Tag: বিশ্বকাপ

  • বিশ্বকাপ খেলতে আজ রাতে দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ দল

    বিশ্বকাপ খেলতে আজ রাতে দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ দল

    আগামী ১৭ অক্টোবর ওমানে প্রথম পর্ব দিয়ে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম পর্ব খেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হবে বাংলাদেশকে। সে লক্ষ্যে আজ রোববার রাতে ওমানের উদ্দেশে রওনা হবে বাংলাদেশ দল। আজ রাত সাড়ে ১০টায় বিশেষ বিমানে করে ওমানের রাজধানী মাসকাটের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে মাহমুদউল্লাহর দল।

    আজ দলের বাকিরা গেলেও এখনই ওমানে যোগ দিতে পারছেন না সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলে খেলা এই দুই তারকা ৯ অক্টোবর দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

    ঢাকা ছাড়ার আগে গতকাল শনিবার ক্রিকেটারদের করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। ওমানে পা রেখে এক দিনের রুম কোয়ারেন্টিন করবে বাংলাদেশ দল। কোয়ারেন্টিন শেষে অনুশীলনে নামবে বাংলাদেশ। এরপর ৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে লাল-সবুজের দল। সেখানে এক দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ১১ অক্টোবর শুরু করবে অনুশীলন। সেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ওমানে ফিরে যাবেন মাহমুদউল্লাহরা।

    ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদশ। এর পর ১৯ অক্টোবর ওমান ও ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউগিনির মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহরা।

    ওমানে সাফল্য পেলে সুপার টুয়েলভে খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। আগামী ২৩ অক্টোবর শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল লড়াই।

    বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে নেই তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল। লম্বা সময় ধরে এই ফরম্যাটে খেলছেন না বলে নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তামিম না থাকায় ভাগ্য খুলেছে সৌম্য সরকারের। ডানহাতি ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে বাড়তি ওপেনার হিসেবে দলে আছেন তিনি।

    এর পর সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, তরুণ আফিফ হোসেন আছেন দলে। মুশফিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটকিপিং ছেড়ে দেওয়ায় নুরুল হাসান সোহান সুযোগ পান দলে। বাড়তি ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন শামীম হোসেন।

    বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে আছেন রুবেল হোসেন ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল

    মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।

    এন-কে

  • বিশ্বকাপের পর সরে যাচ্ছেন শাস্ত্রীও

    বিশ্বকাপের পর সরে যাচ্ছেন শাস্ত্রীও

    আসন্ন বিশ্বকাপের পর ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন বিরাট কোহলি। রবি শাস্ত্রীও বিশ্বকাপের পর ছাড়ছেন ভারতীয় দলের প্রধান কোচের পদ। এমন সিদ্ধান্ত নিজেই জানিয়েছেন শাস্ত্রী।

    ভারতের সংবাদমাধ্যমকে শাস্ত্রী বলেন, ‘মনে হয়, ভারতের কোচ হিসেবে আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে। তাই আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতের কোচ হিসেবে থাকছি।’

    ভারতের কোচ হিসেবে তৃপ্ত শাস্ত্রী। কোচ হিসেবে নিজের সাফল্যগুলো তুলে ধরে শাস্ত্রী বলেন, ‘পাঁচ বছর টেস্ট ক্রিকেটে এক নম্বর দল ছিলো ভারত। অস্ট্রেলিয়াতে দু’বার সিরিজ জয়। ইংল্যান্ডের লর্ডস এবং ওভালে টেস্ট জয়। আমার কাছে এগুলোই সব। আমি তৃপ্ত।’

    ২০১৪ সালের অগাস্টে ভারতের টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পান শাস্ত্রী। তিন বছর পর ২০১৭ সালের জুলাইয়ে দুই বছরের চুক্তিতে ভারতের কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় সাময়িকভাবে তার মেয়াদ বাড়ানো হয় দেড় মাস। ঐ বছরের আগাস্টে আবারও দুই বছরের জন্য নতুন চুক্তি করেন তিনি। যার মেয়াদ এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।

    শাস্ত্রীর অধীনে সাফল্য চোখে পড়ার মত হলেও, আইসিসির ইভেন্টগুলোতে ভারতের সাফল্য শুন্য। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয় ভারতকে। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিলো তারা। আর গত জুনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সেই নিউজিল্যান্ডের কাছেই হারে ভারত। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের সময়কে দারুণ সফল বলেই মনে করেন শাস্ত্রী। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেই শেষ করতে চান তিনি।

    শাস্ত্রী বলেন, ‘সাদা বলের ক্রিকেটে সব দেশকে আমরা তাদের মাঠে গিয়ে হারিয়েছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলে সেটা আরও আনন্দের হবে। আর কিছু চাই না। আমার মনে হয়, কখনও এক জায়গায় বেশি দিন থাকা উচিত নয়। দলের থেকে যা চেয়েছি সেটাই পেয়েছি। যা চেয়েছি তার থেকে অনেক বেশিই পেয়েছি।’

    শাস্ত্রীর মতে, ক্রিকেটে ভারতকে কোচিং করা, ফুটবলে ব্রাজিল বা ইংল্যান্ডকে কোচিং করানোর মতো। সব সময় জয়ের জন্য একটা বাড়তি চাপ থাকে। তিনি বলেন, ‘করোনা আছে না নেই, সেটা নিয়ে দল ভাবেনি। তারা জিততে চেয়েছে, রান করতে চেয়েছে। মনে হয়েছে, ব্রাজিল বা ইংল্যান্ডের ফুটবল দলকে কোচিং করাচ্ছি। সব সময় আমার দিকে কটা বন্দুক তাক করা ছিলো। টানা ছ’মাস ভালো খেলার পর একটা ইনিংসে ৩৬ রানে অলআউট। সাথে-সাথে গুলি করে দিলো। সাথে-সাথে পরের ম্যাচ জিততে হবে। না হলে আমাকে আরও চাপে পড়তে হবে।’

    তাইতো অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটে যাবার আগেই দায়িত্ব ছাড়তে চান শাস্ত্রী। দুর্দান্ত এই ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটার আগেই সরে যাওয়া উচিত। সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, এই দলকে নিয়ে আমি যা করতে চেয়েছি সব পেরেছি। ফলে নিজেকে সফল হিসেবে দাবি করতেই পারি।’

    এন-কে

  • দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে ভক্তরা

    দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে ভক্তরা

    দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। তবে, এর পক্ষে-বিপক্ষে মত দিচ্ছেন অনেকেই। দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ হলে বিশেষ করে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থার শিডিউল নিয়ে বিপাকে পড়বে। তবে, ভক্তদের বেশির ভাগ এর পক্ষেই আছে। ভক্তদের বেশির ভাগই চায়, দুই বছর পর পর অনুষ্ঠিত হোক ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ।

    এ ব্যাপারে একটি জরিপ করেছে। ফিফার ওয়েব সাইট অনুসারে ওই জরিপে বেশির ভাগ ভক্ত দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে।

    দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজন করা নিয়ে গত মে মাসে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করেছিল ফিফা। ভোট আয়োজন করে ‘ইউ গভ’কে নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ওই জরিপে ১৫ হাজার ফুটবলপ্রেমী অংশ নেন।

    ফিফা নিজেদের ওয়েব সাইটে জানিয়েছে, এর মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় চার বছর থেকে কমিয়ে আনার পক্ষে। ৩০ শতাংশ ভোটার দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন। প্রতি বছর বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে ১১ শতাংশ এবং ১৪ শতাংশ তিন বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে মত দেয়।

    বিষয়টি নিয়ে আরও বড় পর্যায়ে জরিপ চালাবে সংস্থাটি। ১০০-এর বেশি দেশজুড়ে এক লাখ লোকের মধ্যে ভোটাভুটি আয়োজনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পথে রয়েছে ফিফা।

    এদিকে, ফুটবল বিশ্বকাপ দুই বছর পর পর আয়োজনের পক্ষে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশ। বাংলাদেশ, নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা- দক্ষিণ এশিয়ার এই চার দলও দুই বছর পর পর বিশ্বকাপের পক্ষে।

    চারটি দেশের ফুটবল সংস্থার সভাপতিদের সই করা চিঠিতে বিশ্বকাপ দুই বছর পর আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, অ্যাসোসিয়েশন অব মালদ্বীপের সভাপতি বাসাম আদেল জলিল, অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কারমা তিসেরাং শেরপা ও ফুটবল ফেডারেশন অব শ্রীলঙ্কার সভাপতি জাসওয়ার উমর।

    এন-কে

  • ৬ মাস ধরে কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার পরিকল্পনা চলছে

    ৬ মাস ধরে কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার পরিকল্পনা চলছে

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ করে আলোচনায় বিরাট কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে, কোহলির মতো সময়ের সেরা ক্রিকেটারকে সরিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। হয়তো এবার কোহলি নিজেই বুঝেছেন রঙিন পোশাকের নেতৃত্ব ছাড়া উচিত। তাই, বিশ্বকাপের পরই নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় তারকা।

    বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় কোহলি নিজেই এই ঘোষণা দেন। তবে, টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিলেও টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন কোহলি।

    প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কেন অধিনায়কত্ব দায়িত্ব ছাড়ছেন কোহলি? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, হঠাৎ নয়, ছয় মাস ধরেই এই নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছিল।

    বোর্ডের ওয়েব সাইটে জয় শাহ বলেন, ‘টিম ইন্ডিয়ার জন্য আমরা পরিষ্কার একটা পরিকল্পনা করেছি। কাজের চাপের কথা মাথায় রেখে এবং একটি মসৃণ রূপান্তর নিশ্চিত করার জন্য কোহলি বিশ্বকাপের পরে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়ক পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

    এরপরই জয় শাহ বলেন, “ছয় মাস ধরে বিরাট এবং দলের ‘লিডারশিপ টিম’-এর সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তারপরেই আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাই। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে বিরাট একজন ক্রিকেটার এবং দলের সিনিয়র সদস্য হিসেবে কাজ করে যাবে।”

    এর আগে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সীমিত ওভারের নেতৃত্ব ছাড়তে পারেন কোহলি। তাঁর জায়গায় ভারতের সীমিত ওভারে অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন আইপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

    টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগ দিতে নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোহলি। নিজের চাওয়া নিয়ে রোহিত ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কোহলি আলোচনা করেছেন বলেও দাবি পত্রিকাটির।

    বিসিসিআইয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ‘কোহলির কাছে মনে হচ্ছে—নিজের ব্যাটিংয়ে আরও নজর দেওয়া প্রয়োজন এবং তাঁর সব সময়ের চাওয়া যেটি, বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হওয়া, সেখানে আরও মনোযোগী হওয়া দরকার।’

    ২০১৪ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি টেস্ট থেকে অবসরে যাওয়ার পর থেকে ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক কোহলি। ২০১৭ সালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন তিনি। তবে, সাদা পোশাকে কোহলি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ট্রফি খরায় আছে ভারত।

    একই সঙ্গে আইপিএলে রোহিত দেখাচ্ছেন দারুণ সাফল্য। সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং। সব মিলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের নেতৃত্বে রোহিত শর্মাকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।

    এন-কে

  • বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ নিতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া: ম্যাক্সওয়েল

    বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ নিতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া: ম্যাক্সওয়েল

    সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। এখন পর্যন্ত এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ২০১০ সালে ফাইনালে উঠলেও রার্নাস-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। তবে এবার বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ নিতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া, এমনটাই জানালেন দলটির ব্যাটসম্যান ম্যাক্সওয়েল

    অসি দলের হার্ড-হিটার এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আগামী বিশ্বকাপে দল ভালো ফল করবে এবং শিরোপার জন্য লড়াই করবে। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হার কোন প্রভাব ফেলবে না। কারণ আমরা বড় মঞ্চে ভিন্ন কন্ডিশনে সবকিছু নতুনভাবে শুরু করবো।’

    ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয় এখনো অধরা। এবার বিশ্বকাপ জিততে চাই আমরা। বিশ্বকাপ নিয়ে সকলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সকলের একটি লক্ষ্য ভালো খেলে শিরোপা জয় করা।’

    বিশ্বকাপের দলে যারা আছেন, তাদের নিয়ে আশাবাদী ম্যাক্সওয়েল। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কোয়াডের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন ম্যাচ জেতানোর মতো অনেক ক্রিকেটার আছে। এমন সব ক্রিকেটার আছে, যারা যেকোন সময় জ্বলে উঠতে পারে। দলকে জেতানোর ক্ষমতা আছে তাদের। আমরা যদি আমাদের সেরাটা খেলতে পারি, তবে শিরোপা জয় অসম্ভব কিছু না। আমাদেরকে থামানো যে কোন দলের জন্যই কঠিন হবে।’

    বিশ্বকাপের আগে মরুর দেশে আইপিএল খেলবেন ম্যাক্সওয়েল। এছাড়া আরও কিছু অসি খেলোয়াড় আইপিএল খেলবেন। আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে লাগবে বলে মনে করেন ম্যাক্সওয়েল।

    তিনি বলেন, ‘আইপিএলের শেষ অংশ হবে আরব আমিরাতে। এখানেই হবে বিশ্বকাপ। তাই আইপিএলের অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে অনেক বেশি কাজে দিবে।’