Tag: বিস্ফোরণ

  • দুবাইতে গাড়ি বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি নিহত

    দুবাইতে গাড়ি বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি নিহত

    দুবাইতে গাড়ি বিস্ফোরণে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার পাঁচ প্রবাসী নিহত হয়েছে। তারা দুবাইয়ের আজমান প্রদেশে বসবাস করতেন।

    রোববার (৭ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে আছেন নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বালেঙ্গা গ্রামের চারজন এবং দোহার উপজেলার দোহার বাজার এলাকার একজন। সকালে ওই পাঁচজন একই গাড়িতে করে কাজের স্থানে যাচ্ছিল। গাড়িটি বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

    গাড়ি বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন – নবাবগঞ্জের বালেঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মো. রানা (৩০), আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. রাশেদ (৩২), শেখ ইরশাদের ছেলে মো. রাজু (২৪), শেখ ইব্রাহীমের ছেলে ইবাদুল ইসলাম (৩৪) এবং দোহার বাজার এলাকার মো. মঞ্জুর ছেলে মো. হিরা মিয়া (২২)। তারা একই জায়গায় কাজ করতেন। দুবাই সময় সকাল সাড়ে সাতটায় কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে শহর থেকে আজমান প্রদেশে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তায় গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়ে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ সময় তিনটার দিকে নিহতদের স্বজনরা ঘটনাটি জানতে পারে।

    নিহত রানার মা রৌশনারা রুসি ও নয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তৈয়বুর রহমান তরুণ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, দুবাইতে অবস্থানরত এলাকার প্রবাসীরা বিষয়টি তাদের জানায়।

    এ ঘটনায় ওই এলাকায় হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। স্বজনদের আহাজারি ও বুকফাটা আর্তনাদে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

  • সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ : আরও দুই মরদেহ উদ্ধার

    সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ : আরও দুই মরদেহ উদ্ধার

    রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ হওয়া ভবনের বেজমেন্ট থেকে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল মরদেহগুলো উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে একজনের নাম মমিন উদ্দিন সুমন (৪৪) বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

    আজ বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে ফায়ার সার্ভিস গঠিত তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ও ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে পরিচয় শনাক্ত করা হবে।

    নিখোঁজদের স্বজনদের সেখানে গিয়ে মরদেহ দেখে পরিচয় শনাক্ত করার অনুরোধ জানান তিনি।

    এর আগে গতকাল ৭ মার্চ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার এলাকায় সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

  • সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ, আহতদের চিকিৎসা খরচও বহন করেনি কর্তৃপক্ষ

    সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ, আহতদের চিকিৎসা খরচও বহন করেনি কর্তৃপক্ষ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির কদমরসুলে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত স্থানীয় ভাটিয়ারীস্থ বিএসবিএ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের কোন ধরণের খবরও নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এমন কি আহত রোগীদের কোন প্রকার চিকিৎসা খরচও বহন করেনি তারা। নিজ খরচে অনেকই বাড়ি ফিরেছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের আর্থিক দুরবস্থার কারণে হাসপাতালের খরচ চালাতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন। যতটুকু সম্বল ছিল তা দিযে কযেকদিন চিকিৎসা খরচ তারা বহন করে।

    কদমরসুল এলাকার বাসিন্দা ছমির আলী চাকরি করতেন সীমা অক্সিজেন প্লান্টে। ঘটনার দিন তিনি নামাজ পড়তে ওজু করতে যাচ্ছেন এমন সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও পায়ে মারাত্মক জখম পেয়েছেন। ভর্তি হন বিএসবিএ হাসপাতালে। কোন ধরণের ঔষধপত্র ছাড়াই একদিনের বিল আসে ১৬ হাজার টাকা।

    ছমির আলীর মতো বিএসবিএ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া পলিনোস গায়া, লোকমান, জাফর, রায়হান উদ্দিন, নওসাদ সেলিম, নুরউদ্দিন ও সালাউদ্দিনসহ অনেকেই নিজ খরচে বাড়ি ফিরেছেন।

  • গুলিস্তানে ভবনে বিস্ফোরণ স্বাভাবিক নয়: র‌্যাব

    গুলিস্তানে ভবনে বিস্ফোরণ স্বাভাবিক নয়: র‌্যাব

    রাজধানীর গুলিস্তানের নর্থ সাউথ রোডের সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণ স্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রধান মেজর মশিউর রহমান।

    বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উদ্ধার কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।

    মেজর মশিউর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করে আমরা প্রাথমিকভাবে পেয়েছি বিস্ফোরণ বেজমেন্ট থেকে হয়েছে। এটা স্বাভাবিক কোনো বিস্ফোরণ নয়। গ্যাস জমে কিংবা অন্য কোনোভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ঘটনা এসি থেকে ঘটেনি, এটা নিশ্চিত।

    কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এখানে উপস্থিত আছে। তারা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এবং রাজউকের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

    এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৭ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ১৯ জন চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।

  • গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু

    গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু

    রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।এই মুহূর্তে ধসে যাওয়া ভবনের নিচের মালামাল সরাচ্ছেন তারা।

    সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।ঘটনাস্থল এবং আশেপাশের কয়েক মিটার এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক বাবুল চক্রবর্তী সকালে সাংবাদিকদের বলেন,আমরা সকাল ৯টা থেকে আবার উদ্ধারকাজ শুরু করেছি। সেনাবাহিনীর আরেকটা টিম আসার কথা, ওরাও আসবে।এ ঘটনায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা বলতে পারছি না। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।

    এর আগে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে।এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চমতলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। এই বিস্ফোরণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিকের বেশি। এখনো কয়েকজন নিখোঁজ আছেন।

  • গুলিস্তানে বিস্ফোরণে নিহত ১৬, আহত শতাধিক

    গুলিস্তানে বিস্ফোরণে নিহত ১৬, আহত শতাধিক

    রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি কাউন্টারের পাশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে।

    আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

    ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদিন খালেদ সমকালকে জানান, বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে। ৪টা ৫৭ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

    এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ১৬ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, আহতদের মধ্যে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনকে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়। এছাড়া হাসপাতালে যাওয়ার পরে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে দুই জন নারী এবং ১৪ জন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

    ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গুলিস্তান বিআরটিসি কাউন্টারের দক্ষিণ পাশে একটি ৫ তলা ভবন এবং তার পাশের আরেকটি ৭ তলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো ভবনই ধসে পড়েনি। সাত তলা ভবনের নিচতলায় একটি স্যানিটারি দোকান ছিল। তার ওপরের কয়েক তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস রয়েছে। বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    ফায়ার সার্ভিস এখন পর্যন্ত ৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। ৫টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে কাজ করছে।

    জরুরি প্রয়োজনে রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রক্তদানে আগ্রহীদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।

  • সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে আরও একজনের মৃত্যু

    সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে আরও একজনের মৃত্যু

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুলপুরে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে আহত আরও একজন মারা গেছেন। তার নাম প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫)। তিনি সীতাকুণ্ড থানার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত মতিলাল শর্মার ছেলে।

    রোববার (৫ মার্চ) দিনগত রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭ জনে।

    হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বরাতে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আশেক।

    শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে কদমরসুলপুরের কেশবপুর এলাকায় সীমা স্টিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কয়েক কিলোমিটার এলাকা। ঘটনাস্থলের আশপাশের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় ছিটকে পড়ে বিস্ফোরিত ইস্পাতের টুকরো। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    বিস্ফোরণে নিহত অন্যরা হলেন- লক্ষীপুরের কমলনগর থানার চরলরেন্স গ্রামের মহিজল হকের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৩৩), নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার ছোট মনগড়া গ্রামের খিতিশ রংদীর ছেলে রতন লকরেট (৫০), নোয়ালখালীর সুধারাম থানার ওলিপুর গ্রামের মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মো. কাদের মিয়া (৫৮), নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বিজয়পুর গ্রামের মৃত বিম রুগার ছেলে সেলিম রিছিল (৩৯), সীতাকুণ্ডের মধ্যম-সলিমপুর গ্রামের মৃত আবুল বশরের ছেলে মো. ফরিদ (৩২) ও ভাটিয়ারি ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে শামসুল আলম (৬৫)।

    নিহত এ ছয়জনের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নুরুল আশেক।

  • সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ : নিহত ৩

    সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ : নিহত ৩

    সায়েন্সল্যাব মোড়ে একটি ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে ভবনটি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন। আহত অন্তত আরও পাঁচজন। ধানমণ্ডি থানার উপপরিদর্শক আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    আজ রোববার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের পাশের ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান, তুষার। আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন পথচারী খাইরুল, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হান্নান ও শিক্ষার্থী পায়েল।

    খাইরুল বলেন, হেমায়েতপুরের ফ্যাক্টরি থেকে কাজে অফিসে এসেছিলাম। তারপর হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। চোখের সামনেই তিনজন মারা গেছে।

    এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের চারটি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার।

    তিনি জানান, খবর পাওয়া যায়, সায়েন্সল্যাবের পাশে একটি তিন তলা ভবন আংশিক ধসে পড়েছে ও অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট কাজ করছে।

    ভবনে অবস্থিত ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ফ্লোরে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানা গেছে।

  • সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ,হতাহত ৩০

    সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ,হতাহত ৩০

    চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়িতে অবস্থিত সীমা অক্সিজেন প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সেখানে উপস্থিত লোকজন।

    শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা যায়।

    ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

    গাউসিয়া কমিটির সদস্যরা আহতের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের কাজ করছে।

    সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি বিস্ফোরণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এখনও বিস্তারিত জানতে পারিনি।’ তবে প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ ও হতাহতের খবর জানাতে পারেননি ফজলে রাব্বি।

  • খুলশীতে ফিউশন ক্যাফে রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণ, তিন কর্মচারী দগ্ধ

    খুলশীতে ফিউশন ক্যাফে রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণ, তিন কর্মচারী দগ্ধ

    চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকার ফিউশন ক্যাফে রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।

    সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, মো. কাশেম (১৭), নুর হোসাইন (২০) এবং মুবিনুল হক (২২)। তারা ওই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী বলে জানা গেছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির তদারককারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানান, সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় আনা হয়। তাদের হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    হাসপাতালে নিয়ে আসা ফিউশন ক্যাফের ম্যানেজার মো. গুলজার জানান, দুর্ঘটনার সময় আমি বাইরে ছিলাম। আমাদের পাশের একজন ফোন দিল রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণ হয়েছে। আমি দ্রুত গিয়ে আমাদের তিন কর্মচারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তবে হোটেলে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত বলে জানান তিনি।

    খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ফিউশন ক্যাফেতে বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে বিস্ফোরণ সেটা জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে, তারা এর কারণ উদঘাটন করবেন।

     

  • বাগদাদে ফুটবল স্টেডিয়ামের কাছে বিস্ফোরণ, নিহত ১০

    বাগদাদে ফুটবল স্টেডিয়ামের কাছে বিস্ফোরণ, নিহত ১০

    ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পূর্বাঞ্চলে একটি বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।

    শনিবার (২৯ অক্টোবর) বাগদাদের পূর্বাঞ্চলে এই বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। দেশটির নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাগদাদের পূর্বে অবস্থিত ক্যাফে ও ফুটবল স্টেডিয়ামের কাছে একটি গ্যারেজে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় সেখানকার গাড়ির সাথে সংযুক্ত বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়। পরে কাছাকাছি থাকা একটি গ্যাস ট্যাংকারে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে।

    নিহতদের অধিকাংশই পার্শ্ববর্তী স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা অপেশাদার খেলোয়াড়।

    একটি সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ব বাগদাদের একটি গ্যারেজে গ্যাস ট্যাংকার বিস্ফোরণে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা বাহিনী বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করছে। তবে এর বেশি আরও বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি ওই বিবৃতিতে।

  • এস আলম পাওয়ার প্লান্টে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ২ শ্রমিক

    এস আলম পাওয়ার প্লান্টে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ২ শ্রমিক

    বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় এস আলম গ্রুপের নির্মানাধীন কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর পাওয়ার প্লান্টে তেলের ড্রাম বিষ্ফোরণে ২ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    আহত দু’জন হলেন-শাহাদাত হোসেন (২২) ও ইমাম উদ্দিন (৩০)।

    চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, বাঁশখালীর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণের আমরা বিষয়টি শুনেছি। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    স্থানীয়রা জানান, আজ শনিবার বিকালে গন্ডামারা এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়।

    বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক আরমান চৌধুরী বলেন, আহতদের মধ্যে ইমামের পা ভেঙ্গে গেছে। শাহাদতের একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদের দুজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।