Tag: বিশ্ব পরিবেশ দিবস

  • পরিবেশের দূষণ রোধে প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জন করতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার

    পরিবেশের দূষণ রোধে প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জন করতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি বলেছেন, চট্টগ্রামে প্রতিদিন গড়ে ২৫০০ টন বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে প্রায় ৮ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য। যা আমাদের খাল-নালাগুলোতে গিয়ে পড়ে। বর্ষা এলেই তার প্রতিফলন দেখা যায়। পরিবেশ দূষণ রোধে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার অবশ্যই বর্জন করতে হবে। প্লাস্টিক দূষণের বিষয়টি অত্যন্ত ভয়ংকর। জরিপ বলছে, গত এক বছরে বঙ্গোপসাগরে ২৬ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আগামী ১ জুলাই থেকে প্লাস্টিকমুক্ত শহর গড়তে কাজ শুরু করবে। আমরা তার জন্য বসে না থেকে আজ থেকেই নিজেরা সচেতন হই।

    আজ ৫ জুন সোমবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়নে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ, প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে, সামিল হই সকলে’।

    অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। সভা শেষে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের শুভ উদ্বোধন ও পরিবেশ মেলার স্টল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি।

    আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, চট্টগ্রামের সবুজ অরণ্য হারিয়ে গেছে। বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়া কিংবা শীতকালে শীত অনুভূত না হওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ। সুতরাং পরিবেশ দূষণ রোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে জলবায়ু হুমকির মুখে পড়তে হবে আমাদের। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে এসেছি, আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে যাবো। এজন্য পরিবেশ দূষণ রোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। বাল্য বিবাহ, ধূমপান ও মাদক রোধসহ মিথ্য ও মুখস্ত বিদ্যা পরিহারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

    পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে, সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌস ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালনক আফজারুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পাল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মাহফুজুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগার কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরীন। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভায় সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, পরিবেশ দূষণরোধে পলিথিনসহ প্লাস্টিক উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানির ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ জরুরি। এতে অন্ততঃ প্লাস্টিকের বহুমাত্রিক ব্যবহার কমে আসবে। একইসঙ্গে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পাল বলেন, দেশে ১২ লাখ মানুষ সরাসরি প্লাস্টিক উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এর সঙ্গে প্রায় পাঁচ হাজার কোম্পানি প্লাস্টিক উৎপাদন করছে। যার প্রতিফলন আমাদের পরিবেশে দেখা যাচ্ছে। সারাদেশে প্রতিদিন তিন হাজার টন প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে। এর মধ্যে একবার ব্যবহার করা প্লাস্টিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পানীয় সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার করছে। এসবের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। তাছাড়া প্লাস্টিক উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানির ওপর সরকার অতিরিক্ত কর আরোপ করতে পারেন।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে মাত্র ২০ টাকার জিনিস কেনার জন্য পলিথিন দেওয়া হয়। কিন্তু তারা জানে না- এ পলিথিন কতটুকু ক্ষতিকারক। ব্যবহারের পর প্লাস্টিক ও পলিথিনের বর্জ্য নদী, সাগর এবং জলাশয়ে ফেলার কারণে মাছসহ জলজ প্রাণি খাবার মনে করে এসব খেয়ে নিচ্ছে। এসব জলজ প্রাণি বিশেষ করে মাছ দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া হলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের শহরগুলো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্লস্টিকের ব্যবহার একেবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে এর ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে আনতে হবে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অনেকে দেশ প্লাস্টক ব্যবহার কমিয়ে আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তারা বাজারসহ দৈনিক কাজে পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করছে। এসময় তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিনিয়োগে জোর দেন।

  • বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    বিশ্ব পরিবেশ দিবসে গণভবন প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ জুন) গণভবন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৩ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান বৃক্ষমেলা ২০২৩-এর উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবন প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।

    এর আগে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০২৩’ উপলক্ষে রোববার (৪ জুন) এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণসহ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ টেকসই পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন আধার সৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দিত। এ বছর জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য–‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ খুবই যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী হয়েছে।

    এ বছর যারা ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন, ২০২২’, ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, ২০২১’ এবং যেসব উপকারভোগী সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশ পেয়েছেন তাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার টেকসই বন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন বাড়ানোর জন্য সরকারি বনভূমিসহ প্রান্তিক ভূমিতে সামাজিক বনায়ন এবং উপকূলীয় এলাকায় নতুন জেগে ওঠা চরভূমিতে উপকূলীয় বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে, বন সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি দেশীয় স্থানোপযোগী প্রজাতির বনায়ন করে অবক্ষয়িত বন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে। এভাবে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন ২৫ ভাগে উন্নীত করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বন উজাড় ও অবক্ষয় রোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন অপসারণ ও বন খাতের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর জন্য আমাদের সরকার কর্তৃক ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল রেড প্লাস স্ট্রাটেজি’ গ্রহণ করা হয়েছে।’

    প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সবুজ-শ্যামল এ বাংলাদেশ এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। দেশকে আরও সবুজে আচ্ছাদিত করার লক্ষ্যে এ বছরও জাতীয় পর্যায়সহ সারা দেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হচ্ছে এবং তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উন্নত প্রজাতির বৃক্ষের সঙ্গে পরিচয় এবং চারা সংগ্রহের জন্য বৃক্ষমেলার আয়োজন সহায়ক হবে বলে আশা করি। তা ছাড়া বৃক্ষরোপণ অভিযানের মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের মাঝে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরে দেশবাসীকে বৃক্ষরোপণে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করা যাবে বলে মনে করি।

    প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে প্রত্যেকে অন্তত একটি করে বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে তার যত্ন নেয়া এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ বাসযোগ্য আবাসভূমি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

    তিনি ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০২৩’-এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

  • প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য

    প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণসহ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীব বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ টেকসই পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন আধার সৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    তিনি ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০২৩’ উপলক্ষ্যে রোববার এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৩ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ বছর জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ খুবই যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী এ বছর যারা ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন, ২০২২’, ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, ২০২১’ এবং যে সব উপকারভোগী সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশ পেয়েছেন তাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার টেকসই বন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন বাড়ানোর জন্য সরকারি বনভূমিসহ প্রান্তিক ভূমিতে সামাজিক বনায়ন এবং উপকূলীয় এলাকায় নতুন জেগে ওঠা চরভূমিতে উপকূলীয় বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে, বন সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি দেশীয় স্থানোপযোগী প্রজাতির বনায়ন করে অবক্ষয়িত বন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে। এভাবে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন ২৫ ভাগে উন্নীত করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বন উজাড় ও অবক্ষয় রোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন অপসারণ ও বন খাতের গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর জন্য আমাদের সরকার কর্তৃক ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল রেড প্লাস স্ট্রাটেজি’ গ্রহণ করা হয়েছে।’

    প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সবুজ-শ্যামল এ বাংলাদেশ এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। দেশকে আরও সবুজে আচ্ছাদিত করার লক্ষ্যে এ বছরও জাতীয় পর্যায়সহ সারাদেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হচ্ছে এবং তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উন্নত প্রজাতির বৃক্ষের সঙ্গে পরিচয় এবং চারা সংগ্রহের জন্য বৃক্ষমেলার আয়োজন সহায়ক হবে বলে আশা করি। তাছাড়া বৃক্ষরোপণ অভিযানের মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের মাঝে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরে দেশবাসীকে বৃক্ষরোপণে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করা যাবে বলে মনে করি।’

    প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে প্রত্যেকে অন্তত একটি করে বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে তার যত্ন নেওয়া এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ বাসযোগ্য আবাসভূমি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

    তিনি ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০২৩’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

  • দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই

    দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই

    পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, মানব সম্প্রদায় ও প্রাণিকূলের অস্তিত্বের জন্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই।

    তিনি বলেন, কিন্তু মানবসৃষ্ট বিভিন্ন উপায়ে আমরা প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণ করছি। পরিবেশ দূষণকে আরও বেশি সমস্যাসংকুল করে তুলেছে প্লাস্টিকজাত পণ্যের অপরিকল্পিত ব্যবহার। প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ভোক্তাসাধারণসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

    প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে প্লাস্টিক পণ্যের পুনঃব্যবহার ও এর টেকসই বিকল্প উদ্ভাবন খুবই জরুরি এ কথা উল্লেখ করে মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রকৃতির অক্ষুণ্ণতা বজায় রেখে সবাই মিলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ করব এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সুন্দর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবো’ – এটাই হোক সকলের ব্রত।

    ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

    ‘পরিবেশ দূষণরোধ ও পরিবেশ সংরক্ষণে’ কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৪০০ মিলিয়ন টনেরও বেশি প্লাস্টিক উৎপাদিত হচ্ছে, যার অর্ধেক হলো শুধু একবার ব্যবহৃত প্লাষ্টিক এবং এগুলোর বেশিরভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়। প্লাস্টিক সহজে পচে না এবং ক্ষয় হয় না। ফলে জলাভূমি, নদ-নদী ও সমুদ্রে প্রবাহিত হয়ে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
    রাষ্ট্রপতি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ শুধু সামুদ্রিক প্রতিবেশ নয়, পাহাড়ের চূড়া থেকে শুরু করে সমুদ্রতল পর্যন্ত প্রতিটি প্রতিবেশে বিরাজমান জীববৈচিত্র্য এবং সর্বোপরি মানবস্বাস্থ্যের জন্য একটি দৃশ্যমান হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তিনি মনে করেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে’ এবং এবারের শ্লোগান ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।