Tag: বৃষ্টিপাত

  • চট্টগ্রামে অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি

    চট্টগ্রামে অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি

    স্বল্প সময়ের বৃষ্টিতেই চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

    এতে চলাচলের ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষ। পানিতে ডুবে থাকা সড়কের গর্তে পড়ে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
    পানি চলাচলের ড্রেনে প্রতিবন্ধকতার কারণে এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের চিত্র প্রকট আকার ধারণ করলেও ড্রেন ব্যবস্থার উন্নয়নের বদলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কেবল নির্মাণ ও ব্যয়মূলক প্রকল্পের দিকে।

    জলাবদ্ধতায় ছাত্র-ছাত্রীদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী রিহাম বলেন, বৃষ্টি হলেই সড়কে হাঁটু পানি জমে থাকে।

    ঘর থেকে বাহিরে যেতে পারি না। আমার বাসা নগরের বাকলিয়ায়, স্কুল চকবাজারে। এই অল্প পথ আসতে তিন থেকে চার স্থানে কোথাও অল্প আবার কোথাও হাঁটু পানির সম্মুখীন হতে হয়।

    বহদ্দারহাটের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য প্রায় বাজারে যেতে হয়। এখানে জলাবদ্ধতা থাকায় চরম বিপাকে পড়তে হয়।

    নগরের চকবাজার, প্রবর্তক, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, গোসাইলডাঙ্গা, শান্তিবাগ, হালিশহর, চান্দগাঁও, বাকলিয়াসহ নগরের নিচু এলাকায় কোথাও কোমর পানি আবার কোথাও হাঁটু পানি জমে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে অফিসগামী এবং বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

    চাকুরিজীবী রহমতুল্লাহ বলেন, রাস্তায় পানি থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশায় অফিসে যাচ্ছি। সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান কবে হবে জানি না।

    শনিবার (২১ মে) ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি স্থায়ী হয় সকাল ৯টা পর্যন্ত। এতে নগরের নিম্নাঞ্চলে হাঁটু পানি জমে গেছে। পানি ঢুকে সিএনজি অটোরিকশা নষ্ট হয়ে যেতে দেখা গেছে বিভিন্ন জায়গায়। অফিসমুখী মানুষকে হাঁটু পর্যন্ত পানি দিয়ে হেটে বা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে দুই নম্বর গেইট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

    পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

  • শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে

    শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে

    আগামী দু’একদিন কম থাকলেও ৪ অক্টোবর(শুক্রবার) থেকে আবারো সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

    আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, ‘আজ এবং আগামীকাল বৃষ্টিপাতের প্রবণতা একটু কম থাকলেও মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় ৪ অথবা ৫ অক্টোবর থেকে আবারো সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে এবং তা আগামী ৮ বা ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।’

    তিনি জানান, আজ এবং আগামীকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।

    আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

    সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

    আজ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

    এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
    মঙ্গলবার ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিটে এবং আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় সকাল ৫ টা ৫১ মিনিটে।

    পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রিম করে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারী অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে।