Tag: ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

  • বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম আবরার, উত্তীর্ণ আরও ১৬ আবরার

    বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম আবরার, উত্তীর্ণ আরও ১৬ আবরার

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার হত্যার রেশ কাটেনি এখনও। এরমধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসলো বুয়েটের আরেক আবরার। তার পুরো নাম কাজী আবরার মাহমুদ।

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১৯-২০ সেশনের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে।

    জানা গেছে, কাজী আবরার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় সে স্থাপত্য অনুষদে মেধা তালিকায় (সম্মিলিত) শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে।

    বুয়েটের সদ্য প্রকাশিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, এবছর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৭ জন আবরার রয়েছেন। এদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১৫ জন, আর অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন দুজন। পুরো নাম ভিন্ন হলেও নামের সাথে আবরার শব্দটা আছে প্রত্যেকেরই।

    বিষয়টি ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়াফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

    এছাড়াও যারা মেধাতালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন-

    আবরার আল শহীদ আবির (৬৬তম), আবরার মো. মাহির (৮২তম), আবরার মাহমুদ (১৯৩তম), কাজী আবরার মাহমুদ (২৪২তম), মো. আবরার জাহিন (২৯২তম), আবরার ফাইয়াজ ইরাম (৩০১তম), আবরার জাহিন নিলয় (৩১৪তম), মো. আবরার জাহিন চৌধুরী (৩৪৫), আবরার মিশকাত (৪৭৮তম), আবরার আহমেদ (৬৭০তম), আবরার ফাইয়াজ মাহবুব নাশিক (৭৪৮তম), আবরার হামিম মাসিহ (৮৪৭তম), মোস্তফা আবরার মাহির (৯১৪তম), আবরার বিন সালাহ উদ্দিন (৯৩০তম)।

    অপেক্ষমাণ তালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন- মো. মাহির আবরার খান (১০৫৪তম), আবরার আবদুল্লাহ দিয়াম (১০৭২তম)।

    বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় স্থাপত্য বিভাগ এবং প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্থাপত্য বিভাগের প্রথম মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ৫৪ জন। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রথম দফায় ও ২৭ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় তাদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি হওয়ার শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর।

    প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রথম মেধা তালিকায় ১ হাজার ৪ জনকে রাখা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ও ২৭ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় তাদেরকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। ভর্তি হওয়ার শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর।

    উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর এক পর্যায়ে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে যথাসময়েই ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে বুয়েট প্রশাসন। ক্ষোভ ও শোকের পরিস্থিতির মধ্যেই ১৪ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বুয়েটে ১২টি বিভাগে ১ হাজার ৬০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিল ১২ হাজার ১৬১ জন। দুই শিফটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন পরীক্ষার্থীরা।

    প্রসঙ্গত, ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়ার জেরেবুয়েটের মেধাবীছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।সেই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয় বুয়েটসহ সারা দেশ।

  • বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

    বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

    চলতি শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) স্নাতক শ্রেণির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।

    শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ হয়।

    এর আগে ১৪ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে অনেকটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল এই পরীক্ষা।

    এ বছর বুয়েটে ৫টি অনুষদ ও ১২টি বিভাগের বিপরীতে ভর্তির জন্য ১৬ হাজার ২৮৮টি আবেদন পড়েছিল। তার মধ্যে থেকে ১২ হাজার ১৬১ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন।

    এর মধ্যে ৮ হাজার ৮৯৬ জন ছাত্র ও ৩ হাজার ২৬৫ জন ছাত্রী। যোগ্য প্রার্থীদের ৯০ শতাংশ পরীক্ষায় অংশ নেয়।

    ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের মাধ্যমে মেধা অনুযায়ী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন ১ হাজার ৬০ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৫ জন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ও ৫৫ জন আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তি হতে পারবেন।

    প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা এসব শিক্ষার্থীকে আগামী ৬ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১৩ নভেম্বর বিকাল সাড়ে চারটার মধ্যে বুয়েটের ওয়েবসাইটে (www.buet.ac.bd) বিভাগ নির্বাচন বা পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে।

    এরপর ২০ নভেম্বর ওই ওয়েবসাইটেই বিভাগ নির্বাচন তালিকা প্রকাশ করবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

    ভর্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের দলিলাদি মূল্যায়ন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় বুয়েটের পুরকৌশল ভবনের দ্বিতীয় তলার সেমিনার কক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার মূল সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের সত্যায়িত কপি, প্রার্থীর পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি ইত্যাদি নিয়ে উপস্থিত হতে হবে।

    একই সময়ে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের সেখানে শুধু উপস্থিত থাকতে হবে।

    প্রকৌশল বিষয়ক বিভিন্ন বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের দলিলাদি মূল্যায়ন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫ নভেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরকৌশল ভবনের দ্বিতীয় তলার সেমিনার কক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার মূল সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের সত্যায়িত কপি, প্রার্থীর পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি ইত্যাদি নিয়ে উপস্থিত হতে হবে।

    দলিলাদি জমা দেয়ার পর ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের পাঠানো হবে বুয়েটের চিকিৎসাকেন্দ্রে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কারও হৃদ্‌রোগ, দৃষ্টি কিংবা শ্রবণ শক্তির ত্রুটি, কোনো সংক্রামক রোগ অথবা শারীরিক বা মানসিক কোনো অক্ষমতা ধরা পড়লে তাকে ভর্তির অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হবে। এই পরীক্ষার জন্য প্রার্থীকে ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে।

    স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২৭ নভেম্বর বেলা ২টা থেকে ৫টার মধ্যে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল অনুষদের ডিন কার্যালয় থেকে ভর্তির কাগজ সংগ্রহ করতে হবে।

    প্রকৌশল বিষয়ক বিভিন্ন বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ভর্তির জন্য ৭ হাজার ১৫০ টাকা আর স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য ৭ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারিত ফরমে সোনালী ব্যাংকের বুয়েট শাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দিতে হবে। টাকা জমা দেয়ার পর সেদিনই ব্যাংকের প্রাপ্তি ফরমের অংশ ফটোকপি করে বুয়েটের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ভর্তি শাখায় জমা দিতে হবে।

    ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে। এরপর ১৫ ডিসেম্বর বুয়েটের ওয়েবসাইটে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তিসংক্রান্ত নোটিশ দেয়া হবে।

  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

    মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

    সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে (২০১৯-২০) ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এই ফল ঘোষণা করেন।

    এ সময় স্বাস্থ্য সচিব, বিএমএ সভাপতি ও বিএমডিসির সভাপতিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় সাড়ে ১০ হাজার আসনের বিপরীতে এবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪১৩ জন।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ফল প্রকাশকালে মহাপরিচালক জানান, উত্তীর্ণ সবার মোবাইল নম্বরে ফলাফলের তথ্য পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে ওয়েবসাইটেও ফল জানা যাবে।

    জানা গেছে, এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪১৩ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছেলে ২২ হাজার ৮৮২ জন (৪৬.১৩ শতাংশ) এবং ছেলে ২৬ হাজার ৫৩১ জন (৫৩.৬৯ শতাংশ)।

    উল্লেখ্য, ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৬৮টি। আর বেসরকারি ৭০টি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ছয় হাজার ৩৩৯টি। উত্তীর্ণরা মেধাক্রম অনুসারে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন। বাকিরা বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।