Tag: ভোটার তালিকা

  • দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার, বেড়েছে প্রায় ৫৮ লাখ

    দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার, বেড়েছে প্রায় ৫৮ লাখ

    দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। মোট ভোটার বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৮ জন।

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    এদিন আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।

    প্রতি তিন বছর পরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে ইসি।

    ইসি সচিব জানান, দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি তিন লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন। নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৩৭ জন।

    ২০২২ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন। নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৪৫৪ জন।

    ২০২২ সালে হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত ভোটার সংখ্যা ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৪৫৫ জন। নারী ৩৯ লাখ ১০ হাজার ৪৩৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গ ৩৮৩ জন।

    ওই বছরের হালনাগাদে কর্তনকৃত ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ নয় হাজার ১২৯। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭২ জন। নারী আট লাখ ৩০ হাজার ২৫৭ জন।

    গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কারও কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় থাকছে ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ।

    দাবি, আপত্তি ও সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি উপজেলা/থানার ভোটার এলাকার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সিটি কর্পোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কতিপয় বিশেষ এলাকার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)-কে সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ (রিভাইজিং অথরিটি) নিয়োগ করা হয়েছে।

    ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসি।

  • আজ থেকে ১৪০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

    আজ থেকে ১৪০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

    আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপে ১৪০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বিতীয় ধাপের এ হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত।

    ইসি জানায়, এই ধাপে রাজধানীর তিনটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। উত্তরা, মতিঝিল ও রমনা এলাকার তথ্য দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হবে।

    এর আগে গত ২০ মে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করে ইসি। প্রথম ধাপেও ১৪০টি উপজেলায় কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট চার ধাপে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

    কর্মকর্তারা জানান, এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার বৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫২৬ জন ব্যক্তিকে হালনাগাদের অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। এবারও গতবারের মতো তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে যাদের বয়স যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তখন তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।

    সর্বশেষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়েছিল ২০১৯ সালে। সে সময় ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের তথ্য নেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হয়েছিল।

    উল্লেখ্য, ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-২০১০, ২০১২-২০১৩, ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি। বর্তমানে ভোট আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষটির তথ্যভাণ্ডারে মোট ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটারের তথ্য রয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন। হিজড়া ভোটার আছে ৪৫৪ জন।

  • ভোটার তালিকা (সংশোধনী) আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    ভোটার তালিকা (সংশোধনী) আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    মন্ত্রিসভা বুধবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে আরো এক মাস সময় বৃদ্ধি করে ‘ভোটার তালিকা (সংশোধনী) আইন ২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক বৈঠকে মন্ত্রিসভা এই অনুমোদন দিল।

    আজ বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংকালে বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে সময় বাড়ানোর জন্য মন্ত্রিসভা আজ ‘ভোটার তালিকা (সংশোধনী) আইন ২০১৯’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘২০০৯ সালের বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর লক্ষ্যে হচ্ছে সময়সীমা বাড়ানো। কারণ, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ২৯ দিনের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা কঠিন।

    তিনি বলেন, বৈঠকে আগামী ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে ১ মার্চ এ দিবস পালন করা হয়েছে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, কৃষকরা যেন সুলভ মূল্যে কৃষি সামগ্রী কিনতে পারে ও সহজ শর্তে অল্প অথবা বিনা সুদে ঋণ পেতে পারে সে লক্ষে বৈঠকে ‘জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতি-২০১৯’ এর খসড়ারও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

    তিনি বলেন, এই নীতি কৃষি যান্ত্রীকিকরণের আওতা বৃদ্ধিতে এবং একই সাথে মজুর কম লাগায় উৎপাদন খরচ কমাতে সহায়ক হবে।
    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই নীতির ফলে কৃষি খাতে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হবে।
    বৈঠকে কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সমবায় পদ্ধতি অন্তর্ভূক্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    মন্ত্রিপরিষদ প্রতি বছরের ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার এবং তৃণমূলের জনগণকে দিবসটি সম্পর্কে অবগত করার লক্ষ্যে দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপন করার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর দেশে বীমা শিল্প চালু করেছিলেন।

    বঙ্গবন্ধু ১৯৬০ সালের ১ মার্চ বীমা কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে সভায় ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    এই শিল্পের প্রসারে বঙ্গবন্ধু ‘বাংলাদেশ বীমা জাতীয়করণ আদেশ ১৯৭২ ও ইনস্যুরেন্স কোঅপারেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩’ প্রণয়ন করেন।

  • ভোটার তালিকায় চীনা নারী

    ভোটার তালিকায় চীনা নারী

    চীনা নাগরিক জোয়াং জিং নামের এক নারীর নাম বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

    এমনকি তাকে জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি) দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বর্তমানে তার এনআইডি’র স্ট্যাটাসে ‘ডিলিট’ লেখা রয়েছে। এছাড়া ওই চীনা নারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন।

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়ায় সম্প্রতি ওই চীনা নারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার জন্য মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।

    এছাড়া এই কাজে সহযোগিতার জন্য ফেনী সদর উপজেলার এক পিয়নের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    সম্প্রতি ফেনী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, চীনা নাগরিক ‘জোয়াং জি’ (এনআইডি নং- ১৯৮৬৩০২২৯০৯০০০০১৮) মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ১৮ অনুযায়ী ফৌজদারি মামলার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

    এছাড়া এ বিষয়ে ফেনী প্রশাসনের কাছে দেওয়া ইসির এক অনাপত্তিতে উল্লেখ করা হয়, চীনা নাগরিক আয়েশা জোয়াং জিং আক্তারকে জন্মসনদ ও নাগরিত্ব সনদের ভিত্তিতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    তাকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে প্রত্যায়নপত্র ইস্যুকারী ফেনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম রীটার, জন্মসনদ ও নাগরিক সনদ ইস্যুকারী সিন্দুরপুর ইউপির চেয়ারম্যান নূর নবী ও ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আলমগীর এবং নিবন্ধন ফরমে শনাক্তকারী ও যাচাইকারী হিসেবে স্বাক্ষরকারী বা সহায়তা প্রদানকারী ফেনীর দাগনভূঞার কৌশল্যা গ্রামের মো. বেলাল হোসেন ও ফেনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কমিশনার সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনাপত্তি জ্ঞাপন করেছেন। পরবর্তী বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের জন্য প্রেরণ করা হলো।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ওই নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ‘লক’ করে দিয়েছি। এটি দিয়ে তিনি আর কোনো কাজ করতে পারবেন না। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী মামলার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।