ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সরকার ভুলুণ্ঠিত করেছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে আমাদের স্বাধীন একটি ভুখণ্ড তৈরি হয়েছে, আমরা একটি পতাকা পেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, যে চেতনাকে ভিত্তি করে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, সেই গণতান্ত্রিক চেতনাকে বর্তমান দখলদার সরকার হরণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের সব অধিকার হরণ করে, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে, বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য আজ সবধরনের অপকৌশল করছে।’
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি দলের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। এখানে আইনের শাসন নেই, ন্যায়বিচার নেই। যে চেতনাকে ভিত্তি করে ভাষা আন্দোলন হয়েছিল, স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, সেই গণতান্ত্রিক চেতনাসহ জনগণের অধিকার আজ ৬৮ বছর পরে বর্তমান দখলদার সরকার হরণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের, যে গণতান্ত্রিক চেতনার ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে তা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন যে খালেদা জিয়া, সেই দেশনেত্রীকে আজ অন্যায়ভাবে-বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। এদেশের সংবিধান অনুযায়ী, তার যে ন্যূনতম প্রাপ্য সেই জামিন তাকে দেওয়া হচ্ছে না।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আজ এই মহান দিবসে বলতে বাধ্য হচ্ছি, দেশে গণতন্ত্র নেই। আজ দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এখানে আইনের শাসন নেই, ন্যায়বিচার নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আমরা শপথ নিচ্ছি- দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খায়রুল কবীর খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।