Tag: ভূমিহীন

  • চট্টগ্রামে তিন উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    চট্টগ্রামে তিন উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী, ফটিকছড়ি এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলাকে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

    ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
    ৪র্থ পর্যায়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে চন্দনাইশে ৩৫টি, বাঁশখালীতে ৪৬টি ও চন্দনাইশ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে ১০০টি পরিবারসহ মোট ২৬৭টি পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ।

    এর আগে চট্টগ্রাম জেলায় ৮টি উপজেলা পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রাউজান, বোয়ালখালী, আনোয়ারা এবং হাটহাজারী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ, সীতাকুন্ড, মীরসরাই এবং চন্দনাইশ উপজেলা ছাড়া বাকি ১১টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।

    ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ১ম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি, ২য় পর্যায়ে ৬৪৯টি, ৩য় পর্যায়ে ১৬২টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১ হাজার ১৩৭টি, ৪র্থ পর্যায়ের অবশিষ্ট ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে ৮১টি ও জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ ১০০টি পরিবারসহ মোট ৫ হাজার ৪৫৯টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।

  • প্রধানমন্ত্রী বোয়ালখালী-রাউজানকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাকে ঘোষণা করবেন ২২ মার্চ

    প্রধানমন্ত্রী বোয়ালখালী-রাউজানকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাকে ঘোষণা করবেন ২২ মার্চ

    হালনাগাদ যাচাই-বাছাইকৃত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আগামী ২২ মার্চ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও রাউজান উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।

    চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ১৫৯টি ও ৪র্থ পর্যায়ের ৮৯৩টিসহ মোট ১০৫২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘরের মালিকানা হস্তান্তর করা হবে। “মুজিবশতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ১ম পর্যায়ে সারাদেশে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

    আজ ২০ মার্চ সোমবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ তথ্য জানান।

    জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মাসুদ কামাল ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) নু এমং মং মারমা উপস্থিত ছিলেন।

    ডিসি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করলেন স্বাধীন বাংলাদেশ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নবীন দেশে ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নোয়াখালী সফরে গিয়ে আশ্রয়হীনদের প্রথম পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ১ম সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি অর্থায়নে প্রথম উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করেন “আশ্রয়ণ প্রকল্প”।

    জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁরই কন্যা দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাসস্থান নিশ্চিতের ঘোষনা দেন। সরকারি উদ্যোগে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদানের এ নজির পৃথিবীর বুকে অনন্য। এতসংখ্যক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে জমি সহ ঘর দেয়ার নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

    তিনি বলেন, সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলায় ১ম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২য় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন তারিখ সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৩০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলায় ৬৪৯টি পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ১ম ও ২য় পর্যায়ের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩য় পর্যায়ে গত ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল সারাদেশে ৩২ হাজার ৯০৪ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময়ে চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ১ হাজার ২১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। একই সালের ২১ জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৩য় পর্যায়ের (২য় ধাপ) ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময়ে চট্টগ্রাম জেলায় ২য় পর্যায়ে (২য় ধাপ) ৫৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার ৪টি উপজেলা যথাক্রমে-পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলাকে হালনাগাদ যাচাই-বাছাইকৃত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২১ জুলাই (২০২২ সাল) ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আরও বলেন, ১ম, ২য় এবং ৩য় পর্যায়ের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৪র্থ পর্যায়ে আগামী ২২ মার্চ বুধবার সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ১৫৯টি ও ৪র্থ পর্যায়ের ৮৯৩টিসহ মোট ১০৫২ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে দুই’শ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর জমির দলিলসহ ঘর উপহার

    লক্ষ্মীপুরে দুই’শ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর জমির দলিলসহ ঘর উপহার

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই’শ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমির দলিলসহ ঘর উপহার দিলেন । মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ হস্তাস্তর অনুষ্ঠান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুতে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ হস্তাস্তর অনুষ্ঠান শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ’র সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার ড. এ. এইচ. এম কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম সালাহ উদ্দিন টিপু প্রমুখ।

    এসময় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভুঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুনুর রশিদ, জাকির হোসেন ভৃঁইয়া আজাদ প্রমুখ।

    পরে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬৫ জন এবং সদর উপজেলার চর রমণী মোহন ইউনিয়নের জেগে উঠা চর মেঘার জান্নাতুল মাওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৪টি ব্যারাকে ১২০ পরিবারকে জমি, ঘরের চাবিসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

    জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ৬৫ জনসহ জেলার মোট ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ হস্তান্তর করা হয়।