বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার হত্যার রেশ কাটেনি এখনও। এরমধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসলো বুয়েটের আরেক আবরার। তার পুরো নাম কাজী আবরার মাহমুদ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১৯-২০ সেশনের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে।
জানা গেছে, কাজী আবরার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় সে স্থাপত্য অনুষদে মেধা তালিকায় (সম্মিলিত) শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে।
বুয়েটের সদ্য প্রকাশিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, এবছর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৭ জন আবরার রয়েছেন। এদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১৫ জন, আর অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন দুজন। পুরো নাম ভিন্ন হলেও নামের সাথে আবরার শব্দটা আছে প্রত্যেকেরই।
বিষয়টি ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়াফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এছাড়াও যারা মেধাতালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন-
আবরার আল শহীদ আবির (৬৬তম), আবরার মো. মাহির (৮২তম), আবরার মাহমুদ (১৯৩তম), কাজী আবরার মাহমুদ (২৪২তম), মো. আবরার জাহিন (২৯২তম), আবরার ফাইয়াজ ইরাম (৩০১তম), আবরার জাহিন নিলয় (৩১৪তম), মো. আবরার জাহিন চৌধুরী (৩৪৫), আবরার মিশকাত (৪৭৮তম), আবরার আহমেদ (৬৭০তম), আবরার ফাইয়াজ মাহবুব নাশিক (৭৪৮তম), আবরার হামিম মাসিহ (৮৪৭তম), মোস্তফা আবরার মাহির (৯১৪তম), আবরার বিন সালাহ উদ্দিন (৯৩০তম)।
অপেক্ষমাণ তালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন- মো. মাহির আবরার খান (১০৫৪তম), আবরার আবদুল্লাহ দিয়াম (১০৭২তম)।
বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় স্থাপত্য বিভাগ এবং প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্থাপত্য বিভাগের প্রথম মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ৫৪ জন। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রথম দফায় ও ২৭ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় তাদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি হওয়ার শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর।
প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রথম মেধা তালিকায় ১ হাজার ৪ জনকে রাখা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ও ২৭ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় তাদেরকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। ভর্তি হওয়ার শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর এক পর্যায়ে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে যথাসময়েই ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে বুয়েট প্রশাসন। ক্ষোভ ও শোকের পরিস্থিতির মধ্যেই ১৪ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বুয়েটে ১২টি বিভাগে ১ হাজার ৬০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিল ১২ হাজার ১৬১ জন। দুই শিফটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন পরীক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়ার জেরেবুয়েটের মেধাবীছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।সেই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয় বুয়েটসহ সারা দেশ।