Tag: ভাইরাল

  • পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি এমপি মোস্তাফিজের, অডিও ভাইরাল

    পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি এমপি মোস্তাফিজের, অডিও ভাইরাল

    নিজের লোকদের গ্রেপ্তার করলে পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। একই সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের ‘গায়ে হাত’ না দেওয়ার নির্দেশ দেন এমপি। এমপির এসব কথার জবাবে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা যায় বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদকে।

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর কথোপকথনের অডিওটি গতকাল বৃহস্পতিবারের বলে জানা গেছে। যেটি আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

    ওই অডিওটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

    এমপি মোস্তাফিজ: আপনি কি বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছেন?
    ওসি: স্যার কোথায়, স্যার?

    এমপি মোস্তাফিজ: ছনুয়া (বাঁশখালী), পুলিশের হাফিজ গেছে…
    ওসি: না না। স্যার, ও তো এখন নেই। ও থাকে ২টা পর্যন্ত। ও তো চলে আসছে স্যার।

    এমপি মোস্তাফিজ: কী জন্য গেছে?
    ওসি: ওইটা তো আমাদের নিয়মিত ডিউটি করার জন্য, প্রত্যেক বিটে বিটে একটা করে…

    এমপি মোস্তাফিজ: আমার কোনো লোককে যদি হাত দেয়…হাত কেটে ফেলব কিন্তু। এটি বলে দিলাম…
    ওসি: হাত দিবে না স্যার, দিবে না স্যার। আমি এখনই বলে দিচ্ছি।

    এমপি মোস্তাফিজ: ওইখানে নাকি আমাদের লোক ধরার জন্য হাফিজ গেছে…। আমাদের আলমগীর একটা আছে, ওনাকে খুঁজতেছে।
    ওসি: ও তো নাই স্যার। চলে আসছে তো স্যার অনেক আগে।
    এমপি মোস্তাফিজ: এমনি ঘুরেফিরে থাক। অসুবিধা নেই। আমার কোনো লোকজনের ওপর হাত দিলে, বহুত অসুবিধা হবে।

    ওসি: অবশ্যই স্যার। আপনি যেভাবে বলবেন, ওইভাবে হবে। প্রশ্নই আসে না, হাত দিবে না স্যার।
    এমপি মোস্তাফিজ: আপনি তো আমার ঘরেও পুলিশ পাঠিয়েছেন।

    ওসি: ওই দিন তো স্যার আপনার সঙ্গে কথা বললাম। পুলিশ পাঠাইনি স্যার। ওই…ওরা আপনার বাড়িতে এমনি নিয়মিত টহল দিতে গেছে। তা-ও সাদাপোশাকে, যাতে কেউ চিনতে না পারে। বিষয়টি স্যার আপনাকে ডিটেইলস বলছি। আরও আমি আপনার সম্মান বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করেছি। সাদাপোশাকে পুলিশ পাঠিয়েছি। কাউকে ধরার জন্য যায়নি স্যার।
    এমপি মোস্তাফিজ: চাম্বলের মুজিবের (পিটার হাসকে হুমকি দেওয়া) ওপরও যেন কোনো কিছু না হয়।

    ওসি: হবে না স্যার, হবে না। ইনশা আল্লাহ…

    অডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বিস্মিত হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘ওইটি সত্যিই আপনার কাছে আছে! যদি থাকে, তাহলে যাঁদের থেকে পেয়েছেন, তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করেন। পরে ওসি এই প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান, অডিওটি কার কাছ থেকে পেয়েছেন।’

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী চুপ করে থাকেন, পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। পুলিশকে এভাবে বলার অধিকার কারও নাই। আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

    এর আগে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের মারধর করে আলোচনায় এসেছিলেন। তারও আগে মিছিলে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করেছিলেন। বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মাঠে নির্বাচনী জনসভায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল মোস্তফা চৌধুরীকেও হুমকি দেন মোস্তাফিজ।

    গত ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হারুন মোল্লা বাদী হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলাও করেন। এজাহারে মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের পেটানোর অভিযোগ আনা হয়।

    এ ছাড়া গত ২২ ডিসেম্বর এমপি মোস্তাফিজ বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন। এই অপরাধে বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। সেটির তদন্তও চলছে।

    তা ছাড়া চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীকে পেটানো, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে গালি দেওয়ার ভিডিও ভাইরালসহ নানামুখী ঘটনা ঘটানোর কারণে আলোচিত মোস্তাফিজ।

  • প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরা ও সেলাই করার ছবি ভাইরাল

    প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরা ও সেলাই করার ছবি ভাইরাল

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাধারণ আটপৌরে বাঙালি নারীর বেশে সেলাই মেশিন চালাতে দেখা যাচ্ছে, আরেকটি ছবিতে লেকের পাড়ে একটি মাছ আটকে থাকা বড়শি হাতে।

    শনিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর সেই লেকের পাড়ে প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরা এবং তার সেলাই মেশিন চালানোর ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

    করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে প্রাত্যহিক জীবনে কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে সংসদে প্রশ্নোত্তরে সকালে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির পাশাপাশি কাজের ফাঁকে গণভবনের লেকে বড়শি ফেলে মাছ ধরার কথা বলেছিলেন তিনি।

    আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা নিজেদের ফেইসবুকে ছবিগুলো শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ জীবনযাপনের কথা তুলে ধরেন।

    আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজেও ছবি দুটো শেয়ার করা হয়েছে। ওই পোস্ট শেয়ার করে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বহু মানুষ।

    প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তার ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে ছবি দুটো শেয়ার করে লিখেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তিনি দেশের ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করেছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমকে আশ্রয় দিয়েছেন, এর মাঝেও তিনি রান্না করা, মাছ ধরা ও সেলাই করার সময় পান।”

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরার ছবি তার ফেইসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, “ক্যাপশন দেবার মতো বিদ্যা আমার নেই।”

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধানমন্ত্রীর দুটি ছবিই ফেইসবুকে দিয়ে লিখেছেন, “সাধারণ বাঙালি নারী আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। নানা ব্যস্ততার মাঝে তিনি অবসর পেলেই সেলাই করেন কাপড় আর মাছ ধরতে যান গণভবনের পুকুরে।

    সব হারিয়ে দেশের জন্য সারা দিন কাজ করে যাওয়া এই অনন্য সাধারণ মানুষটির জন্য অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।”

    প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন প্রধানমন্ত্রীকে সাধারণের মাঝে অসাধারণ অভিহিত করে লিখেছেন, “…আমাদের মা চাচী খালাদের প্রতিকৃতি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

  • বাচ্চাদের ডায়াপার দিয়ে মাস্ক তৈরি করে ভাইরাল সানি লিয়ন!

    বাচ্চাদের ডায়াপার দিয়ে মাস্ক তৈরি করে ভাইরাল সানি লিয়ন!

    ২৪ ঘণ্টা বিনোদন ডেস্ক || মহামারি করোনা পরিস্থিতির হিংস্র থাবায় পুরো বিশ্ব আজ অসহায়। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে মাস্কসহ ভাইরাস প্রতিরোধক বিভিন্ন উপকরণ সংকট দেখা দিয়েছে।

    অনেক দেশে বেশি টাকা দিয়েও কোন দোকানে মিলছেনা মাস্ক। তবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী সানি লিয়ন তার ভক্তদেরকে শিখিয়ে দিচ্ছেন মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কিভাবে ঘরে বসে মাস্ক তৈরি করবেন।

    বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে
    এমনই ৫টা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যখন ৩০ সেকেন্ডে মাস্ক বানাতে হবে’। অর্থাৎ দ্রুত মাস্ক জোগাড়ের উপায় বাতলেছেন তিনি।

    ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে তিনি কখনও বাচ্চাদের ডায়াপারকে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করছেন আবার কখনও ওড়নার মতো কিছু দিয়ে মুখ ভালো করে ঢেকে নিয়েছেন।

    এগুলির সঙ্গে খেলার ছলে তাঁকে আবার স্পাইডারম্যানের মাস্ক পরতেও দেখা গিয়েছে।

    পাঁচটি ছবিতে সানি নানান ভাবে মুখাবরণ ব্যবহার করেছেন। আর প্রতিটি ছবির জন্য তিনি আলাদা আলাদা পোশাক ব্যবহার করেছেন। সানির এই ডায়াপারে মুখ ঢেকে তোলা ছবিটি বেশ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    সানির এই পোস্ট পাঁচ ঘণ্টাতেই প্রায় ছয় লাখ লাইক পেয়েছে। সেই সঙ্গে প্রচুর কমেন্ট ও শেয়ার পেয়েছে। অনেকে তার এমন বুদ্ধি ও মজাদার কাণ্ডকারখানার জন্য তারিফ করেছেন।

    তবে এই ধরনের মাস্ক করোনাভাইরাস সংক্রমণ আটকানোর ক্ষেত্রে কার্যকর কিনা তা জানা যায়নি বা সানিও এ বিষয়ে কোন তথ্য দেননি।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • করোনা : লকডাউনে গৃহবন্দি নায়িকা হিনা খান ক্লান্ত, কান্না ভাইরাল

    করোনা : লকডাউনে গৃহবন্দি নায়িকা হিনা খান ক্লান্ত, কান্না ভাইরাল

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। বিনোদন ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমনরোধে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই চলছে লকডাউন। অন্যান্য সকলের ন্যায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে সেলিব্রেটিরাও।

    তবে গৃহবন্দি থেকেও যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের সাথে তাদের নিজেদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন।

    কেউবা দিচ্ছেন মজার খবর আর কেউবা শেয়ার করছের কষ্টের কথা। এবার তেমনই এক কষ্টের কথা নিয়ে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী হিনা খান।

    তিনি জানিয়েছেন, করোনা সঙ্কটে কাজের বুয়া ছুটিতে থাকায় এবং বাইরের সকল কাজ বন্ধ হওয়ায় গৃহবন্দি মেয়েকে দিয়ে ঘরের কাজ করাচ্ছেন তার মা। তার মায়ের সকল কাজের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী।

    সম্প্রতি মজার একটি ভিডিও পোস্ট করছেন হিনা। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঘরের ডোরম্যাট ধুতে গিয়েই একেবারে নাজেহাল তিনি। চোখের জল, নাকের জল মিশে একাকার!

    লকডাউন অবস্থায় ঘর পরিষ্কার থেকে শুরু করে রান্না, বাসন মাজা সবই করছেন। আর ডোরম্যাট পরিষ্কার করতে গিয়ে কান্নারত নায়িকার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হতেই সেটি ভাইরাল হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • ভাইরাল “হ্যালো রোহান”র হোতা চিকিৎসক আদনান রিমান্ডে

    ভাইরাল “হ্যালো রোহান”র হোতা চিকিৎসক আদনান রিমান্ডে

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসে চট্টগ্রাম মেডিকেলে মৃত্যুর গুজব ছড়ানো ভাইরাল হওয়া অডিও “হ্যালো রোহান”র মূল হোতা চিকিৎসক ও যুবদল নেতা ইফতেখার মোহাম্মদ আদনানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    গত ২১ মার্চ শনিবার সন্ধায় নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিকিৎসক আদনানকে গ্রেফতারের পর পুলিশ ২২ মার্চ রবিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। মহানগর হাকিম আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমানের আদালত শুনানি শেষে ইফতেখার মোহাম্মদ আদনানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ে গুজব ছড়ানোর অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাঁচলাইশ থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চিকিৎসক ও যুবদল নেতা ইফতেখার মোহাম্মদ আদনানকে রবিবার দুপুরে আদালতে আনা হয়।

    জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আরো খবর : হ্যালো রোহান শিরোনামে গুজব সৃষ্টির নায়ক চিকিৎসক আদনান গ্রেফতার

    পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আতংককে পুঁজি করে জনমনে ভীতি তৈরি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে ডা. ইফতেখার আদনান করোনায় মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য সম্বলিত একটি অডিও ক্লিপ তৈরি করেন।

    পরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সেই অডিও ক্লিপ ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন। অডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ তদন্তে নামে।

    অবশেষে গত ২১ মার্চ শনিবার বিকেলে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চিকিৎসক আদনানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। একই দিন মধ্যরাতে পাঁচলাইশ থানায় পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

    ওই মামলায় চিকিৎসক ও যুবদল নেতা আদনানকে রবিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেইট মেয়র গলিতে চিকিৎসক আদনানের বসবাস। তিনি বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। ইউএসটিসি থেকে এমবিবিএস পাশ করে আদনান আবুল খায়ের গ্রুপ ও মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত ছিলেন।

    পুলিশ জানায়, গত ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩৫ সেকেন্ডের একটি অডিও ভাইরাল হয়। যেখানে টেলিফোনে রোহান নামে একজনকে সতর্ক করা হচ্ছিল। ওই অডিওতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ থেকে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • সীতাকুণ্ডে মাদক সেবনে ভাইরাল সেই ছাত্রলীগ নেতা টুটুল বহিস্কার

    সীতাকুণ্ডে মাদক সেবনে ভাইরাল সেই ছাত্রলীগ নেতা টুটুল বহিস্কার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক : সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সরওয়ার জাহান টুটুলের মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমান মিলেছে। প্রমাণ পাওয়ায় তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

    জানা যায়, চট্টগ্রাম উওর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভির হোসেন তপু ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম এর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমানে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে সরওয়ার জাহান টুটুলকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আরো খবর : ছাত্রলীগ নেতা টুটুলের মাদক সেবনের ছবি ভাইরাল

    উল্লেখ্য যে, টুটুলের মাদক সেবনের একটি ছবি গত সাপ্তাহে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। রুমে বসে মাদক সেবনের ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে।

    বিভিন্ন ব্যক্তি ছবিটি শেয়ার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলের প্রতি দাবী জানান। এরপর দলের পক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিষয়টি তদন্ত করলে তার সত্যতা মিলে।

    এদিকে অভিযুক্ত টুটুল বিষয়টি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন।

  • সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা টুটুলের মাদক সেবনের ছবি ভাইরাল

    সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা টুটুলের মাদক সেবনের ছবি ভাইরাল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সরওয়ার জাহান টুটুলের মাদক সেবনের একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।

    রুমে বসে মাদক সেবনের ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ছবিটি শেয়ার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম মন্তব্য লিখেছেন। এছাড়া সীতাকুণ্ডে বিভিন্ন মানুষের মুখে মুখে সরগরম হচ্ছে।

    সোমবার থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন মানুষের আইডিতে ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও উপজেলা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে।

    মাদক গ্রহণ করা প্রসঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী সরোয়ার জাহান টুটুলের কাছে জানতে চাইলে মাদক নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিটি আমার হলেও এটি এডিট করা হয়েছে। আর এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলকভাবে করা হয়েছে।

    এব্যাপারে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সায়েস্তা খান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, বিষয়টি অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন, বিষয়টি জেলা কমিটির। তারা ব্যবস্থা নিলে আমরা উপজেলা কমিটিও ব্যবস্থা নিবো।

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, টুটুলের মাদক সেবনের বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে দল ব্যবস্থা নেবে কারণ আমাদের দলে কোন মাদকসেবী ও গাঁজাসেবী ও বহনকারীর কোন স্থান নেই। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীও মাদকের ব্যাপারের জিরো টলারেন্স।

  • এবার দিনাজপুরের ডিসির বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ (ভিডিও)

    এবার দিনাজপুরের ডিসির বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ (ভিডিও)

    জামালপুরের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পর এবার নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে।

    ভিডিওবার্তায় এক নারী দাবি করেছেন, পরিচয় হওয়ার পর ডিসি মাহমুদুল আলম নানা প্রলোভনে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই ফাঁদে পা দিয়ে সংসার ভেঙেছে তার। ঘটনা প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ ওই নারীর। ভিডিওটি এরইমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

    ভাইরাল ভিডিওতে ওই নারী দাবি করেন, জামালপুরের ডিসির নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক। ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয় তাকে। এই তথ্যপ্রযুক্তি আর ডিজিটাল যুগে ডিসি এবং তার ফোন যাচাই করলে সব বেরিয়ে পড়বে বলেও ভিডিও বার্তায় দাবি করেন ওই নারী। এক পর্যায়ে তাকে বাঁচাতে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির দৃষ্টি কামনা করে কেঁদেও ফেলেন তিনি।

    তবে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলছেন, এঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করেছেন। তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

    জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ওই নারীর ভিডিওবার্তাটি ফেসবুকে ভাইরাল হয় মাস দেড়েক আগে। এর কয়েকদিন পর আরেকটি ভিডিওবার্তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি জেলা প্রশাসককে নির্দোষ দাবি করেন। স্বামী সেলিমের চাপের মুখে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ওই ভিডিওবার্তা ফেসবুকে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন। তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে খবর এলে বুধবার বিকালে ওই নারীর আরও একটি ভিডিওবার্তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি এঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়াকে দায়ী করেছেন। বলেছেন, তাকে চাপে ফেলে ডিসির বিরুদ্ধে ওই ভিডিওবার্তা ফেসবুকে তিনি ছেড়েছিলেন।

    দিনাজপুর শহরে ওই নারীর বাড়ি। তার বাবা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতয়ালীস্থ একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা। তার তিনটি সন্তানও রয়েছে। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে, তার মা সংবাদ প্রকাশের আগে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলেও এখন আর এবিষয়ে কথা বলছে চাইছেন না।

    সচেতন মহল বলছে, ডিসির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির ভিডিওবার্তা যদি মিথ্যা হয়, তবে কেন ওই নারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলেন না তিনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।

    এর আগে গত আগস্ট মাসে জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারী কর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারাদেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে আহমেদ কবীরকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।