Tag: বীর মুক্তিযোদ্ধা

  • বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির পিতার ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। পরিবার, পরিজন, বাবা-মা সবার মায়া ত্যাগ করে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় নিশ্চিত করেছেন তারা।

    মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‌‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫’ এর নির্বাচিত ফেলোদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা সবচেয়ে বেশি মেধাবী। তাদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সেটাই আমাদের কর্তব্য। সেই সুযোগটি আমরা করে দিতে চাই। সেই কারণে ফেলোশিপটা চালু করেছি।

    তিনি বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

  • চসিকের সংবর্ধনা নিলেন ১১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা

    চসিকের সংবর্ধনা নিলেন ১১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা

    ১১৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা ও সম্মানির টাকা তুলে দেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যাদের সাথে যুদ্ধ করেছি তাদের অনেকেই আর বেঁচে নেই। আমিসহ আমার সহযোদ্ধারাও জীবনের শেষপ্রান্তে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ হওয়া উচিত আমৃত্যু তরুণদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, চেতনা, আদর্শকে তুলে ধরতে কাজ করা।

    “মানুষের মুক্তির যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছি তা বাস্তবায়নে তরুণদের প্রস্তুত করতে হবে। সোনার বাংলা গড়ার অভিযাত্রায় পাড়ি দিতে হবে আরো বহুদূরের পথ। এ দায়িত্বটা তরুণদেরই নিতে হবে। কারণ তরুণরা যা পারে অন্যরা তা পারেনা। মুক্তিযুদ্ধেও সম্মুখ সারির লড়াইয়ে ছিলেন মূলত তরুণরাই।”

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করা ভারতের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। চিকিৎসাসহ যেকোন প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভিসা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বে মডেলে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ়তর হবে বলে আমার বিশ্বাস।

    চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার কামাল।

    আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, কাউন্সিলর নুরুল আমিন। আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর শহীদুল আলম, ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, হাজী নুরুল হক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুল মান্নান,আবুল হাসনাত মো বেলাল, জাফরুল হায়দার চৌধুরী, পুলক খাস্তগীর, নূর মোস্তফা টিনু, হুরে আরা বিউটি, শাহীন আকতার রোজী, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাব্বির রাহমান সানি, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, শাহরীন ফেরদৌসী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা, চসিকের উপ-সচিব আশেকে রসুল টিপুসহ সিবিএ নেতৃবৃন্দ।

  • হালিশহরে বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা : গ্রেফতার ১

    হালিশহরে বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা : গ্রেফতার ১

    চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মো. হারিসের (৭২) উপর সন্ত্রাসী হামলার দায়ে মো. ইলু (৫৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নগরীর হালিশহর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানান ।

    আজ ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে নগরীর হালিশহর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দিপুর এলাকায় নিজ বাড়ির পুকুর ঘাটে এই হামলার শিকার হন তিনি। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি একই এলাকার মৃত মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে।

    হামলার বিষয়ে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জহির বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় হামলায় সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এই হামালা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে পুকুর ঘাটে হাতমুখ ধোয়ার সময় হঠাৎ করে হামলার শিকার হন তিনি। সন্ত্রসীদের আঘাতে তার মাথা ফেটে যায় এবং প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়। এসময় অবস্থা গুরুত্বর দেখে তৎক্ষনাৎ তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর মাথার আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ছয়টি সেলাই দেন।

  • বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান : উপ-পরিচালক

    বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান : উপ-পরিচালক

    আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহানগর ও জেলার ২’শ বীর মুক্তিযোদ্ধার মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    আজ ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ড. মোঃ বদিউল আলম। উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল-লুঙ্গি, চাউল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, চিনি, লবণ, মরিচের গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া ও হলুদের গুঁড়া।

    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রাকিব হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু ও মহানগরীর ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ। বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিটের বীর মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ড. মোঃ বদিউল আলম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে আমাদেরকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। তাঁরা কোন কিছুর পাওয়ার লোভে যুদ্ধে যায়নি। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আমাদের সকলের প্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নসহ আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

  • নতুন করে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ নেই:মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

    নতুন করে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ নেই:মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, কোনো ব্যক্তির নতুন করে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ নেই।

    তিনি বলেন, ‘কেউ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যদি তিনি নির্ধারিত ফরমে নির্ধারিত সময়ে আবেদন না করেন, তাহলে এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদন করার কোনো সুযোগ নেই।’

    জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ ছিল। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকলে ভাতা দেয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তবে ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সনদ না পেয়ে থাকলে আবেদন করতে পারবেন।

    তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৬৪ জেলায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৩৫২টি ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ৯৫ হাজার ২৪৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে। সমন্বিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বিতরণ আদেশ, ২০২০’-এর নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হয়। ওই আদেশের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা’ হিসেবে বর্ণিত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রক্ষিত ৩৩ ধরনের প্রমাণের মধ্যে যে কোনো একটি প্রমাণ থাকতে হবে।

    মোজাম্মেল হক বলেন, ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বা সুবিধাভোগী ‘ফরম’ অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন দাখিল করতে হবে। ওই আদেশের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত আবেদন যাচাই-বাছাই কমিটি ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘আবেদন যাচাই-বাছাই পদ্ধতি’ অনুসরণ করে চূড়ান্ত সুপারিশসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পাবেন।

  • স্বাধীন দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে: বিভাগীয় কমিশনার

    স্বাধীন দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে: বিভাগীয় কমিশনার

    বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত (সচিব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অতন্দ্র প্রহরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার কারণে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম লাল সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অবিস্মরণীয়। এ দেশ স্বাধীন না হলে আমারা আজ এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে।

    আজ ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ড কর্তৃক বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত পদোন্নতিজনিত যৌথ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, চাকুরী জীবনে যখন যে অবস্থানে থেকেছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করে যাবো। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবেনা, অনুভব করা যায়। তাঁদের নিকট থেকে সংবর্ধনা গ্রহণের বিষয়টি সারাজীবনের জন্য অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ সম্মান সর্বোচ্চ সম্মান ও ভবিষ্যতে কর্মজীবনে আরো বেশি সাহস যুগাবে। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখার পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অন্তরের অন্তস্থলে ধারণ করবো। তিনি নিজের ও পরিবারের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বিভাগীয় কমিশনারকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন।

    এই সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, মহানগর ও জেলা সংসদের পক্ষে সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম আলাউদ্দিন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বোরহান উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধাআহমদ হোসেন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক দিলীপ কান্তি দাশ, চান্দগাঁও থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, পাঁচলাইশ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া, পাহাড়তলী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী জাফর আহমদ, আকবর শাহ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেলিম উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাকিন বিল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবপ্রসাদ গোলদার প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, চট্টগ্রামে কর্মকালীন সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করেছেন সরকারের সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন। আগামীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীদের সরকারী চাকরীতে নিয়োগের বিষয়ে বিদায়ী এই কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

  • ডিসেম্বরকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস ঘোষণার দাবি

    ডিসেম্বরকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস ঘোষণার দাবি

    এ দেশ বীর মুক্তিযোদ্ধার, তাই বিজয়ের মাস ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা মাস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন।

    সমাবেশে প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের প্রতি দাবি জানিয়ে স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর মাসকে যেনো মুক্তিযোদ্ধা মাস ঘোষণা করা হয়। এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবি।

    তিনি বলেন, যতদিন দেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবেন। আর কেউ যেনো ইতিহাস বিকৃতি করতে না পারে।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) জয় বাংলা স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, আগাখান মিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ওসমান আলীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ

    চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ

    চট্টগ্রাম মহানগরীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ উপলক্ষে এক সভা আজ ১০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহম্মদ।

    অনুষ্ঠানে মহানগরীর সকল যুদ্ধকালীন কমান্ডার, মহানগর ইউনিটের সকল কর্মকর্তা, সকল থানা কমান্ডারসহ সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড তুলে দেন জেলা প্রশাসক।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার যথাক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল-হারুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ সর্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এনামুল হক চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমাদুর রহমান সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারিছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হাফিজ খান রুমু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অরুণ দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম জাগির হোসেন মিজান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল বশরসহ মহানগরীর বিভিন্ন থানা কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার, সহকারী কমান্ডার ও সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।

    অনুষ্ঠানে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহম্মদের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের হাতে স্মৃতিস্বরূপ একটি ছবি তুলে দেন।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাদেরকে সম্মান করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনসহ বিভিন্ন সম্মাননা ও সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুজিব শতবর্ষে আজ তাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করার মধ্যে দিয়ে সম্মানিত করা হচ্ছে। এ সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন ও সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ

    ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ

    বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
    আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ তথ্য জানান।

    মোজাম্মেল হক বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের প্রতিবেদন এলেই আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করব। আমরা আশা করছি আগামী ১৫ তারিখে (ফেব্রুয়ারি) খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে পারব। খসড়া তালিকায় কতজন বীর মুক্তিযোদ্ধা থাকছেন সেটা এখনই বলতে পারছি না। ১৫ ফেব্রুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি আমরা।’

    বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

    প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশিত বেসামরিক গেজেট যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। গত ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭১তম সভায় এ যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২’ এর ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকার সুপারিশ ছাড়া যাদের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে ৩৯ হাজার ৯৬১ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা বা মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃত ৩৩ ধরনের প্রমাণকে অন্তর্ভুক্ত থাকলে, তিনি যাচাই-বাছাইয়ের আওতার বাইরে থাকবেন। এ ধরনের কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভুলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বা জামুকার ওয়েবসাইটে যাচাই-বাছাইযোগ্য তালিকায় প্রকাশিত হয়ে থাকলে, তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ১০টায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়/মহানগরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছিল মন্ত্রণালয়।

  • ‘প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হচ্ছে’

    ‘প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হচ্ছে’

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশীর খবর। কোন অমুক্তিযোদ্ধা যাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে ফায়দা লুটতে না পারে সে লক্ষ্যে সারাদেশে একযোগে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেই তাঁরা আজ সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন।

    আজ ৩১ জানুয়ারী (রোববার) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত মহানগর পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভূক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। আজ ৩১ জানুয়ারী রোববার পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য এ কার্যক্রমে মৃত, যুদ্ধাহত বা অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। নগরীর মোট ১৬৭ জনের মধ্যে দু’দিনে মোট ৭৫ জন জীবিত, মৃত, অসুস্থ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। আগামী ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ইংরেজি মঙ্গলবার কার্যক্রমের সমাপনী দিন সকাল ১০টা থেকে বাকী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে।

    জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) মনোনীত যাচাই-বাছাই কমিটি মহানগরীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া। জেলা প্রশাসক মনোনীত কমিটির সদস্য যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইলিয়াস ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেলিম উল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হারুন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহাফুজুর রহমান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার জাহিদ হোসেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার মোহাম্মদ হোসেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার নূরুল বশর, যুদ্ধকালীন বেইস কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ সরদার, কবি-প্রাবন্ধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অরুণ দাশ (সাথী), মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম স্বাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছারসহ মহানগরীর সকল থানা কমান্ডারবৃন্দ।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও কমিটির সদস্য সচিব এস এম জাকারিয়া জানান, যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ প্রমানের জন্য সংশ্লিষ্ট গেজেটসমূহে নাম প্রকাশিত হয়েছে এমন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে কমপক্ষে ৩ জন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভূক্ত সহযোদ্ধাসহ প্রশিক্ষণার্থী ও সাক্ষীসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকলে তিনি কোন্ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাও ৩ জন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভূক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হচ্ছে। অন্যথায় তারা অমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবে।

    জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ এর ৭(ঝ) ধারা অনুযায়ী “প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন” পূর্বক সরকারের নিকট সুপারিশ করার এখতিয়ার এ কাউন্সিলের উপর ন্যস্ত রয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)-এর ৭১তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উক্ত আইনের ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকার অনুমোদন ব্যতীত যেসব বেসামরিক গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে সেসব বেসামরিক গেজেট যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাইয়ের আওতাধীন গেজেটসমূহের একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

  • সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেনের ইন্তেকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির শোক

    সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেনের ইন্তেকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির শোক

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ড উপজলা বিএনপির আহবায়ক, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক এবং শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযুদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন(৭২) ইন্তেকাল করেছেন।

    বুধবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মরহুম তফাজ্জল হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ হৃদরোগ আক্রান্ত ছিলেন।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

    তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন, এছাড়া হাফিজ জুট মিলস এ দীর্ঘ ৩০ বছর শ্রমিক নেতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    তাঁর মৃত্যুতে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

    সাবেক উত্তর যুবদলের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জানান, দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে বিএনপি নেতা ও বীর মুক্তিযুদ্ধের মৃত্যুতে সীতাকুণ্ডে বিএনপির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা পুরণ হওয়ার নয়। দেশের যে ভোটার বিহীন সরকার দেশ শাসন করছে এর হাত থেকে দেশের জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে তারই মধ্যে এর মুক্তিযুদ্ধের চলে যাওয়া দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

    এদিকে বীর মুক্তিযুদ্ধা মরহুম তফাজ্জল হোসেনকে দেখতে যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুইয়া। তিনি শোকশোপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর

    সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : আসন্ন সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণার একদিন পরই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। বিএনপির হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল মনসুর। গতবারও তিনি বিএনপির হয়ে লড়েছিলেন।

    সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমে এ তালিকা পাঠিয়েছেন।

    সীতাকুণ্ড পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ নিজামী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আবুল মুনসুরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করবেন।’

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু