড়েন ৮৯ রানের জুটি।

    শেষ দিকে মিঠুন ৪৭ রান করে বিদায় নিলেও অবিচল ছিলেন নাসির। ঢাকার এই অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৪ রান করে। বরিশালের হয়ে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম, চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা এবং করিম জানাত।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইফতেখার আহমেদের ৫৬, সাকিব আল হাসানের ৩০ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৩৫ রানে ভর করে ১৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছিল বরিশাল।

  • চট্টগ্রামকে হারাল খুলনা

    চট্টগ্রামকে হারাল খুলনা

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় খুলনা দল। মাহমুদুল হাসান জয়ের ৫৯ এবং তামিম ইকবালের ৪৪ রানের পর শেষ দিকে ইয়াসির রাব্বির ১৭ বলের ৩৬ রানে ভর করে ৪ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় খুলনা দল।

    শুরুতে ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা দল। এরপর জয় এবং তামিম দেখে শুনেই খেলতে থাকেন দল এগিয়ে নিয়ে। এই জুটি থেকেই আসে শতরান। এরপর তামিম ফিরে যান ৪৪ রান করে। তখনো জয় ছিলেন অবিচল। এরপর অর্ধ-শতক পূর্ণ করে ৫৯ রানে বিদায় নেন খুলনার তরুণ এই ব্যাটার। বাকি পথ অধিনায়ক ইয়াসির রাব্বি এবং আজম খান পাড়ি দেন।

    ৪ ছক্কা এবং ২ চারে রাব্বি অপরাজিত থাকেন ৩৬ রান করে, অন্যদিকে আজম অপরাজিত থাকেন ১৫ রান করে। চট্টগ্রামের হয়ে নিহাদুজ্জামান নেন ২ উইকেট। এছাড়া শুভাগত হোম শিকার করেন ১ উইকেট।

    এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম সংগ্রহ করেছিল ১৫৭ রান। ওপেনার উসমান খানের ৪৫ এবং আফিফ হেসেনের ৩৫ রানে ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় চট্টগ্রাম। খুলনার হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট সংগ্রহ করেছেন ওয়াহাব রিয়াজ।

  • দুরন্ত লিটনে প্রথম হারের স্বাদ পেল সিলেট

    দুরন্ত লিটনে প্রথম হারের স্বাদ পেল সিলেট

    ঢাকা ও চট্টগ্রাম পর্ব মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জয়ের কীর্তি গড়েছিলেন মাশরাফি মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার। অন্যদিকে তিন হারের পর সোমবার প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মঙ্গলবার তারা বিপিএলের নবম আসরে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল। মাশরাফির সিলেটকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারাল কুমিল্লা।

    টস জিতে বোলিং নিয়ে উড়ন্ত সিলেটকে মাটিতে নামানোর সুযোগ তৈরি করেছিল গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। শান্ত-জাকির-মুশফিকুর রহিমরা একে একে ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। সিলেট স্ট্রাইকার্স ৫৩ রানে হারায় ৭ উইকেট। একশ’ রানের নিচে অলআউট হয়ে যাওয়া যখন আসন্ন তখন দারুণ একটা জুটি দিয়েছেন পাকিস্তানের স্পিন অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম ও শ্রীলঙ্কার পেস অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা।

    ইমাদ ৩৩ বলে হার না মানা ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার ও একটি ছক্কার শট। পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে অপরাজিত ৪৩ রান। তিনি দুটি করে চার ও ছক্কা তোলেন। তাদের জুটি থেকে আসে ৮০ রান। সিলেট পায় ১৩৩ রানের সংগ্রহ।

    জবাব দিতে নেমে ছয় বল থাকতে জয় পেয়েছে কুমিল্লা। প্রথমবার আইপিএলে চুক্তি পাওয়া লিটন দাস খেলেছেন ৭০ রানের দুরন্ত ইনিংস। আগের ম্যাচে ২২ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলা টাইগার ওপেনার এবার ৪২ বলের মুখোমুখি হয়ে সাতটি চার ও চারটি ছক্কা তোলেন।

    তারপরও কুমিল্লার জয়ের দৈর্ঘ্য ছোট হয়ে আসার কারণ অন্য ব্যাটাররা সেট হয়েও ভালো ইনিংস খেলতে পারেননি। ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৮ বলে ১৫, তিনে নামা অধিনায়ক ইমরুল ১৯ বলে ১৮ করে ফিরে যান। খুলদিল শাহ ও জাকের আলী ব্যর্থ হন। পরে জনসন চার্লস ১৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন।

  • হ্যাটট্রিক হারের পর প্রথম জয় পেলো কুমিল্লা

    হ্যাটট্রিক হারের পর প্রথম জয় পেলো কুমিল্লা

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে আসরের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

    সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৩৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

    টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলীয় ২ রানে শুন্য হাতে ফিরে যান উসমান খান। এরপর ক্রিজে এসে ম্যাক্স ও’ডাউডকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আফিফ হোসেন।

    তবে দলীয় ৪৫ রানে ২১ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান আফিফ হোসেন। এরপর ক্রিজে দ্রুতই ফিরে যান ইরফান শুকুর। দলীয় ৫৫ রানে ১১ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি।

    এরপর দলীয় ৭৩ থেকে ৭৮ রানের মধ্যে আরও তিন ব্যাটারকে হারায় চট্টগ্রাম। ম্যাক্স ও’ডাউড ২৪ বলে ২৪, জিয়াউর ৫ বলে ২ ও দরবেশ রসুলী ১৪ বলে ১১ রান করে ফিরে যান।

    এরপর দলীয় ৯৮ রানে ৯ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। একদিকে উইকেট হারালেও অন্যদিকে আগ্রসী ব্যাটিং করতে থাকেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। তার ২৩ বলে ৩৭ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লার পক্ষে তানভির, মোসাদ্দেক ও খুশদিল নেন ২টি করে উইকেট।

    ১৩৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রান সংগ্রহ করে লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে দলীয় ৫৬ রানেই ২২ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন লিটন।

    লিটনের বিদায়ের পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু দলীয় ৮৫ রানে ১৩ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ইমরুল। এরপর ক্রিজে এসে দ্রতই আউট হন জনসন চার্লস।

    এরপর ক্রিজে আসা জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লাকে জয়ের দিকে নিয়ে যান রিজওয়ান। রিজওয়ানকে ভালো সঙ্গ দিতে থাকেন জাকের আলি। ইনিংসের ১৬তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে আউট হন জাকের আলি। দলীয় ১২৫ রানে ২৩ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

    জাকেরের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন খুশদিল। এরপর আর কোন বিপদ না ঘটিয়ে ১৫ বল হাতে রেখে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। খুশদিল ১০ বলে ১০ ও রিজওয়ান ৩৫ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের পক্ষে মালিন্দা পুষ্পকুমারা নেন ২টি উইকেট।

  • রাসূলি-আফিফের ব্যাটে চট্টগ্রামের সহজ জয়

    রাসূলি-আফিফের ব্যাটে চট্টগ্রামের সহজ জয়

    ১৫৯ রানের লক্ষ্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং-ই। তার উপর দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন আফিফ হোসেনকে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠায় টিম ম্যানেজমেন্ট। দলের এমন সিদ্ধান্তের প্রসংশা না করে উপায় নেই। তিন নম্বরে নেমে একাই যেন ম্যাচটা জেতালেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শনিবার ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাট হাতে ৫২ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বড়সড় অবদান রেখেছেন আফিফ হোসেন।

    ঢাকার দেওয়া চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১ রানে আল আমিন জুনিয়রের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। হাল ধরেন এসে আফিফ। কিছুটা সময় নিয়ে শুরু করেন আগ্রাসী ব্যাটিং। তাতে পাওয়ারপ্লেতে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৫০।

    উসমান খান আফিফকে সঙ্গ দিয়েছেন বেশ। তবে আরাফাত সানির বলে কাটা পড়েন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। এরপর রানের গতি একটু কমে। সেট হতে বেশ সময় নেন দারউইস রাসূলি। এরপর শুরু করেন তান্ডব। ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচ জেতান ২ ওভার হাতে রেখেই।

    এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা। দলের হয়ে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মিজানুর রহমান এবং উসমান ঘনি। তবে এই দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর চাপে পড়ে নাসির হোসেনের দল। তিনে নামা সৌম্য সরকার আজও ব্যর্থ। টানা ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

    মোহাম্মদ মিথুনও ফিরেছেন দ্রুত, করেছেন মোটে ৯ রান। ভালো শুরুর পরেও ইনিংসকে পরিপূর্ণতা দিতে পারেননি অধিনায়ক নাসির হোসেন। ৩০ রানে মেহেদী রানার বলে ফিরে গেছেন তিনি।

    নাসির ফিরে যাওয়ার ফেরে মোহাম্মদ ইমরানও। এরপর দলের হাল ধরেন আরিফুল হক। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন এই ব্যাটার। চট্টগ্রামের হয়ে নিহাদুজ্জামান এবং মেহেদী হাসান রান নেন ২ উইকেট করে।

  • সাকিবের ব্যাটে কুমিল্লার তৃতীয় হার

    সাকিবের ব্যাটে কুমিল্লার তৃতীয় হার

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা তৃতীয় ম্যাচে হারলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর ইমরুল কায়েসের দলকে ১২ রানে হারিয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল।

    আজ শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অর্ধশতকে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে বরিশাল। জবাবে ৭ উইকেটে ১৬৫ রান করতে সক্ষম হয় কুমিল্লা।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তানভীরের শিকার হন মেহেদী হাসান মিরাজ (৬)। ওয়ানডাউনে নামা চতুরঙ্গ ডি সিলভা ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১২ বলে ২১ রানে বিদায় নেন নাঈম হাসানের শিকার হন এই লঙ্কান ব্যাটার।

    ওয়ানডে মেজাজে খেলে এনামুল হক বিজয় করেন ২০ রান। এরপর আফগান ক্রিকেটার ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন সাকিব। ২০ বলে ২৭ রান করে তানভীরের বলে আউট হন জাদরান। সাকিব ৩১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন।

    এরপর ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন বরিশালের অধিনায়ক। ৪৫ বলে ৮১ রানে করে অপরাজিত থাকেন সাকিব। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। কুমিল্লার তানভীর নেন ৪ উইকেট।

    জবাব দিতে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। ব্যক্তিগত ১৮ রানে কামরুল ইসলামের শিকার হন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। লিটন ৩২ রানে সাজঘরে ফেরেন। আর ঘুরে দাডাতে পারেনি ইমরুল কায়েসের দল। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ২৮ আর খুশদিল শাহর হার না মানা ৪৩ রানের ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র।

  • মালিকের ব্যাটে খুলনাকে হারাল রংপুর

    মালিকের ব্যাটে খুলনাকে হারাল রংপুর

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা। জবাব দিতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় রংপুর। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন বল হাতে ৪ উইকেট শিকারি রবিউল ইসলাম।

    ১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সেরও। স্কোরকার্ডে ১ রান উঠতেই ফেরেন রনি তালুকদার। দলীয় ২২ রানে ১৪ রান করে ফেরেন মেহেদী হাসান। সায়েম আইয়ুব ওপেন করতে নেমে ১০ রান করে আউট হন। ৩১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। এরপর দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক।

    শেষ ১৮ বলে দরকার ছিল ৩৫ রান। এমন সময়ই এগিয়ে আসেন শামীম পাটোয়ারী। আমাদ ভাটের করা ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে হাঁকান হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি। এরপর ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৬ বলে ৪৪ রান করে শোয়েব সাজঘরে ফিরলেও জিততে অসুবিধা হয়নি রংপুরের। ৩ চারে ১০ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম। খুলনার হয়ে সাইফ, রিয়াজ ও নাসুম প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

    টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামেন তামিমের দল খুলনা। দলটির পক্ষে ওপেনিং করতে নামেন তামিম এবং হাবিবুর রহমান সোহান। দ্বিতীয় ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাই বোলিংয়ে এসে তামিমের(১) উইকেট তুলে নেয়। দলীয় ১৮ রানের মধ্যে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় খুলনা। ১২ রান করেন সার্জিল খান ও ৪ রান করেন ওপেনিংয়ে নামা হাবিবুর রহমান।

    আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খানকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলী। চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। কিন্তু রবিউলের বলে নাঈম শেখকে ক্যাচ দেন ইয়াসির (২৫)। সেই ওভারেই সাব্বির রহমানকে ফিরিয়ে রংপুরকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান রবিউল। তার সঙ্গে তাল মেলান রাকিবুলও।

    ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই আজম খানকে তুলে নেন এই স্পিনার। ২৩ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রানে আজম বিদায় নিতেই ভেঙে পরে খুলনা। রবিউল এরপর তুলে নেন আমাদ ভাট ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেটও। দুটি করে শিকার করেন ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ।

  • স্বাগতিক চট্টগ্রামকে হারিয়ে বরিশালের দ্বিতীয় জয়

    স্বাগতিক চট্টগ্রামকে হারিয়ে বরিশালের দ্বিতীয় জয়

    বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২৬ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। ২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় স্বাগতিক চট্টগ্রাম।

    ২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ভালো শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ম্যাক্স ও দাউদ ও উসমান খান। ৫ ওভারে ৪৮ রান তোলে দলটি। তবে ১৯ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৬ রান করা উসমান বিদায় নিতেই খেই হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। ২৯ বলে ২৯ করে সাকিবের শিকার হন আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ।

    এরপর ভারতীয় উম্মুক্ত চাঁদ ২১ বলে ১৬ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে দলকে আরও বিপদে ফেলে যান। ধীরে ধীরে রান তাড়া থেকে ছিটকে পড়ে চট্টগ্রাম। আফিফের ২৮ আর শেষদিকে জিয়াউর রহমানের ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমেছে চট্টগ্রামের। ৪ উইকেটে ১৭৬ রানে থামে স্বাগতিকরা।

    এর আগে টস হরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় ঢাকা পর্বে দুই ম্যাচের একটিতে জয় পাওয়া বরিশাল। মেহেদি মিরাজ ওপেনিংয়ে নেমে ফিরে যাওয়ার আগে ১২ বলে দুইশ’ স্ট্রাইক রেটে ২৪ রান করেন। দলকে ৩৩ রানের জুটি দিয়ে যান। তিনি তিনটি চার ও একটি ছক্কা তোলেন। তিনে নামা সাকিব আল হাসান (৮) ব্যর্থ হলেও অন্য ওপেনার এনামুল ২১ বলে পাঁচটি চারের শটে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন।

    এরপর আফগান টপ অর্ডার ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরানও রান পান। তিনি ৩৩ বলে ৪৮ রানের ভালো ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও তিনটি ছক্কা তোলেন এই ব্যাটার। মাহমুদুল্লাহ পাঁচে নেমে ১৭ বলে দুটি করে চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রান করেন। বরিশাল ১৬ ওভারে করেছিল ১৪৪ রান।

    ওখান থেকে অসাধারণ এক ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন পাকিস্তানের স্পিন অলরাউন্ডার ইফতিখার আহমেদ। তিনি ২৬ বলে পাঁচটি ছক্কা ও তিনটি চার হাঁকিয়ে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নেওয়া আবু জায়েদ ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়েছেন। মৃত্যুঞ্জয়, তাইজুল, বিজয় কান্ত ও জিয়াউর একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

  • সিলেটের জয়রথ অব্যাহত

    সিলেটের জয়রথ অব্যাহত

    সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়রথ অব্যাহত। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন দলটি। আজ নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে খেলতে নেমে নাসির হোসেনের ঢাকা ডমিনেটর্সকে তারা হারিয়েছে ৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে।

    মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাব দিতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ঢাকার দলটি।

    জয়ের জন্য ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ডাকা। শুরুতেউ কোনো রান না করে ফিরে যান পাকিস্তানি ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ। ৯ বলে ৬ রান করে আউট হন সৌম্য সরকার। ১০ বলে ১২ রান করেন দিলশান মুনাভিরা।

    ৩০ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর ঢাকার হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন এবং অধিনায়ক নাসির হোসেন। ৭৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা। অবশেষে দলীয় ১০৭ রানের মাথায় ২৮ বলে ৪২ রান করে আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন। ৩৫ বলে ৪৪ রান করেন নাসির হোসেন।

    পরের ব্যাটাররা আর দাঁড়াতেই পারেননি। উসমান ঘানি ১, আরিফুল হক শূন্য, তাসকিন আহমেদ আউট হন ১ রানে। আরাফাত সানি অপরাজিত থাকেন ৯ রানে এবং আল আমিন হোসেন ৬ রান করে আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায় ঢাকার ইনিংস।

    সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম, মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং মোহাম্মদ আমির। ১টি করে উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা, থিসারা পেরেরা এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। মাশরাফি ৩ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দেন।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তৌহিদ হৃদয় করেন ৮৪ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৫৭ রান।

  • রংপুরকে হারিয়ে বরিশালের প্রথম জয়

    রংপুরকে হারিয়ে বরিশালের প্রথম জয়

    বিপিএল এবারের আসরে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। ১৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে সাকিবের বরিশাল।

    আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে রংপুর, নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সাকিবের বরিশাল।

    দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন আফগান ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম জাদরান। ৪১ বলের ইনিংসে তার সংগৃহিত ৫ চারের সঙ্গে ছিল ২টি ছক্কার মার। ২৯ বল মোকাবিলায় ৪৩ রান করেন মিরাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫টি চার। রংপুরের হয়ে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন সিকান্দার রাজা।

    গত আসরের রানার্সআপ বরিশাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ তুলেও সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে হেরেছিল ৬ উইকেটের ব্যবধানে। যেকারণে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিতে ভুল করেননি বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

    রংপুরের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও শেখ মেহেদী হাসান। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় এই জুটি। বল হাতে নেমে প্রথমেই নাঈমকে আউট করেন সাকিব। ঘূর্ণির বাঁকে পড়েছিলেন এই ওপেনার। তাতে ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়ের হাতে।

    ২.২ ওভারে আরেক ওপেনার শেখ মেহেদী হাসানকে ফেরত পাঠান এবাদত। আর ৪.৪ ওভারে রংপুরের ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। তাতে ৪১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। দলকে চাপ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন রনি তালুকদার। তবে বরিশালের ডি সিলভা বেশি এগুতে দেননি রনিকে। ৮.৩ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে রনিকে বোল্ড করেন সিলভা। ২৮ বলে ৫ চার ও এক ছয়ের সাহায্যে ৪০ রান করেন রংপুর রাইডার্সের এই ব্যাটসম্যান।

    আজ ব্যর্থ হয়েছেন রংপুরের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। ১২ বলে ১২ করা সোহানকে শিকার বানিয়েছেন মিরাজ। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন বেনি হাওয়েল ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে দলটির হাল ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন শোয়েব মালিক। তিনি করেছেন ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৪ রান। শেষদিকে মালিককে সঙ্গ দিয়েছেন রবিউল হক। তিনি করেন ১৫ বলে ১৮ রান। আর মালিক-রবিউল জুটিতে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৪১ রান। তাতে ভর করে বরিশালকে ১৫৯ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ডি সিলভা ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

    রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চতুরাঙ্গা ডি সিলভার উইকেট হারায় বরিশাল। এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়। সিকান্দার রাজাদের প্রথম আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউতে সিদ্ধান্ত যায় রংপুরের পক্ষে। বিজয় অবশ্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন এডিআরএস প্রযুক্তির নেয়া সিদ্ধান্তের বিপরীতে। ১১ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৫ রান করেন তিনি।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঝড়ো ইনিংসে রংপুরের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে তোলেন ইব্রাহিম জাদরান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্রিজে ঝড় তুলে তারা দলকে এনে দেন ৮৪ রান। তাতে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় বরিশালের বিজয়। মিরাজ ৪৩ রান করে মাঠ ছাড়লেও জাদরান সাজঘরে ফেরেন হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এদিন আর ব্যাটিংয়ে নামেননি দলের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বরিশালের হয়ে বাকি দায়িত্বটা সামলে নেন ইফতিখার আহমেদ ও করিম জানাত। ইফতিখার ১৮ বলে ২৫ ও করিম ১৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরিশাল তাবুতে চলছে জয়োল্লাস।

  • সেঞ্চুরির জবাবে সেঞ্চুরি, খুলনার বড় স্কোর তাড়া করে জয় চট্টগ্রামের

    সেঞ্চুরির জবাবে সেঞ্চুরি, খুলনার বড় স্কোর তাড়া করে জয় চট্টগ্রামের

    একই ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি! আজম খানের ৫৮ বলে ১০৯ রানকে ম্লান করে দিলেন তারই স্বদেশি ব্যাটার উসমান খান। সেঞ্চুরির জবাবে সেঞ্চুরি করে খুলনার ১৭৮ রানের বিশাল স্কোরকে খুব সহজেই তাড়া করে চট্টগ্রামকে ৯ উইকেটের বিশাল এক জয় এনে দিলেন পাকিস্তানী ব্যাটার উসমান।

    ৫৮ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকলেন চট্টগ্রামের ওপেনার, পাকিস্তানি উসমান। তার সঙ্গে ৫০ বলে ৫৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটার ম্যাক্স ও’দাউদ।

    উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হয়ে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয়েছিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এত কম রানে অলআউট হওয়ায় কম সমালোচনার শিকার হয়নি চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। যদিও পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ানোর সংখল্প দেখিয়েছিলো তারা।

    অন্যদিকে ১১৩ রান করে ঢাকার কাছেও হেরেছিলো খুলনা টাইগার্স। যে কারণে আজকের ম্যাচটি ছিল দুই দলের জন্যই প্রথম জয়ের সুযোগ। সেই সুযোগটি ব্যাটারদের দৃঢ়তায় গ্রহণ করে নিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সই। পরাজিতের দলে থেকে গেলো তামিম-ইয়াসিরের খুলনা টাইগার্স।

    মিরপুর শেরে বাংলায় টস জিতে খুলনাকে ব্যাট করতে পাঠায় চট্টগ্রাম। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি মিডল অর্ডার আজম খানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে খুলনা। ৫৮ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন খানের ছেলে আজম খান। তামিম ইকবাল করেন ৪০ রান।

    খুলনার আর কোনো ব্যাটার ভালো রান করতে পারেননি। না হয় আজম খানের এমন একটি সেঞ্চুরির পর স্কোর আরও বড় হতে পারতো খুলনার।

    জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৪১ রান তুলে ফেলেন উসমান খান এবং ম্যাক্স ও’দাউদ। নাহিদুল ইসলামের বলে ম্যাক্স ও’দাউদ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। বাকি কাজ আফিফ হোসেনকে নিয়ে সেরে ফেলেন উসমান খান। আফিফ ১০ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। উসমান ৫৮ বলে ১০ বাউন্ডারি এবং ৫ ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন।