Tag: বৃক্ষরোপণ

  • জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে বেঞ্চ উৎসর্গ ও বৃক্ষরোপণ

    জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে বেঞ্চ উৎসর্গ ও বৃক্ষরোপণ

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তরের লনের বাগানে একটি বৃক্ষরোপণ করেছেন। এ সময় তিনি একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করেছেন।

    নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি এ বৃক্ষরোপণ এবং বেঞ্চ উন্মুক্ত করেন।

    এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সবসময় শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই ছিল তাঁর এই সংগ্রাম। সেখানে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কথাও যেমন তিনি ভেবেছেন তেমন সারাবিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র জর্জরিত, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথাও তিনি বলেছেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। কারণ এতে করেই শান্তি আসবে এবং শান্তির সন্ধানেই তিনি ছিলেন। শান্তির জন্যই তিনি সংগ্রাম করেছেন। আর শান্তি ছাড়া কখনো কোন দেশের উন্নতি হয়না।

    তিনি বলেন, এটা আমরা খুব ভালো বুঝি যে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই উন্নতি হওয়া সম্ভব।

    তিনি বলেন, আজ এখানে একটি বৃক্ষরোপণ করা হলো, যে সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয় (১৭ সেপ্টেম্বর) এবং তাঁর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে আসেন এবং এখানে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন (২৫ সেপ্টেম্বর)। কাজেই সেই মাসে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তরের লনে বাগানে বৃক্ষরোপন করা হলো এবং একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করা হলো। এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বৃক্ষ যেমন পরিবেশ রক্ষা করে তেমনি মানুষকে খাদ্য ও ছায়া দেয়। আর মানুষের জীবনকেও রক্ষা করে।

    এজন্য তিনি জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জানান।

    এরআগে, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তিনি রোববার জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদান করতে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পৌঁছেন।

    এন-কে

  • ফলদ বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে ৫’শ ১২ কি:মি: পায়ে হেঁটে খাগড়াছড়িতে ত্রিশালের সাহসী পদযাত্রীরা

    ফলদ বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে ৫’শ ১২ কি:মি: পায়ে হেঁটে খাগড়াছড়িতে ত্রিশালের সাহসী পদযাত্রীরা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : ফলদ বৃক্ষরোপনে উদ্বুদ্ধ এবং পরিবেশ বিরোধী বৃক্ষ রোপনে নিরুৎসাহিত করতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ফলদ বাংলাদেশ’ এর ৫’শ ১২ কিলোমিটার পদযাত্রা (পায়ে হেঁটে) খাগড়াছড়িতে শেষ হয়েছে। পদযাত্রার ১৬তম দিনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় খাগড়াছড়ি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদযাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

    এরআগে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী শহীদ মিনারে প্রবেশ করেন এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
    ১৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল এই পদযাত্রা। পথে তাঁরা ৭টি জেলা এবং ২৪টি উপজেলাসহ দেড় শতাধিক বাজারে ক্যাম্পেইন করেন।

    বুধবার দুপুর ২টায় খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছালে পদযাত্রাকারীদের বরণ করে নেন জেলার পরিবেশকর্মী ও ফলদবাগান মালিকরা।

    পদযাত্রাকারী দলের মিডিয়া সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির টুটুল জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁরা খাগড়াছড়ি অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। ৭ জেলা ও ২৬ উপজেলার ৫১২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তারা খাগড়াছড়িতে এসেছেন। আগামীকাল সকাল ১১ টায় খাগড়াছড়ির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও প্রতীকী বৃক্ষ রোপণের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পদযাত্রার।

    গাছের গুরুত্ব, উপকারিতা ও পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের অবদান সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ২০১০ সাল থেকে ব্যতিক্রমী এ কার্যক্রম করে যাচ্ছে সংগঠনটি। প্রতিবছর বর্ষার আগে পদযাত্রা করে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করা হলেও এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে তা এ সময়ে করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করতে হবে:ডা. শাহাদাত

    বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করতে হবে:ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গাছ মানুষের পরম বন্ধু। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী গাছের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায় বনায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে ব্যাপকভাবে গাছ লাগানো কর্মসূচি শুরুকরেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সারাদেশে অবাধ ও নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছে। এর ফলে নানাধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই বৃক্ষ রোপনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করতে হবে।

    তিনি বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্ভোধনকালে একথা বলেন।

    ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, এখন বর্ষাকাল। গাছের চারা রোপনের উপযুক্ত সময়। তাই সবাইকে নিজ নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায়, শিক্ষা প্রতিষ্টান, সড়কপথ ও খালি জায়গায় প্রচুর পরিমানে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপন করে সামাজিক বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে।

    এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, পৃথিবীকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করতে এবং বন্যা প্রতিরোধে বৃক্ষের ভূমিকা অনেক। বনাঞ্চল না থাকলে পৃথিবী হয়ে ওঠত মরুভূমি এবং মানুষের অস্তিত্ব হতো বিপন্ন। পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য আজ প্রতিদিন বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। বড় বড় গাছ বজ্রপাত প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে বৃক্ষ নিধন নয়, বৃক্ষ রোপনই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই আসুন গাছ লাগাই, গাছের পরিচর্যা করি এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট হই।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, শিল্প সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, সহ প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম কুতুবী, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড় বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, বিএনপি নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন, দিদারুল আলম, ছাত্রদল নেতা মোঃ আনাস , বোরহানুল হক, আরশে আজিম আরিফ, আহমেদুল ইসলাম সাদ প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন

    সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত সারাদেশে ১ কোটি ফলজ ও বনজ বৃক্ষরোপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সীতাকুুুুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যেগে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম উদ্বোধর করা হয়েছে।

    রবিবার সকালে পৌরসভা কার্যলয়ের সামনে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভুইয়া।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেহান উদ্দীনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব আ.ম.ম দিলসাদ, সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী,বাড়বকুণ্ড ইউপি চেয়ারম্যান সাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী, আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী, সাঈদ মিয়া, রতন মিত্র, ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি-সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    এদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস.এম আল মামুন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু