Tag: বীর মুক্তিযোদ্ধা

  • মাটিরাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দাফনে বাধার প্রতিবাদে মানবন্ধন: প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

    মাটিরাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দাফনে বাধার প্রতিবাদে মানবন্ধন: প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে দাফন করতে না দেয়ার অভিযোগে তবলছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কাশেম ভুইয়া ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে বিক্ষ্দ্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনরা।

    মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে তার অছিয়ত মোতাবেক তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়ার প্রতিবাদে বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রধান করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

    মাটিরাঙ্গা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম‘র সভাপতিত্ব মানববন্ধনে প্রধান অঅতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. রইচ উদ্দিন।

    ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনছুর আলী, খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সংসদ কমান্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো: ইমরান ও খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো. হারুন মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করলাম, নিজেদের জীবনবাজি রেখে দেশের জন্য পতাকা ছিনিয়ে আনলাম অথচ মৃত্যুর পরে দেশের মাটিতে দাফনের জন্য সাড়ে তিন হাত মাটি পাবোনা তা মেনে নেয়া যায়না। এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বাঁধার মুখে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তবলছড়ির অদুরে আদশগ্রাম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
    বীর মুক্তোযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে বৃহত্তর কর্মসুচী ঘোষনার হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

    মানববন্ধন শেষে তবলছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কাশেম ভুইয়াসহ তার দোসরদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ।

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমান। মৃত্যুর পর তাকে তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করতে গেলে কবরস্থান কমিটির বাঁধার মুখে ঐ দিন বিকাল ৫টার সময় আদর্শগ্রাম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এনিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনরা।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/প্রদীপ

  • বোয়ালখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন মিয়ার ইন্তেকাল

    বোয়ালখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন মিয়ার ইন্তেকাল

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন মিয়া(৭০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…রাজেউন)।

    বুধবার (৪ নভেম্বর) ভোর ৫টা ১৫ মিনিটের সময় নগরীর আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন মিয়া বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যম কধুরখীল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কধুরখীল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

    মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    বুধবার বাদে যোহর নিজ বাড়ির কধুরখীল তৈয়বীয়া মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

    তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম, বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু, দৈনিক কালের কণ্ঠের শুভ সংঘ, বোয়ালখালী প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সংগঠন সমূহ শোক জানিয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/পূজন

  • মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে লিখতে হবে ‘বীর’: গেজেট প্রকাশ

    মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে লিখতে হবে ‘বীর’: গেজেট প্রকাশ

    এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি অবশ্যই লিখতে হবে। ‘বীর’ ব্যবহারের বিধান করে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    গেজেটে বলা হয়েছে– বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮-এর ধারা ২(১১)-এ মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

    এই আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবং একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহার করতে হবে।

    এ আদেশ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা তহিদুল ইসলাম বুলু’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

    ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা তহিদুল ইসলাম বুলু’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

    নীলফামারীর ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা তহিদুল ইসলাম বুলু’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গন সহ সর্বস্তরে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।

    মঙ্গলবার(৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ডোমার ডিগ্রী মহিলা কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ডোমার থানা পুলিশের একটি চৌকস দল আব্দুল মাননাফের নেতৃতে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

    তিনি সোমবার (৪নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ডোমার পৌর এলাকার চিকনমাটি তার নিজ বাস ভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না নিল্লাহি ……..রাজিউন)।

    তার জানাজায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ফাতিমা, ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরননবী, সন্তান কমান্ডের আল-আমিন রহমানের পক্ষ থেকে ফুলের তোরা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।

    এছাড়াও জানাজায়, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, সাবেক কমান্ডার আব্দুল জব্বার, পৌর কমান্ডার ইলিয়াছ হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার, ডিমলা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, ডোমার ডিগ্রী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম বাবু, গোমনাতী মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ প্রধান সহ সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

    তহিদুল ইসলাম পূর্ব বোড়াগাড়ী নানাল খামার এলাকার মৃত হেমার উদ্দিন প্রামানিকের প্রথম পুত্র। জীবনশায় তিনি জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন এবং ডোমার উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়ীত্ব পালন করেন। মৃত্যু কালে তার বয়স ছিল ৭৩বছর।

    তিনি স্ত্রী, ২কন্যা সস্তান, নাতী নাতনীসহ অসংখ্য গুনাগ্রহী রেখে গেছেন। তার ২য় জানাজা বাদ যোহর গ্রামের বাড়ী নানাল খামার কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।