Tag: বেকসুর খালাস

  • মানহানির মামলা থেকে খালাস পেলেন পাঠক নিউজ সম্পাদকসহ ৪ জন

    মানহানির মামলা থেকে খালাস পেলেন পাঠক নিউজ সম্পাদকসহ ৪ জন

    মানহানীর একটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাঠক ডট নিউজ সম্পাদক ও সংবাদ সংস্থা ইউএনবি’র চট্টগ্রাম প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম শিল্পীসহ ৪ জন।

    শশুর বাড়ীতে নির্যাতনের শিকার এক গৃহবধুর পক্ষে পাঠক ডট নিউজসহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের জেরে সীতাকুণ্ডের নূরুল আলমের দায়েরকৃত মানহানির মামলাটি (সিআর-৪৯৪/২০২০) আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে খারিজ করে দিয়ে মামলা থেকে ৪ জনকে আব্যাহতি দেন চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ১ম এর বিচারক বেগম জিহান সানজিদা।

    সাংবাদিকদের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী মানবাধিকার নেতা এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান বলেন, মামলাটি মূলত সাংবাদিকদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছিল। যে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে সে সোতাবেক আইনের ধারা অনুসরণ করা হয়নি। আমরা বিজ্ঞ আদালতেবে তা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। আদালত আমাদের আবেদন আমলে নিয়ে মামলাটি খালাস করে দেন। তিনি বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা বা আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারে প্রেস কাউন্সিল রয়েছে। মানুষ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ না করে শুধুমাত্র হয়রানী করার জন্য সিভিল আদালতে মামলা করে। এটি একটি খারাপ নজির।

    খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- ‘উইমেন ভয়েস বিডি ডট কম এর সম্পাদক সৈয়দা সাজিয়া আরফিন ও সাংবাদিক সৈয়দা ফাতেমাতুজ জোহরা ও নির্যাতিতা গৃহবধূ ফারজানা আক্তার।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, সীতাকুণ্ড সৈয়দপুর ইউনিয়নের শেখেরহাটের পূর্ব বাঁকখালীর নূরুল আলমের পুত্রবধূ প্রবাসী আনোয়ারের স্ত্রী ফারজানা আক্তার (৩০) এর উপর তার শশুর নূরুল আলম ও দুই দেবর নূরুল আকবর ও মো. দিদারুল আলমর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর পাঠক ডট নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রবাসী আনোয়ার কর্তৃক তার স্ত্রীর উপর পিতা ও ভাইদের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ও পুলিশ প্রশাসন দেয়া অভিযোগের ভিক্তিতে উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

    এ প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার ফারজানার শশুর মো. নূরুল আলম।পরে আদালত অভিযোগটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ১৭ জুলাই-২০২১ ইং পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

    সাংবাদিকদের পক্ষে আদালতে মামলা পরিচালনা করেন, এডভোকেট এ, এম জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট এ এই এম জসিম উদ্দিন, এডভোকেট এম হাসান আলী, এডভোকেট মো. বদরুল হাসান, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমানসহ অসংখ্য আইনজীবি।

  • কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা : ৯ জনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন

    কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা : ৯ জনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন

    কুমিল্লায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড, চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আদালত। সোমবার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আবদুল হালিম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

    মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন-সজীব, হারুণ, রাজিব, শাওন, আমিন, রবু, মমিন, আবু তাহের ও মহসিন। এদের মধ্যে বর্তমানে গ্রেফতার আছেন মহসিন ও আবু তাহের। বাকি সাতজন এখনো পলাতক রয়েছে।

    একই রায়ে মতিন, শাহ পরান, শামিম ও খোকন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এদের মধ্যে ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছেন শামীম। এছাড়া নয়ন মিয়া, মোছলেম মিয়া ও বিলালকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যেও মামলা চলাকালীন সময়ে নয়ন মিয়া পলাতক ছিলেন।

    রায়ের বিষয়ে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি আইয়ুব খান। তিনি বলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছয় বছর আগে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলার রায়ে এ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একই রায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আদালত তিনজনকে খালাস দিয়েছেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিপি।

    পিপি আইয়ুব খান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর গ্রামে মৎস্য প্রকল্পের অংশদারীত্ব এবং ‘সমাজ’ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করা হয়।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে জাহাঙ্গীর আলম ওয়াজ শুনে ফেরার পথে গৌরিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আবু ইউসুফের বাড়ির সামনে আসামিরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জাহাঙ্গীরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় গৌরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীরের বাবা ফজর আলী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ এ মামলায় ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বও অভিযোগ গঠন করা হয়।

    দুই বছর পর মামলাটি বিচারের জন্য চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

    এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মামলার বাদী ও নিহতের বাবা ফজর আলী ‘উচ্চ আদালতেও যেন এ রায়টি বহাল থাকে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।