Tag: বেলাল হোসেন

  • উপহার নিয়ে করোনা যোদ্ধাদের পাশে এপেক্সিয়ান বেলাল

    উপহার নিয়ে করোনা যোদ্ধাদের পাশে এপেক্সিয়ান বেলাল

    বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত ধৈর্য্য এবং সাহসিকতার সাথে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বর্তমান দূর্যোগপূর্ণ সময়ে এদেশের মানুষের জন্য নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

    ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের জীবন উৎর্সগ করেছেন।

    পুলিশের এই ধরনের কর্মকান্ডের কৃতজ্ঞতা স্বরুপ আজ বুধবার (২০ মে) আর্ন্তজাতিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশের জেলা-৩ এর গভর্নরের পক্ষ থেকে করোনা থেকে মুক্ত থাকার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে ছিল- ১ হাজার পিস মাস্ক, ১ হাজার পিস গ্লাভস, ২০০ পিস হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ১০০ পিস চশমা।

    উপহার সরূপ পণ্যগুলো চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: মাহাবুবর রহমান এর নিকট হস্তান্তর করেন এপেক্স জেলা-০৩ এর ডিজি এপেক্সিয়ান বেলাল হোসেন।

    এসময় সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    এপেক্সিয়ান মো. বেলাল হোসেন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই করোনা ভাইরাসের সময় পুলিশ মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের সুরক্ষার জন্য এই সুরক্ষাসামগ্রী কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।

    উল্লেখ্য, এর আগে সিএমপির বন্দর জোনের পুলিশের কার্যক্রমে সহায়তা সরূপ করোনাকালীন সময়ের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্সও প্রদান করেন তিনি।

    এছাড়া এপেক্সিয়ান বেলাল ইতিমধ্যে হাজারের উপর মানুষের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন এবং নির্দিষ্ট কিছু অসহায় পরিবারকে তিনি নিয়মিত সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।

    এপেক্সিয়ান বেলাল চট্টগ্রামের কয়েকটি বস্তিতে করোনা থেকে মুক্ত থাকতে হাত ধোয়ার জন্য পানির জার এবং সাবানের ব্যবস্থা করেছেন।

    বেলাল বলেন, এই দুর্যোগকালীন সময়ই হলো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উত্তম সময়। এখন মানুষের পাশে দাঁড়াতে না পারলে কখন দাঁড়াব? তিনি এপেক্স জেলা-০৩ অধীন যে সকল ক্লাবগুলো অসহায় মানুষের পাশে সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং সবাইকে করোনা ও আম্ফানের দুর্যোগকালীন সময়ে আরও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ করেছেন।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

     

  • তিন জনের উদ্যোগে সিএমপি’র বন্দর জোনে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান

    তিন জনের উদ্যোগে সিএমপি’র বন্দর জোনে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান

    এপেক্স ক্লাবস অফ বাংলাদেশ’র জেলা-৩ এর গর্ভনর এপেক্সিয়ান বেলাল হোসেন, মের্সাস রক্সি কন্সট্রাকশন’র স্বত্তাধিকারী মনসুর আলম এবং মের্সাস সাগর মোটর ওয়ার্কস এর স্বত্তাধিকারী সুনীল কান্তি দের যৌথ উদ্দ্যোগে পুলিশ সদস্য এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের ২৪ ঘণ্টা জরুরী এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দূর্যোগকালীন সময়ের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার(বন্দর) হামিদুল আলম এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।

    এছাড়া করোনার দুর্যোগকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যদের নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে ব্যবহারের জন্য এপেক্সিয়ান বেলালের ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার(বন্দর) হামিদুল আলম এর কাছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার হস্তান্তর করা হয়।

    এ বিষয়ে এপেক্সিয়ান বেলাল বলেন,করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে যার যার ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান করছেন। আমাদের দেশের নাগরিকরা যাতে নিজ গৃহে নিশ্চিন্তে থাকতে পারে সে জন্য, দেশের জন্য নিজেদের পরিবার, নিরাপত্তা সবকিছু ত্যাগ করে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। অথচ উনাদের শারিরীক নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সাপ্লাই প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই সেই সকল পুলিশ সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করলাম।

    তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জরুরি হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য আমাদের তিনজনের সম্মিলিত উদ্দ্যোগে দূর্যোগকালীন সময়ের জন্য সিএমপির বন্দর জোনে একটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছি।

     

  • অসহায় মানুষের পাশে এপেক্সিয়ান বেলাল

    অসহায় মানুষের পাশে এপেক্সিয়ান বেলাল

    বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইসের (কোভিড-১৯) কারণে মানুষ এখন ঘরবন্দী। সারাদেশের জনগণ সরকারের অঘোষিত লক ডাউনের ফলে নিজেদের সেচ্ছায় ঘরবন্দী করেছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে সচেতন নাগরিকগণ অন্যদের সচেতন করে যাচ্ছেন ।

    বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের জনগণ। তাদের পাশে নিজের পরিচয় গোপন করে দাঁড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশের জেলা-০৩ এর গভর্নর এপেক্সিয়ান এম বেলাল হোসাইন। অসহায় মানুষের কাছে প্রতিনিয়ত পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্যসমগ্রী। দেশে চলমান সংকট নিয়ে চিন্তিত তিনি৷

    দেশের মানুষকে করোনার ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার বার্তাও দিয়েছেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষদের সহস্রাধিক মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও বিতরণ করেছেন।

    করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যখন সকলে হোম কোয়ারান্টাইনে তখন দিন রাত ত্রাণ নিয়ে অসহায় মানুষের কাছে ছুটছেন। গেল কয়েকদিন ধরেই এই কাজটি অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

    এপর্যন্ত প্রায় ৬০০ পরিবারকে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক বাজার করে দিয়েছেন সম্পূর্ণ নিজ অর্থে।

    এছাড়া চট্টগ্রামে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাত ধোঁয়া কর্মসূচী পালন করেছেন। আসুন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকি, নিজেকে সুস্থ রাখি এই স্লোগানে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে হাত ধোয়ার জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করেছেন।

    তিনি বলেন,দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের অসহায়ত্বের খবর দেখার পর নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। তাই নিজেই ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে এসেছি মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে। এই মুহুর্তে কারো দিকে চেয়ে থাকার সময় নাই। এই দূর্যোগ মোকাবেলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। অসহায় মানুষদের কষ্ট দেখে শুধু একটা কথাই বার বার মনে হয়েছে সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে আশরাফুল মখলুকাত হয়ে এখন যদি মানুষের পাশে না দাঁড়াতে পারি তবে কখন দাঁড়াবো? তাদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্বের মাঝে পড়ে। খাবারের অভাবে যেন একটি প্রাণও অকালে হারিয়ে না যায় সেটিই ভেবেছি বারবার।

    তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেরাই কেবল নিজেদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারি।করোনা প্রতিরোধে আমাদের সচেতন হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সব বিষয় বিবেচনা করে আমি বর্তমানে কয়েকটি মুদি দোকানে মধ্যবিত্তদের বাজার করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যেন কাউকে কষ্ট পেতে না হয়। কয়েকটা দিনের ব্যাপার মাত্র। সবাই একটুখানি সতর্ক হলে বেঁচে যাবে হাজারও প্রাণ। আমাদের উন্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। উন্নত দেশগুলো করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।আমরা এখন সচেতন নই। সবার ঘরে থাকা উচিৎ এবং বাহিরে যেতে অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভস সহ করোনা প্রতিরোধে অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করা উচিৎ ।

    এপেক্সিয়ান বেলাল এপেক্স বাংলাদেশ’র জেলা-০৩ এর অন্তর্গত প্রতিটি ক্লাবকে অতীতের ন্যায় এই দুর্যোগকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচলের অনুরোধ করেছেন।