Tag: ভিসি

  • শহীদ মিনার ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চুয়েট ভিসির দায়িত্ব গ্রহণ

    শহীদ মিনার ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চুয়েট ভিসির দায়িত্ব গ্রহণ

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়।

    আজ ২৬ আগস্ট (বুধবার) অপরাহ্নে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে আগামী ৪ (চার) বছরের জন্য দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

    এ উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তিনি চুয়েট পরিবারের সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    এ সময় চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    চুয়েটের চলমান অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

    তিনি চুয়েটকে সত্যিকার অর্থেই ‘সেন্টার অফ অ্যাক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তুলতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।

    উল্লেখ্য, তিনি গত ২৫ আগস্ট, ২০২০ খ্রি. মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চুয়েটের চ্যান্সেলরের এক নির্বাহী আদেশে (স্মারক নং-৩৭.০০.০০০০.০৮০.১১.০২.১৬-১৩৯) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব জনাব সৈয়দ আলী রেজা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

    এর আগে তিনি ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল চুয়েটের পঞ্চম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে ৪ (চার) বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন। এছাড়া ২০১৩ সালের ৬ মার্চ তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পান। গত ১৫ এপ্রিল, ২০১৬ খ্রি. ভাইস চ্যান্সেলর পদে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় উক্ত পদ থেকে পূর্বের ভাইস চ্যান্সেলর বিদায় নিলে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম উক্ত দিন থেকে ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চুয়েটের ভিসি হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম

    চুয়েটের ভিসি হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে পুনরায় ৪ বছরের জন্য নিয়োগ পেলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে (স্মারক নং-৩৭.০০.০০০০.০৮০.১১.০২.১৬ – ১৩৯) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব সৈয়দ আলী রেজা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নিয়োগাদেশ জারি করা হয়।

    অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম আবদুল হোসেন, মাতা মরহুমা খায়রুন্নেসা।

    অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম চট্টগ্রামের তৎকালীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমানে চুয়েট) ছাত্র হিসেবে ১৯৭৯ সালে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে বি.এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি কৃতিত্বের সাথে এম.এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সে ৫টি মূল্যবান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ১১টি জার্নালে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ প্রকাশ হয়। তাঁর প্রধান গবেষণা ক্ষেত্র হলো- Plasma Physics, Feedback System & Control Engineering, Modern Electronics প্রভৃতি।

    অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ১৯৮২ সালের ১৯ আগস্ট প্রভাষক হিসেবে চট্টগ্রামের তৎকালীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ১৯৮৬ সালের ২ মার্চ সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতির পর ২০০৯ সালের ১৯ জুলাই থেকে একই বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২০১৩ সালের ৬ মার্চ তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পান। গত ১৫ এপ্রিল, ২০১৬ খ্রি: ভাইস চ্যান্সেলর পদে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় উক্ত পদ থেকে পূর্বের ভাইস চ্যান্সেলর বিদায় নিলে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম উক্ত দিন থেকে ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর পঞ্চম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ভাইস চ্যান্সেলর পদে ৪ (চার) বছর মেয়াদের জন্য নিয়োগ প্রদান করেছিলেন।

    অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিভিন্ন সময় তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান, কোর্স-অর্ডিনেটর, মাস্টার্স সুপারভাইজার, বিআইটি-এর বোর্ড অব গভর্ণরস মেম্বার, এডভাইজরি কমিটি মেম্বার, একাডেমিক কাউন্সিল মেম্বার, চুয়েটের ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজির ডিরেক্টর, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি)-এর ডিরেক্টর, চুয়েটের সিন্ডিকেট মেম্বার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

    তিনি বর্তমানে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স-এর চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এর ফেলো এবং লোকাল কাউন্সিল মেম্বার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

    অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রাঙ্গুনিয়া কলেজের গর্ভনিং বডির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সৌদিআরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেন।

    তিনি বিগত প্রায় ৪১ বছর শিক্ষকতার পাশাপাশি দেশে-বিদেশে অনেক মর্যাদার সভা, সেমিনার, কনফারেন্সসহ নানা ইভেন্টে অংশগ্রহন করেন।

    এছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নাল ও প্রকাশনায় তাঁর লেখা প্রকাশ হয়।

    বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের গতিশীল নেতৃত্বে একটি সুন্দর সুখী পরিবার হিসেবে চুয়েট এগিয়ে যাচ্ছে। চুয়েট এলামনাইসহ অন্যান্য শুভাকাঙ্খী ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্ধন আরো দৃঢ় হয়েছে। তাঁর দায়িত্ব গ্রহনের পরপরই নিরন্তর প্রচেষ্টা ফলে ৩২০ কোটি টাকার একটি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্ল্যান (ডিপিপি) বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণার উন্নয়নকল্পে সেরা সাফল্য হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টগণ।

    অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের ঐকান্তিক প্রয়াসে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইটি সেক্টরে উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রায় ৯০ কোটি ব্যয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম ইনকিউবেটর ‘ শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন’ প্রকল্প স্থাপনের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে দেশপ্রেম চেতনার ভিত্তি রচিত হয়েছিল-ভিসি গোলাম মহিউদ্দীন

    বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে দেশপ্রেম চেতনার ভিত্তি রচিত হয়েছিল-ভিসি গোলাম মহিউদ্দীন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে আমাদের দেশপ্রেম চেতনার ভিত্তি রচিত হয়েছিল। এই দেশপ্রেম চেতনা অটুট থাকলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। এই দেশ আমাদের আর এই দেশকেই আমাদের সকলকে অকৃত্রিম ভালভাসতে হবে।

    শুক্রবার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর দিনব্যাপী অমর একুশে কর্মসূচী ২০২০ এর আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে. এম গোলাম মহিউদ্দীন এসব কথা বলেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দা’ওয়াহ ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেছেন, বাংলা ভাষার ইতিহাস রক্তিম ইতিহাস, এই ইতিহাসকে কেন্দ্র করে বাংলা ভাষা দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে লাল সবুজের দেশ হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।

    আইআইইউসি’র প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদীর সভাপতিত্বে অনুিষ্ঠত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন আইআইইউসি’র কলা ও মানবিক অনুষদের ডীন ড. মোহাম্মদ রিয়াজ মাহমুদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ মাশরুরুল মওলা এবং স্বাগতঃ বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র রেজিস্ট্রার কর্নেল মোহাম্মদ কাসেম, পিএসসি (অব:)।

    অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে আইআইইউসি’র ট্রেজারার, ডীনগণ, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, এডিশনাল এস পি (নর্থ), চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে. এম গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম ’তমুদ্দুন মজলিস’ এর মাধ্যমে প্রথম বাংলা ভাষার আন্দোলনের সূচনা করেন। বঙ্গবন্ধু সহ আরো অনেকেই বাংলা ভাষার জন্য সংগ্রাম করে কারাবন্দী হয়েছিলেন।

    তিনি বলেন, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষায় আবেগের চেয়ে আন্তরিকতা বেশি প্রয়োজন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা স্মৃতিচারণ করে বলেন, মনিষী মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চট্টগ্রামে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা করেন যার স্থান ছিল আনোয়ারায় কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। পরবতির্তে চট্টগ্রামসহ
    বাংলাদেশের প্রথিতযশা লোকদের নিয়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। তখন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তহবিল এনে এই আধুনিক অডিটরিয়াম, কেন্দ্রিয় মসজিদ ও কেন্দ্রিয় লাইব্রেরি সহ আরো অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়।

    দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল কুমিরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একুশের প্রথম প্রহরে নিজস্ব শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে শোভাযাত্রা, সকাল দশটায় আলোচনা সভা এবং দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠান।

    শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমডিপি’র কোঅর্ডিনেটর প্রফেসর ড.বি.এম. মফিজুর রহমান।

  • ‘ভিসির দুর্নীতির প্রমাণ দিতে না পারলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’

    ‘ভিসির দুর্নীতির প্রমাণ দিতে না পারলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে আন্দোলনরত অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে হুশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনয় আহত সাংবাদিক ও নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ভাতা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। ক্লাস বর্জন, ভাঙচুর, অবরোধ চলছে। এগুলো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ছাত্র-শিক্ষকরা এসব কেন করবে?’

    প্রধানমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ তুলেছে, এর সুনির্দিষ্ট তথ্য তো তাদের কাছে থাকার কথা। তারা যদি অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদেরও সাজা হবে। যে মিথ্যা অভিযোগ করবে, তার শাস্তি হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বায়ত্তশাসন আছে। কিন্তু প্রতিবছর আমরা ভর্তুকি দেই। এরপরও ক্লাস বন্ধ থাকে, এটা কেন। বুয়েটে আবরার হত্যার ঘটনার পর যা যা প্রয়োজন সব ব্যবস্থা নিলাম। এরপরও আন্দোলন কেন। এরকম চললে ক্লাস বর্জন করলে সঙ্গে সঙ্গে এক্সপেল করতে হবে। ক্লাস কেন বন্ধ থাকবে? দিনের পর দিন আন্দোলন ও ক্লাস বন্ধ কেন?’

    উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হলেই আন্দোলন শুরু হয় এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হলেই আন্দোলন কেন? অন্য শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট কেন? দেশে শিক্ষার একটা পরিবেশ তৈরি করেছিলাম। সেটা নষ্ট করার চক্রান্ত হচ্ছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আজ যারা ছাত্র তারা কাল থাকবে না। তাহলে ভাঙচুর কেন? যাদের জন্য কাজ, তারাই যদি ভাঙে তাহলে আমরা কাজ করবো কীভাবে? এগুলো সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা উচিত। এসবের পেছনে নিশ্চয়ই কেউ না কেউ আছে। উন্নয়ন অনেকের কাছে পছন্দ হচ্ছে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধের বিচার এসব ভালো লাগছে না। তবে আমরা দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’

    উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় তিন মাস ধরে আন্দোলন চলছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় আট জন শিক্ষকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন।

  • চবি’র উপ-উপাচার্য থেকে ভিসি ড. শিরীন আখতার

    চবি’র উপ-উপাচার্য থেকে ভিসি ড. শিরীন আখতার

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. শিরীন আখতার। তিনি বর্তমান উপ-উপাচার্য পদে থাকলেও সম্প্রতি অস্থায়ী হিসেবে উপচার্য্যের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

    আজ রবিবার (০৩ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির এক আদেশে তাঁকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সিনিয়র সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপণে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী ড. শিরীন আখতার অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ ও প্রো ভাইস চ্যান্সেলর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রো ভাইস চ্যান্সেলর পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

    এর আগে চলতি বছরের ১৫ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হলে এক আদেশে ড. শিরীন আখতার ভিসির (অস্থায়ী) দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তারও আগে ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার ১৯৭৩ সালে কক্সবাজার সরকারি গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন।

    ১৯৯১ সালে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৬ সালে শিরীন আখতার অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

    প্রফেসর ড. শিরীন আখতার ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম শহরের ঈদগাও এলাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কৃতী গবেষক এ শিক্ষকের ১৪টি গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশ থেকে প্রকাশিত গল্প, উপান্যাস, গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে।

  • ভিসিরা এখন রাষ্ট্রপতির স্বপ্ন না দেখে যুবলীগ সভাপতি হবার স্বপ্ন দেখেন

    ভিসিরা এখন রাষ্ট্রপতির স্বপ্ন না দেখে যুবলীগ সভাপতি হবার স্বপ্ন দেখেন

    ভাইস চ্যান্সেলরের মতো মহিমান্বিত পদকে জনগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মীজানুর রহমান কলুষিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

    তিনি বলেন, ‘একদা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাইস চ্যান্সেলররা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বা দেশের রাষ্ট্রপতি হবার স্বপ্ন দেখতেন। আর এখন তারা যুবলীগের সভাপতি হবার স্বপ্ন দেখেন।’

    রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    রিজভী বলেন, ‘এই আওয়ামী জাহেলিয়াতের আমলে অবস্থা এতটাই বিপর্যয়কর অবস্থায় পৌঁছেছে, এই দেশে এখন একজন উপাচার্য পদের চেয়ে যুবলীগের নেতা হওয়াকে বেশি গৌরবজনক মনে করে। গণভবনের আনুকূল্য একজন উপাচার্যকে কতটা রুচিহীন, অমার্জিত ও অসংস্কৃত করে তুলতে পারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান তার উদাহরণ।’

    তিনি বলেন, ‘এই উন্মাদ একনায়কতন্ত্রের যুগে আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ ও চিন্তা-চেতনায় যে পচন ধরেছে, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আকাংখা তারই নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ও সম্ভ্রমপূর্ণ বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার বদলে ভাইস চ্যান্সেলরের দিবাস্বপ্ন যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়া। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদ ভাইস চ্যান্সেলরের মতো মহিমামন্বিত পদকে কলুষিত করলেন জনগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মিজানুর রহমান।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জুয়া-ক্যাসিনো ও অবৈধ টাকা মিশ্রিত একটি প্রতিষ্ঠানের নাম হয়ে পড়েছে যুবলীগ। স্বাধীনতাত্তোর জেলা শহরগুলোতে যুবলীগের নেতারা ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ পেয়েও মিজানুর রহমান এখনও যুবলীগ তথা ক্যাসিনো লীগের প্রেসিডিয়ামের ১ নম্বর সদস্য হিসাবে আছেন ! এই পদটা ছাড়েননি ! কতটা নির্লজ্জ, নির্বোধ ও দলকানা হলে ভিসির মতো পদ ছেড়ে তিনি যুবলীগের সভাপতি হতে চান!

    এ থেকে স্পষ্ট যে, মিজানুর রহমানরা ক্যাসিনোর হিসাবটা বুঝে গেছেন, এখন নতুন সম্রাট হতে তিনি খুবই আগ্রহী! উনি যোগ্য ছিলেন যুবলীগের হাতুড়ী বাহিনীর নেতা হওয়ার। উনাকে করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। দীর্ঘদিনের শ্রদ্ধা-সম্ভ্রমের এই পদটিকে কলঙ্কিত করছে ড. মিজান। এই সরকারের পচনটা মাথায়।’

    রিজভী বলেন, ‘সরকার এখন কুশিক্ষা-অশিক্ষায় একটি দলীয় বুদ্ধিজীবী শ্রেণী তৈরি করার ব্রত নিয়েছে। ফলে প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের অবজ্ঞা করে উপাচার্য করা হচ্ছে নিরুচীর দলীয় কর্মীদের। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির গর্ব ১০ টাকায় চা-সিঙ্গারা, রাজশাহীর ভিসির স্বপ্ন জয় হিন্দ প্রতিষ্ঠা, বুয়েটের ভিসি হল ডরমেটরিতে তার পালিত ক্যাডারদের হাতে আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে বলে অনাকাঙ্খিত মৃত্যু। সমাজের এই চরম অবক্ষয়ের জন্য দায়ী জবাবদিহিহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা। যে রাষ্ট্র দখল করে আছে একটি ভোট ডাকাত অবৈধ সরকার। তাদের বিদায় না ঘটানো পর্যন্ত এই পচন বন্ধ করা সম্ভব নয়।’

  • জবির ভিসি লুটপাট করতে ‘যুবলীগের’ দায়িত্ব পেতে চান’

    জবির ভিসি লুটপাট করতে ‘যুবলীগের’ দায়িত্ব পেতে চান’

    লুটপাট করতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) মীজানুর রহমান যুবলীগের দায়িত্ব পেতে চান বলে মন্তব্য করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

    শনিবার(১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি তাজুল ইসলাম গাজীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    ‘প্রতিহিংসার বিচারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, আরো দুর্ভাগ্যজনক। আমি আকাশ থেকে পড়েছি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর বলতে পারেন, কোন একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি পদ যদি তাকে দেয় তাহলে উনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের পদ ছেড়ে দিতে পারেন। চিন্তা করেন।

    তিনি বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মীজানুর রহমান ঘোষণা করেছেন, যদি যুবলীগের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয় তাহলে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন! ধিক, লজ্জা। সমাজ কোথায় গেয়েছে। যে ভাইস চ্যান্সেলর এই ধরণের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের শাসন করবেন। তার চোখ রাঙ্গানীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকম্পিত থাকবে- সে যুবলীগের দায়িত্ব পেতে চান! কি জন্য? কারণ যুবলীগের দায়িত্বে গেলে ক্যাসিনো চালানো যায়। যুবলীগের দায়িত্বে গেলে টেন্ডার…। চিন্তা করেন, একজন ভাইস চ্যান্সেলরের লক্ষ্য কি হয়ে গেছে। যদি যুবলীগের প্রেসিডেন্ট হতে পারে তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ব্যবস্থা আছে। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে হয়তো সেটা নাই।

    দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে অনেকগুলো ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে। ব্যাংক থেকে যারা ঋণ নিচ্ছেন, তারা আর ঋণ ফেরত দিচ্ছেন না। এই ঋণ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী ও সমর্থক গোষ্ঠীরা। আর খেলাপি না দিয়ে সরকার তাদেরকে আরো সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো আজকে খালি হয়ে গেছে।

    বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, দেশ পরিচালনার জন্য সরকারের কাছে যে রাজস্ব থাকা দরকার (গত ৫ বছরের তিনগুন ট্র্যাক্স বাড়ানোর পরও) তা তাদের কাছে নাই। এজন্য দেশ পরিচালনা করতে বেসরকারি ও আধাসরকারি খাতের টাকা সরকার নিয়ে যাচ্ছে। এরপরও যখন পারছে না তখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, মহাসড়কেও টোল বসানো হবে। তাই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তারা সরকার চালাতে পারছে না। কেনো পারছে না? কারণ কেউ কাউকে সহযোগিতা করছেন না।

  • উচ্চফলনশীল নতুন ধান উদ্ভাবন করলেন ড. লুৎফুল

    উচ্চফলনশীল নতুন ধান উদ্ভাবন করলেন ড. লুৎফুল

    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান ব্লাস্ট ও লিফব্লাইট প্রতিরোধী এবং বোরো মৌসুমে চাষ উপযোগী উচ্চফলনশীল আগাম ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন।

    নতুন এই জাতের ধানের নাম রাখা হয়েছে বাউ ধান-৩।গবেষক অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    ধানের এ জাতটি দেশে জনপ্রিয় ব্রি ধান-২৮ এর বিকল্প হতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষক ড. লুৎফুল হাসান।

    সম্প্রতি জাতীয় বীজ বোর্ডে এ জাত নিবন্ধিত হয়েছে। এই জাতের ধানে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল ধানের সব বৈশিষ্ট্য আছে।

    নতুন এ জাতের হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৭-৮ মেট্রিক টন, যা ব্রি ধান-২৮ এর চেয়ে ১-২ মেট্রিকটন বেশি। উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো দানার আকৃতি ব্রি-২৮ এর মতো। পূর্ণ বয়স্ক একটি গাছ ১১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এ জাতের গড় জীবনকাল ১৪০-১৪৫ দিন যা ব্রি ধান-২৮ এর সমসাময়িক।১০০০টি পুষ্ট দানার ওজন প্রায় ২৫ গ্রাম। গাছের কান্ড শক্ত ও মজবুত হওয়ায় গাছ ঢলে পড়ে না।এ জাতের ধান পাকা অবস্থায় শীষ হতে সহজে ঝরে পড়ে না বলে অপচয় কম হয়।

    জাতের ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা। পাতার রং সবুজ। রান্না করা ভাত ঝরঝরে ও খেতে সুস্বাদু।

    নতুন উদ্ভাবিত জাতটি সম্পর্কে অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বর্তমানে ধানের নেকব্লাস্ট আক্রমণের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ধান উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের ধানের উৎপাদন ঠিক রাখতে হলে বিকল্প জাতের দরকার হবে।

    এই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) থেকে একটি ‘কৌলিক সারি’ এনে এসিআইয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা করা হয়। ব্লাস্ট ও লিফ ব্লাইট প্রতিরোধী এবং ফলন ব্রি ধান-২৮ থেকে বেশি হওয়ায় বাউ ধান-৩ নামে অবমুক্ত করা হয়।

    তিনি আরও বলেন, এই জাতটি আগাম এবং ফলন ব্রি ধান-২৮ এর চেয়ে বেশি হওয়ায় লবাণাক্ত এলাকা ছাড়া হাওড়াঞ্চলসহ দেশের প্রায় সকল অঞ্চলে চাষ করা যাবে।

  • বুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবি শিক্ষক সমিতির

    বুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবি শিক্ষক সমিতির

    বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে পদত্যাগ আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি।

    বুধবার (৯ অক্টোবর) আবরার হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সমাবেশ করেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি।

    সমাবেশে শিক্ষকরা ভিসিকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এ সময় প্রায় ৩শ শিক্ষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক সমিতির সভাপতি একে এম মাসুদ বলেন, একজন অদক্ষ উপাচার্যের কারণে আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান বুয়েটকে নষ্ট হতে দেব না।

    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা তোমাদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। আমরা অপরাধী। বুয়েট শিক্ষক সমাজ আবরারের বাবা মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত সেই শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার করতে যাচ্ছি আমরা।

    তিনি বলেন, ৩০০ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি মিটিং হয়েছে। সে মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে লিখিত সুপারিশ করবো।

    এছাড়া বুয়েটে কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • আবরার হত্যার ৪০ ঘন্টা পর ক্যাম্পাসে এসে অবরুদ্ধ ভিসি

    আবরার হত্যার ৪০ ঘন্টা পর ক্যাম্পাসে এসে অবরুদ্ধ ভিসি

    আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ক্যাম্পাস যখন উত্তাল তখন দেখা নেই বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভিসির সঙ্গে কথা বলার দাবি জানানো হচ্ছিল বারবার। এমনকি ভিসিকে ক্যাম্পাসে আসার আলটিমেটামও দেন আন্দোলনকারীরা। সেই আলটিমেটামে ঘটনার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ভিসি। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

    মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ক্যাম্পাসে আসেন বুয়েট ভিসি। প্রথমে তিনি প্রভোস্টদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে সন্ধ্যা ছয়টার পর তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন। এ সময় তিনি নীতিগতভাবে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা সুনির্দিষ্টভাবে দাবিগুলো পড়ে বাস্তবায়নের ঘোষণা চান। এতে সম্মত না হওয়ায় ভিসিকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

    রবিবার রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নৃশংস পিটুনিতে মারা যান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। গতকাল থেকেই বুয়েট শিক্ষার্থীরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

    তারা সাত দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে, আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগের নামে এবং ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, মামলার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে, এর আগের ঘটনাগুলোর বিচার করতে হবে, ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

    সন্ধ্যার পর আন্দোলনকালীদের সামনে এসে মাইক হাতে নিয়ে ভিসি বলেন, ‘তোমরা যে দাবিগুলো জানিয়েছ আমি সেগুলো দেখেছি। আমি তোমাদের কোনো দাবি রিজেক্ট করছি না। এ ব্যাপারে কথাবার্তা বলেছি। নীতিগতভাবে তোমাদের সবগুলো দাবি মেনে নিয়েছি। অসুবিধা থাকলে দূর করতে হবে। সবগুলো অবশ্য আমার হাতে নেই।’

    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা অধৈর্য হয়ো না, অপেক্ষা করো, আমি তোমাদের জন্য আছি।’

    এ সময় শিক্ষার্থীরা ভিসির কাছে তাদের সাত দফা দাবি পাঠ করে বাস্তবায়নের ঘোষণা চান। ভিসি জানান, এই পরিবেশে এটা সম্ভব নয়। এর জন্য কিছু সময় লাগবে। সবগুলো তার আওতার ভেতরেও না। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হৈ চৈ শুরু করলে ভিসি চলে যেতে চান। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে ভিসি সেখানেই আটকে যান। এক পর্যায়ে ভিসির জন্য একটি চেয়ার নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। পরে অনেকক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর ভিসি নিজ কার্যালয়ে চলে যান আর বাইরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত তারা ভিসিকে যেতে দেবেন না।

    ঘটনার পর ক্যাম্পাসে না আসা প্রসঙ্গে ভিসি জানান, তিনি এটা নিয়েই কাজ করছিলেন। সরকারের উচ্চ মহলের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়েছে। যদিও ভিসি অসুস্থ বলে প্রচার ছিল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও জানিয়েছিলেন বুয়েট ভিসি অসুস্থ। সুস্থ হলেই আসবেন।

    এর আগে বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচ প্রতিনিধির সঙ্গে বসতে চান ভিসি সাইফুল ইসলাম। কিন্তু পাঁচ প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উপাচার্যের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তিনি ক্যাম্পাসে আসতে বাধ্য হন।

  • পদত্যাগ করেছেন বশেমুরবিপ্রবি’র ভিসি

    পদত্যাগ করেছেন বশেমুরবিপ্রবি’র ভিসি

    অবশেষে পদত্যাগ করলেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন।

    সোমবার দুপুরের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর কাছে সাদা কাগজে লিখিত পদত্যাগপত্রটি জমা দেন। পরে সেটি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    জানা গেছে, সোমবার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ব্যস্ত ছিলেন। অতিরিক্ত সচিব পদত্যাগপত্রটি সেখানে নিয়ে যান এবং মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এর আগে পদত্যাগের বিষয়ে মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিবের সঙ্গে ভিসি মৌখিকভাবে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।

    ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত প্রতিবেদন আমরা ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছি। আলোচনা মাধ্যমে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘তিনি (ভিসি) আর থাকতে চাচ্ছেন না। তদন্ত প্রতিবেদন আমরা পর্যালোচনা করছি।’

    এর আগে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য প্রত্যাহার করার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি।

    গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে নানা অভিযোগে উপাচার্য নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আন্দোলন আরো জোরালো হয়। তারা উপচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

    পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসির একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয় সরেজমিন তদন্ত করে। ইউজিসির পাঁচ সদস্যের গঠিত কমিটি ভিসির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনটি রবিবার সংস্থার চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেয়। পরে সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে ভিসির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে উল্লেখ করা হয়।

    একই সঙ্গে তিনি সুষ্ঠুভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে যোগ্য নয়, তাই তাকে উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করে এই কমিটি।