Tag: বুয়েট

  • বুয়েট শিক্ষার্থীরা মাঠের আন্দোলনের ইতি টেনেছেন

    বুয়েট শিক্ষার্থীরা মাঠের আন্দোলনের ইতি টেনেছেন

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে চলমান মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনের ইতি টেনেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে তারা মাঠের আন্দোলন স্থগিত করলেও সব একাডিমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

    তারা বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে সব আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা অনেকেই দায় স্বীকার করেছে। আমরা বিশ্বাস করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তে এগিয়ে যাবে। আবরার হত্যার বিচার সুষ্ঠুভাবে হবে।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ১০ দাবি তুলে ধরেছিলাম। এসব দাবির অধিকাংশই পূরণ হয়েছে বলে আমাদের কাছে নোটিশ এসেছে। তবে এখনও বেশকিছু দাবি পূরণের অপেক্ষায় আছে। আমরা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবো। খুনিদের এখনও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়নি। এখনও মামলার তদন্ত চলছে, ফলে চার্জশিট তৈরি হয়নি। মামলার চার্জশিট প্রস্তুত এবং সবগুলো দাবির বাস্তবায়ন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রকম একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। মাঠের আন্দোলন আজ থেকে বন্ধ থাকবে। তবে আবরার হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একটি গণসফর কর্মসূচি পালন করবে।

    বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, বাইরে অনেকেই আবরার হত্যা নিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আন্দোলন ভিন্নভাবে প্রবাহের সুযোগ আমরা দিতে চাই না। এসব নিয়ে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন।

    বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে গত ৬ অক্টোবর নিহত হয় তড়িৎ কৌশল বিভাগের ছাত্র আবরার। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল এখন বুয়েট। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ এরই মধ্যে ১১ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।

  • আবরার হত্যা : রবিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : রবিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

    আদালত সূত্র জানায়, আসামি মেহেদী হাসান রবিন স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে মেহেদী হাছান রবিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত ৮ অক্টোবর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

    উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত তিনটার দিকে হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।

    পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়। আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    পরে হত্যায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বুয়েট ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ঢাকায় পড়তে চান না

    আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ঢাকায় পড়তে চান না

    ঢাকায় আর না পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বুয়েটে হত্যাকাণ্ডের শিকার মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের একমাত্র ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।

    বর্তমানে তিনি ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। ঢাকা কলেজ ছেড়ে গ্রামের কোনো বিদ্যাপীঠে ভর্তি হতে চান তিনি।

    গতকাল শনিবার বিকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ সিদ্ধান্তের কথা বলেন ফায়াজ।

    কেন এমন সিদ্ধান্ত সেই প্রশ্নের জবাবে গণমাধ্যমকর্মীদের ফায়াজ বলেন, ভাইকে হারিয়ে আমি একা হয়ে পড়েছি। ঢাকায় থাকার এখন কোনো মানে হয় না।

    তিনি বলেন, ‘ফাহাদ ভাই আমার অভিভাবক ছিলেন। আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে যে সম্পর্কটি ছিল তা এক কথায় প্রকাশ করা যাবে না। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এমন ছিল যে মা–বাবার কথা তেমন মনেই হতো না। আর সেই ভাই এখন নেই। কার জন্য তা হলে ঢাকায় পড়ে থাকব। বড় ভাইকে হারিয়ে মা-বাবা এমনিতেই দিশেহারা। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা আর না, কুষ্টিয়াতে পড়াশোনা করব। এটিই পরিকল্পনা।’

    উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দিন ফায়াজ কুষ্টিয়াতেই ছিলেন। আবরার ফাহাদ যেদিন (রোববার) কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কের বাড়ি থেকে চলে যান, সেদিন সকালে ঘুমিয়ে ছিলেন ফায়াজ।

    ফায়াজ বলেন, ‘ভাই যাওয়ার সময় মা ডেকেছিল। কিন্তু শুয়েই ছিলাম। আমাকে শুয়ে থাকতে দেখে ভাই বলল, তাড়াতাড়ি ঢাকায় চলে আসবি। আমি ঘুমের ঘোরেই হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়েছিলাম। ভাইয়ের সঙ্গে এটিই ছিল আমার শেষ কথা।’

    কান্নারত কণ্ঠে তিনি বলেন, এখন ভাই নেই, ঢাকায় আমি কার কাছে যাব?

    ভাইয়ের এমন হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ফায়াজ! তাই ঢাকায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত? এমন প্রশ্ন ওঠার আগেই নিজের আবেগের কথা জানালেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘কোনো ভয় থেকে নয়, সত্যি কথা হচ্ছে- ঢাকাতে নিয়ে ভাই (ফাহাদ) আমাকে ঢাকা কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। সব ছিল ভাইয়ের ইচ্ছায়। ঢাকায় ও আমার অভিভাবক ছিল। বাবা-মা ওর হাতেই আমাকে তুলে দিয়েছিল। ভাই আমাকে সেভাবে যত্ন ও দেখভালও করতেন। এই যেমন ধরুন- মেসে পানি নেই, ভাইকে বলতাম, তিনি ব্যবস্থা করে দিতেন। এখন ও নেই, সেখানে কী করে থাকব আমি।’

    প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ।

    এর জের ধরে পর দিন ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    এমন ঘটনার সময় থেকে আবরার ফায়াজ কুষ্টিয়া গ্রামের বাড়িতেই আছেন। ঢাকায় ফেরেননি এখনও।

  • বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ: ১৯ আসামী সাময়িক বহিস্কার

    বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ: ১৯ আসামী সাময়িক বহিস্কার

    বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ এবং আবরার হত্যাকাণ্ডে এজহারভুক্ত ১৯ আসামীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

    এর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে সংলাপে বসেন আন্দোলনকারীরা।

    শুক্রবার বেলা সাড়ে ৫টায় সময় বুয়েট অডিটোরিয়ামে এ সংলাপ শুরু হয়।

    আবরারের খুনিদের ফাঁসিসহ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে শুধু বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের (১৫ তম, ১৬ তম, ১৭ তম ও ১৮ তম ব্যাচ) উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।

    প্রথমে গণমাধ্যমের সামনে আলোচনা করতে রাজি না হলেও অনেক আলোচনা ও আন্দোলনের পর গণমাধ্যমের সামনে আলোচনা করতে রাজি হন উপাচার্য। তবে, আলোচনা সভা সরাসরি সম্প্রচার না করার শর্ত জুড়ে দেন উপাচার্য।

    উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করতে বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া বহিরাগত ও অন্যদের প্রবেশ রুখতে বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের গেইটে বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখে প্রবেশ নিশ্চিত করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

  • আবরার হত্যা : আসামি জিয়নের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : আসামি জিয়নের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন।

    শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আবরার হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা আসামি মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম আসামি হিসেবে স্বীকারোক্তি দেন ইফতি মোশাররফ সকাল। যিনি ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন।

    এদিকে শুক্রবার এ মামলায় গ্রেফতার আরেক আসামি মিজানুর রহমান মিজানকেও আদালতে হাজির করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

    গত ৮ অক্টোবর একই আদালত আসামি সকাল, জিয়নসহ এ মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছেন। ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

    গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমানকে, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং হোসেন মোহাম্মদ তোহা।

    প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

    হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলেট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

    ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

  • আবরার হত্যা : অমিত-তোহা ৫ দিনের রিমান্ডে

    আবরার হত্যা : অমিত-তোহা ৫ দিনের রিমান্ডে

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা ও এজাহারভুক্ত আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহার পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম শরাফুজ্জামান আনসারী শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে শুক্রবার সকালে দুজনকে আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে অমিত সাহা এবং বিকেল ৩টার দিকে গাজীপুরের মাওনা থেকে তোহাকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ।

    অমিত বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। হোসেন মোহাম্মদ তোহা বুয়েটের এমই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি এ মামলার মামলার ১১ নম্বর আসামি।

    বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

    রবিবার মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    একাধিক শিক্ষার্থী ও এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে হামলাকারীদের নির্মম নির্যাতনের মুখে আবরার দুবার বমি করেন। সঙ্গে প্রস্রাবও করেন।

    এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ১৭ জনকে আটক করে পুলিশ।
    আবরার হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে গতকাল রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ।

    তবে এজাহারের বাইরে বেশ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
    এদিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১১ জন নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

  • আবরারকে হত্যার আগের দিন নির্যাতনের নির্দেশ

    আবরারকে হত্যার আগের দিন নির্যাতনের নির্দেশ

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের এক দিন আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) মেরে শেরেবাংলা হল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন।

    শেরেবাংলা হলের ১৬তম ব্যাচের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়। ফেসবুক গ্রুপে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়।

    বুয়েট ও শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে তৈরি ফেসবুকের মেসেঞ্জার গ্রুপে ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। ‘এসবিএইচএসএল ১৫+১৬’ নামে ওই গ্রুপে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আবরারকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

    গ্রুপটি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শেরেবাংলা হলের ১৫ ও ১৬তম ব্যাচের নেতাকর্মীদের যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হতো বলে জানা গেছে।

    ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কথোপকথনে দেখা যায়, ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ১৬তম ব্যাচের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মেহেদী হাসান রবিন লেখে, ‘১৭-এর আবরার ফাহাদ; মেরে হল থেকে বের করে দিবি দ্রুত @১৬; এর আগেও বলছিলাম; তোদের তো দেখি কোনও বিগারই নাই; শিবির চেক দিতে বলছিলাম; দুই দিন সময় দিলাম।’

    রবিন মেসেঞ্জার গ্রুপে আরও লেখে, ‘দরকারে ১৬ ব্যাচের মনিরের সঙ্গে কথা বলিস। ও আরও কিছু ইনফো দিবে শিবির ইনভলমেন্টের ব্যাপারে।’

    ‘ওকে ভাই’ জবাব দেয় ১৬তম ব্যাচের মনিরুজ্জামান মনির।

    রবিনের নির্দেশ পাওয়ার পরদিন রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটে মনির গ্রুপে লেখে, ‘নিচে নাম সবাই’।

    এরপরই রাত ৮টা ১৩ মিনিটে আবরার ফাহাদকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায় তানিম, বিল্লাহ, অভি, সাইফুল, রবিন, জিওন ও অনিক। যা শেরেবাংলা হলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।

    এরপর রাত ১২টা ৩৮ মিনিটে ‘এসবিএইচএসএল ১৬+১৭’ গ্রুপে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা লেখে, ‘আবরার ফাহাদ কি হলে আছে’। জবাবে শামসুল ও সজীব জানায়, ‘২০১১-তে আছে।’ জানা গেছে ২০১১ নম্বর কক্ষে অমিত সাহা থাকে।

    মেসেঞ্জারে অন্য আরেকটি কথোকথন পাওয়া গেছে, যা ছিল অমিত সাহা ও ইফতি মোশাররফ সকালের মধ্যে। এতে অমিত সাহা লিখেছে, ‘আবরার ফাহাদরে ধরছিলি তরা?’। ইফতি জবাব দেয়, ‘হ’। আবার প্রশ্ন করে অমিত, ‘বের করছোস?’ জবাবে ইফতি পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘কি হল থেকে নাকি স্বীকারোক্তি’। এবার অমিত লেখে, ‘স্বীকার করলে তো বের করা উচিত।’

    এরপর ইফতি জবাব দেয়, ‘মরে যাচ্ছে; মাইর বেশি হয়ে গেছে’। জবাবে অমিত সাহা লেখে, ‘ওওও বাট তাকে তো লিগ্যালি বের করা যায়’। এরপর একটি ইমোজি পাঠায় ইফতি। পরে এই দুজনের আর কোনও কথোকথন পাওয়া যায়নি।

    এদিকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথোপকথনের বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তারা অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি জানান, আমরা এগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করছি।

    আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

  • দাবি না মানলে বুয়েটে তালা ঝুলবে

    দাবি না মানলে বুয়েটে তালা ঝুলবে

    বুয়েট ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে আগামীকাল শুক্রবার বেলা দুইটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে জবাবদিহি করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

    না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে এই আলটিমেটাম দেন এবং আবরার হত্যার বিচারসহ তাদের ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন।

    এসব দাবিতে শিক্ষার্থীরা এখন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

    শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হলো আবরারের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা ও বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা।

    সকাল ১০টার পর থেকেই শহীদ মিনারে হাজারখানেক শিক্ষার্থী এসে জড়ো হন। তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে তারা স্লোগান দিতে থাকেন।

    শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের দাবি পূরণে বুয়েট প্রশাসন কোনো চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

    চতুর্থদিনের মতো বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুই থেকে তিনজন মুখপাত্র কথা বলেন।

    তারা বলেন, দাবি পূরণ না হলে আগামী ১৪ অক্টোবর ভর্তিও পরীক্ষাও হবে না। এক্ষেত্রে ভর্তি কাউন্সিলকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেন তারা।

    আবরার নিহত হওয়ার পর ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বুয়েট উপাচার্য সাইফুল ইসলাম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আসেননি।

    পরে যখন আসেন, তখন তিনি আন্দোলনরতদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, উপাচার্য আমাদের মধ্যে এলেও আমাদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

    তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করব, ভিসি স্যার কাল (শুক্রবার) দুইটার মধ্যে আমাদের মধ্যে আসবেন, তিনি সবার সঙ্গে কথা বলবেন। যদি তা না হয়, তাহলে বুয়েটের সব বিল্ডিংয়ে তালা ঝুলবে।

    গত মঙ্গলবার উপাচার্য সাইফুল ইসলাম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসে নীতিগতভাবে তাদের দাবির সঙ্গে একমত জানালেও তখনকার আট দফা মেনে নেয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেননি। এতে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা বন্ধসহ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন আন্দোলনরতরা।

    পরদিন (বুধবার) শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি বাড়িয়ে ১০টি করেন। এগুলোর মধ্যে একটি ছিল ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরে বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেয়া সময়ের আগে ওইদিনই পদ ছাড়েন প্রাধ্যক্ষ জাফর ইকবাল খান।

    কিন্তু বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাননি, তাই তাদের দাবি দশটিই থাকছে।

    রোববার গভীর রাতে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের লাশ উদ্ধারের পর থেকে উত্তাল বুয়েট।

  • আবরার হত্যা : রুমমেট মিজান আটক

    আবরার হত্যা : রুমমেট মিজান আটক

    বুয়েটের শেরেবাংলা হলে মেধাবি শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তার রুমমেট মিজানকে আটক করেছে ডিবি দক্ষিণের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

    বৃহস্পতিবার বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তাকে আটক করা হয়। আবরারকে যে কক্ষে থাকতেন সেই ১০১১ কক্ষের বাসিন্দা মিজান। বুয়েটের ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মিজান।

    গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা মিজানকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তারা জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিজানকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হবে। আবরার হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

    হলটির শিক্ষার্থীরা জানায়, আবরারের মৃত্যুর পর দুইদিন রুমটি বন্ধ ছিল। বুধবার থেকে আবরারের বাকি রুমমেটরা সেখানে থাকতে শুরু করে। আজ দুপুরে ডিবি পুলিশ ওই রুমে গিয়ে মিজানকে তুলে নিয়ে যায়।

    এর আগে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আটক করা হয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক অমিত সাহাকে, যার রুমে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছিল।

    গত রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

    ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জনকে গত মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এদিকে আবরার ফাহাদের হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বুয়েট শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

    শুক্রবারের মধ্যে দাবি না মানলে প্রত্যেক প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানোর হুঁশিয়ারি এসেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। আগামীকাল দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্য নিজে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন দাবি না মানলে সোমবার থেকে অনুষ্ঠেয় ভর্তি পরীক্ষা হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

  • বুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবি শিক্ষক সমিতির

    বুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবি শিক্ষক সমিতির

    বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে পদত্যাগ আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি।

    বুধবার (৯ অক্টোবর) আবরার হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সমাবেশ করেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি।

    সমাবেশে শিক্ষকরা ভিসিকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এ সময় প্রায় ৩শ শিক্ষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক সমিতির সভাপতি একে এম মাসুদ বলেন, একজন অদক্ষ উপাচার্যের কারণে আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান বুয়েটকে নষ্ট হতে দেব না।

    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা তোমাদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। আমরা অপরাধী। বুয়েট শিক্ষক সমাজ আবরারের বাবা মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত সেই শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার করতে যাচ্ছি আমরা।

    তিনি বলেন, ৩০০ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি মিটিং হয়েছে। সে মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে লিখিত সুপারিশ করবো।

    এছাড়া বুয়েটে কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • বুয়েটের শেরে বাংলা হল প্রভোস্টের পদত্যাগ

    বুয়েটের শেরে বাংলা হল প্রভোস্টের পদত্যাগ

    আবরার হত্যকাণ্ডের ঘটনার পর পদত্যাগ করলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট মো. শাহিনুর ইসলাম। ঘটনার সময়ে বুয়েট প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।

    এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে আবরার হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান জানান, আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে পদত্যাগে রাজি আছেন শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট মো. শাহিনুর ইসলাম।

    এর মধ্যে আজকে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের ঘোষণা আসল।

  • আবরার হত্যা: আসামির পক্ষ নেওয়ায় আইনজীবিকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

    আবরার হত্যা: আসামির পক্ষ নেওয়ায় আইনজীবিকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

    বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত এক আসামির পক্ষে আদালতে দাঁড়ানোর ঘটনায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন শিল্পীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

    মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠন বিরোধী তৎপরতার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোর্শেদা খাতুন শিল্পীকে সংগঠনের সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন থেকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক থাকবে না।

    আবরার হত্যা মামলার আসামি বহবাঊা ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৬তম ব্যাচ ও বুয়েট ছাত্রলীগ সদস্য মুজাহিদুলের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন শিল্পী।