Tag: বিশ্বব্যাংক

  • দেশের প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৫.৬ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক

    দেশের প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৫.৬ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক

    চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে।

    মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

    প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে ৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক মায়নাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাড়াবে, প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

  • বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

    বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

    বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ২১০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে)। বিশ্বব্যাংকের এ অর্থ বাংলাদেশে আবাসিক ও শিল্প গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ ও ব্যবহারের দক্ষতা উন্নত করাসহ প্রাকৃতিক গ্যাসের মান শৃঙ্খলে মিথেন নির্গমন কমাতে সহায়তা করতে ব্যয় হবে।

    শুক্রবার (২৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এ অর্থ অনুমোদন করে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির ঢাকা অফিস এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    বিশ্বব্যাংক জানায়, গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট এবং কার্বন অ্যাবেটমেন্ট প্রজেক্ট গ্যাস ট্রান্সমিশন, ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কে প্রাকৃতিক গ্যাস লিকেজ ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করতে এ অর্থ সহায়ক হবে। এর ফলে আবাসিক ও শিল্প ব্যবহারকারীদের ব্যবহারে অপচয় কমবে এবং নেটওয়ার্ক মনিটরিং ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে ১২ লাখের বেশি প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আবাসিক গ্রাহকদের ৫৪ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগের জন্য ১ লাখ ২৮ হাজার এবং ঢাকায় ১১ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে। যা পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) সম্পূর্ণ আবাসিক গ্রাহককে কভার করবে। এর আওতায় বৃহত্তর শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০টি স্মার্ট মিটার চালু করা হবে।

    সংস্থাটি আরও জানায়, গ্যাস প্রবাহ পর্যবেক্ষণ উন্নত করতে ও গ্যাসের লিক কমাতে পিজিসিএল-এর নেটওয়ার্কে একটি সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন এবং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম ইন্সটল করা হবে। এর মাধ্যমে গ্যাসের লিক সনাক্তকরণ এবং মেরামত করার জন্য গ্যাস নেটওয়ার্কে আরও ভালো পর্যবেক্ষণের সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো সম্ভব হবে।

    বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর লক্ষ্য রয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত প্রতিশ্রুতি অর্জনের জন্য এদেশের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে। প্রকল্পটি পরিবার ও শিল্পে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় কমানোসহ গ্যাসের পাইপলাইনে লুকায়িত মিথেন নির্গমন কমাতে সাহায্য করবে।

    বাংলাদেশের গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের সবচেয়ে বড় উৎস তেল ও গ্যাস খাত থেকে আসে। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এনার্জি স্পেশালিষ্ট সামেহ আই মোবারেক বলেছেন, প্রিপেইড গ্যাস মিটার এবং উন্নত মনিটরিং সিস্টেমগুলো প্রাকৃতিক গ্যাসের শেষ ব্যবহার অপ্টিমাইজ করতে, মিথেন লিকেজ প্রশমিত করতে, গৃহস্থালি এবং শিল্প ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যাসের বিল কমাতে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি প্রাকৃতিক গ্যাসের মান শৃঙ্খল বরাবর সিওটু এবং মিথেন নির্গমন উৎস সনাক্ত করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। এছাড়া, বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা এবং অবকাঠামোতে নির্গমন হ্রাস করার সুযোগগুলো চিহ্নিত করবে এবং অগ্রাধিকারে সহায়তা করবে।

  • শনিবার বাংলাদেশে আসছেন বিশ্বব্যাংকের এমডি

    শনিবার বাংলাদেশে আসছেন বিশ্বব্যাংকের এমডি

    বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ তাঁর প্রথম সরকারি সফরে আগামীকাল শনিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকায় আসছেন।

    আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিবৃতিতে অ্যাক্সেল বলেছেন, ‘তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের মধ্যে অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবং দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অর্জন উদযাপন করতে ২২ জানুয়ারি ঢাকায় একটি পাবলিক ইভেন্টে যোগ দেওয়া হবে।’

    অ্যাক্সেল বলেন, ‘মানব উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজনে সফল উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাটকীয়ভাবে দারিদ্র্য কমাতে কী করা যেতে পারে, তা বাংলাদেশ বিশ্বকে দেখিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে তার পাঁচ বছরের অংশীদারত্ব এবং দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন যাত্রার অংশ হওয়ার জন্য গর্বিত। আমি আমার সফরের জন্য এবং এই অর্জনগুলো সরাসরি দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।’

    অ্যাক্সেল তাঁর সফরকালীন প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং বিশ্বব্যাংক-সমর্থিত প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করবেন। অ্যাক্সেলের সঙ্গে থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার।

  • বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩৫ কোটি ডলার অনুদান দিবে

    বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩৫ কোটি ডলার অনুদান দিবে

    কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ ও রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশকে ৩৫ কোটি ডলার অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার বাংলাদেশের অন্যতম সহযোগী সংস্থাটি এ অনুদানের টাকা অনুমোদন করে। তিন প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ খরচ করা হবে।

    বুধবার (১ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়। এই অনুদান স্বাস্থ্যসেবা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার প্রতিক্রিয়া, সামাজিক সুরক্ষা, মৌলিক পরিষেবা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে কক্সবাজার জেলায় ব্যবহার করা হবে।

    বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশাল উদারতা দেখিয়েছে। আশ্রয় পাওয়া এই জনগোষ্ঠী টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার স্থানীয় জনসংখ্যার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। স্বাভাবিকভাবেই এটি বিদ্যমান অবকাঠামো এবং সমাজসেবা সরবরাহের ওপর প্রচুর পরিমাণে চাপ সৃষ্টি করছে। এবং স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।

    তিনি বলেন, এই অনুদান দেশের পরিষেবা সরবরাহের ক্ষমতা আরও জোরদার করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও স্থিতি বাড়িয়ে তুলবে।

    কক্সবাজার জেলার জন্য ১৫ কোটি ডলারের হেলথ এবং জেন্ডার সহায়তা প্রকল্পটি রোহিঙ্গাসহ ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষকে স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবায় অ্যাক্সেস করতে সক্ষম করবে এবং প্রতিরোধমূলক ও প্রতিক্রিয়াশীল পরিষেবার মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা করতে সক্ষম করবে।

    প্রকল্পটি উন্নত পাবলিক অবকাঠামোতে স্থানীয় লোকসহ প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ মানুষকে উপকৃত করবে। এর মধ্যে রয়েছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা। ১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ জনের জন্য আরও ভালো স্যানিটেশন।

    এ ছাড়া জেলাটির দরিদ্র মোকাবিলায় আরেকটি প্রকল্পের আওতায় খরচ করা হবে ১০ কোটি ডলার। দারিদ্র্য নিরসন কর্মসংস্থান জেনারেশন প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হোস্ট সম্প্রদায়ের দরিদ্র ও দুর্বল পরিবারগুলোকে জীবিকা এবং আয়ের সহায়তা দেয়া হবে।