Tag: বিশ্ববিদ্যালয়

  • আজ খুলছে ঢাবির গ্রন্থাগার

    আজ খুলছে ঢাবির গ্রন্থাগার

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আজ রোববার খুলে দেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার। এ ছাড়া আগামী ৫ অক্টোবর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    সভা শেষে জানানো হয়, অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের যেসব শিক্ষার্থী কোভিড-১৯-এর অন্তত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গ্রন্থাগার ব্যবহার এবং নিজ নিজ হলে উঠতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের কার্ড/সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে।

    শিক্ষার্থীরা আজ রোববার থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগীয়/ইনস্টিটিউটের সেমিনার লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন।

    অপরদিকে, আবাসিক শিক্ষার্থীরা আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরও টিকা গ্রহণের সনদ/প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

    সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক ভবনের দৃশ্যমান জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশিকা সম্বলিত ব্যানার/ফেস্টুন থাকবে।

    টিকা গ্রহণ সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অনার্স প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। আবাসিক হলগুলোতে আগের মতো ঠাসাঠাসি করে বসবাস করা এবং কথিত ‘গণরুম’ রাখা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু নিয়মিত আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করবেন। সভায় হল ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসার পর সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে টিকা প্রদান কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী এখনও টিকার জন্য নিবন্ধন করেননি, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের আওতায় এসে টিকা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

    এন-কে

  • রাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    রাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ইমরুল কায়েস নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর সহপাঠীরা।

    ইমরুল কায়েস গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে। তাঁর বাবা ও মা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি বড়।

    ইমরুলের পরিবারের বরাত দিয়ে সহপাঠীরা জানান, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তিনি পরিবার ও নিজের জীবন নিয়ে ‘সন্তুষ্ট’ ছিলেন না। তাঁর অস্বাভাবিক চলাচল ও আচরণের জন্য পরিবার থেকে এর আগে তাঁকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারেও রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে মায়ের কাছে মোটরসাইকেল কিনে দিতে বলেন। মোটরসাইকেল কিনেও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এরপর মায়ের কাছে ডিএসএলআর ক্যামেরা চান। ক্যামেরা কিনে না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় ইমরুল। পরে রুমের দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    শের-ই বাংলা হলের ইমরুলের সঙ্গে একই রুমে থাকতেন সুকান্ত রায়। তিনি জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে ইমরুল হতাশায় ছিল। হয়তো এই ডিপ্রেশন থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে।’

    গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বলেন, ‘ইমরুলের মৃত্যুতে বিভাগের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেছি। তার পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই।’

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘদিন ধরেই ইমরুল হতাশামূলক বিভিন্ন কথা বলে আসছিলেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘বিদায়, হাসিমাখা মুখ নিয়ে, আর বুকে কষ্ট নিয়ে? আমি কখনও হারি,নি হেরে গেছে ব্যর্থতা, ব্যর্থতা আত্মহত্যার মূল।’

    একইদিন তিনি মাগুরায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরির কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন ‘প্রথম ও শেষ ভ্রমণ’। এরপরে তাঁর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দেন ‘শেষ মুহূর্ত (লাস্ট মোমেন্ট)’।

    এন-কে

  • আগামী দিনের রাজনীতি হতে হবে জ্ঞাননির্ভর: ওবায়দুল কাদের

    আগামী দিনের রাজনীতি হতে হবে জ্ঞাননির্ভর: ওবায়দুল কাদের

    আগামী দিনের রাজনীতি হতে হবে জ্ঞাননির্ভর, সেজন্য ছাত্র রাজনীতিকে জ্ঞান এবং মূল্যবোধের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ‘শিক্ষা দিবস’ উপলক্ষে দলটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন কমিটি আয়োজিত ‘শিক্ষা: ২০৪১ সালের লক্ষমাত্রা অর্জনের বাস্তবিক কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তা বাস্তবায়নে কোনও ছেঁদ না ঘটলে আমাদের শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

    শিক্ষা কোনও সুযোগ নয়, এটি মৌলিক অধিকার- উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা যে মু্ক্তচিন্তা এবং দেশপ্রেমের বিকাশে অপরিহার্য সেটা আমরা ভুলে গেছি। আজকে শিক্ষা আমাদের কাছে পণ্য হয়ে গেছে। শিক্ষা হয়েছে পরীক্ষাভিত্তিক। স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে পাস করার চিন্তা। আমরাতো পরীক্ষার্থী চাই না আমরা শিক্ষার্থী চাই। শিক্ষাকে জীবিকার প্রয়োজনে চাই, নাকি জীবনের প্রয়োজনে- এটি আমাদের বুঝতে হবে। জীবিকা ভিত্তিক শিক্ষা হলে গুণগত শিক্ষা আড়াল হয়ে যাবে।

    তিনি বলেন, শিক্ষা দিবসে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপ-কমিটি একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে। কিন্তু এ দিনটিতে ছাত্র সংগঠনগুলো শেষ করে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল সেই ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ কোন ছাত্র সংগঠন কর্মসূচি দিয়েছে তা চোখে পড়েনি। জানি না কোনও কর্মসূচি দিয়েছে কিনা। অথচ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম মাইলফলক ছিল ভাষা আন্দোলন এবং দ্বিতীয় মাইলফলক ছিল এই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন। বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন কেন হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রশ্ন করলে কয়জন তারা জবাব দিতে পারবে, তা জানি না। সেদিন একটি সাম্প্রদায়িক ও প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষাব্যবস্থা আইয়ুব খান আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল।

    ওবায়দুল কাদের আক্ষেপ করে বলেন, বাষট্টিতে ছাত্রদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান শরীফ কমিশন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু আজকে ছাত্র সংগঠনগুলোর সেই গৌরবময় ইতিহাস কোথায় গেল। ঐতিহাসিক ঊনসত্তুরের ২৪ জানুয়ারিও ছাত্র সংগঠন পালন করে বলে চোখে পড়ে না। ইতিহাসের এই মাইলফলকগুলো আজ চরমভাবে উপেক্ষিত। আমরা এই দিবসগুলো পালন করি না। ছাত্রনেতারা জাতীয় রাজনীতি নিয়ে বেশি মাথা কামান। ছাত্রদের সমস্যা ক্যাম্পাসের সমস্যা নিয়ে কোনও ছাত্র সংগঠনকে কর্মসূচি দিতে খুব একটা দেখি না। ছাত্ররা সবাই জাতীয় রাজনীতি নিয়ে কথা বলে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে কথা বলে। ক্যাম্পাস বা তাদের সমস্যা নিয়ে তারা কোনো কর্মসূচি দেয় না। এইভাবে চললে ছাত্র রাজনীতির আকর্ষণ সাধারণ ছাত্রদের থেকে অনেক দূরে সরে যাবে। ছাত্র রাজনীতির সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে যদি আকর্ষণীয় না হয়- তাহলে আমি বলব সেই ছাত্র রাজনীতি মূল্যহীন।

    শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, একশটি তো নয়ই বিশ্বের পাঁচশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও বাংলাদেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের নয়, এটি খুবই দুঃখজনক। র‌্যাংকিংয়ের জন্য গবেষণা খুবই জরুরি। আগে গবেষণা খাতে বিনিয়োগ হতো না। এখন যেটা হয় সেটা অপ্রতুল। শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ দরকার।

    তিনি বলেন, আজকে অনেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেন। স্বাধীনতার মহানায়ক বলে দাবি করেন। স্বাধীনতা যেন পর্বতের মূষিক প্রসবের ঘটনা। হঠাৎ করে কেউ বাঁশিতে ফুঁ দিল অমনি স্বাধীনতা এলো। এমনটা তো নয়।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেধাবীদের মেধার মূল্যায়ন করতে হবে, কোনও নেতার তদবিরে নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন শিক্ষার মান যেমন বাড়াতে হবে তেমনি শিক্ষকতার মানও বাড়াতে হবে।

    করোনার এই অতিমারিতে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ঝরে গেছে, স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে- তাদের খুঁজে বের করে আবারও শিক্ষাঙ্গনমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন না। তিনি ভাবেন আগামী প্রজন্ম নিয়ে। আর এটাই হওয়া উচিৎ। পরবর্তী প্রজন্মের কথা মাথায় আছে বলেই তিনি আজ রাষ্ট্রনায়ক।

    এ মাসের শেষেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, হলগুলোতে জীবন যাত্রা কেমন তা দেখতে হবে। হলগুলোতে অছাত্ররা অবস্থান করে, তাদের লিখিতভাবে হলে থাকা বন্ধ করতে হবে। এ নিয়ে কে খুশি হলো, কে অখুশি হলো- তাতে কিছু যায় আসে না। শিক্ষাকে গুণগত গভীরতায় আনতে হলে এসব সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।

    প্রতিযোগিতাময় গ্লোবাল ভিলেজে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা আর প্রযুক্তি মনস্কতায় গড়ে তুলতে হবে নতুন প্রজন্মকে।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের উদ্যমি তরুণদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে সমৃদ্ধ আগামীর জন্য, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার জন্য, শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের জন্য এবং সজিব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য।

    শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ নুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এ এস এম মাকসুদ কামাল, সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব শামসুন্নাহার চাঁপা।

    এন-কে

  • মহান শিক্ষা দিবস আজ

    মহান শিক্ষা দিবস আজ

    আজ ১৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার ‘মহান শিক্ষা দিবস’। ১৯৬২ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকে। তাদের স্মরণে এ দিনটি শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

    স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের দুই মাস পর ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। এসএম শরীফের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিশন শরীফ কমিশন নামে খ্যাত। কমিশন ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট তাদের প্রতিবেদন পেশ করে। আইয়ুব সরকার এ রিপোর্টের সুপারিশ গ্রহণ করে। ১৯৬২ সাল থেকে তৎকালীন সরকার শরীফ কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে শুরু করে।

    কমিশনের প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষা ধনিক শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব রাখা হয়। এমনকি কমিশন বাংলা বর্ণমালা সংস্কারেরও প্রস্তাব করে।

    ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান সরকারের এ শিক্ষানীতির বিরোধিতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ওই দিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়। এক পর্যায়ে মিছিলে পুলিশ পেছন থেকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে।

    সরকারি হিসাবে একজন নিহত, ৭৩ জন আহত এবং ৫৯ জনকে গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল- ৩ জন নিহত হয়েছেন। সেদিন সারাদেশেই মিছিলের ওপর পুলিশ হামলা চালায়।

    দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও আজ কর্মসূচি পালন করবে।

    এন-কে

  • দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার পরই খুলবে জবি

    দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার পরই খুলবে জবি

    আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে খোলা যাবে। তবে সেমিস্টার পরীক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে এখনই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

    আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ।

    অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সামনে পরীক্ষা যেহেতু আছে এখন ক্লাস হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। পরীক্ষাটা হচ্ছে এখন প্রধান বিষয়। দুই সেমিস্টার হওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার চিন্তা ভাবনা। এর আগে ক্লাস হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না, সম্ভব না।’

    কোষাধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘আসলে পরীক্ষাটাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাই একসঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া, ক্লাস নেওয়া সম্ভব না।’

    গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে, এরপর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা যাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    এন-কে

  • আজ জানা যাবে কবে খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়

    আজ জানা যাবে কবে খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়

    করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর পর স্কুল-কলেজ খুলেছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার‌ পালা। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার আবারও উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠকে করবে।

    এ নিয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হবে।

    জানা গেছে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ অক্টোবরের আগে তাদের ক্যাম্পাস পুনরায় খুলতে ইচ্ছুক কি না তা নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হবে।

    এর আগে গত ২৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯-এর টিকা দেওয়া হবে এবং আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পর্যায়ক্রমে সশরীরে ক্লাস শুরু করবে। কিন্তু গত ৫ সেপ্টেম্বরের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় খোলার বিষয়ে একটি আলোচনা শুরু হয়, সে সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ঘোষণা দিয়েছিলেন ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজে সশরীরে ক্লাস চালু হবে।

    সেদিন শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছিলেন, অক্টোবরের মাঝামাঝিতে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় চালু হওয়ার কথা, তারা চাইলে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের ওপর ন্যস্ত হবে।

    এন-কে

  • নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সম্মান শ্রেণীর বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সম্মান শ্রেণীর বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : রাউজানে নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সম্মান শ্রেণীর বিদায় অনুষ্ঠান নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১১ টায় কলেজের এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল আলোচনা সভা, সম্মাননা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

    কলেজের অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন উপাধ্যক্ষ সৈয়দ উদ্দিন আহমেদ, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মনিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর সিকদার, আবুল বাশার , অধ্যাপক হারুনুল ইসলাম, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা ফিফতাহেতুল জান্নাত, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হোসাইন।

    বিদায়ী শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান তালুকদার, মেরুনা আক্তার ও একান্ত বড়ুয়ার যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিদায়ী শিক্ষার্থী পূজা বড়ুয়া।

    আলোচনা সভা শেষে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় কবিতা আবৃতি, নৃত্য, গান, মুখাভিনয়, কৌতুক সহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  • সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় হবে বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল ও ইকোনমিক জোন-নদভী

    সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় হবে বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল ও ইকোনমিক জোন-নদভী

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল হবে। এছাড়া সাতকানিয়ার মৌলভীর দোকান থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশে করা হবে ইকোনমিক জোন। কেরানীহাট ও আমিরাবাদে ছয় লেনের দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণও করা হবে।

    শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী।

    ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুল ইসলাম।

    আলোচনায় অংশ নেন এমপি পত্নী ও মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রদীপ নন্দী, জামালউদ্দিন ইউসুফ, সরোয়ার আমিন বাবু, সৈয়দ গোলাম নবী, আহমেদ মুসা, ওমর ফারুক, আকতার হোসেন, জোবায়ের মনজু, জয়া শর্মা, সৈয়দা সাজিয়া আফরিন, মিনহাজুল ইসলাম, সুজন আচার্য্য প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে ফোরামের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

    আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী বলেন, ‘সাঙ্গু ও ডলু নদীর ভাঙনরোধে ৫৭৭ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৩৩ কোটি টাকার কাজ বর্তমানে চলমান। বাংলাদেশের কোনো এমপি নদী ভাঙনরোধে এতো টাকা পেয়েছে? আমিই পেয়েছি।

    মফস্বল এরিয়াতে সবচেয়ে আলোচিত রাস্তা, দেশের সবচেয়ে সুন্দর রাস্তা হবে দুই মাসের মধ্যে, সাতকানিয়া রাস্তার মাথা থেকে গুনাগরী পর্যন্ত। এটা পটিয়া বাইপাসের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর হবে। ১০৬ কোটি টাকায় কাজটি হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে সাতকানিয়ায় এ রকম রাস্তা কেউ দেখেনি। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করাবো।’

    মাদার্শার পশ্চিমে দেশের সবচেয়ে সুন্দর ও বড় ইকোপার্ক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইকোপার্ক করার জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়ে গেছে। সেখানে ক্যাবল কার হবে। আধুনিক রেস্টহাউস হবে। ঝুলন্ত ব্রিজ হবে, স্পিড বোট থাকবে। চুনতিতে ইসহাক মিয়া সড়ক, অহরহ কলেজ ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন করেছি। ৬০ কোটি টাকায় সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় দুটি কারিগরি স্কুল ও কলেজ হবে। বড় বড় শেল্টার ভবন নির্মাণ শুরু হতে যাচ্ছে।’

    চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য নদভী বলেন, ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় এলএনজি টার্মিনাল হবে। এটা প্রক্রিয়াধীন আছে। সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় রেলস্টেশন হচ্ছে। দেওদিঘী খাসমহলে যে ১০-১২ একর জায়গা আছে সেখানে হাইটেক পার্ক হবে। হাইটেক পার্কের জন্য ৫০ কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ দেয়া হয়। জুনায়েদ আহমেদ পলকের সাথে এ ব্যাপারে আমার কথা হয়েছে, উনাকে আমি সাতকানিয়ায় নিয়ে আসবো।’

    আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী বলেন, ‘শাহ জব্বারিয়া রোড চুনতি বাজার থেকে শুরু করে চরতি পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার সড়ক হয়ে গেছে। সেটা এখন ডাবল করার জন্য পরিকল্পনা করছি। টংকাবতীতে বহুমুখী সেতু করার জন্য ইতিমধ্যে ডিও দেওয়া হয়ে গেছে। এটার কাজ শুরু হবে।

    এটা শুধু আমার ঘোষণা নয়, আবেদিন মামারও (প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব) ঘোষণা। ডলু খালের উপর ডলু ব্রিজ ছাড়া আর কোন ব্রিজ আপনারা দেখেননি অতীতে। এখন সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া মিলে নয়টি ব্রিজের কাজ চলছে ডলু খালের ওপর।’

    সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ নদভী বলেন, ‘দেশে কয়টি স্কুল জাতীয়করণ হয়েছে? আপনারা জানেন, এমপিওভুক্তির জন্য মানুষ পাগল হয়ে যায়। কারণ এমপিওভুক্তি মানে সরকার এটার দায়িত্ব নিয়েছে। সাড়ে তিনশজন এমপির মধ্যে ভাগ করলে জনপ্রতি ৬-৭টি করে এমপিওভুক্ত স্কুল পড়ে। কিন্তু ৫০ জন এমপি-মন্ত্রী একটাও পায়নি। আমি একা পেয়েছি ২৫টি। এটা চাট্টিখানি বিষয়!’

    তিনি বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম করেছি, যদিও এটা আমার দখলে নেই। এটা যাদের দখলে আছে, একটা ছেঁড়া কাগজও দেখাতে পারবে না, তারা বিদেশ থেকে এক টাকা এনেছে। ডকুমেন্টস সব আমার কাছে আছে। কাতার, কুয়েত, সৌদি আরব, ওআইসি, শেখ জায়েদ ফাউন্ডেশনের সাথে আমিই চুক্তি করেছি।

    এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় করতে গেলে এখন ১০ হাজার কোটি টাকা লাগবে। বাংলাদেশে এত সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় আর নেই। এটা আমি করেছি। এরকম একটি বিশ্ববিদ্যালয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জমিতে আমি করবোই, করবো।’

    ‘হাসপাতাল একটা দরকার। যেহেতু ছয় লেন হয়ে যাচ্ছে, রেললাইন হয়ে যাচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো, চেষ্টা করবো একটা সুন্দর জায়গায় যাতে একটা মেডিকেল করা যায়। কেরানীহাট ও আমিরাবাদে দুটি ফ্লাইওভার হবে। এজন্য আমি সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে কথা বলে ফেলেছি। এগুলো ছয়লেনের ফ্লাইওভার হবে’ – বলেন সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী।

    সাতকানিয়ায় ইকোনমিক জোন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মৌলভীর দোকান থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত পশ্চিম পাশের জমিগুলো পুকুর হয়ে গেছে। যেহেতু পুকুর হয়ে গেছে আর কাজে আসবে না। এক বছর পর ইটভাটা উঠে যাবে, আরব দেশের মত ব্লক ইট আসছে। সেখানে ইকোনমিক জোন করার জন্য আমি উদ্যোগ নিয়েছি। এটা ইকোনমিক জোন হলে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া কিভাবে আলোকিত হবে, আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না।’