Tag: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

  • লক্ষ্মীপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত

    লক্ষ্মীপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত

    লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।

    ইসি সচিব বলেন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ফলাফলের গেজেট স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনে আছে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ইসি প্রকাশিত গেজেট স্থগিত রেখে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবে। সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে তদন্ত প্রতিবেদনে ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসি নির্বাচন বাতিল বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করতে পারে।

    জাহাংগীর আলম বলেন, গণমাধ্যমে লক্ষীপুরের একটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ভোট কেন্দ্রের কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। ইসি সেটির বিশ্লেষণ করেছে। এটার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। সরেজমিন তদন্তের পর তারা যে প্রতিবেদন দেবে, তারপরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

    এর আগে, রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে একের পর এক সিল মারছেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, যিনি সিল মেরেছেন তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ। পরে বিষয়টি ইসির নজরে আসে।

    লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ রাকিব হোসেন, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. সামছুল করিম ও আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন। ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের ৮২৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

    নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু এক লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। ভোট পড়ে ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৬ ভোট।

    আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহজাহান আলম ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। এ উপনির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ‘ওপেন ভোট’ নেওয়ার পাশাপাশি ‘জাল ভোট’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে জবাই করে হত্যা

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে জবাই করে হত্যা

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

    মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার (৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিন (৭)।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাড়ির মালিক শাহ আলম সৌদি আরব থাকেন। বাড়িতে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে বসবাস করতেন। সকালে কাজের মহিলা এসে দেখেন বিল্ডিংয়ের গেইট লাগানো। অনেক ডাকাডাকি করলেও গেইট খুলছিল না। পরে বাড়ির অন্যান্য লোকজনকে নিয়ে চেষ্টা করে গেইট খুলে সবাই ভেতরে ঢুকেন। ভেতরে গিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেতে ও বাথরুমে শাহ আলমের স্ত্রী ও দুই সন্তানের গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে।

    তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম এই ঘটনায় রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে। এখনো সন্দেহজনকভাবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার আর নেই

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার আর নেই

    সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    শনিবার ভোর ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আব্দুস সাত্তার ভূঞার একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান তুষার। তিনি বলেন, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শনিবার ভোর ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    মাইনুল হাসান তুষার বলেন, বাবার প্রথম নামাজে জানাজা সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। পরে সেখান থেকে মরদেহ তার নির্বাচনী এলাকা সরাইলে নেওয়া হবে।

    আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের সংসারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন দীর্ঘদিন।

    আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন এ নেতা।

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশি বাধায় পণ্ড যুবদলের আনন্দ মিছিল

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশি বাধায় পণ্ড যুবদলের আনন্দ মিছিল

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা ও পৌর যুবদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটির আনন্দ মিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। আজ সোমবার উপজেলা সদরের অনন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কসবা উপজেলা ও পৌর যুবদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় নেতাকর্মী নিয়ে আজ সকালে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুল হক ভুঁইয়া। মিছিলটি অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এতে মিছিলটি পণ্ড হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল হক ইমুকে আটক করেছে।

    কসবা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘নতুন কমিটি গঠন করায় আমরা নেতাকর্মী নিয়ে আনন্দ মিছিল বের করি। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, ‘এ সময় পুলিশের হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’

    এ বিষয়ে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অরূপ পাল বলেন, ‘সংঘর্ষে কেউ আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে এমন তথ্য জানা নেই।’

    কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভুঁইয়া জানান, অনুমতি ছাড়াই তারা একটি মিছিল বের করে। এ ছাড়া যুবদলের পদধারী ও পদ বঞ্চিতদের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বাধা দিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। একজনকে আটক করা হয়েছে।’

    এন-কে

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসতঘরের খাটের নিচেই মিলল ভাই-বোনের লাশ/পলাতক মামা!

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসতঘরের খাটের নিচেই মিলল ভাই-বোনের লাশ/পলাতক মামা!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলার খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতেই মিলল দুই ভাই-বোনের লাশ। উপজেলার তিতাস নদীর পূর্ব পার্শ্বে ছলিমাবাদ গ্রামের প্রবাসী মোস্তফা মিয়ার বসত ঘরের খাটের নীচ থেকে এ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।

    নিহত দুজন হচ্ছে শিপা আক্তার (১৪) ও কামরুল হাসান (১০)। তারা সলিমাবাদ গ্রামের সৌদি আরব ফেরত মোস্তফা মিয়ার সন্তান। এদের মধ্যে শিপা বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ও কামরুল সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র বলে জানা গেছে।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৪ আগষ্ট সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদেরকে না পেয়ে বাবা মা খোঁজাখুজি করতে থাকে। মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম ঘরে রক্ত দেখে খাটের নীচে চোখ রাখতেই মেয়ে এবং ছেলের লাশ দেখতে পায় ।

    বাঞ্ছারামপুর থানার পুলিশকে জানানোর পর ঘরের খাটের নীচ থেকে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র কামরুল হাসান(১০) ও তার বোন ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী শিপা আক্তার (১৪) কে উদ্ধার করে পুলিশ। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।

    এদিকে ঘটনার পর থেকে নিহতদের মামা পলাতক রয়েছেন। কেন মামা পলাতক এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

    এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, দুই ভাই-বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই নিহত

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই নিহত

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আসামির ছুরিকাঘাতে আমির হোসেন (৩৫) নামে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত আমির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দিয়ারচর গ্রামের মোনতাজ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত মণি শঙ্কর চাকমা নামে থানার আরেক এএসআইকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    পুলিশ জানায়, একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে মামুন মিয়াকে ধরতে সহকর্মী মণি শঙ্করকে নিয়ে অভিযানে যান এসএসআই আমির। চান্দপুর বাজার এলাকায় মামুনকে ধরতে গেলে তিনি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমির ও মণি শঙ্করের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আমিরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ বি এম মুসা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই এএসআই আমিরের মৃত্যু হয়েছে। তার বুকের দুই পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভেতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই আমিরের মৃত্যু হয়েছে।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, হঠাৎ করে আসামি মামুন এএসআই আমিরকে ছুরিকাঘাত করেছে। এতে এএসআই আমিরের মৃত্যু হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ জেলা অডিটর গ্রেফতার

    ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ জেলা অডিটর গ্রেফতার

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটরসহ ৪ জনকে ঘুষের টাকা লেনদেনের সময় আটক করেছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টিলিজেন্স (এনএসআই)।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে তাদেরকে টাকা সমেত আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, রাজস্ব শাখার অডিটর কুতুব উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৪র্থ শ্রেণির কর্মী আব্দুল হাই, নজরুল ইসলাম ও হুমায়ুন।

    সূত্র জানায়, ঘুষের ৫ লাখ টাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৩ জন কর্মী ট্রেজারি অফিসে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের এনএসআই এর কর্মকর্তারা আটক করে। পরে তাদের ৪ জনকে টাকাসহ সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এনএসআই এর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন টাকাসহ তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম উদ্দিন জানান, এটি দুদক তদন্ত করবে। এটি তাদের এখতিয়ার।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাষ্টার রোলে কর্মরত ৬৩ জন কর্মীর ১ কোটি ৭ লাখ টাকার বিল আসে। এরআগে ৬০ লাখ টাকার উপরে টাকা নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্বের বেতন ভাতার মোট ১ কোটি ৭ লাখ পেতে অডিট অফিসের সাথে চুক্তি করে। প্রথম দফায় ৬৪ লাখ টাকা নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বাকী ৪৩ লাখ টাকার বিল করা হয়েছিল। এ টাকা নিতে পারশ্রমিক হিসেবে সওজের কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দেয়া হয়। এ টাকাসহ তাদের এনএসআই আটক করে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নাসিরনগরে ধান মাড়াই নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ৬৫

    নাসিরনগরে ধান মাড়াই নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ৬৫

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে করোনার বিরাজমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বকে লংঘন করে ধান মাড়াই করা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৬৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় গোকর্ণ ইউনিয়নের ডিঘর ও সূচীউড়ার তিতাস নদীর পাড়ে ফারুক মিয়া ধান মাড়াই করছিল।

    সে সময় কামাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি ধান মাড়াইয়ের উপর একটি ছোট ট্রাক উঠিয়ে দেয়। এসময় ফারুক মিয়া বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

    খবর পেয়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। ৪ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কামালের পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয়। তখন শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ।

    এসময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৬৫ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

    রাত ১০টার পর থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালে উভয় পক্ষকে চিকিৎসা দেয় হয়।

    গোকর্ণ ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংর্ঘষ হয়। উভয়পক্ষের আহতদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।

    নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান বলেন, করোনার ভয়ে মানুষ যখন ঘরে, তখন নাসিরনগরে প্রতিদিনই ঘটছে ঝগড়ার ঘটনা। যা খুবই দুঃখজনক। এতে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৬৫ জন আহত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।

  • পা কেটে উল্লাস : দুই আ’লীগ নেতা গ্রেফতার

    পা কেটে উল্লাস : দুই আ’লীগ নেতা গ্রেফতার

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে গতকাল রোববার ঘটে যাওয়া দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান ও অপর গ্রুপের দলনেতা কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা কাউসার মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা ৪২ জন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন।

    পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সংঘর্ষের ঘটনার মূলহোতা কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে সোমবার ভোরে ঢাকার কলাবাগান থেকে ও থানাকান্দি গ্রামের কাউছার মোল্লাকে রোববার গভীর রাতে আশুগঞ্জের বায়েরক গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় ওই দুজনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন যুগ ধরে চলা এই বিরোধের নেতৃত্বে ছিলেন ওই গ্রামের আবু মেম্বার ও মোসলেম মেম্বার। বাধ্যর্কজনিত কারণে তারা নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর আবু মেম্বারের দলের নেতৃত্ব আসেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান আর মোসলেম মেম্বারের দলের নেতৃত্বে আসেন থানাকান্দি গ্রামের সর্দার কাউসার মোল্লা। তাদের বিরোধের কারণে গত কয়েক বছরে ৪ জন খুন হয়েছে, আরো বিভিন্ন ঘটনায় মারা গেছে ৫ জন। আহত হয়েছেন হাজারো মানুষ। ওই গ্রামে এমন কোনো বাড়ি ঘড় নেই যে বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেনি।

    দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ওই বিরোধের জের ধরে রোববার উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার (৪৫) এক পা কেটে নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা।

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস-মাইক্রোর সংঘর্ষে ৬ জন নিহত

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস-মাইক্রোর সংঘর্ষে ৬ জন নিহত

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার রামপুর এলাকায় বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চার জন।

    বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) দিনগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঢাকাগামী লিমন পরিবহন ও সিলেটগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সোহান (২০), সাগর (২২), রিফাত (১৬) ও ইমন (১৯)। আহতরা হলেন- শাহিন (৩০), বিজয় (১৯), আবীর (১৯) ও জিসান (২৪)।

    দুর্ঘটনার পর বাসটি আটক করে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এলাকাবাসী। দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ খাটিয়ার হাইওয়ে থানার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, মাইক্রোবাসের গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ার কারণে ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

    খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রেমধন মজুমদার জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের পর মাইক্রোতে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোর ছয় যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরও চারজন।

    তিনি আরও জানান, সুনামগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। আর মাইক্রোটি সিলেটে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় বাসটি খাদে পড়ে গেলেও বাসের কোনো যাত্রী তেমন আহত হননি।

     

  • অটো ব্রেকে ইট দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন তূর্ণার চালক ও সহকারী!

    অটো ব্রেকে ইট দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন তূর্ণার চালক ও সহকারী!

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা। তূর্ণা নিশীথার চালক (লোকোমাস্টার) তাহের উদ্দিন ও সহকারী অপু-দের গাফিলতির কারণে এ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হন।

    হতাহতের ঘটনায় তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের লোকোমাস্টার তাহের উদ্দিন, সহকারী লোকোমাস্টার অপু-দে ও গার্ড আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

    রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন ওই দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তূর্ণার দায়িত্বরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি চালক ও সহকারী অটো ব্রেকে ইট দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।

    তিনি বলেন, ট্রেন অটো ব্রেক সিস্টেমে চলে। ট্রেন তখনই চলে যখন ওই ব্রেক সিস্টেমে পা বা অন্য কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়। ব্রেকে চাপ না দিলে ট্রেন চলে না। তূর্ণার চালক ও সহকারী ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় পৌঁছার আগেই ব্রেকে ইট দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

    তিনি জানান, তূর্ণা নিশীথা বিরতিহীন ট্রেন। মন্দবাগে দুই ট্রেনের ক্রসিংয়ের সময় সিগন্যাল পেয়ে উদয়ন মেইন লাইন থেকে লুপ লাইনে প্রবেশ করছিল। ট্রেনের নয়টি বগি লুপ লাইনে চলে যাওয়ার পর দশম বগিতে আঘাত করে তূর্ণা নিশীথা। অথচ তূর্ণাকে সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল।

    রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সবগুলো বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করছি। তদন্তের আগে কিছু বলা যাবে না। ইতোমধ্যে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে ওই তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

  • ট্রেন দুর্ঘটনা দেখতে এসে পেলেন চাচা-চাচির লাশ

    ট্রেন দুর্ঘটনা দেখতে এসে পেলেন চাচা-চাচির লাশ

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুর্ঘটনা কবলিত আন্তনগর তূর্ণা নিশীথা ও আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের নিহতদের দেখতে এসেছিলেন উৎসুক জনতা হয়ে, সেখানে এসে পেলেন নিজের চাচা ও চাচির লাশ। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকার মো. শাহাদতের সঙ্গে।

    শাহাদৎ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগ এলাকায় তিনি ফার্নিচার তৈরির কাজ করেন। কাছেই মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ঘটনার ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করতে। এরপর সেখান থেকে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন নিহতদের লাশ দেখতে। এসে সেখানে বারান্দায় নিজের চাচা মজিবুর রহমান (৫০) ও চাচি কুলসুমের (৪৩ )লাশ দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।

    তিনি আরও জানান, তার চাচা মজিবুর রহমান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ব্যবসা করতেন। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে তিনি ও তার স্ত্রী চাঁদপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এদিকে সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাকে ফোন করেন তার চাচাতো ভাই কিন্তু সে তাকে কিছু বলতে পারেনি।

    এর আগে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তনগর তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৭ জন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হন।