আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মত দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় বিপ্লব বড়ুয়াকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংবার্ধনা অনুষ্ঠানে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, আমাকে যে সম্মান, ভালোবাসা দেখিয়ে তিনি চট্টগ্রামের মানুষের প্রতিও সন্মান দেখিয়েছেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বে আমার মতো একজন নগণ্য মানুষকে তিনি দ্বিতীয়বার দপ্তর সম্পাদক করেছেন।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত ও আনন্দিত। আমার মত একজন ক্ষুদ্র কর্মীকে চট্টগ্রাম শহরে বরণ করেছেন। আপনাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বলেন, আজকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারিরা শুধু দেশে নয়, দেশের বাহিরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে ব্যহত করতে চায়। আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তির অপব্যবহার না করে আমরা যুদ্ধাপরারী, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠির বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তি ব্যয় করি।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পিয়ারুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, চট্রগ্রাাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হক চৌধুরী বাবুল, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাইদী, বাঁশখালি উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালীব, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সাথে শনিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় খুলশীস্থ তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।
সন্ধ্যায় প্রশাসক সুজন বিপ্লব বড়ুয়ার বাসবভনে পৌঁছলে তিনি তাকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় পরস্পরের কুশল বিনিময়ের পর তাদের আলোচনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম ও চট্টগ্রামের উন্নয়নের কথা উঠে আসে। আলাপে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রমে গতি সঞ্চার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে চসিক প্রশাসককে অবহিত করেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী এই সময় প্রশাসকের উদ্দেশ্যে বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনজর রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে রিজিওনাল কানেকটিভিটির সাথে সংযুক্ত করার সকল উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। নগরীরতে বিভিন্ন সেবা সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমও চলমান আছে। বিপ্লব বড়ুয়া আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ দ্রুত শেষ হলে, তা মিয়ানমার দিয়ে কুনমিং পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। এতে ভারতের সেভেন সিষ্টার নেপাল, ভুটান, তিব্বত এবং আরো বেশ কিছু দেশর চট্টগ্রাম বন্দরের উপর নির্ভরশীলতা বাড়বে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় আয়ের সিংহ দুয়ার উম্মোচিত হবে। বৃদ্ধি পাবে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সাথে আন্তঃসম্পর্কীয় যোগাযোগ ।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী চট্টগ্রামকে একটি অর্থনৈতিক হাব হিসেবে প্রস্তুুত করতে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াস রয়েছে বলে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনকে জানান।
তিনি চসিকের বর্তমান নাগরিক সেবা কার্যক্রম পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সড়ক-ফুটপাত অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত রেখে যান চলাচলের উপযোগী রাখায় চসিক প্রশাসকের আন্তরিক প্রয়াসে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
সেই সময় খোরশেদ আলম সুজন আগামীতে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের বিষয় উল্লেখ করে চট্টগ্রামকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এর অবকাঠামোগত ব্যপক পরিবর্তনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক ও কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে ভূমিকা গ্রহণে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সহযোগিতা কামান করেন।
সৌন্দর্য্যবর্ধন কার্যক্রমে আর্টিলারি সেন্টার ও বিজিবিকে পাশে চায় চসিক: সুজন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন হালিশহর আর্টিলারি সেন্টার ও বিজিবি হেড কোয়ার্টারের আমন্ত্রনে রোববার বিকালে সেন্টার কমান্ড্যান্ট ও রিজিয়ন কমান্ডারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
সাক্ষাতকালে বিজিবি দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার ফরিদ হাসান ও হালিশহর আর্টিলারি সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল রুশো আলাদাভাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসককে ফুলেল স্বাগত জানান।
সাক্ষাৎকালে হালিশহর আর্টিলারি সেন্টার ও বিজিবি হেড কোয়ার্টারের কমান্ড্যান্ট এবং কমান্ডার তাদের সেন্টার ও হেড কোয়াটারের পার্শ্বস্থ রাস্তা মেরামত করে সচল রাখা এবং সেন্টার ও রিজিয়নের অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানালে চসিক প্রশাসক সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনকারী এ দুই সংস্থার কার্যক্রম সুচারুভাবে পালনের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত যেকোন সাপোর্ট দেয়ার ব্যাপারে তার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।
প্রশাসক বিজিবি রিজিয়ন ও আর্টিলারি সেন্টার সংলগ্ন পিসি রোড ও রিজিয়ন ও আর্টিলারিগামী অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধনে তাদের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
তিনি বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামে সামরিক স্থাপনার আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। চসিক তার সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে যোগাযোগ অবকাঠামোগত যেকোন ধরণের সহায়তা প্রদানে বদ্ধপরিকর।
এসময় হালিশহর আর্টিলারি সেন্টারের কমান্ড্যান্ট, বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ পিএসসি,প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেমসহ আর্টিলারি সেন্টার ও বিজিবি দক্ষিণপূর্ব রিজিয়নের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর সাগরিকা রোডে অভিযান চালিয়ে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছেন।
আজ রোববার (১ নভেম্বর) সকালে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস।
অভিযানে ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সড়ক, নালা ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার দায়ে মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে গিয়ে কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পাহাড়তলী ধানাধীন সাগরিকা রোডের সড়ক, ফুটপাত ও নালার উভয় পাশ অবৈধ দখলদারদের দখলে দেখতে পান। এইসব অবৈধদখলের মধ্যে বেশিভাগ ছিল লোহার স্ক্র্যাপ ও বড় বড় পাইপের দোকান।
ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধদখলে থাকা স্থাপনা দখলকারীদের নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে বিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে জানিয়ে দেয় সিটি কর্পোরেশন। এরপরও এসব স্থাপনা না সরানোয় অভিযান চালান চসিক ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়কে সহায়তা করেন।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে লোহাগাড়া উপজেলার ৬৭টি পূজা মন্ডপে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ৬৭টি পূজামন্ডপ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সুজিত পাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্রীনিবাস দাস সাগর, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা রিটু দাশ বাবলু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল কবির সেলিম, হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি গোপাল বড়ুয়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি শিবু রঞ্জন পাল, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার খোকন কান্তি নাথ, সহ-সভাপতি মাষ্টার প্রদীপ কুমার দাশ, প্রসেনজিৎ পাল, মাষ্টার অসীম দাশ, লোহাগাড়া উপজেলা জন্মাষ্টমী পরিষদের সভাপতি মাষ্টার রিটন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রাজিব কান্তি দাশ, বড়হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়ুয়া রোনা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রিদওয়ানুল হক সুজন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হুমায়ূন কবীর, যুবলীগ নেতা ইকবাল বাহাদূর, পদুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আকতার হোসেন ফরিদ, যুবলীগ নেতা হারুন, ইকবাল হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুম, ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম, এরশাদুর রহমান রিয়াদ, বার আউলিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমানুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও জামশেদ চৌধুরী প্রমূখ।
২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, রাজনীতিতে পদপদবী বড় বিষয় নয়, রাজনীতির সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মানুষের অস্থা ও ভালবাসা অর্জন করা।
তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রামের সন্তান। দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সংগঠনটির দফতর সম্পাদক পদ দিয়ে চট্টগ্রামের মানুষকে সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সরকার ও দল পরিচালনার জন্য চট্টগ্রামের মানুষের মূল্যায়ণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী রীগ আয়োজিত গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের আয়োজিত এ গণসংবর্ধনা প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, প্রিয় নেত্রী চট্টগ্রামকে মূল্যায়ন করে চট্টগ্রামের ৮ জনকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে স্থান দিয়েছেন। চট্টগ্রামের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, পদ-পদবী আমার কাছে মূখ্য নয়, আমি দলীয় কর্মী হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে পাশে থাকতে চাই। নেত্রী আমাকে প্রতিনিধিত্ব করার যে সুযোগ দিয়েছেন আমি চট্টগ্রামবাসীদের সহযোগীতা নিয়ে সে গুরু দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে চাই।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, কর্মজীবনে আমি সাংবাদিকতা করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলাম। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রোগ্রাম প্রডিউসার ছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কারণে বিএনপি আমাকে চাকুরিচ্যুত করে।
পরে আমি লন্ডনে গিয়েছি। আমার সঙ্গে অনেকে লন্ডনে গিয়েছেন। তারা সেখানের নাগরিকত্ব নিয়ে থেকে গেছেন। আমি যে সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে লন্ডনে গিয়েছিলাম সেই পাসপোর্ট নিয়ে ফেরত এসেছি।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগের নানা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, জনগণের আস্থা অর্জনে আওয়ামী লীগ সফল হয়েছে। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। কেউ যেন উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক।
সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এর আগে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াকে বরণ করে নিতে বুধবার সকাল থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল সহকারে চট্টগ্রাম নগর ও বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন রেল স্টেশন চত্ত্বরে।
সমাবেশ উপলক্ষে সিটি কলেজ, মহসিন কলেজ, বাকলিয়া কলেজসহ নগরীর ৪৩ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পরিবহনযোগে ও হেঁটে অসংখ্য নেতা-কর্মী, চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তি, পেশাজীবী ও সাধারণ জনগণ এই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন।
পুরো রেলস্টেশন জুড়ে জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত ছিলো। দুপর দেড়টার মধ্যেই নেতা কর্মীদের ভিড়ে ভরপুর হয়ে যায় রেলস্টেশনের সংবর্ধনাস্থল ও আশপাশের এলাকা। দুপুর ২টার কিছু পরে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে নামার পর নবনির্বাচিত নেতা বিপ্লব বড়ুয়া ও প্রধানমন্ত্রীর নামে স্লোগানের ঝড় তুলেন আগত নেতাকর্মীরা।
ফুলের মালা গলায় পড়িয়ে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াকে বরণ করে নেন চট্টগ্রামের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা। পরে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত গণসংবর্ধনা সভায় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে আগামি ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদকে ভোট দিয়ে জয়ী করার আহ্বান জানান বিপ্লব বড়ুয়া।
এর আগে বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী।
এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ রশিদ, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাতকানিয়া পৌর মেয়র ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জোবায়ের, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের নব গঠিত কমিটিতে পদোন্নতি পেয়েছেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এর আগের কমিটিতে উপ দপ্তর সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করলেও নতুন কমিটিতে তাকে দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের শেষ দিনে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তিনি আগামী তিন বছরের জন্য দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলের উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে ভুমিকা রাখবেন।
আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক থাকাকালে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারের উপ সচিব পদমর্যাদায় গ্রেড-৫ ভুক্ত হন।
এর আগে আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের শেষ দিনে নবম বারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। এসময় সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য পীযুষ ভট্টাচার্য তা সমর্থন করলে পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়।
এরপর জাহাঙ্গীর কবির নানক ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন। সমর্থন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। টানা দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদটিও ধরে রাখলেন ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর এতে যোগ দিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করে দলের নেতা নির্বাচন করছেন। নতুন কমিটিতে নির্বাচিত নেতারাই আগামী তিন বছর দলটির নেতৃত্ব দিবেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রামের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সরোয়ার আমিন বাবু, কামাল উদ্দিন খোকন, এস এম রানা, ওমর ফারুক, ইফতেখার ফয়সাল, জয়া শর্মা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি বিপ্লব বড়ুয়াকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে। স্বাধীন-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমাদের এক থাকতে হবে। সবাই যে আমার দল করবেন-সেটা আমি প্রত্যাশা করি না। আপনারা যে দলই করুন, যে মতাদর্শের হোন না কেন, আপনারা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাত করবেন না। কোন ব্যক্তির হয়ে পক্ষপাত করবেন না। এতে আপনারা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি, অনেক বড় বড় সাংবাদিক দলের প্রতি অন্ধ হয়ে পড়েন। আমি যদি ভুল করি, আর ভুল থেকে যদি শিক্ষা গ্রহণ না করি, তাহলে আমি নিজেকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো না। আমার ভুল করার প্রক্রিয়াটা আপনাদের দেখিয়ে দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, গণমাধ্যমে কাজের জায়গাটা আগের চেয়ে অনেক বড় হচ্ছে। আজকে অনলাইন পোর্টাল আছে দুই হাজারের উপরে, ৪০টি টিভি চ্যানেল রয়েছে, পত্রিকার সংখ্যা ১২ শতেরও বেশি। মিডিয়া যত বেশি হবে, ততোই সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার জায়গা অনেক বেশি তৈরি হবে। মিডিয়ার ভয়ে অনেকে অন্যায় করতে ভয় পায়।
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, অন্য মতকে হয়তো আমি পছন্দ করবো না। কিন্তু অন্যের মত শোনার মত সহনশীলতা আমার মধ্যে থাকতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা মেনে চলি। আপনারা নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক, ঘনিষ্ট সম্পর্ক বজায় রাখবেন। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে অন্য পেশার মানুষজন আপনাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী হবে।
লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ার সন্তান বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, গ্রামের প্রতি আমার টান রয়েছে। ঘরের মানুষ, পাড়ার মানুষের খোঁজখবর নিতে ও রাজনৈতিক কারণে গ্রামে যেতে হয় প্রায়ই। আমরা যে যেখানে আছি, আমরা যদি আমাদের পরিবার, সমাজ এবং আমাদের আশপাশের মানুষের প্রতি দায়িত্বটুকু পালন করি, তাহলে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, অসম্ভব কিছু নয়। আমাদের সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই বোধ, উপলব্ধি থেকে যদি আমাদের গ্রামে যেতে হবে। কারণ আমাদের শিকড় তো সেখানে।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সমস্যা নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এসব বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, এলাকার জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের নিয়ে আসা যায়। এর ফলে এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধান হবে বলেও মত দেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।