Tag: ভাষাসৈনিক

  • করোনায় ভাষাসৈনিক ডা. মির্জা মাজহারুলের মৃত্যু

    করোনায় ভাষাসৈনিক ডা. মির্জা মাজহারুলের মৃত্যু

    একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক উপমহাদেশের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ও কিংবদন্তি সার্জন অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম করোনাভাইরাসে (কভিড -১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    রবিবার সকালে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।

    মির্জা মাজহারুলের ভাতিজা মির্জা তোফাজ্জল জানান, বারডেমে জানাজা শেষে এই ভাষাসৈনিককে বিকেলে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    মির্জা মাজহারুল ঢাকা মেডিকেল কলেজের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি সোসাইটি অব সার্জন অব বাংলাদেশের (এসওএসবি) সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

    ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে ২০১৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

    মির্জা মাজহারুল ইসলাম টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

    ১৯৫৪ সালে অনারারি হাউজ সার্জন হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজে কর্মজীবন শুরু করেন মির্জা মাজহারুল ইসলাম। পরে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের উপদেষ্টা হিসেবে কলেজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন তিনি।

    ডা. মাজহারুল ১৯৯৩ সাল থেকে বারডেম সার্জারি বিভাগে মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন। দুবার বারডেমের অবৈতনিক মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি এত বেশি সার্জারি করেছেন যা এই উপমহাদেশে একটি রেকর্ড।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • রাজাকারের তালিকায় একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু

    রাজাকারের তালিকায় একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু

    একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, এ দেশের সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রমুখ, রাজশাহীতে দেশের প্রথম শহীদ মিনারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ভুবন মোহন পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্বোধক, রাজশাহীর সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা, বর্ষিয়ান আইনজীবী, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর নাম রাজাকারের তালিকায় দেখে সবমহল বিস্মিত, তিনি নিজেও হতবাক বিস্মিত।

    রাজাকারের তালিকায় নাম আসার বিষয়ে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, ‘আমি এটা শুনে বিস্মিত হয়েছি। এটা কি করে সম্ভব? আমি জীবনে কখনো ওদের লাইনে যাইনি। রাজাকারের তালিকায় আমার নাম আসবে এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি এটার শক্ত প্রতিবাদ করবো।’

    এক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, অন্যভাবে সমাধান না হলে, আদালতে গিয়ে আইনের আশ্রয় নেব। সারা জীবন বাঙালি, দেশের জন্য লড়াই করেছি। এভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অধিকার রাষ্ট্রের নেই।

    গোলাম আরিফ টিপু বলেন, ‘সারা জীবন দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাটিয়ে দিলাম। আর আজ এই অভিযোগ পেলাম। আমি ব্যথিত, মর্মাহত। আমি বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি এবং কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিতে চাই না। আমি কোনো দুর্বলতা দেখাতে চাই না।’

    তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় যে ধরনের কাজ করার কথা, তা যথাযথভাবে করতে পারছে না। আমি অন্তত তাই মনে করছি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী যদি গোলাম আরিফ টিপু, সালাম ভাই, মহসিন ভাইকে রাজাকার বানায়, তাহলে কার কাছে কী বলব! অথচ আমরাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মূল শক্তি। ছাত্র ইউনিয়ন করতাম। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। আর আজকে আমাকে রাজাকার বানালো হলো?’

    কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই আইনজীবী বলেন,‘চিন্তা করছি। অন্যভাবে সমাধান হলে ভালো। নইলে আদালতে গিয়ে আইনের আশ্রয় নেব। পাক বাহিনীর তালিকা হতে পারে বলে মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দায় এড়াতে পারবেন না। এই প্রশ্নে আমরা রাষ্ট্রের অবস্থান দেখব।’

    মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে রাজশাহী বিভাগের ৮৯ নম্বর তালিকায় (ক্রমিক নম্বর ৬০৬) নাম রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপুসহ পাঁচজনের নাম।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ। আবার তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট মহসিন আলীর নামও রয়েছে তালিকায়। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের নামও রয়েছে তালিকায়। তার পরিবারের পাঁচজন সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত হন। ওই সময় আব্দুস সালাম পাকিস্তানি হানাদারদের ভয়ে ভারত পালিয়েছিলেন।

    রাজশাহী বিভাগে স্বাধীনতাবিরোধীদের এক থেকে ১৫৪টি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব তালিকায় কয়েক শ ব্যক্তির নাম রয়েছে। যাদের কয়েকজনের নাম দ্বিতীয়বারও রয়েছে।
    ৮৯ নম্বর তালিকায় থাকা পাঁচজনের মধ্যে অপর দুজন হলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক আব্দুর রউফ ও পুলিশ কর্মকর্তা এস এস আবু তালেব। যদিও এই ৮৯ নম্বর তালিকার মন্তব্যের ঘরে লেখা আছে তাদের অব্যাহতি দিতে জেলা কমিটি আবেদন করেছিল। এর বাইরে কোনো তথ্য নেই। সেই হিসেবে ধরে নেওয়া যায়, এই পাঁচ ব্যক্তি রাজাকার বা স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন না বলেই তাদের অব্যাহতি দিতে আবেদন করা হয়েছিল।

    তালিকায় এসব ব্যক্তির নাম যেভাবেই আসুক না কেন সেটি লজ্জাজনক বলে দাবি করেছেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের পরিবারের সদস্য আরিফুল হক কুমার।

    তিনি বলেন, ‘এই তালিকায় কেন আসবে এসব ব্যক্তির নাম। যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, আবার যিনি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর—তার নাম কেন আসবে। হয়তো রাজাকাররা এই তালিকা তৈরিতে কাজ করেছেন।’

    রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ওয়ালিউর রহমান বাবু বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন তাদের নামও যদি তালিকায় থাকে, সেটিও হবে চরম লজ্জাজনক। কেন তাদের নাম এ তালিকায় উঠে এলো, কোন প্রসঙ্গে এলে তা বিস্তারিত উল্লেখ নাই।’

    তবে তালিকায় অনেক প্রকৃত স্বাধীনতাবিরোধীর নাম স্থান পেয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের তৎকালীন ডিন আহম্মেদ মোহাম্মদ প্যাটেল (তিনি কানাডায় রয়েছেন), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন, ড. মোহাম্মদ ওয়াসিম, জিল্লুর রহমান, রাজশাহী নগরীর খোরশেদ আলম, আব্দুস সোবহান, খন্দকার আব্দুল বাকি প্রমুখ।

    নাম আছে কিন্তু ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি—এমনও রয়েছে তালিকায়। এঁদের মধ্যে ৩৮ নম্বর তালিকায় নজির আহমেদ, ৪৮ নম্বরে দলিলুর রহমান প্রমুখের শুধু নামই রয়েছে।

    ৪১ নম্বর তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে রাজশাহী জেলার সিংড়া থানার অন্তর্গত ভুল বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ কর্তৃক রাজাকার ও দালালদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। কিন্তু কাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল তাঁদের নাম উল্লেখ নেই তালিকায়।একই রকম অবস্থা আরো কয়েকটি ক্রমিক নম্বরে।

    ৪৪ নম্বর তালিকায় রাজশাহীর রাজাকার খোরশেদ আলম কর্তৃক দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হলেও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক আহম্মেদ শফিউদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের দুষ্কৃতকারী মনে করতেন রাজাকাররা। তাহলে রাজাকার খোরশেদের করা অভিযোগ কি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে? যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে এটি হাস্যকর। যদিও আমি তালিকাটা দেখিনি।’

    রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের দাবি, এ তালিকা সম্পূর্ণ নয়। এটি ওই সময়ের তালিকার একটি খসড়া হতে পারে। আবার কপি পেস্টও হতে পারে। কোনো অনুসন্ধান ছাড়ায় যাচ্ছে, তাই সেভাবেই নামগুলো তুলে ধরা হয়েছে। যেহেতু সরকার এটিকে রাজাকারের তালিকা বলছে, কাজেই এখানে কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন এ রকম ব্যক্তির নাম উঠে আসা বাঞ্ছনীয় নয়। এটি মেনে নেওয়া যায় না।

  • শেখ হাসিনার পাশেও অনেক রাজাকার আছেন: গাফফার চৌধুরী

    শেখ হাসিনার পাশেও অনেক রাজাকার আছেন: গাফফার চৌধুরী

    স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার সব জায়গায় রয়েছে, এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশেও অনেক রাজাকার আছেন। তাদের নাম বললে আগামীতে আমার দেশে ফেরাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক, কলামিস্ট, ভাষাসৈনিক, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ কালজয়ী এ গানের রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

    রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ‘সম্প্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির বিজয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’নামক সংগঠন।

    সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মহতাব স্বপ্নিল এর সঞ্চালন এবং আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এ সময় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুর রহমান, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন হাবিব, সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শহীদকন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার আগে তাদের (জামায়াত, রাজাকার) তালিকা করা দরকার। আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতিদের বের করে দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে তারা আবারও সমস্যা সৃষ্টি করবে।

    আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, এখন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির কথা বলা হচ্ছে। দেখা যাবে, এ তালিকা তৈরি করছে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকাররা। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার আগে তাদের (জামায়াত, রাজাকার) তালিকা করা দরকার। আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতিদের বের করে দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে তারা আবারও সমস্যা সৃষ্টি করবে।

    লন্ডনে তারেক রহমানের বিলাসী জীবনযাপনেরও বর্ণনা দেন গাফফার চৌধুরী। তিনি বলেন, তারেক রহমানের কত কোটি টাকা, আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি লন্ডনে অসুস্থতার অজুহাতে থাকেন। আসলে তিনি সুস্থ। তাকে লন্ডনের শপিংমলে স্ত্রীকে নিয়ে ভালোভাবে হাঁটতে দেখেছি। আমাকে দেখে অসুস্থতার ভান করে। তারেক রহমান তার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর পরিকল্পনা করছে। তার স্ত্রী ভালো মানুষ। কষ্টে তার সংসার করছে মন্তব্য করেন তিনি।

    ‘বাকশাল থাকলে ভালো হতো’ মন্তব্য করে প্রবীণ কলামিস্ট বলেন, বাকশাল করার তিন মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এটি যাচাইয়ের সুযোগ পাননি। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের হত্যা-সন্ত্রাস হতো না। পুঁজিবাদি মাথাচাড়া নিয়ে উঠত না।

    কাদের মোল্লা একজন আত্মস্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, তার (কাদের মোল্লা) আদালতের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির রায় হয়েছে, রায় কার্যকরও হয়েছে। একটি পত্রিকার কাগজ তাকে শহীদ বলেছে। তাদের কথা বলার ভাষা আমার নাই, এটি বললে মুখের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ওর মতো একটা রাজাকার, কুলাঙ্গার, জল্লাদ, কসাই তার জন্ম কী, আমরা জানি না। যার জন্মের ইতিহাস নাই, একটা খুনি, ধর্ষণকারী, বাঙালি হত্যাকারী, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী, আমার মা-বোনের হত্যাকারী, তার কথা বলার আর কিছু নাই।

    দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পত্রিকার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় নেবে। যেন বাংলাদেশে এ ধরনের ধৃষ্টতা কেউ দেখাতে না পারে।