Tag: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস

  • মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয় : তথ্যমন্ত্রী

    মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয় : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া এবং বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    তিনি আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে অনলাইনে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে একথা বলেন।

    ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন একইসাথে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, মুক্ত, স্বাধীন ও একই সাথে দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া ও একটি বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

    বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সকল সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সাথে যারা যুক্ত আছেন তারা, এই বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনো পরিস্থিতির মধ্যে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যেই আমাদের একজন সাংবাদিক বন্ধু হুমায়ুন কবীর খোকন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিকভাবে মারা গেছেন।’
    তথ্যমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং একই সাথে যেসব সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা যাতে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন, মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই প্রার্থনা করেন।

    হাছান মাহমুদ এ সময় পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ এবং মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।

    তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৪৪৫টি, ২০২০ সালে এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১২৯৪টি। ২০০৯ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ২০৮টি, এখন সেটি ১২০৮।’

    ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের খতিয়ান দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ জানান, ‘রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ২০০৯ সালে ছিল ২টি, এখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ৪টি। বেসরকারি টেলিভিশন ২০০৯ সালের শুরুতে ছিল ১০টি। আর এখন ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এফএম বেতার ২০০৯ সালে মাত্র চারটি ছিল। এখন ২৪টি এফএম বেতার কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সম্প্রচারে আছে। কমিউনিটি রেডিও ২০০৯ সালে একটিও ছিল না। এখন ৩২টি কমিউনিটি রেডিও অনুমোদন দেয়া আছে। এরমধ্যে অনেকগুলো সম্প্রচারে আছে।’

    তিনি বলেন, ‘এই পরিসংখ্যানেই বলে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার গণমাধ্যমের অবাধ বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সে কারণেই গত ১১ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।’

    এ সময় বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রিজভী আহমেদের বক্তব্য দেখেছি। তিনি অসুস্থ ছিলেন, আরোগ্য লাভ করেছেন। এজন্য আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’
    ‘তবে তিনি যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, তা আমার কাছে উদভ্রান্তের প্রলাপের মতো মনে হয়’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এই মহাদুর্যোগের সময় রিজভী আহমেদসহ বিএনপি নেতারা ফটোসেশন এবং বিষোদগার ও মিথ্যাচারের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা যাই বলুক না কেন, বিশ্ব করোনো পরিস্থিতির এই মহাদুর্যোগের সময় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করছেন, তা বিশ্বসম্প্রদায় কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, ফোর্বস ম্যাগাজিন এমনকি ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনও তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে।

    ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির নেতারা প্রশংসার সংস্কৃতি লালন করেননা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, আর রিজভীর বক্তব্য উদভ্রান্তের প্রলাপ।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস

    আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস

    আজ ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে বা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি প্রতিবছর ৩ মে সারাবিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।

    দিবসটির এ বছরের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে-‘জার্নালিজম উইদাউট ফিয়ার অর ফেভার’ বা ‘ভয় ও পক্ষপাতমুক্ত সাংবাদিকতা’।

    ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম কর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছে।

    এই দিবসটিতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ নেওয়ার পাশাপাশি ত্যাগী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়।

    কভিড-১৯ সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে এ বছর দিবসটি উপলক্ষে আন্তর্জাতিকভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করছে না জাতিসংঘ। দেশেও জাতীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে না।

    দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও তাদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করবে।

    দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এক বিবৃতিতে কোভিড মহামারির তথ্য জানানোর জন্য অক্লান্তভাবে, কষ্টকর এবং বিপদজ্জনক পরিবেশে কাজ করে যাওয়ার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং অসুস্থ হয়ে পড়া সাংবাদিকদের অবদানের জন্য তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর