২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : এস এস সি পাস করে এমবিবিএস চিকিৎসক সেজে সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে এক ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানের খবর পেয়ে চন্দ্রিকা মেডিক্যাল হল থেকে পালিয়ে যায় অপর এক ভুয়া চিকিসক।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানা কালী বাড়ি এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে ধরা পড়ে ভুয়া চিকিৎসক সজীব দাশ রুপন (২৯)।
রুপন মাত্র এসএসসি পাস করে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ওই এলাকায় নিয়মিত রোগী দেখতেন। চিকিৎসক সেজে প্রতারণার অভিযোগে তাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় রুপন নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিলেও তার চিকিৎসক হিসেবে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ফলে প্রতারণার অভিযোগে তাকে দণ্ড দেয়া হয়।
একই অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই এলাকার চন্দ্রিকা মেডিক্যাল হল থেকে অপর এক ভুয়া চিকিৎসক পালিয়ে যায়। পরে ভুয়া চিকিৎসকের চেম্বার চন্দ্রিকা মেডিক্যাল হলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পালিয়ে যাওয়া চিকিৎসকের নাম বিমল দাস বলে নিশ্চিত করেন ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়া একই অভিযানে মেয়াদোর্ত্তীণ ওষুধ বিক্রি এবং ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় অপর দুই ফার্মেসীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে কালী বাড়ি এলাকার মেডিক্যাল প্লাস ফার্মেসিকে ৩ হাজার এবং স্বাগত ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করার কথা জানিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আকিব হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান, কামরুল হাসান, পাহাড়তলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌফিকুল ইসলাম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন।