Tag: ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার

  • চসিক মেয়রের সাথে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাত

    চসিক মেয়রের সাথে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাত

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার শ্রী অনিন্দ্য ব্যানার্জী।

    আজ বুধবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী নগর ভবনে তিনি সাক্ষাতে মিলিত হন।

    এসময় ওষুধ শিল্প, তৈরী পোশাক রফতানী শিল্প ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করণ শিল্প খাতে বাংলাদেশ বেশ ভাল অবস্থানে আছে বলে মন্তব্য করে অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ক্রম বিকাশমান এই খাতগুলো বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধিতে গতিশীলতা এনেছে।

    তিনি বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন শিল্প দৃশ্যমান। এই খাতে ধারাবাহিক উন্নয়ন দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত ও সমৃদ্ধ করবে।

    তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে রিজিওনাল কোনেক্টিভিটি সংযুক্ত হলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই উপকৃত হবে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত টিআইসি স্থাপনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ছোট্ট পরিসরের হলেও এই নাট্যভূমি ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রটি অত্যাধুনিক ও নান্দনিক স্থাপনা। আমি সেখানে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছি। এর আধুনিকায়ন ও সরঞ্জাম সংযোজনে ভারত দু’কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।

    তিনি কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, অনেকেই আশংকা করেছিলেন কোভিড-১৯ সংক্রামন ছোবলে বাংলাদেশের অবস্থা ভয়াবহ হবে। বাংলাদেশ একটি ঘন বসতিপূর্ণ দেশ।

    বিশ্বের অনেক উন্নত ও ক্ষমতাধর দেশের চেয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমন ও মৃত্যুর হার বাংলাদেশে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। বাংলদেশ দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। তিনি চট্টগ্রামরে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সিটি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

    মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ও অবদানের জন্য সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং অশেষ ঋণ স্বীকার করি।

    একাত্তরে ভারত আমাদের দেশের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিলে। তাদের সেনা বাহিনীর অনেক কর্মকর্তা ও জওয়ান প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না।

    তিনি আরো বলেন, যারা একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে মন্দবাক্য উচ্চারণ করেছিল তারা এখন বাংলাদেশের নজীর বিহীন উন্নতি দেখে লজ্জা পায় এবং তারা স্বীকার করে যে, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।

    ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের চট্টগ্রাম বন্দরের বহমুখী ব্যবহারের মতামতের সাথে সহমত প্রকাশ করে মেয়র বলেন, আমি দৃঢ় ভাবে মনে করি চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ব্যবহারে রিজিওনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কানেকটিভিটির সংযুক্তিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নগরীর সৌন্দর্য বর্ধন পরিকল্পিত ভাবে করা হবে বলেন মেয়র।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব প্রিন্স