Tag: ভোজ্য তেল

  • ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোজ্যতেলের লিটার ১৮৭ টাকা

    ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোজ্যতেলের লিটার ১৮৭ টাকা

    অবশেষে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা এল। বোতলজাত সয়াবিনের দাম প্রতি লিটারে ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১৮৭ টাকা লিটারে তেল বিক্রি হবে; বর্তমানে যেটি ১৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক শামীমা আকতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ৯০৬ টাকায় বিক্রি হবে। যেটির বর্তমান বাজার দর ৯২৫ টাকা।
    নতুন মূল্য ১৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

    নতুন মূল্য অনুযায়ী লুজ সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৭টাকায় বিক্রি হবে;যেটি বর্তমানে ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    আর পাম ওয়েলের দাম কমছে লিটারে ৪টাকা। বর্তমান ১২১ টাকা থেকে দাম করে ১১৭ টাকায় বিক্রি হবে।

    ১৩ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভার আলোচনার আলোকে সয়াবিনের নতুন দাম নির্ধারণ করা হলো বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

    দফায় দফায় সয়াবিনের দাম বাড়ানোর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

  • সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৭ টাকা বেড়েছে

    সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৭ টাকা বেড়েছে

    এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের নতুন দর মিলগেটে ১৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৯৯ টাকা ও খুচরায় ২০৫ টাকা।

    আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশের দিন সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম দাঁড়াল ২০৫ টাকা।

    বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার নূরুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ধিত এই দাম জানানো হয়েছে।

    বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ভোজ্যতেলের মিলগেট, পরিবেশক ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করেছে।

    এর আগে গত ৫ মে সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে বাড়ে ৩৮ টাকা। নতুন দাম হয় ১৯৮ টাকা।

    এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ থেকে লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজি না হলে সেদিন থেকে বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি।

    এরপর সরকার ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিক্রির ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি আর আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়। পরে গত ২০ মার্চ লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৬০ টাকা।

    সেদিন পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

    নতুন দর অনুয়ায়ী এখন থেকে খোলা সয়াবিন তেল এক লিটার মিলগেটে ১৮০ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৮২ টাকা ও খুচরায় ১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হবে।

    এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের নতুন দর মিলগেটে ১৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৯৯ টাকা ও খুচরায় ২০৫ টাকা।

    পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলগেটে ৯৫২ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৭২ টাকা ও খুচরায় ৯৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এক লিটার পাম তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মিলগেটে ১৫৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৫৫ টাকা ও খুচরায় ১৫৮ টাকা।

    নির্ধারিত মূল্যের বেশি দরে বিক্রি হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুয়ায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

  • রাজশাহীতে ৯২ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ

    রাজশাহীতে ৯২ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ

    রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেলের মজুত পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে উপজেলার বানেশ্বর বাজারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও পুঠিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রায় ৯২ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইফতেখায়ের আলম। তিনিও অভিযানে অংশ নিয়েছেন।

    পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের দিক-নির্দেশনায় এই অভিযান চলছে। অভিযানে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপস) সনাতন চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) অলক বিশ্বাসসহ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

    জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, বিকেল থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বানেশ্বর বাজারের চারটি গুদাম থেকে প্রায় ৯২ হাজার লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ এ তেল মজুতের কাগজপত্র আছে কি না তা দেখা হচ্ছে। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত জব্দ হওয়া তেলের পরিমাণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

    এর আগে গতকাল সোমবার (৯ মে) দিবাগত রাতে জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর এলাকার বাজারপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় জেলা পুলিশ। সেখানকার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম স্বপন ও তার ভাই রফিকুল ইসলামের গুদামে সব মিলিয়ে ২৬ হাজার ৭২৪ লিটার ভোজ্যতেল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ২২৪ লিটার সয়াবিন তেল। বাকি ৭ হাজার ৫০০ লিটার সরিষার তেল। বাড়তি মুনাফার আশায় রোজার শুরু থেকেই তেলের মজুত গড়েছিলেন দুই ভাই।

    এ ঘটনায় স্বপন ধরা পড়লেও তার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম পলাতক। তাদের নামে রাতেই বাগমারা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

  • ভোজ্যতেল সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিতে কঠোর নজরদারির দাবি ক্যাবের

    ভোজ্যতেল সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিতে কঠোর নজরদারির দাবি ক্যাবের

    বেশ কয়েকমাস ধরে অস্থির ভোজ্যতেলের অস্থিরতা ঠেকাতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন-সংক্রান্ত সরকারি কর্মকতা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় কমিটি। অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্য পণ্যের মূল্য নির্ধারণ সরকারের শীর্ষ মহলের আন্তরিকতার বর্হিপ্রকাশ। কিন্তু নির্ধারিত মূল্য কার্যকরে মাঠ পর্যায়ে যথাযথ নজরদারিতে আন্তরিকতার ঘাটতি হলে এ উদ্যোগের সফলতা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে একপেশে ও গুটিকয়েক ব্যবসায়ী স্বার্থ সংরক্ষণে করা হয়েছে বলে মত প্রকাশ করে নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেলের বিক্রয় নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

    শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান উপরোক্ত দাবি জানান।

    বিবৃতিতে বলা হয় সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মিলগেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াাবিন তেল মিলগেটে ১২৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১২৭ টাকা এবং খুচরা বিক্রয় মূল্য ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেটে ৫৯০ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৬১০ টাকা এবং খুচরা বিক্রয় মূল্য ৬৩০ টাকা করা হয়েছে। যা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা আর্ন্তজাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দেশীয় ট্যারিফ কমিশনের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বর্ধিত মূল্যকে প্রকারান্তরে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান বলে মতপ্রকাশ করেন। ভোজ্যতেল একটি আমদানিকৃত পণ্য। ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে মূল্য বাড়ানো যায় না। আর যেহেতু মোড়কে বিক্রি হয়। সেকারনে মোড়কের গায়ের চেয়ে বেশী মূল্যে বিক্রিতে নিষেধ। তারপরও ব্যবসায়ীরা বাড়তি মূল্যে বিক্রি করছে। সরকারের তদারকি সংস্থাগুলি নিরব দর্শক ছিলেন। তাই এই দাম বেঁেধ দেবার কারনে ভোক্তা পর্যায়ে কোন সুফল আসবে না বলে মত প্রকাশ করেন।

    বিবৃতিতে বলা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সফল নেতৃত্বে দেশ করোনা মোকাবেলায় অনেকটা সফল। এছাড়াও অনেকগুলি সুচকে অনেক অগ্রগতি লাভ করলেও গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সরকারের পুরো অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আবার ব্যবসায়ীরা তাদের অপকর্ম ঢাকতে সরকারি দলে নাম লেখাতেও প্রতিযোগিতায় মেনেছে। ফলে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন সরকার দলীয় অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। যা দেশে ন্যায্য ব্যবসার প্রসারে বড় বাঁধা।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয় ইতিপূর্বে সরকার আলুর দাম বেঁধে দিয়েছিলো কিন্তু বেঁধে দেয়া দামে আলু পাওয়া যায় নি। ২/১টি জায়গায় স্থানীয় প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে ধর্মঘট করলে আর কোন ব্যবস্থা নিতে পারে নি। উর্ধ্বমূখী চালের বাজারেও দাম বেঁধে দিয়ে, শুল্ক কমিয়ে, বিদেশ থেকে চাল আমদানি করেও কোন ভাবেই অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। চিহ্নিত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহনে সক্ষম হন নি।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী মাসে পাম ও সয়াাবিন তেল উৎপাদনের মৌসুম। ফলে আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম কমতে পারে। আসন্ন পবিত্র রমজানে ভোজ্যতেল নিয়ে যেন কৃত্রিম সংকট তৈরী না করে, সেজন্য এখন থেকে আমদানি, বিতরণ ও ভোক্তা পর্যায়ে বিপণণে কঠোর তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও পেয়াঁজের মতো কৃষকদের প্রণোদনা নিয়ে সরিষার উৎপাদন বাড়িয়ে সরিষার তেল উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহার বাড়াতে উদ্ভুদ্ধকরণ করে বিকল্প বাজার তৈরীর মত প্রকাশ করেন।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা। জেলা, উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, ভোক্তা প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত বাজার তদারিক অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অস্থিরতা ঠেকানো সম্ভব। মজুতদারি ঠেকাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে নগদ অর্থ দন্ডের পাশাপাশি প্রয়োজনে জেল-জরিমানা নিশ্চিত করতে হবে। আর এ ধরণের সমাজবিরোধী কাজে জড়িতদের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে। একই সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক উৎস থেকে নিত্যপণ্যের আপৎকালীন মজুত বাড়াতে হবে। টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে পণ্যবিক্রিকে নাগরিক পরীবিক্ষণের আওতায় আনা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

  • এবার খাটের নিচে মিলল টিসিবি’র ১ হাজার ২৩৮ লিটার তেল

    এবার খাটের নিচে মিলল টিসিবি’র ১ হাজার ২৩৮ লিটার তেল

    রংপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়ির বক্স খাটের সানির নিচ থেকে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ন্যায্যমূল্যের বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় লাল মিয়া ও হানিফ নামে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

    বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাত পৌনে এগারোটার দিকে নগরীর মধ্য পার্বতীপুর এলাকার হানিফ মিয়ার বাড়ি থেকে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের ১ হাজার ২৩৮ লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি এন্ড মিডিয়া) উত্তম প্রসাদ পাঠক।

    তিনি জানান, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের মধ্য পার্বতীপুর ঈদগামাঠ সংলগ্ন এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। ওই বাসার ভিতরে অভিনব কায়দায় বক্স খাটের ভিতরে রাখা টিসিবির ২ লিটার তেলের ২৫৯টি এবং ৫ লিটারের ১৪৪টি বোতল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ১২৩৮ লিটার সয়াবিন তেলের অনুমানিক মূল্য ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। এসময় বাসার মালিক হানিফ মিয়াকে (৫৮) ও মালামাল সরবরাহকারী লাল মিয়াকে (৫২) আটক করে পুলিশ।

    আটক ব্যক্তিরা অবৈধ লাভের জন্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে টিসিবির ডিলারদের কাছ থেকে এসব পণ্য কম দামে ক্রয় করে মজুদ করে রেখেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান উত্তম প্রসাদ পাঠক।

    এদিকে সরকারি পণ্য কালোবাজারে বিক্রির সাথে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা অনুসন্ধান করতে আটকদের সাথে নিয়ে রাতে আরও অভিযান চালানো হবে বলে জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ ওয়াহিদ।

    সসম্প্রতি প্রাণঘাতী করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য সরকার টিসিবির ন্যায্যমূল্যে পণ্য ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রয় করছে। কিন্তু রংপুর নগরীর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ লাভের উদ্দেশ্যে তা মজুদ করে রাখছেন। তাদের বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন।