Tag: ভোট

  • ভোট দেখতে ৮ দিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি

    ভোট দেখতে ৮ দিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি

    ভোট দেখতে আটদিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার সফরসঙ্গী একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন।

    আগামী ১২ মার্চের দিকে সুবিধাজনক সময়ে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে তারা যাত্রা শুরু করবেন। দেশে ফিরবেন ১৯ মার্চ।

    রোববার (২৮ জানুয়ারি) ইসির উপসচিব মো. শাহ আলম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান হিসাব ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন।

    চিঠিতে জানানো হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এবং নির্বাচনী সার্বভৌমত্ব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাশিয়ান ফেডারেশন সফর করবেন। আগামী ১৪ থেকে ১৮ মার্চ সিইসিসহ তার একান্ত সচিব কিছু শর্তসাপেক্ষে রাশিয়া সফর করবেন।

    এতে আরও জানানো হয়, আগামী ১২ মার্চের দিকে সুবিধাজনক দিনে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে তারা যাত্রা শুরু করবেন এবং ১৯ মার্চ ঢাকায় ফিরবেন। এই সফরের সময়কাল, ভ্রমণ এবং ট্রানজিটের জন্য ব্যয় করা সময়কে দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা হবে। তারা তাদের বেতন-ভাতা স্থানীয় মুদ্রায় নেবেন এবং এর কোনো অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় নেওয়া যাবে না।

    সফরের সময় তারা দুজন পাঁচ রাতের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা এবং স্থানীয় আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন। তবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিমান ভাড়া এবং অন্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে।

  • তাপসকে ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    তাপসকে ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

    ভোট দিতে শনিবার সকাল আটটায় সিটি কলেজ কেন্দ্রে যান সরকারপ্রধান। এরপর সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সিটিতে আমাদের দুইজন প্রাথী। আমি অবশ্য ভোটার হচ্ছি ফজলে নূর তাপসের। তাপসকে আমি ভোট দিলাম। আর উত্তরে আতিক আমাদের প্রার্থী। আমি আশা করি সেও জয়যুক্ত হবে।

    এর আগে সকাল আটটায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন শুরু হয়। ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এ ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

    ঢাকার এই দুই সিটিতে ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার রয়েছেন। দুই সিটিতে মোট ১৬টি ভেন্যু থেকে ২ হাজার ৪৬৮টি কেন্দ্রে একযোগে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলরের ৫৪টি পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১৮টি পদে ৭৭ জন লড়াই করছেন। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলরের ৭৫টি পদে ৩২৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ২৫টি পদে ৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • সরস্বতী পূজার কারণে দুই সিটির নির্বাচন ৩১ জানুয়ারী

    সরস্বতী পূজার কারণে দুই সিটির নির্বাচন ৩১ জানুয়ারী

    সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ একদিন পিছিয়ে ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    রোববার দুপুর সাড়ে তিনটায় ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনারদের নিয়ে বৈঠকে বসে কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার।

    এর আগে নির্বাচনের তারিখ পেছাতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দাবির পর দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেয় জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা। এরই প্রেক্ষিতে ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করতে কমিশনকে চিঠি দেন দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।

  • ধানের শীষে ভোট দিয়ে আবু সুফিয়ানকে জয়ী করুন:আকবর

    ধানের শীষে ভোট দিয়ে আবু সুফিয়ানকে জয়ী করুন:আকবর

    বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, বোয়ালখালীতে ধানের শীষের পক্ষে যারা পোস্টার-ব্যানার লাগিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদেরকে টার্গেট করছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। প্রথমে হুমকি দিয়ে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। না পারলে হামলা করছে, পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কারণে নির্বাচনী এলাকায় এখন ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তার অনুসারী সন্ত্রাসীরা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। এভাবে কি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব? এলাকার ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে যে, আদৌ তারা ভোট দিতে যেতে পারবেন কি না।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষের পক্ষে বোয়ালখালীর শাকপুরা হাজী নুরুল হক ডিগ্রী কলেজের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে শাকপুরা চৌমুহনী বাজার, গোলক মুন্সির হাট, তাজেদিয়া মাদ্রাসা, আনজীর মার টেক, মনার বাপের টেক, চর খিজির পুর হয়ে টেক্সঘর এলাকায় এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

    এ সময় তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তার অনুসারীরা বোয়ালখালী-চান্দগাঁও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সন্ত্রাসীরা এই আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তাদের অত্যাচারে আমাদের অনেক নেতাকর্মী ঘরছাড়া, এমনকি এলাকা ছাড়া হয়ে গেছে। আমাদের পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না, ব্যানার খুলে ফেলছে। গণসংযোগ করতে গেলে হামলা করছে। হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তিনি ভোটের দিন সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে শক্ত অবস্থান নিয়ে আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার আহবান জানান।

    বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই প্রশাসনের কাছ থেকে আমি সমান আচরণ পাচ্ছি না। এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আওয়ামীলীগ প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং আমার ওপর হামলার অভিযোগ করেও আমি কোনো প্রতিকার পাইনি। বিএনপির দুজন ত্যাগী নেতা মোস্তাক আহমেদ খান ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আবুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমার এলাকার নেতাকর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এভাবে অনেকটা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আমাদের নির্বাচন করতে হচ্ছে।

    আওয়ামীলীগের প্রার্থী গতকালের সংবাদ সম্মেলনে বোয়ালখালী পৌর মেয়রের নির্বাচনী প্রচারণা করে আচরণ বিধি লঙ্গন করেছেন বলে যে অভিযোগ করেছেন এ বিষয়ে তিনি বলেন, আচরণ বিধিতে আছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না। পৌর মেয়রের প্রচরণা চলাতে কোনো বাধা নেই। তিনি মনে হয় আচরণ বিধিমালা না পরেই এই অভিযোগ করেছেন।

    তিনি আরো বলেন, জনগণের প্রত্যাশা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। জনগণ আর কোনো কারচুপির নির্বাচন চায় না। দিনের ভোট আগের রাতে করে ফেলার নির্বাচন জনগণ চায় না। আমরা যারা নির্বাচন করছি, যারা নির্বাচন কমিশনে আছেন, যারা প্রশাসনে আছেন, সবাই এদেশের সন্তান। দেশের প্রতি যদি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে, তাহলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে হত্যায় সামিল না হওয়ার জন্য আমি তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি বলব, জনগণের অধিকার কেড়ে নেবেন না। জনণকে বঞ্চিত করবেন না।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মীর মোহম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেনে গেছেন, জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। যারা ১১ বছরে একটি সেতু করতে পারে না, তাদের জনগণ চায় না। যারা এত সুন্দর বোয়ালখালীকে ধ্বংস করেছে, সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছে, তাদের জনগণ চায় না। চান্দগাঁও এলাকায় থেকেও যারা শহরের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা বলছেন, তারা আর ভাঙ্গা নৌকায় উঠবেন না।

    গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, বোয়লখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, উত্তর জেলা বিএনপির আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, মোঃ সেকান্দর চৌধুরী, নগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিাস আলী, বিএনপি নেতা হাজী মোঃ ইসহাক চৌধুরী, নুরুন নবী চৌধুরী, আব্দুল মান্নান চৌধুরী, মাহফুজুল হক সাজু, মহিবুল ইসলাম রাসেল, আজম খান, আইয়ুব মেম্বার, শওকত আলী চেয়ারম্যান, সরওয়ার আলম, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহিদুল আলম শহীদ, উত্তর জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ শফিকুল ইসলাম শাহীন, গোলাম হোসেন নান্নু, মহসিন খোকন, রবিউল হাসান ইকবাল, মেহেদী হাসান সুজন, মোঃ কফিল উদ্দিন, হারুনুর রশীদ, সায়েম উদ্দিন টিটু, মতিউর রহমান রাসেল প্রমূখ।

  • রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার পরিষদে ৩৭-২ ভোটে বাংলাদশের জয়

    রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার পরিষদে ৩৭-২ ভোটে বাংলাদশের জয়

    মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার আশ্বাস দিলেও ঠিকই শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের পাশেই দাড়ালো চীন। রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়নের আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচারের আহ্বানসংবলিত প্রস্তাবকে একপেশে বলে অভিহিত করে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মানবাধিকার পরিষদে ভোটাভুটির আহ্বান জানিয়েছিল চীন। একই সঙ্গে চীন ও মিয়ানমার সবাইকে প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

    ভোটের শেষে ফলে দেখা গেছে, চীন ও ফিলিপাইন ছাড়া কেউই ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়নি।

    ভারত, জাপান, নেপাল, কঙ্গো, ক্যামেরুন, অ্যাঙ্গোলা ও ইউক্রেন—এই সাতটি দেশ ‘অ্যাবস্টেইন’ ভোট দিয়ে কারো পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে ৩৭-২ ভোটে।

    ► মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইইউ ও ওআইসির যৌথ প্রস্তাব ৩৭-২ ভোটে গৃহীত
    ► রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিচার ও রাষ্ট্রহীনতা দূর করতে হবে, মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ

    ভোটের হিসাবে দেখা যায়, ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদে গতকাল মিয়ানমার ইস্যুতে ভোট দেয়নি কিউবা। জানা গেছে, কিউবার প্রতিনিধিরা ভোটের সময় অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা দৃশ্যত প্রস্তাবটির পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোট দেওয়া থেকেই বিরত থেকেছেন। সাধারণত কিউবা সুনির্দিষ্ট কোনো দেশভিত্তিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে থাকে।

    ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে মিয়ানমারের পক্ষে এবারই সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের সমান্তরাল নীতিতে চলা রাশিয়া বর্তমানে মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নয়। প্রস্তাবসম্পর্কিত দেশ হিসেবে মিয়ানমার মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিলেও সদস্য না হওয়ায় ভোট দিতে পারেনি।

    বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ বিষয়ে এবারের প্রস্তাবটি এনেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। গৃহীত প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যৌন অপরাধসহ সব ধরনের অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনসংশ্লিষ্ট সব আন্তর্জাতিক বিধান ও আন্তর্জাতিক বিচারপ্রক্রিয়া তথা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য তদন্তপ্রক্রিয়া জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) চলমান প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) শরণাপন্ন হওয়ার উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক পরিসরে উৎসাহিত করা হয়েছে।

    এ ছাড়া মিয়ানমারবিষয়ক ‘নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশনের’ প্রতিবেদনগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গ-সংগঠনের বিবেচনার্থে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রস্তাবটিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলমান সব প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে এরূপ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এখতিয়ারের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

    জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান গতকাল সন্ধ্যায় ভোটের আগে মানবাধিকার পরিষদকে বলেন, মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। তবে, দুই বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার এখনো উত্তর রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

    গৃহীত প্রস্তাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী উত্তর রাখাইন অঞ্চলে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে নিজেদের আবাসস্থলে ফিরে যেতে উৎসাহিত করতে মানবাধিকার পরিষদ মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে প্রস্তাবে রোহিঙ্গারা ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের গুরুভার বহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।

    বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে এই প্রস্তাব একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।

    ভোটের আগেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, মিয়ানমার তার অভ্যন্তরীণ বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সক্ষম। প্রস্তাবে কেবল একটি সম্প্রদায়ের মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

    চীনা প্রতিনিধিও প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকসহ সাম্প্রতিক সময়ে যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো তুলে ধরতে এই প্রস্তাব ব্যর্থ হয়েছে।

    ফিলিপাইনের প্রতিনিধি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলে এই সংকটের মূল কারণগুলো সমাধানের ওপর জোর দেন। জাপানের প্রতিনিধি মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান।