Tag: ভূমিমন্ত্রী

  • ভূমি সেবা এখন হাতের মুঠোয়: ভূমিমন্ত্রী

    ভূমি সেবা এখন হাতের মুঠোয়: ভূমিমন্ত্রী

    ভূমি মন্ত্রণালয় এক সময় ইমেজ সংকটের মন্ত্রণালয় ছিল। আমাকে যখন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন আমিও খুব অস্বস্থিতে ছিলাম। অনেক পরিশ্রমের পর ভূমি মন্ত্রণালয়কে ইমেজ সংকটের জায়গা থেকে বের করে এনেছি। ভূমি উন্নয়ন কর, জমির নামজরিসহ সকল প্রকার ভূমিসেবা এখন অনলাইনে পাওয়া সম্ভব। এক কথায় ভূমি সেবা এখন হাতের মুঠোয়।

    আজ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত ভূমি সেবা সপ্তাহের জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

    এসময় তিনি খাজনা আদায়ের একটি পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৪ এপ্রিল ২০২৩ থেকে ম্যানুয়ালি জমির খাজনা আদায় বন্ধ করে দিয়েছি। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাজনা আদায় হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪ শত কোটি টাকা। ২০২১-২২ আর্থ বছরে প্রায় ৬ শত ৪৯ কোটি টাকা। খাজনা আদায় সম্পূর্ণ অনলাইন হওয়ার পর এক মাসে খাজনা আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শত কোটি টাকা। আমরা যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছি আশা করছি বছরে ২ হাজার কোটি টাকা খাজনা আদায় করবো।

    ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তানের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ন্যায্য দাবি আদায়ের স্বপ্ন দেখেই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের কালো রাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা এই হত্যার মধ্যদিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। আজকে আবার তাদের মুখেই গণতন্ত্রের কথা শুনছি। যে দলের জন্ম পিছনের দরজা দিয়ে, যাদের জন্ম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে, যারা স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে নিয়ে দেশ শাসন করেছিল আজ তারাই বলছে গণতন্ত্রের কথা। জানিনা তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা কতটুকু মানায়। আজ স্বাধীনতার প্রায় ৫২ বছর হতে চলছে। স্বাধীনতা পরবর্তী এবং আজ পর্যন্ত ব্যর্থতার পাশাপাশি আমাদের সফলতাও আছে। তবে জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের এই রূপ অনেক আগেই দেখার কথা ছিল।

    এসময় তিনি বিএনপির ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের সর্বশেষ শাসন আমলে দেশকে লুটের দেশ হিসেবে পরিচিত করেছিল বিশ্বের কাছে। তাদের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পরপর দুই বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। তারা হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেছিলেন। আমি জানিনা এ বাংলার জনগন কিভাবে উপকৃত হয়েছিল। তবে তারা বুঝতে পেরেছে এখন তাদের ক্ষমতায় আসা কঠিন হয়ে গেছে। কারণ দেশে আর একটা পদ্মা সেতু, টানেল কিংবা মেট্রোরেল তো হবে না। তারা জনগনকে কি বলবে?

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোঃ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

  • দল-মত নির্বিশেষে আহতদের কল্যাণে কাজ করতে সকলের প্রতি ভূমিমন্ত্রীর আহবান

    দল-মত নির্বিশেষে আহতদের কল্যাণে কাজ করতে সকলের প্রতি ভূমিমন্ত্রীর আহবান

    চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে কনটেইনার বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের পাশে দাঁড়াতে দল-মত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি।

    তিনি আজ রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহতদের পরিদর্শন শেষে এ আহবান জানান।

    পরিদর্শনকালে ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. আবুল কালাম ভূমিমন্ত্রীকে আহতদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত করেন।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।

    সীতাকুন্ডের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান বলেন, অনেকেই প্রিয়জন হারিয়েছেন। অনেকের নিকটজন আজ চিকিৎসাধীন। এই মুহূর্তে আমাদের প্রথম লক্ষ্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যেন আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন। এই ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

    মন্ত্রী বলেন, বিস্ফোরণ পরবর্তী আগুন নিয়ন্ত্রণে এবং আহতদের উদ্ধারে ফায়ার ফাইটার, সেনা সদস্য সহ উপস্থিত অনেকেই জীবন বাজী রেখে কাজ করে গিয়েছেন। আহতদের চিকিৎসায় ডাক্তার ও স্বাস্থকর্মীগণ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

    তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবকগণ জীবন রক্ষায় রক্ত সংগ্রহ সহ নানা ধরণের সহায়তামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। এই সংকটকালীন সময়ে দলমত নির্বিশেষে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।

    সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোনও কথা বলা সমীচীন হবেনা। আপাতত, আমাদের মূল লক্ষ্য হল, আহতদের দ্রুত সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা।

  • ‘নৌকার বিজ‌য়ের সুফল চট্টগ্রাম নগরীর মানুষ পা‌বে’

    ‘নৌকার বিজ‌য়ের সুফল চট্টগ্রাম নগরীর মানুষ পা‌বে’

    ভূ‌মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জা‌বেদ এম‌পির সা‌থে সৌজন‌্য সাক্ষাৎ ও শু‌ভেচ্ছা বি‌নিময় ক‌রে‌ছেন চট্টগ্রাম সি‌টি ক‌র্পো‌রেশ‌নের নব নির্বা‌চিত মেয়র বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা এম রেজাউল ক‌রিম চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লী‌গের কোষাধ‌্যক্ষ সা‌বেক সি‌ডিএ চেয়ারম‌্যান আবদুচ ছালাম, প্রচার সম্পাদক শ‌ফিকুল ইসলাম ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শ‌ফিক আদনান, লাল খান বাজার ওয়ার্ড হ‌তে নব নির্বা‌চিত কাউ‌ন্সিলর আবুল হাসনাত বেলালসহ নতুন মেয়র রেজাউল ক‌রিম চৌধুরী আজ শুক্রবার সন্ধ‌্যায় সার্সন রোডস্থ ভূ‌মি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জা‌বেদ এম‌পি`র বাস ভব‌নে গেলে তি‌নি মেয়রকে সাদর সম্ভাষন ও বিজয়ী অ‌ভিনন্দন জানান।

    বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা রেজাউল ক‌রিম ও নৌকার বিজ‌য়ে মু‌ক্তিযু‌দ্ধের চেতনা ও উন্নয়‌নের গণত‌ন্ত্রের বিজয় হ‌য়ে‌ছে ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে মন্ত্রী জা‌বেদ ব‌লেন, চট্টগ্রা‌ম মহানগরীর মানুষ স‌ঠিক সিদ্ধান্তটিই নি‌য়ে‌ছেন।

    তিনি আ‌রো ব‌লেন, চট্টগ্রাম‌কে ঘি‌রে জন‌নেত্রী শেখ হা‌সিনা যে সুদুর ফলপ্রসু প‌রিকল্পনা নি‌য়ে উন্নয়ন যজ্ঞ প‌রিচালনা কর‌ছেন চট্টগ্রা‌মের মানু‌ষের স‌ঠিক রা‌য়ে এ কর্ময‌জ্ঞে আ‌রো গ‌তিময়তা লাভ কর‌বে ব‌লে আমার বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধু কন‌্যা ও তাঁর ম‌নোনীত প্রার্থী‌কে চ‌সি‌কের মেয়র নির্বা‌চিত করার সুফল চট্টগ্রাম মহানগরীতে বসবাসরত মানুষ নিশ্চয়ই পা‌বেন।

    এসময় রেজাউল ক‌রিম চৌধুরী ব‌লেন, ভোট‌ারদের আস্থার প্রতিদান দি‌তে প্রধানমন্ত্রীসহ চট্টগ্রা‌মের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, মন্ত্রী, এম‌পি, সি‌নিয়র স্থানীয় নেতৃবৃ‌ন্দের সহ‌যো‌গিতা এবং চট্টগ্রা‌মের স্থানীয় নেতৃত্ব ও সর্ব‌ শ্রেণী পেশার মানু‌ষের মতামত ও পরাম‌র্শের সমম্ব‌য়ে রূপসী চট্টগ্রাম নগরী‌কে আ‌রো অপরূপা ক‌রে সা‌জি‌য়ে একটি নিরাপদ সি‌টি হি‌সে‌বে গড়ার কা‌জে নি‌জে‌কে বি‌লি‌য়ে দেব।

    আ‌নোয়ারা উপ‌জেলা আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি অধ‌্যাপক আবদুল মান্নানসহ অন‌্যান‌্য নেতৃবৃন্দ এসময় সেখা‌নে উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

  • বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে জমির খাজনা দেয়া যাবে : ভূমিমন্ত্রী

    বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে জমির খাজনা দেয়া যাবে : ভূমিমন্ত্রী

    আগামী বছরের জুলাই থেকে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় চলে যাবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

    তিনি বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা এখন আমরা ম্যানুয়াল ও ডিজিটাল দু’ভাবেই চলবে। তবে আগামী জুলাই থেকে ‘নো মোর ম্যানুয়াল সিস্টেম’, পুরোপুরি ডিজিটাল হয়ে যাবে।

    বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনলাইনভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার পাইলটিং (১ম পর্যায়) কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী।

    ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

    ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ করছি ধাপে ধাপে। এখন ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল থেকে ডিজিটাল করতে অনেক সমস্যা হবে। সব সমাধান করে ১ জুলাই থেকে পুরোপুরি ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় চলে যাব। আমরা সিম্পল ওয়েতে (সহজ উপায়) সফটওয়্যারটা রাখতে চেয়েছি।

    আশা করি, সেভাবেই এটি হবে। জুলাই থেকে এটি ভালো একটি শেপে চলে আসবে। ডিজিটাল সিস্টেম যত বৃদ্ধি পাবে, সেবা তত সহজ হবে। শুধু ভূমি নয়, অন্য মন্ত্রণালয় বিভাগেও ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। এই প্রক্রিয়ায় মাঠ পর্যায়ে অনেকের সমস্যা হতে পারে। সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কিছু বিষয় প্রশিক্ষণ ছাড়া সম্ভব নয়। শিখতে কোনো সমস্যা নেই, তাই আমরা তাদের শেখানোর উদ্যোগ নেব। তবে ২০২১ সালের জুলাইয়ের পর থেকে আর ম্যানুয়াল সিস্টেম থাকবে না।

    সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এক সময় ছিল একটি স্বপ্ন, রূপকথার গল্পের মতো। আজকে সেটি বাস্তবতা। সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের দিকে। যেসব প্যারামিটার আছে, জিডিপি গ্রোথসহ সবকিছুই ইতিবাচক। উন্নত বিশ্বের প্রবৃদ্ধির হার মাইনাসে চলে গেছে। সেখানে বাংলাদেশের গ্রোথ অনেক বেশি। আমরা কোভিডকে ভয় পাইনি, যে যার জায়গায় কাজ করে গেছি। আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ও কাজ করেছি, আমরা কোনো কাজে বসে নেই। আমরা চাই সেবা দিতে, কাজ করতে।

    ভূমি ব্যবস্থাপনার দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে সমস্যা তো আছেই। এটা সার্ভিস ওরিয়েন্টেড মিনিস্ট্রি। সেজন্য পাবলিকের সম্পৃক্ততা বেশি। তবে এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাচ্ছি। তাহলে অনেক সমস্যাই সমাধান হবে। আমাদের কাছে অনেক অভিযোগও আসে। এটা সিস্টেমের কারণে। এজন্য আমরা সিস্টেমকে ডেভেলপ করতে চাই। আমরা কাজে বিশ্বাসী। মানুষকে ঘরে বসে কীভাবে সেবা দিতে হবে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ভূমিমন্ত্রীর সাথে চসিক প্রশাসকের সৌজন্য সাক্ষাত

    ভূমিমন্ত্রীর সাথে চসিক প্রশাসকের সৌজন্য সাক্ষাত

    ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাথে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    শনিবার (১০ অক্টোবর) সকালে এই সৌজন্য সাক্ষাতে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী নগরীর ফুটপাত অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও সড়ক সংস্কারের তড়িৎ পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন, যানজট নিরসন ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করতে তাঁর পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

    এ সময় প্রশাসক মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টির আকর্ষণ করে বারইপাড়া খাল খনন, কুলগাঁও বাসটার্মিনাল, লালচাঁন খাল ও রাস্তা অধিগ্রহণ ও অর্থ সহায়তায় সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া নগরীর পাহাড়তলীস্থ জোড়ঢেবা ও ভেলুয়ার দিঘীকে পর্যটনের আওতায় এনে দৃষ্টিনন্দন করতেও মাননীয় মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন প্রশাসক। মন্ত্রী এ বিষয়ে প্রশাসককে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

    সাক্ষাতে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।

    মানসিকভাবে সুস্থ ও একটি স্বাস্থ্যবান
    জাতি গঠনে সকলের দরকার সম্মিলিত প্রয়াস

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক রোগীকে পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন দেয়া খুবই জরুরি। অন্যান্য রোগের ন্যায় মানসিক রোগেরও আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা রয়েছে। ঝাড়ফুক বা অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিহারে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

    আজ সকালে চসিক জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে ‘মেন্টাল হেলথ অ্যাডভোকেসি এসোসিয়েশন (সযধধ/মা) ও চসিক এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “নগরবাসীর মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন,এ বছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য : অধিক বিনিয়োগ-অবাধ সুযোগ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন, নগরবাসীর মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও একটি স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস দরকার। এজন্য চসিকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

    তিনি বলেন নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বেড়েছে। যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন তারাই নয় বরং যারা এখনো এই রোগে আক্রান্ত হননি তাদের মাঝেও বাড়ছে মানসিক নানা সমস্যা। একইসঙ্গে যারা কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের মাঝেও দেখা দিচ্ছে নানা রকম মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার প্রভাব। তাই সবাইকে সচেতন থাকর আহবান জানান প্রশাসক।

    এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, কবি ও সাংবাদিক এজাজ ইউসুফি, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আখতার চৌধুরী, মেন্টাল হেলথ অ্যাডভোকেসি এসোসিয়েশন (মা)’র সভাপতি শরীফ জহির উদ্দিন মো. আবু রায়হান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল যাত্রা, সমন্বয়কারী মোহিনী সংগীতা সিনহা, চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মেন্টাল হেলথ অ্যাডভোকেসি এসোসিয়েশন (মা)’র কার্যনির্বাহী সদস্য ফারুক তাহের।

    আখতারুজ্জামান চৌধুরী’র কবরে পুষ্পমাল্য
    দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন চসিক প্রশাসক

    মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক সাংসদ জননেতা মরহুম আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী (বাবু)’র আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    শনিবার সকালে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।

    এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রশাসক বলেন, মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু শুধু একটি নামই নয়, একটি আদর্শ। তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় রাজনীতিক। তিনি ছিলেন গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের পরম বন্ধু। তাঁর আলোয় আলোকিত হয়েছিল সমগ্র চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের রাজনীতি। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু আমৃত্যু আনোয়ারা-কর্ণফুলীর মানুষের পাশে নিজেকে উজাড় করে গেছেন। নীতি-নৈতিকতা ছিল অনন্য সম্পদ। জনগণ ছিল তাঁর পরম আত্মার আত্মীয়, জয় করেছেন তাদের মন, ভালোবাসা। চট্টগ্রামের স্বার্থ রক্ষায় তিনি আমরণ আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। দলের নেতা কর্মীদের আখতারুজ্জামান চৌধুরীর জীবন কর্মকান্ড থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানান প্রশাসক।

    শ্রদ্ধানিবেদনকালে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যাপক এম,এ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, সহ-সভাপতি মোঃ সোলায়মান চেয়ারম্যান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সাহাবুদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগ অর্থ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সদস্য মোঃ আবদুর রহিম, মোঃ সেলিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী আনিস, ১০ নং হাইলধর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি দিদারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ নুর আলী, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরেক প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শন করলেন ভূমিমন্ত্রী

    আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শন করলেন ভূমিমন্ত্রী

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুতকৃত আইসোলেশন সেন্টার লাবিবা কনভেনশন হল পরিদর্শন করেন।

    শনিবার (২৭ জুন) সকাল ১১ টা থেকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রকম দিক নির্দেশনা দেন।

    পরিদর্শন কালে ভূমিমন্ত্রী আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যার করোনা ওয়ার্ড স্থাপনের নির্দেশ দেন এবং কোভিড ডেডিকেটেড আইসােলেশন ওয়ার্ড ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন- আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, ভূমি মন্ত্রীর একান্ত সহকারি সচিব রিদওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা আবু জাহেদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আনোয়ারা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/জাবেদুল

  • ‘জাতিসংঘ পুরস্কার’ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির সম্মিলিত অর্জন : ভূমিমন্ত্রী

    ‘জাতিসংঘ পুরস্কার’ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির সম্মিলিত অর্জন : ভূমিমন্ত্রী

    ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পুরস্কারকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির সম্মিলিত অর্জন বলে উল্লেখ করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি।

    আজ জুম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন উপলক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভূমিমন্ত্রী সচিবালয়ের নিজ দপ্তর থেকে অনলাইনে এ কথা বলেন।

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদকে অভিনন্দন জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের বিনির্মিত সামগ্রিক ডিজিটাল কাঠামোর কারণে ভূমি সেবা ডিজিটালকরণ অনেক সহজ হয়েছে।

    ভূমিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাপরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সাল থেকে ই-নামজারি পাইলটিং শুরু হয়। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে সারাদেশে একযোগে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু হয়। জাতিসংঘ পুরস্কার প্রাপ্তির পর আমাদের ওপর দায়িত্ব আরও বেড়েছে। তাই এ স্বীকৃতি ধরে রাখতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হওয়ায় সেবা পেতে কম সময় ও কম খরচ হচ্ছে। এর ফলে নাগরিক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দালালদের দৌরাত্ম্য ও মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতির সুযোগ কমছে। ভূমিমন্ত্রী ই-নামজারি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ মূলত একটি ‘পরিবর্তনের গল্প’। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সেক্টরের মত ভূমি সেক্টরেও আমরা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য, অর্থাৎ হাতের মুঠোয় ভূমি সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

    এসময় জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, প্রায় ৩ হাজার ৬১৭টি ভূমি অফিসে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদানের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

    এরআগে ই-নামজারির প্রকল্পের ওপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবদুল মান্নান।

    জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার অর্জন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালক ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী ভূমি সংস্কার বোর্ড, আইসিটি বিভাগ, এটুআই, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।

    তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রয়াসে আমাদের এ অর্জন।

    ভূমি সচিব উল্লেখ করেন, করোনাভাইরাসের কারণে নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘ সরকারি দপ্তরে সেবা কার্যক্রমের জন্য এই প্রথম বাংলাদেশের কোন মন্ত্রণালয়কে পুরস্কার প্রদান করে।

    এ সংবাদ সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ।

    এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান বেগম উম্মুল হাছনা, এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলাম এনডিসিসহ সকল বিভাগীয় কমিশনারগণ।

    দেশব্যাপী ই-মিউটেশন উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয় ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ পেয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন : ভূমিমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন : ভূমিমন্ত্রী

    ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগতির চরপোড়াগাছা গুচ্ছগ্রাম এলাকায় শেখের কিল্লা ও গুচ্ছগ্রাম স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

    ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গড়ে তুলেছেন হীরার বাংলা। বাংলাদেশে কোন মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। ইতিমধ্যে ৫০ হাজার পরিবারকে গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকার কারণে বেঁচে রয়েছেন। বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্যই আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এখন স্বনির্ভর।

    সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের নেতারা বলেছিল, বাংলাদেশ একটি ছোট রাষ্ট্র, কিছু করতে পারবে না। আজ সেই পাকিস্তান নিজেদেরকে বাংলাদেশের মত করে গড়ে তুলতে চায়। কারণ বাংলাদেশ এখন রকেটের গতিতে এগিয়ে চলছে।

    রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ মুরাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল ও মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ, রামগতি পৌরসভার মেয়র মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেঘনা নদী ভাঙন কবলিত রামগতি উপজেলায় আসেন। দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষ ও গবাধিপশু রক্ষার জন্য নিজ হাতে মাটি কেটে বঙ্গবন্ধু একটি কিল্লা স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেছিলেন। সেখানে তিনি গুচ্ছগ্রাম স্থাপনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

    বুধবার ভূমিমন্ত্রী ওই এলাকা পরিদর্শন করে বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের ঘোষণা দেন।

  • আনোয়ারায় বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক অনুদান প্রদান

    আনোয়ারায় বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক অনুদান প্রদান

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ ২০ পরিবারের জন্য ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকার আর্তিক অনুদান দিয়েছেন বন বিভাগ।

    শনিবার সকালে ভূমিমন্ত্রীর সার্সন রোডস্থ বাসভবনে ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

    গত জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার হাজীগাও বৈরাগ এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ও আহত ২০ পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বনপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের, মো. ইয়াছিন নেওয়াজ চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ।

    এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম.এ মালেক, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, বাঁশখালী রেঞ্জ বন কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান, জীব বৈচিত্রা কর্মকর্তা নূর জাহান মিল্কী, দীপান্ধিতা ভট্টাচার্জ্য, বনপ্রাণী পরিদর্শক রাজু আহমেদ, ভূমিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সচিব এড. ইমরান হোসেন বাবু এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকীতে চাচার প্রতি নওফেলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

    আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকীতে চাচার প্রতি নওফেলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

    আজ ৪ নভেম্বর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী। তার শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন ছাড়াও আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্দ্যেগে দিনব্যাপী স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এছাড়াও মরহুমের আনোয়ারা হাইলধরের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকেও খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ছাড়াও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে জানালেন প্রয়াত নেতার বড় ছেলে ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

    এদিকে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদকে স্মরণ করে ৪ নভেম্বরের প্রথম প্রহরে চাচার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন চট্টগ্রামের আরেক প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট আস্তাবাজন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৎকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চের কয়েকটি ছবিসহ রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৯ মিনিটে নওফেল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রয়াত এ রাজনীতিবিদকে শ্রদ্ধা জানান।

    নওফেল তার ফেসবুক পেইজে বিনম্র শ্রদ্ধা… শিরোনামে লিখেছেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চাচার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী।

    তিনি লিখেছেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চাচা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ১৯৭২ সালে গঠিত গণপরিষদের সদস্য, স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে এম.পি, ১৯৭৮ থেকে আমৃত্যু চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট ও পরবর্তীতে প্রশাসক, ওআইসি ভুক্ত দেশ সমূহের চেম্বারের প্রেসিডেন্ট, ১৯৮৯ সালে ৭৭ জাতি গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    চট্টগ্রাম মাটি ও মানুষের বন্ধু জননেতা মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চাচার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

    উল্লেখ্য : ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ। সেখানে প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১২ সালে ৪ নভেম্বর ৭১ বছর বয়সে আখতারুজ্জামান চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। ব্যক্তি জীবনে ৩ ছেলে ও ৩ কণ্যার জনক ছিলেন তিনি।

    বড় ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বর্তমানে আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। মেজ ছেলে আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট ছেলে আসিফুজ্জামান চৌধুরী জিমিও একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

    তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৪৫ সালে আনোয়ারা হাইলধর গ্রামে আইনজীবী নুরুজ্জামান চৌধুরী ও খোরশেদা বেগমের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। পটিয়া হাইস্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকা নটরডেম কলেজে ভর্তি হন ওই বছর। তখন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন বাবু।

    ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে পড়ার সময় তিনি বৃত্তি পেয়ে আমেরিকার ইলিনয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হন। পরে তিনি নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে পড়ালেখা করেন। সেখান থেকে এসোসিয়েট ডিগ্রি নিয়ে ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফিরেন। ১৯৬৫ সালে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

    ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়া থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) হিসেবে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ১৯৭২ সালে গঠিত বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য হন এবং বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

    স্বাধীনতার পূর্বে তিনি বাটালি রোডে রয়েল ইন্ডাস্ট্রি নামে একটি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে আসিফ স্টিল মিল, জাভেদ স্টিল মিল, আসিফ সিনথেটিক, প্যান আম বনস্পতি, আফরোজা অয়েল মিল, বেঙ্গল সিনথেটিক প্রোডাক্ট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। ভ্যানগার্ড স্টিল মিল, সিনথেটিক রেজিন প্রোডাক্ট ক্রয় করে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে জামান শিল্পগোষ্ঠীর গোড়াপত্তন করেন। তিনি বিদেশি মালিকানাধীন আরামিট মিল কিনে নেন। তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) এর উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

    তিনি দু’দফায় চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠক এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের চেম্বারের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

    ১৯৮৯ সালে তিনি ৭৭ জাতি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।