Tag: ভুটান

  • ভুটানকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

    ভুটানকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ভুটানকে প্রস্তাব দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ এখানে তাঁর অবস্থানস্থল ক্লারিজ হোটেলের দ্বিপাক্ষিক সভা কক্ষে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমার বৈঠককালে তিনি এই প্রস্তাব দেন।

    এর আগে হোটেলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ভুটানের রাজা ও রানীকে স্বাগত জানান।

    বৈঠকের পর শনিবার (স্থানীয় সময়) এক প্রেস ব্রিফিং-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। আপনারা ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মত করে আমাদের দেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারেন।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা ইতোমধ্যে ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, আপনারা চাইলে আমরা কড়িগ্রামে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে পারি।

    ভুটানের রাজা পরিবেশ অক্ষুণœ রেখে তার দেশে একটি প্রশাসনিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে চাওয়ার কথা বলায় শেখ হাসিনা তাকে এই প্রস্তাব দেন।

    বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুখী দেশ ভুটান, তাদের দেশের পরিবেশ বিপন্ন করতে চায় না।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেলপথসহ সব ধরণের যোগাযোগের উন্নয়ন করে যাচ্ছে।
    ‘বাংলাদেশ একটি সংযোগের কেন্দ্র। ভুটান বাংলাদেশের দু’টি বন্দর এবং সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। কারণ, আমরা সেগুলো এই উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছি,’ তিনি বলেন।

    ভুটানের রাজা ও রানী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ভারত হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি ট্রানজিট পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভুটানের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে আমরা বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলব।

    ভুটানের রাজা বলেন, তার দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’জনেই বাংলাদেশে পড়ালেখা করায় বাংলাদেশের প্রতি তাদের বিশেষ অনুরাগ রয়েছে।

    তিনি বলেন, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়েই একান্তে বাংলাদেশ সফর করতে চান।

    জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫০ মিনিটের বৈঠকে তাঁরা বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়েও আলোচনা করেন এবং ভুটানের রাজা ও রানী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের খালা মনে করে আন্তরিকতা প্রকাশ করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম প্রমুখ ব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন।

     

  • মহামারির প্রকোপ কমাতে আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দরকার : প্রধানমন্ত্রী

    মহামারির প্রকোপ কমাতে আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দরকার : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ কমিয়ে আনতে আগামীতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন।

    আজ রোববার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর এবং দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, এই মহামারিটি স্বাস্থ্য সংকট ছাড়িয়ে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা ও জীবন-জীবিকার ওপর ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই অজানা শত্রুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ভুটান এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশীদের সাথে বাংলাদেশ দারুণ সহযোগিতা করেছে।’

    তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের নতুন বাস্তবতা শিখিয়েছে, সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টার পাশাপাশি এসব বাস্তবতাও আমাদের অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।

    ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কোভিড-১৯ মহামারির নতুন প্রকোপ মোকাবিলা করছে,’ বলেন তিনি।

    পিটিএ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসাবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের যেকোনো দেশের সাথে এই প্রথম অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করল এবং ভুটানই প্রথম দেশ যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন এবং সার্বভৌম একটি দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

    অগ্রাধিকারমূলকি এই বাণিজ্য চুক্তি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৫০ বছর আমাদের অঞ্চলের বাসিন্দাদের টেকসই উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির সাক্ষী হবে।’

    তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে সকল বাংলাদেশিদের হৃদয়ে ভুটানের জন্য একটি বিশেষ অবস্থান এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থায়ী একটি স্থান রয়েছে।
    ‘একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটানের তৃতীয় রাজা এবং সেখানকার জনগণের অবিচ্ছিন্ন সমর্থনের পাশাপাশি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য তাদের দেশের স্বীকৃতি আজও আমাদেরকে আবেগতাড়িত করে,’ বলেন শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য, পর্যটন, জলবিদ্যুৎ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, স্বাস্থ্য, জীব-বৈচিত্র্য, কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি, আইসিটি, শিক্ষা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনাসহ আজ আমাদের পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো অনেক বিস্তৃত।’

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন সময় এসেছে যে পারস্পরিক সুবিধা এবং নাগরিকদের সামগ্রিক উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য দুই দেশই তাদের দৃঢ় সম্পর্ককে আরও অর্থবহ করে তুলবে এবং এরই ধারাবাহিকতায় উভয় দেশ আজ বাংলাদেশ-ভুটান পিটিএতে স্বাক্ষর করেছে।

    ‘এই চুক্তির অধীনে, বাংলাদেশ এবং ভুটানের বিভিন্ন ধরনের পণ্য উভয় দেশের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ পেতে পরে। চুক্তিতে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে পণ্যের অতিরিক্ত তালিকা অন্তর্ভুক্ত করারও বিধান রয়েছে,’ বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর বাংলাদেশের আরও বেশি মানুষ ভুটানের তাজা আপেল ও কমলা হাতের নাগালে পাবে এবং ভুটানের ফ্যাশন সচেতন মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভালো মানের আরও বিভিন্ন ধরনের পোশাক বেছে নেয়ার সুযোগ পাবেন।

    তিনি বলেন, চতুর্থ রাজা জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুকের দূরদর্শী নির্দেশনা ভুটানের রূপান্তর বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রশংসার সাথে পর্যবেক্ষণ করেছে। ভুটান আজ একটি গণতান্ত্রিক, আধুনিক এবং প্রগতিশীল দেশ।

    “গড় জাতীয় উৎপাদনের পরিবর্তে, তার (ভুটানের চতুর্থ রাজা) ‘গড় জাতীয় সুখের’ ধারণাটি বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। তার ছেলে এবং উত্তরসূরি, পঞ্চম রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ভুটানের উন্নয়নে বুদ্ধিমত্তার সাথে তার পিতার নীতিগুলো অব্যাহত রেখেছেন,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্যও একই রকম এবং তা হলো গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা এবং দেশের জনগণকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের সুখী নাগরিকে পরিণত করা, যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন।

    ‘আজ, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক শক্তিশালী এবং আমাদের অর্থনীতিও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আইনের শাসন এবং মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করি,’ বলেন শেখ হাসিনা।

    এই প্রসঙ্গে তিনি ‘ভিশন ২০২১’ এবং ‘ভিশন ২০৪১’ এর কথা উল্লেখ করেন; সোনার বাংলাদেশ গড়তে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে খাদ্য ও জ্বালানী সুরক্ষা, শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, সমাজকল্যাণ এবং টেকসই অর্থনৈতিক বিকাশের পাশাপাশি উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, ভুটানের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী লোকনাথ শর্মা এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। স্বীকৃতিদানের পর থেকে সুদীর্ঘ ৫০ বছর যাবত দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এদিন ভুটানের সাথে পিটিএ স্বাক্ষর করা হলো।

    বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট বাণিজ্য ছিল ১২.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন বাংলাদেশ ০.৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি ও একই সময়ে আমদানি করে ১২.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

    দু’দেশের বাণিজ্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। এ সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৭.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে ভুটান থেকে আমদানি হয় ৪৯.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

  • ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

    ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

    সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

    শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর এপিএফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ১৬ মিনিটে সতীর্থের নেয়া লম্বা থ্রোয়ে বল পাওয়া মাত্র মোহাম্মদ তানবির হোসেনের হেডে বল জালে জড়ালে লাল-সবুজের দল প্রথম গোলের দেখা পায়।

    এরপর ২৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ভুটানের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
    খেলার ৩২ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোলের দেখা পায় পিটার টার্নারের দল। প্রতিপক্ষের ভুল পাসের সুবাদে বল দখলের পর তা নিয়ে দৌড়ে গিয়ে ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে শট নিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দারুণ এক গোল করেন মোহাম্মদ মারাজ হোসেন।

    এরপর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটের সময় ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা দীপকের বাঁ পায়ের দুরন্ত কিকে বল জালে জোরানো মাত্র আগেই সুনিশ্চিত হওয়া জয়ের আনন্দ বেড়ে যায় টাইগার যুবাদের শিবিরে।

    এদিকে, আজ বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া ৩টায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ। এই ম্যাচের জয়ী দল আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফাইনালে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে। এর আগে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সেমিফাইনালে খেলা দুই দল খেলবে।