Tag: ভারতের

  • ভারতের পঁচা মহিষের মাংস দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে, ইগলু ফুডকে জরিমানা

    ভারতের পঁচা মহিষের মাংস দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে, ইগলু ফুডকে জরিমানা

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : ঢাকার সিআর দত্ত সড়কে অবস্থিত ইগলু ফুডস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্ণফুলী লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

    ভারত থেকে এক কনটেইনার মহিষের মাংস আমদানি করে এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ওই কন্টেইনারটি খালাসের দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে জরিমানা দিতে হচ্ছে।

    জানা যায়, আমদানিকরা কনটেইনারে থাকা পঁচা মাংসের তীব্র দুর্গন্ধ চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে এ অর্থদণ্ড দেন পরিবেশ অধিদপ্তর। তাছাড়া মহিষের মাংসগুলো খালাসের জন্য তিন দফা নির্দেশনাও দেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

    গতকাল বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা যায়।

    জানা গেছে, ভারত থেকে কনটেইনারভর্তি মহিষের মাংস আমদানি করে ঢাকার সিআর দত্ত সড়কে অবস্থিত ইগলু ফুডস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দরে সে কনটেইনারটির খালাসের দায়িত্ব পেয়েছিলো সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্ণফুলী লিমিটেড।

    কিন্তু পণ্য খালাসের আগেই কনটেইনার থেকে পঁচা মাংসের তীব্র দুর্গন্ধ চট্টগ্রাম বন্দরজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহিত করে।

    এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক নুরুল্লাহ নুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বন্দরে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ানোর বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের অবহিত করার পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমাদের একটি টিম সেখানে যায়।

    এসময় ইগলু ফুড নামক একটি প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা একটি কনটেইনারে থাকা মহিষের মাংস থেকে পুরো বন্দর জুড়ে দুর্গন্ধ ছড়ানোর বিষয়টি শনাক্ত করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের কর্মকর্তারা।

    পঁচে যাওয়া মাংস থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় আমদানিকারক ও কনটেইনারটি খালাসের দায়িত্বে থাকা সিএন্ড এফ এজেন্টকে শুনানিতে তলব করা হয়।

    তিনি বলেন, শুনানিতে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ- দেওয়ার পাশাপাশি কনটেইনার থেকে মহিষের মাংস খালাসের জন্য তিনটি নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

    নির্দেশনাগুলো হলো কনটেইনার থেকে পঁচা মাংস এমনভাবে খালাস করতে হবে যাতে কোনো প্রাণী সেটা খেতে না পারে। পঁচা মাংস থেকে মাটি, পানি ও বাতাসে যেন দূষণ না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপর পরিবেশ সম্মত উপায়ে কনটেইনারটি পরিষ্কার করতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • এবার করোনা জয় করলেন ৯৪ বছরের বৃদ্ধ

    এবার করোনা জয় করলেন ৯৪ বছরের বৃদ্ধ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা’র মরণঘাতী ছোবলে পুরো বিশ্বের ন্যায় ভারতও যখন দিশেহারা ঠিক তখনই ৯৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের করোনা জয়ের খবরে কিছুটা আশার আলো দেখছে দেশটির জনগণ।

    ভারতের উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের ম্যাজিস্ট্রেট সুহাস ললিনাকারে ইয়াথিরাজ রোববার ৯৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের করোনা জয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে এবং তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

    ভাইরাসটিকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে ওঠায় বৃদ্ধের দৃঢ় মনোবলের প্রশংসা করেন ম্যাজিস্ট্রেট নিজেও। তিনি বলেন, রোববার গৌতম নগরে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাদের মধ্যেই ওই বৃদ্ধ একজন।

    টুইটারে ওই বৃদ্ধের ছবি টুইট করে ম্যাজিস্ট্রেট সুহাস লিখেছেন, স্যার, আপনি আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করার অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন। টুইটে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।

    গৌতম বুদ্ধ নগরের জেলা তথ্য কর্মকর্তা রাকেশ চৌহান বলেন, রোববার শারদা হাসপাতাল থেকে ১০ রোগীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। করোনার সফল চিকিৎসায় সুস্থ হওয়াদের মধ্যে ছিলেন ৯৪ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ।

    দেশটির সরকারি সংবাদসংস্থা পিটিআই বলছে, নবতিপর এই বৃদ্ধকে কয়েক দিন আগে গৌতম বুদ্ধ নগরের বেসরকারি শারদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত এই হাসপাতাল থেকে রোববার ছাড়পত্র পান তিনি।

    এর আগে করোনার আরেক মৃত্যুপুরী ইতালীতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১০১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। ১০১ বছরের বৃদ্ধ মিস্টার পি’র বাড়ি ইতালির রিমিনিতে।

    রিমিনির ভাইস মেয়র গ্লোরিয়া লিসি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন ওই ব্যক্তি। তার শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যাওয়াই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০১ বছরের বৃদ্ধের সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর গোটা দেশে আশার আলো দেখা দিয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • আম্পানে তছনছ পশ্চিমবঙ্গ,লন্ডভন্ড কলকাতা/মৃত্যু হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনের!

    আম্পানে তছনছ পশ্চিমবঙ্গ,লন্ডভন্ড কলকাতা/মৃত্যু হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনের!

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক সংবাদ : সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় তছনছ হয়ে গেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। লন্ডভন্ড কলকাতা। ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে বয়ে চলা আম্পানের তাণ্ডবলীলায় রাস্তায় একের পর এক ভেঙে পড়েছে গাছ।

    বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাও। কারণ বিভিন্ন ট্র্যাফিক লাইটগুলি ভেঙে পড়ে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছেন। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ২০ মে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণে তাণ্ডব চালিয়ে যখন উত্তর ২৪ পরগনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, সেইসময় রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় কলকাতায় গাছ পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবেই এই ঘটনা ঘটে। হাওড়ায় ঘরের টিন ভেঙে পড়ে এক তরুণীর মৃত্যু হয়, এছাড়া মিনাখাঁয় এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    বসিরহাটে ঝড়ে নারকেল গাছ চাপা পড়ে ৪ জন হতাহতের খবর জানা গেছে। তাছাড়াও মেনকা মিনাখা হিঙ্গলগঞ্জ সন্দেশখালি হাসনাবাদ হাড়োয়া সহ আশেপাশে এলাকার কমপক্ষে ৫ হাজার ২শ টি মাটির তৈরি ঘর ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসক।

    এদিকে ঝড়ের তান্ডব শুরু হওয়ার আগেই বুধবার সকালে দিঘাতে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়। একেবারে গার্ডওয়াল টপকে আসে জল। বেলা বাড়ার সঙ্গে তা ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়। প্রায় ৪ থেকে পাঁচ ফুট চেহারা নেয় ঢেউয়ের। আর তার সঙ্গে বাড়তে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। যার কারণে বহু জায়গায় বোল্ডার একেবারে রাস্তার উপরে চলে আসে।

    এরপর যখন ল্যান্ডফল শুরু হয় তখন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠে পরিস্থিতি। বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে। যার কারণে বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, দিঘায় প্রচুর ঝাউ গাছের উপড়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাস্তার দুধারে সেগুলি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ খুঁটিগুলিও ভেঙে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দোকানগুলিরও।

    ঝড়ের পর মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানিয়েছেন, এলাকার পর এলাকা ধ্বংস। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন সাধারণ মানুষের সাহায্যে ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। দঃ ও উত্তর ২৪ পরগণা প্রায় ধ্বংস ঝড়ের দাপটে। গাছ পড়ে মানুষ মারা গেছেন। মোট ক্ষতি এখনও গণনা করা যায়নি।

    অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর সব জায়গায় ধ্বংসের ছবি। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।’

    ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার’এর খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।’ ধ্বংসের হাত থেকে উন্নয়নের পথে আবার সবাইকে শামিল করে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা মোকাবিলায় ভারতের চিকিৎসা সহায়তার ৩য় চালান এল দেশে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর

    করোনা মোকাবিলায় ভারতের চিকিৎসা সহায়তার ৩য় চালান এল দেশে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : করোনা মোকাবিলায় বন্ধু প্রতিম দেশ ভারত থেকে আজ দেশে এলো কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার তৃতীয় চালান।

    আজ ৬ মে বুধবার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে. আবদুল মোমেনের কাছে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার চালানটি হস্তান্তর করেন ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ।

    জানা যায়, সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ব্যবহার উপযোগী এই পরীক্ষার কিটগুলি বাংলাদেশ সরকারকে ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।

    আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিটগুলি প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় সংরক্ষিত অবস্থায় ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (IEDCR) পাঠানো হয়েছে।

    ভারত থেকে ৩য় চালানে আসা কিটগুলির সাহায্যে ৩০ হাজার করোনা রোগীর পরীক্ষা করা সম্ভব হবে জানিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, এই আরটি-পিসিআর শনাক্তকরণ কিটগুলি ভারতের ‘মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড’ দ্বারা উৎপাদিত এবং কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য ভারতে বহুল ব্যবহৃত।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই শনাক্তকরণ কিট প্রাপ্ত প্রথম অংশীদার দেশ যা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি ভারতের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।

    ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন।করোনা ভারতের চিকিৎসা সহায়তার তৃতীয় চালান

    দুই দেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মহামারী সংক্রমণের পর তিন দফায় ভারতের সহায়তার প্রশংসা করেন এবং বলেন, শনাক্তকরণ কিটগুলি বাংলাদেশে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে যা এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন।

    গত ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে এই মহামারীটির প্রভাব হ্রাস করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তায় ভারতের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন।

    এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়।

    এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেনকে হস্তান্তর করা হয়।

    গত ২৬ এপ্রিল এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস সমন্বিত জরুরি চিকিত্সা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    এছাড়াও, ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (ITEC) কাঠামোর আওতায় অনলাইন কোর্স পরিচালনা করে সার্ক দেশগুলির চিকিত্সা পেশাজীবীদের সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে ভারত।

    এই জাতীয় দু’টি e-ITEC কোর্স ১৭-২১ এপ্রিল রায়পুরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS) এবং ২৭ এপ্রিল–৬ মে চন্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ কর্তৃক পরিচালিত হয়েছে।

    এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৫০ জনেরও বেশী স্বাস্থ্য পেশাজীবী এ কোর্সগুলো দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে, বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি ই-আইটিইসি কোর্সের আয়োজন নিবন্ধন চলছে।

    এই কোর্সটি ১২-১৩ মে পর্যন্ত ভূবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS) কর্তৃক বাংলাভাষায় পরিচালিত হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • করোনা পরিস্থিতিতে ভারত থেকে চিকিৎসা সহায়তার ২য় চালান এলো বাংলাদেশে

    করোনা পরিস্থিতিতে ভারত থেকে চিকিৎসা সহায়তার ২য় চালান এলো বাংলাদেশে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের জন্য চিকিৎসা সহায়তার দ্বিতীয় চালান এসে পৌছেছে বাংলাদেশে।

    বাংলাদেশের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস সমন্বিত জরুরি চিকিত্সা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি আজ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেন।

    বিমান বাংলাদেশের সহায়তায় ওষুধগুলো ভারত থেকে আনার পর চিকিৎসা সামগ্রী গুলো বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোতে প্রেরণ করা হয়।

    ভারতীয় হাই কমিশনের পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি জানানো হয়। এতে বলা হয় সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। এর আগে এই সময়োপযোগী সাহায্যের জন্য হাই কমিশন বিমান সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

    এদিকে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত থেকে অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    এসময় তিনি বলেন, সঙ্কটের সময়ে প্রতিবেশী বন্ধুর সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই। হাই কমিশনার কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেনকে হস্তান্তর করা হয়।

    সার্ক অঞ্চলে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে ২৬ মার্চ ও ৮ এপ্রিল সার্ক দেশসমূহের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় বিষয়ে আলোচনার জন্য পৃথক ভিডিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    সার্কভুক্ত দেশগুলির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সেরা অনুশীলন গুলি বিনিময়ের জন্য এবং পারস্পরিকভাবে উপকৃত হওয়ার জন্য অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

    এছাড়াও, ভারতের স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা কোভিড-১৯ পরিচালনা কৌশল, দক্ষতা বৃদ্ধি, সেরা অনুশীলনের বিনিময় এবং এ সম্পর্কিত দিকগুলি নিয়ে সার্ক দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য ওয়েবিনার আকারে ই-আইটিইসি প্রশিক্ষণ মডিউল ডিজাইন করেছেন।

    ১৭-২১ এপ্রিল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস, রায়পুর এই অনলাইন কোর্সটি পরিচালনা করে যেখানে বাংলাদেশের ৯০ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেন। ভারত সরকারের আইটিইসি উদ্যোগের আওতায় ২৭ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত ভারতের চন্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ কর্তৃক দ্বিতীয় অনলাইন কোর্সের আয়োজন করা হচ্ছে।

    ভারতীয় হাই কমিশনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন।

    বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিকূল সময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ভারত ও বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • গুজরাটে ৭ তলা বিশিষ্ট টেক্সটাইল মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

    গুজরাটে ৭ তলা বিশিষ্ট টেক্সটাইল মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের গুজরাটে’র সুরাতে ৭ তলা বিশিষ্ট রঘুবীর টেক্সটাইল মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

    মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি ভোর চারটার সময় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫৭টি দমকল ইঞ্জিন কাজ করছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে তথ্য নিশ্চিত করা গেলেও ক্ষয়ক্ষতি ও আগুন লাগার কারণও এখনো জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

    জানা গেছে, পুণে কুম্ভরিয়া রোডে রয়েছে রঘুবীর টেক্সটাইল মার্কেট। সাততলা সেই বাজারে অধিকাংশ দোকানই জামাকাপড়ের। সেখানেই খুব সকালে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। আগুনের ধোঁয়ায় ভরে যায় চারিদিক। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।বারতে টেক্সটাইল মার্কেটে আগুন

    সুরাতের ডেপুটি মিউনিসিপ্যাল কমিশনার এনভি উপাধ্যায় জানান, ‘আগুন লাগার সময় বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল, তাই কোনও ব্যক্তির আটকে পড়া বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই। যদিও বাজারে প্রচুর জামা কাপড় মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।’

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মে মাসে সুরাতেরই একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ২০ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। নিহত শিক্ষার্থীরা আগুন লাগার আগে তক্ষশীলা আর্কেড বিল্ডিং তিনতলায় পড়তে গিয়েছিলেন। পড়া শেষে বের হওয়ার সময় আগুন রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে উপর থেকে লাফ দিয়েছিল অনেকে।