Tag: ভিটামিন এ প্লাস

  • চট্টগ্রামে ২০ ফেব্রুয়ারি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ৮ লক্ষাধিক শিশু

    চট্টগ্রামে ২০ ফেব্রুয়ারি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ৮ লক্ষাধিক শিশু

    সারাদেশের ন্যায় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার চট্টগ্রাম জেলায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে অনুষ্টিত হবে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩। ঐ দিন সকাল ৮টায় হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেলা পর্যায়ের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হবে।

    জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে জেলার ১৫ উপজেলায় ২’শ ইউনিয়নের ৬’শ ওয়ার্ড, ১৬টি স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮’শ অস্থায়ী কেন্দ্রে মোট ৮ লাখ ৪ হাজার ৫৬৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৯১ হাজার ৯১৮ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ১২ হাজার ৬৪৬ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে।

    জেলার বাইরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ৫ লাখ ৩৬ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৮১ হাজার শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৫৫ হাজার শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য এ ক্যাম্পেইন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

    আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলাগুলোতে ৫৪ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ২০০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৫৪০ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৭৪৮ জন পঃ পঃ সহকারী, ১৯৬ জন পঃ পঃ পরিদর্শক, ৯ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৫ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, ৫১১ জন সিএইচসিপি ও ৮৫ জন স্যাকমো জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।

    এ উপলক্ষে আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইংরেজি বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে অনুষ্টিত জেলা পর্যায়ের সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এসব তথ্য জানান।

    সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদফতরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় কর্মশালার আয়োজন করেন।

    সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, বিগত ২০২২ সালের ১৫-১৯ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী মোট ৮৮ হাজার ৪৭৬ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল, যার অর্জিত হার ৯৮ শতাংশ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী মোট ৬ লাখ ৮০ হাজার ১৬২ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল, যার অর্জিত হার ৯৭ শতাংশ।

    তিনি আরও জানান, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্র্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে দিতে হবে। এ কর্মসুচী সফল করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কোন শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়ানো থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে সর্বত্র মাইকিং করে জনগণকে জানান দেয়া হবে। ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরী ঘাট ও লঞ্চ ঘাটে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রসহ যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবে। ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ৪ মাস অন্তর অন্তর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো কাজ করবে। সরকারী কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে এ কর্মসূচী সফল হবে।

  • চট্টগ্রাম নগরীতে সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

    চট্টগ্রাম নগরীতে সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্দ্যেগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

    বৃহস্পতিবার সকালে কর্পোরেশন পরিচালিত সদরঘাটস্থ জেনারেল হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আক্তার চৌধুরী।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে স্থায়ী/অস্থায়ী ১২৮৮ কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ৮০ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

    আগামী শনিবার ১১ জানুয়ারি সকাল ৯ টায় নগরীর ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডস্থ টিএনটি কলোনী বিদ্যালয়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করবেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক।

    তিনি বলেন, কর্পোরেশন এলাকায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই ক্যাম্পেইন আগামী শনিবার সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে।

    চসিকের সম্মানিত কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়াও নগরে অবস্থিত সকল-সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাগণ ছাড়াও প্রায় ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, সকল জোনাল অফিসার, মেডিকেল অফিসার, ইপিআই টেকনিশিয়ান, সুপারভাইজার, স্বাস্থ্য সহকারী, টিকাদান ও স্বাস্থ্যকর্মী এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

    এ ছাড়াও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফলভাবে বাস্তবায়নে সচেতন নাগরিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, প্রকৌশলী, ইমাম, পুরোহিত ও অন্যান্য পেশাজীবীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছেন চসিক স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠা কথা উল্লেখ করেন বলেন এ কাজ সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়।

    তাই ১১ জানুয়ারি ২০২০ অনুষ্ঠিতব্য ভিটামিন “ এ” প্লাস ক্যাম্পেইন সফলভাবে উদযাপনের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রচারের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, স্বেচ্ছাসেবকদের আপ্যায়নের জন্য মেয়রের পক্ষ থেকে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান, জনসাধারণের সহযোগিতা চেয়ে মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় মুসল্লিদের অবহিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র কনসালটেন্ট বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ সুশান্ত বুড়য়া, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. আশীষ মুখার্জী, ডাক্তার তপন কুমার চক্রবর্তী, ডাক্তার মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, ডাক্তার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মা ও শিশু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম মুইজ্জল আকতার চৌধুরীসহ চসিক জোনাল মেডিকেল অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    উপস্থিত অথিতিরা বলেন, এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য হল শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি ও ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা ও পুষ্টি বিষয়ক অন্যান্য কর্মসূচি সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করা। কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যা অবশ্যই পালন করতে হবে তা হল ৬ মাস বয়সী শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া চিকিৎসার জন্য মনিটরিং টিম গঠন করা, সঠিকভাবে আইপিসি সম্পন্ন করা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক উদ্দিষ্ট শিশুর তালিকা সংরক্ষন করা।

    উল্লেখ্য : গত ২২ জুন ২০১৯ তারিখে অনুষ্টিত জাতীয় ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমে চসিক এলাকায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৫শ ৯৯ জন শিশুকে ১লক্ষ আই ইউ (নীল রং) ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫শ ৮২ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল (লাল রং) খাওয়ানো হয়েছে।