Tag: ব্যবসায়ি হত্যা

  • কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা : ৯ জনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন

    কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা : ৯ জনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন

    কুমিল্লায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড, চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আদালত। সোমবার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আবদুল হালিম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

    মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন-সজীব, হারুণ, রাজিব, শাওন, আমিন, রবু, মমিন, আবু তাহের ও মহসিন। এদের মধ্যে বর্তমানে গ্রেফতার আছেন মহসিন ও আবু তাহের। বাকি সাতজন এখনো পলাতক রয়েছে।

    একই রায়ে মতিন, শাহ পরান, শামিম ও খোকন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এদের মধ্যে ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছেন শামীম। এছাড়া নয়ন মিয়া, মোছলেম মিয়া ও বিলালকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যেও মামলা চলাকালীন সময়ে নয়ন মিয়া পলাতক ছিলেন।

    রায়ের বিষয়ে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি আইয়ুব খান। তিনি বলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছয় বছর আগে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলার রায়ে এ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একই রায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আদালত তিনজনকে খালাস দিয়েছেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিপি।

    পিপি আইয়ুব খান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর গ্রামে মৎস্য প্রকল্পের অংশদারীত্ব এবং ‘সমাজ’ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করা হয়।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে জাহাঙ্গীর আলম ওয়াজ শুনে ফেরার পথে গৌরিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আবু ইউসুফের বাড়ির সামনে আসামিরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জাহাঙ্গীরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় গৌরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীরের বাবা ফজর আলী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ এ মামলায় ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বও অভিযোগ গঠন করা হয়।

    দুই বছর পর মামলাটি বিচারের জন্য চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

    এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মামলার বাদী ও নিহতের বাবা ফজর আলী ‘উচ্চ আদালতেও যেন এ রায়টি বহাল থাকে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।