Tag: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

  • মাংকিপক্সে গণটিকার প্রয়োজন নেই: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    মাংকিপক্সে গণটিকার প্রয়োজন নেই: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে গণটিকার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) কর্মকর্তারা। তবে মাংকিপক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে উদ্যোগ জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক সংক্রামক ঝুঁকি প্রস্তুতি বিষয়ক পরিচালক সিলভি ব্রায়ান্ড-এর বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, তাহলে মাংকিপক্স সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

    তিনি আরো জানান,দ্রুত শনাক্ত ও আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখা এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা মানুষদের চিহ্নিত করা ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

    ব্রায়ান্ড আরো বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উচিত প্রথম প্রজন্মের স্মলপক্স টিকার তথ্য বিনিময় করা, যা মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে।

    বিশ্বে এই টিকার কত সংখ্যক ডোজ বিদ্যমান আছে, তা নিশ্চিতভাবে আমাদের জানা নেই। সে কারণে আমরা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- ডাব্লিউএইচওকে তাদের মজুত সম্পর্কে জানানোর জন্য।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব

  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খসড়া তালিকায় গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিন

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খসড়া তালিকায় গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিন

    বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত করোনা ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিনের ড্রাফট ল্যান্ডস্ক্যাপের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

    শনিবার (১৭ অক্টোবর) গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ অব কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ ও গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ড. কাকন নাগ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রি-কোয়ালিফায়েড ভ্যাকসিনের তালিকা, ভ্যাকসিনের তালিকা, অনুমোদিত ভ্যাকসিনের তালিকা এবং ল্যান্ডস্কেপ-এই ধাপগুলো রয়েছে। গ্লোবের ভ্যাকসিন কেবলমাত্র ল্যান্ডস্কেপে তালিকার্ভুক্ত হয়েছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যানুযায়ী, গ্লোব বায়োটেকের ব্যানকোভিডকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ল্যান্ডস্ক্যাপে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে জানানো হয়, বিশ্বে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কোন কোন দেশের কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এখানে মূলত ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা কোম্পানির তথ্য তালিকাভুক্ত করা হয়, এখানে কোনও অনুমোদন বা স্বীকৃতির বিষয় নেই।

    এর আগে গত ৫ অক্টোবর গ্লোব জানায়, গ্লোব সফলভাবে প্রাণিদেহে তাদের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে, এখন হিউম্যান ট্রায়ালে যওয়ার জন্য প্রস্তুত।

    সেদিন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে, সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পেলে ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে আসবে। তবে এজন্য তিনি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আবেদন করেন।

    গত ২ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি করোনাতে তাদের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা ঘোষণা দিয়ে জানায়, গত ৮ মার্চ থেকে তারা এই টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু করে।

    গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, তাদের এ ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী আইসিডিডিআরবি এখন প্রটোকল তৈরি করে বিএমআরসিতে (বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল) জমা দেবে। বিএমআরসির অনুমোদন পেলে তারা হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হু-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন আমেরিকার

    হু-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন আমেরিকার

    চীনকে আড়াল করতে গিয়ে বিশ্বকে করোনার সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

    মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হু’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে অনুদান স্থগিত করেছিলেন গত মাসে।

    গত ১৮ মে হুকে ৩০ দিন সময় দিয়ে বলেছিলেন, এর মধ্যে ‘উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি’ না হলে সদস্যপদ প্রত্যাহারের কথা ভাববে আমেরিকা।

    কিন্তু আলটিমেটামের ১২ দিন পরই শুক্রবার চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন ট্রাম্প। ঘোষণা করলেন, হু’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে তার দেশ।

    কারণ, করোনা মহামারী নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও নিজেদের প্রয়োজনীয় সংস্কার করেনি তারা। ট্রাম্প বলেছেন, হু’র তহবিলের এখন অন্য খাতে ব্যবহার করা হবে।

    যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্য সংস্থাটির তহবিলে বছরে সর্বোচ্চ অনুদান (৪৫ কোটি ডলার) দিত। ফলে নিঃসন্দেহে সমস্যায় পড়ল হু।

    ট্রাম্পের দাবি, চীনে যখন ভাইরাসটা প্রথম পাওয়া গেল, তখন সে দেশের কর্মকর্তারা নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা ভুলে হুকে চাপ দিয়েছেন যাতে তারা বিশ্বকে ভুল পথে চালিত করে। চীন সরকারের ভুলের মাসুল দিচ্ছে বিশ্ব।

    যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, মারা গেছে সহস্রাধিক।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আরো খারাপ হতে পারে করোনা পরিস্থিতি : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    আরো খারাপ হতে পারে করোনা পরিস্থিতি : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ছোবলে স্থবির হয়ে আছে পুরো বিশ্ব। বিভিন্ন দেশে লকডাউন চলছে। সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া বিভিন্ন নিয়মও মেনে চলার চেষ্টা করছে সবাই। তবুও যেন কোনোভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই করোনার তাণ্ডব। ঠিক এই সময়ই একের পর এক দুঃসংবাদ দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানালেন, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আসা এখনও বাকি। পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর প্রধান সম্প্রতি সাবধান করলেন। বেশ কিছু দেশে ইতোমধ্যেই লকডাউন ও বিভিন্ন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে শুরু করেছে। ঠিক তখনই সাবধান করলেন হু ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোস আধানোম ঘেবরেসাস।

    জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী এই তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু হু প্রধান ঠিক কী কারণে মনে করছেন এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে তা স্পষ্ট করে বলেননি।

    টেডরোস ১৯১৮-র স্প্যানিশ ফ্লু এর প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছেন করোনাভাইরাস এর চেয়েও সাংঘাতিক। তিনি জেনিভার সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, করোনা ভাইরাস খুবই সাংঘাতিক। ১৯১৮-র ফ্লুতে ১০ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

    তিনি আরও বলেছেন, এখন আমাদের প্রযুক্তি উন্নত। আমরা এই বিপর্যয়কে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি। আমাদের সেই ক্ষমতা এখন আছে। বিশ্বাস করুন। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

    তিনি সাবধান করে বলছেন, আমাদের আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা বাকি আছে। তাই এটা আমাদের আটকাতে হবে। এখনও অনেকে বুঝতে পারছেন না কতটা সাংঘাতিক এই ভাইরাস।
    উল্লেখ্য, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই মুহূর্তে ১৭২৬৫ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৫৪৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২৫৪৬ জন।

  • বাংলাদেশকে ‘লকডাউন’ ঘোষণার পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    বাংলাদেশকে ‘লকডাউন’ ঘোষণার পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে লকডাউন ও জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

    শনিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে এ পরামর্শ দেন বিশ্ব সংস্থার প্রতিনিধিরা।

    ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসভবনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিকেবল ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশনের (এসডিসিপি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

    বৈঠকে শেষে সাঈদ খোকন বলেন, ‘তাদের পরামর্শ সরকারের সর্বোচ্চ মহল অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে পরামর্শ দিয়েছে, তা হচ্ছে, দেশে লকডাউন অবস্থা ঘোষণা করা। পুরোপুরি না হলে অন্তত আংশিক লকডাউন তৈরি করা। একইসঙ্গে জরুরি অবস্থা জারি করা।’

    খোকন বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুইভাবে কাজ করতে হবে। এক, সরকার তার পদক্ষেপ নেবে, যেটি সরকার নিচ্ছে। আর দুই, আমাদের জনগণকে সচেতন হতে হবে।

    বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. বার্নার্ড জুরস রানা, জরুরি গণস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডা. এল সাক্কা হাম্মান, সিডিসিপির যুক্তরাষ্ট্রের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. মাইকেল ফ্রিডম্যান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

  • করোনাকে মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    করোনাকে মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    করোনা ভাইরাসকে (কভিড-১৯) মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি এই মহামারীকে প্যানডেমিক হিসেবে বর্ণনা করেছে। যে রোগ একই সময়ে বিভিন্ন দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে তাকে প্যানডেমিক বলা হয়।

    বুধবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘোষণা আসে।

    আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ ড. টেড্রোস আধানোম গেব্রেসাস বলেন, চীনের বাইরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা গত দুসপ্তাহে অনেক ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সংক্রমণের এই আশঙ্কাজনক অবস্থা নিয়ে তিনি সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন।

    তিনি আরো বলেন, যদিও এখনো খুব বেশে দেরি হয়ে যায়নি। পৃথিবীজুড়ে দেশগুলোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ পরিষ্থিতি বদলে দিতে পারে।

    এদিকে, করোনা ভাইরাসে বুধবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মারা গেছেন ৪ হাজার ২৫৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত ৬৬ হাজার ৬১৭ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।

    বিশ্বের ১১১টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়েছে। শুধু চীনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৫৪। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৩৬ জনের।

    চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ১৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৩১ জনের। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার।

    যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার মানুষ।অপরদিকে ইরানে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৪২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৯১ জন।

    প্রতিবেশী দেশ ভারতে নতুন করে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জন হয়েছে।

    এদিকে, বাংলাদেশে নতুন করে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এছাড়া আগের যে তিনজন এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন মঙ্গলবার (১০ মার্চ) তাদের পুনঃপরীক্ষা করে ফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। তারা এখন সুস্থ। শিগগিরই তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

  • করোনাভাইরাস: সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    করোনাভাইরাস: সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির ঝুঁকি নির্ণয়ে এটি সর্বোচ্চ ধাপ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস এই ঘোষণা দেন।

    সংবাদ সম্মেলনে ড. টেড্রস অ্যাডহানম বলেন , ‘এই জিনিসটি (করোনাভাইরাস) এখন যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে। এর যে ঝুঁকি সেটাকে আমরা দুর্বল করে দিতে পারছি না। এজন্য আজ আমরা বলছি, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক ঝুঁকি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আগে আমরা বলেছি, উচ্চ ঝুঁকি। এখন বলছি সর্বোচ্চ ঝুঁকি।’

    তিনি আরও বলেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস চিহ্নিত করা যাচ্ছে এখনও। তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মেলেনি।’

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমার্জেন্সিস প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইক রায়ান বলেছেন, ‌‘করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ও প্রভাবের দিক দিয়ে আমরা এখন সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে অবস্থান করছি।’

    প্রতিটি রাষ্ট্রের সরকারপ্রধানের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‌‘এটা এখন বাস্তবতা যে, প্রতিটি রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে : জেগে ওগো। তৈরি হও। হয়তো এই ভাইরাস আপনার দেশের দিকেই ধেয়ে আসছে এবং এজন্য আপনার প্রস্তুতি দরকার। এ বিষয়ে নাগরিকদের জন্য আপনাদের করণীয় রয়েছে।’

    বিশ্বব্যাপী ৫৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৫৮ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৭৯ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৪৩৬ জন।

    করোনাভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্ত হয়েছে ৭৮ হাজার ৮২৪ জন, মারা গেছে ২ হাজার ৭৮৮ জন। অপরদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২২ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।

    ইরানে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে অন্তত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইরানের নারী ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসৌমেহ এবতেকার আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    অন্যদিকে চীন সফর করে যাওয়ার পর মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট খলতমা বাতুলগা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সগবাটার দামদিনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে (ভাইরাস সংক্রমণরোধে আলাদাভাবে রাখা) পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মন্তসেম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে সফর করে আসা অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও একইভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    সবমিলিয়ে যতই দিন যাচ্ছে করোনা আতঙ্ক ততই বাড়ছে। এখনও এই ভাইরাস মোকাবিলা করতে পারছে না বিশ্ববাসী। এ পরিস্থিতি ‘বৈশ্বিক মহামারীর’ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

    সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, বেলারুশ ও লিথুয়ানিয়াও নিজেদের দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া-কোনো মহাদেশ বাদ যায়নি এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে।

  • করোনার নতুন নাম “কোভিড-১৯”

    করোনার নতুন নাম “কোভিড-১৯”

    চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক প্রাণ। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে ১১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার এই ঘাতক ভাইরাসের নতুন নামকরণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

    গতকাল মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও’র প্রধান তেদরোস আদহানম বলেন, ‘আমরা রোগটির (করোনাভাইরাসের) নতুন নাম পেয়েছি, এটি কোভিড-১৯।’

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন নামটি ‘করোনা’র co, `ভাইরাস’র vi, ‘ডিজিজ’র d এবং ২০১৯ সালে রোগটি দেখা দিয়েছে বলে ‘2019′ এর ‘19′ থেকে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেন, ‘আমরা এমন একটি নাম খুঁজে পেয়েছি যা কোনো নির্দিষ্ট এলাকাকে, প্রাণীকে বা কোনো ব্যক্তিকে বোঝায় না। এটি সহজে উচ্চারণযোগ্য এবং রোগটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।’

    গত ডিসেম্বরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে চীনের বাসিন্দারা এর উৎপত্তিস্থল উহানের নামে এর নামকরণ করেছিলেন। অনেক দেশ একে চায়না ভাইরাস বলেও ডাকে।

    বিষয়টি উহান শহরবাসী ও চীনের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর হওয়ায় এ ভাইরাসটিকে ‘নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া’ সংক্ষেপে এনসিপি নাম ডাকার ঘোষণা দেয় চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

    তবে নামটি সাময়িক জানিয়ে শিগগিরই নতুন নাম দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে দেশটি। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটির নতুন নামকরণ করলো।