Tag: ভবন ধস

  • চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ২ ভবন

    চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ২ ভবন

    চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীতে দুটি তিন তলা ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

    মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিস।

    আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার উদয়ন চাকমা বলেন, দুটি বাড়ি সামান্য হেলে গেছে। তবে বাড়ির গায়ে কোনো ফাটল নেই। সকাল থেকে সিটি করপোরেশন এলাকার পাহাড়তলী সরাইপাড়ায় ড্রেনের কাজ চলছিল। এ সময় হঠাৎ ওই তিন তলা ভবনটি হেলে পড়ে। এ ঘটনার পরই ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।

    এর আগে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে নগরীর পশ্চিম শহীদ নগরের তৈয়াবিয়া হাউজিং এলাকায় একটি চারতলা ভবন পাশের ছয়তলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছিল। অবশ্য এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঝুঁকি এড়াতে এই দুটিসহ পাশের আরও একটি ভবন থেকে সব বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ।

  • মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে নিহত ৩, ভবনের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি

    মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে নিহত ৩, ভবনের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি

    মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিনজনই শ্রমিক। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

    ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

    বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

    পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

    ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

    তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

    তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

    যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

    এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

    এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

    অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

    তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’