Tag: বেগমগঞ্জ

  • নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণচেষ্টাসহ দুই মামলায় ইউপি সদস্যসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণচেষ্টাসহ দুই মামলায় ইউপি সদস্যসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার দুই মামলায় প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলুসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    এ সময় গ্রেফতার দুই আসামি রহমত উল্যা ও মাইন উদ্দিন শাহেদকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে চারজন এখনও পলাতক রয়েছে।

    মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালী পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।

    অভিযুক্ত আসামিরা হলো- মামা বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন দেলু (২৬), জামাল উদ্দিন প্রকাশ প্রবাসী জামাল (৫২), নূর হোসেন বাদল (২২), আব্দুর রহিম (২০), মোহম্মদ আলী প্রকাশ আবুল কালাম (২৩), শামসুদ্দিন সুমন প্রকাশ কন্ট্রাক্টর সুমন (৩২), ইস্রাফিল হোসেন মিয়া (২১), মাইন উদ্দিন সাজু (২১), নূর হোসেন রাসেল (২৯), আনোয়ার হোসেন সোহাগ (২৪), আবদুর রব চৌধুরী প্রকাশ লম্বা চৌধুরী (৫০), মোস্তাফিজুর রহমান প্রকাশ আরিফ (১৯), মিজানুর রহমান প্রকাশ তারেক (২০), মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ প্রকাশ সোহাগ মেম্বার (৪৫)।

    পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ১০০ নম্বর পাতায় ধর্ষণ ও ৩৩২ নম্বর পাতায় নির্যাতন মামলায় ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উৎপল চৌধুরীর কাছে জমা দেয়া হেয়েছে। পলাতক চার আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা দু’টি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল ও নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী তদারকি করেন। পরবর্তীতে ধর্ষণ মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক মো. সিরাজুল মোস্তফা ও নির্যাতন মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

    ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ও নির্যাতন মামলায় ওই দুজনসহ ১০ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আট আসামি। এখনো পর্যন্ত পলাতক রয়েছে চার আসামি; তারা হলো- জামাল উদ্দিন, আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান আরিফ ও মিজানুর রহমান তারেক।

    প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন।

    বিষয়টি দেখে ফেলেন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার।

    রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করে।

    একপর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে।

    ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

  • বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: ইউপি সদস্যসহ আরও ২ জন গ্রেফতার

    বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: ইউপি সদস্যসহ আরও ২ জন গ্রেফতার

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে (৩৭) বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় একলাশপুর ইউপির নয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহাগ মেম্বার ও সাজু (২১) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্যসহ আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে।

    দেশব্যাপী আলোচিত সমালোচিত এই ঘটনার মূলহোতা দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, মামলার প্রধান আসামি বাদলসহ পুলিশ এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।

    মঙ্গলবার বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বিবস্ত্র করে গৃহবধূকে নির্যাতন: প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪

    বিবস্ত্র করে গৃহবধূকে নির্যাতন: প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় প্রধান আসামি বাদলসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় চার আসামি গ্রেপ্তার হলো।

    গ্রেপ্তার চারজন হলেন- আব্দুর রহিম, রহমত উল্লাহ, বাদল ও দেলোয়ার। এদের মধ্যে আব্দুর রহিমকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর রোববার রাতে রহমত উল্ল্যা (৪১) নামে আরেক আসামিকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া মামলার প্রধান আসামি বাদল এবং দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

    বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানিয়েছেন, রোববার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রহমত উল্ল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রহমত জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রহিমের ছেলে।

    র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন, মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে এবং দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে একদল যুবক। ঘটনার এক মাস পর রোববার দুপুরে নির্যাতনের ওই ভিডিও কেউ একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে (ভাইরাল) পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও তৎপর হয়ে ওঠে। পুলিশ জানতে পারে, স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড বাদল এবং কর্মী রহিম, সুমনসহ পাঁচ-ছয়জন গৃহবধূর সঙ্গে এমন বর্বর আচরণ করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় আবদুর রহিম নামের একজনকে আটক করা হয়।

    বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশীদ জানান, এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার নারী বাদী হয়ে রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- বাদল, মো. রহিম, আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্যা। তাদের সবার বাড়ি বেগমগঞ্জে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর বিয়ে হয় বছর তিনেক আগে। স্বামী তাকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করতে থাকে। দীর্ঘদিন স্বামীর কোনো যোগাযোগ ছিল না। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তার লোকজন নিয়ে রাত ১০টার দিকে গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে ‘অনৈতিক’ কাজের অভিযোগ এনে তাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে তারা।

    এক মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেকেই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

    নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, ন্যক্কারজনক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা যতই ক্ষমতাধর হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ১

    বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ১

    ২৪ ঘণ্টা, ডেস্ক নিউজ : নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্বামীকে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। সম্প্রতি উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

    নির্যাতনের সময় ধারণ করা সেই ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে। রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

    জানা গেছে, ৩২ দিন আগে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা নির্যাতিতার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ফলে পুরো ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে।

    এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নজরে আসলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

    এসপি আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ নির্যাতিতাকে তার বাবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ৩০-৩২ দিন আগে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের পাঁচটি ইউনিট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    তাদের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে তিনি এবং তার পরিবার এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তাই ঘটনার ৩২ দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।

    বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবদুর রহিমকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আবরার

  • বেগমগঞ্জে আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৪

    বেগমগঞ্জে আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৪

    নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, দলীয় কোন্দল ও পূর্ব শক্রতার জেরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংষর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। ইউনিয়ন আওলীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদ গ্রুপ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা খোকন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

    সোমবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের আমানউল্লাপুর বাজার সংলগ্ন পালোয়ান বাড়ির সামনে এ সংষর্ষের ঘটনা ঘটে।

    সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৩ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ৪ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এবং গুলিবিদ্ধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদের অনুসারী।

    গুলিবিদ্ধরা হলেন- আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মহেশপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে পারভেজ (২৭), ৪নং ওয়ার্ডের আইয়ুবপুর গ্রামের সফি উল্যাহর ছেলে মিজানুর রহমান পলাশ (২৬), ৮নং ওয়ার্ডের জয়নারায়ণপুর গ্রামের আবু ছায়েদের ছেলে হৃদয় (২২), ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জয়নারায়ণপুর গ্রামের নওশাদ ভূঞা’র ছেলে মো. নিশাত (২৫)।

    বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুলিবিদ্ধ ৪ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির গ্রুপের কর্মী।

    স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকনের অনুসারীরা ১৫-২০টি মোটরসাইকেলের একটি বহর নিয়ে খোকনের বাড়ি যাওয়ার পথে সভাপতি আরিফুর রহমান মাহমুদের অনুসারীরা পেছনের কয়েকটি মোটরসাইকেলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।

    একপর্যায়ে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা মোটরসাইকেলের বহর থেকে আরিফুর রহমান মাহমুদে অনুসারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ৪ জন গুলিবিদ্ধ এবং সবমিলিয়ে অন্তত ৯ জন আহত হয়। এ সময় আরিফুর রহমান মাহমুদের অনুসারীরা পাল্টা ধাওয়া করলে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ২টি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চৌমুহনীকে রেড জোন ঘোষণা

    চৌমুহনীকে রেড জোন ঘোষণা

    নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্যবসায়ী ও অন্যদের সাথে সভা করে চৌমুহনী শহরকে রেড জোন ঘোষণা করে এবং ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    মাহমারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও চৌমুহনী শহরে তা তেমন কার্যকর করা যায়নি। ব্যাপকহারে দোকানপাট খোলা ছিল। জনচলাচল স্বাভাবিক ছিল। লকডাউন বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই ছিল না। প্রশাসন কাঁচা বাজার চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানান্তর করলেও দোকানদাররা ২/৩ দিন পরে পূর্বের স্থানে চলে আসে।

    তাছাড়া বিভিন্ন গলির দোকানগুলিও ছিল স্বাভাবিক। এতে শহরের মাছ বাজার, কালীতলা রোড, দক্ষির বাজার, কলেজ রোড, ফেণী রোড, গনিপুর, হাজীপুর, বিসমতকরিমপুর,নরোত্তমপুর, নাজিরপুর, করিমপুরসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। বেগমগঞ্জ উপজেলা ১৩০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। তার মধ্যে ৮০ জনই চৌমুহনী শহরে।

    বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, অসীম কুমার দাস জানান, বেগমগঞ্জে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়ানোর একমাত্র কারণ, চৌমুহনী শহরে লকডাইন অমান্য করে ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়া চলাচল। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চৌমুহনীর সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা ছিল না।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বেগমগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ের মৃত্যু

    বেগমগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ের মৃত্যু

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় সিএনজি অটোরিকশা ও পিকআপভ্যানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন।

    নিহতরা হলেন, স্কুল শিক্ষিকা পলি রাণী মজুমদার (৩৭) ও তার দুই বছরের শিশু কন্যা মিতিকা দে মিদি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই স্কুলছাত্রী।

    বুধবার সকাল ৯টায় সোনাইমুড়ী চৌমুহনী চৌরাস্তা সড়কের মজুমদারহাট সংলগ্ন ছালামের চা দোকানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মা-মেয়ে চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুরের বাসিন্দা। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

    স্থানীয়রা জানায়, সকালে চৌমুহনী চৌরাস্তা থেকে মির আলীপুুরের দিকে একটি সিএনজি অটোরিকশা ছেড়ে আসে। মজুমদারহাট সংলগ্ন ছালামের চা দোকানের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি ধুমড়ে মুছড়ে মা ও মেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

    চৌমুহনী হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও সিএনজি অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে।’

  • ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যার আসামি ‘বন্দকযুদ্ধে’ নিহত

    ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যার আসামি ‘বন্দকযুদ্ধে’ নিহত

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দকযুদ্ধে’ ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যার আসামি নজরুল ইসলাম ওরফে কানা নজরুল (২৫) নিহত হয়েছে।

    পুলিশের দাবি, নিহত নজরুল ইসলাম স্থানীয় ছাত্রশিবিরের পিয়াস বাহিনীর সেকেন্ড-ইন কমান্ড ছিলেন। তিনি গত রোববার রাতে শিবিরের হামলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব হত্যা মামলাসহ তিনটি মামলার আসামি। নজরুল আমানউল্লাহপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে।

    মঙ্গলবার ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার আমানউল্লাহপুর গ্রামের জনকল্যাণ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

    বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুন-উর-রশীদ চৌধুরী জানান, ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার আমানউল্লাহপুর গ্রামের জনকল্যাণ মাঠে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি যৌথ দল যায়।

    এসময় শিবির ক্যাডার পিয়াস বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে হামলাকারীরা পিছু হটে।

    পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা তাকে শিবিরের কর্মী ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলার আসামি ‘কানা নজরুল’ হিসেবে শনাক্ত করেন।

    নিহত নজরুলের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    ওসি জানান, নজরুল ইসলাম স্থানীয় ছাত্রশিবিরের পিয়াস বাহিনীর সেকেন্ড-ইন কমান্ড ছিলেন। গত রোববার রাতে শিবিরের হামলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব হত্যা মামলাসহ তিনটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    এদিকে গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশের দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি ধামা, তিনটি ছোরা, তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • গভীর রাতে চৌমুহনীতে পুড়ল অর্ধশত দোকান

    গভীর রাতে চৌমুহনীতে পুড়ল অর্ধশত দোকান

    নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী চৌমুহনী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে অন্তত অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় আট কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।

    মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গোলাবাড়িয়া কাঁচাবাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত দুইটার দিকে হঠাৎ করে গোলাবাড়িয়া পূর্ব অংশ কাঁচা বাজারের একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় বাজারে থাকা লোকজন এগিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ায় শবজির আড়ৎ, হাঁস-মুরগি দোকান, মুদি দোকান, মালের আড়ৎ ও দুটি বাসা’সহ অন্তত অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

    চৌমুহনী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ শহিদুর রহমান স্বপন জানান, আগুনে অন্তত ৬০টি দোকান ও পাশের কয়েকটি বাসার মূল্যবান মালামাল ও নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

    চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জহিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে চৌমুহনী থেকে দুটি ও মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।