Tag: ভোট গ্রহণ

  • শতাধিক উপজেলা-পৌরসভা-ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু

    শতাধিক উপজেলা-পৌরসভা-ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু

    উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ শতাধিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

    শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এছাড়া ৩ নভেম্বর মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

    যেসব পৌরসভায় নির্বাচন
    বুধবার চারটি পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন হবে। সেগুলো হলো- চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, জামালপুরের হাজরাবাড়ী, দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভা।

    সাত উপজেলা
    তিন উপজেলায় আজ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। সেগুলো হলো- চট্টগ্রামের কর্ণফুলি, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও সিলেটের ওসমানীনগর। এছাড়া নেত্রকোনা সদর উপজেলা, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চিলমারী এবং কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।

    যেসব ইউপিতে নির্বাচন
    আজ ১৯ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাধারণ নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো হলো- জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ও তুলসীগঙ্গা, কুষ্টিয়া সদরের জিয়ারথী ও কাঞ্চনপুর, মিরপুরের চিথলিয়া ও ধুবইল, জামালপুরের মেলান্দহের আদ্রা ও ফুলকোচা, ঢাকার দোহার উপজেলার রাইপাড়া।

    মাহমুদপুর ও সুতারপাড়া, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ও পাঁচগ্রাম, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং, গোয়াইনঘাট, পূর্ব জাফলং ও মধ্য জাফলং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর।

    অন্যদিকে লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ী, বগুড়ার শাজাহানপুরের আশেকপুর, যশোর সদরের আরবপুর, বাগেরহাট সদরের রাখালগাছি, মোল্লারহাটের উদয়পুর, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আমড়াগাছিয়া, টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নগদা শিমলা, নেত্রকোনার মদনের নায়েকপুর, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের সুতালড়ী, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দী ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।

    একই দিন ৩৬ জেলার ৫২ উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মোট ৬০ জন প্রার্থী সদস্য পদে (মেম্বার) উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

    চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ষষ্ঠ পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৩৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটে একজন মেয়র, ৪১ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। এবার মেয়র পদের জন্য সাতজনসহ মোট প্রার্থী ২৩২ জন। ভোটার সংখ্যা সর্বমোট ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন।

    এই ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    তবে এই ভোটকে কেন্দ্র করে শঙ্কাবোধে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছে ইসি। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ বলছে, সিটির মোট ভোটকেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে কেন্দ্রের পরিবেশ ঠিক রাখতে মোট ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এই ভোটকে কেন্দ্র করে সোমবার মধ্যরাত থেকে প্রার্থীরা তাদের টানা দুই সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণা শেষ করেছেন। ৪১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় নয় হাজার পুলিশ-আনসারের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে ২৫ প্লাটুন বিজিবি, ২৫ প্লাটুন র‍্যাব, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ মোট ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় আছেন ২০ জন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট।

    চট্টগ্রাম সিটির এই ভোটে ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে ৭৩৫টি কেন্দ্রে নির্বাচনের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামসহ চারটি ভেন্যু থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ করে ইসি। এ নির্বাচনে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ভোটার নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’

    বুধবার সকাল ৯টায় বহদ্দারহাট এখলাসুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন রেজাউল করিম চৌধুরী। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বাকলিয়া বিএড কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৯টায় ভোট দেবেন।

    এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বহিরাগতদের শহরে না আসার আহ্বান জানিয়েছেন মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মো. তানভীর। এ ছাড়া ভোটারদের এনআইডি কার্ড সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

    পুলিশ কমিশনার বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডের ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি ভোটকেন্দ্রকে তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সব কেন্দ্রে সমানভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নয় হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছে। পাশাপাশি ২৪ প্লাটুন বিজিবি, ২৫ প্লাটুন র‍্যাব, আনসারসহ ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    মেয়রপদে যারা অংশ নিয়েছেন

    আওয়ামী লীগ মনোনীত এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মাওলানা এমএ মতিন (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)।

    নির্বাচনে ১৪ সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫৭ জন। সাধারণ ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩৯ ওয়ার্ডে। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আর ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মৃত্যুবরণ করায় ওই পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হবে। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী হোসেন মুরাদ ইন্তেকাল করলে সেখানে আবদুল মান্নানকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে ৩৯ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৬৮ প্রার্থী।

    উল্লেখ্য, পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষের আগে গত বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে দলীয় মনোনয়ন পর্যন্ত সবই সম্পন্ন হয়। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মাত্র কয়েক দিন আগে স্থগিত করা হয় নির্বাচন।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে বুথ চার হাজার ৮৮৬টি। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন এবং মহিলা ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন ১৬ হাজার ১৬৩ জন কর্মকর্তা। সবাইকে ইভিএম বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এর মধ্যে রয়েছেন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পাঁচ হাজার ৯০২ জন এবং পোলিং কর্মকর্তা ১০ হাজার ২৬৮ জন।

    চসিক নির্বাচনে এবার প্রথমবারের মতো সব কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ভোটের জন্য প্রস্তুত ১১ হাজার ৫৭২ ইভিএম। চার হাজার ৮৮৯টি বুথের জন্য একটি করে ইভিএম। এ ছাড়া দুটি কক্ষের জন্য একটি করে ইভিএম অতিরিক্ত আছে। আর ঝুঁকি এড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যাকআপও রাখা হয়েছে।

    সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ইভিএমের কন্ট্রোল প্যানেলের মাধ্যমে ভোটারকে ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন। ভোটার নম্বর অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভোটার শনাক্ত করা হবে। তারপর আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ভোটার শনাক্ত করার পর ভোটারের ছবিসহ পরিচয় পর্দায় ভেসে উঠবে। এরপর গোপন কক্ষে একজন ভোটার মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ তিনটি পদে ভোট প্রদান করতে পারবেন। ব্যালট ইউনিটে প্রার্থীর নাম ও প্রতীকের ডান পাশে সাদা বোতামে চাপ দিয়ে ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পরে সবুজ বোতাম চেপে ভোট নিশ্চিত করবেন।

    ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম থেকে।

  • ভোটাররা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে,তাই ভোট ৯টা থেকে

    ভোটাররা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে,তাই ভোট ৯টা থেকে

    ভোটারদের ভোরে ঘুম থেকে ওঠতে কষ্ট হয় বলে ঘুমের বিষয়টি মাথায় রেখে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টার পরিবর্তে ৯টায় শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে কমিশনের ৬১তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভা শেষে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    ইসি সচিব বলেন, ‘ভোটাররা সকালে ঘুম থেকে ওঠেন না। তাই ৮টার পরিবর্তে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

    সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    সভা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপনির্বাচনে ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

    এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম ও সচিব মো. আলমগীরসহ ইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • দুই সিটিতে ভোট ১ ফেব্রুয়ারি

    দুই সিটিতে ভোট ১ ফেব্রুয়ারি

    সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ দুইদিন পেছানো হয়েছে। পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় শনিবার জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিকেল ৪টায় নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।

    বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানানো, ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচনের তারিখ দুইদিন পেছানো হয়েছে। পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হদা। বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নির্বাচন কমিশনারদের ফোন করে বৈঠকে আসার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও আসতে বলা হয়।

    ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণের জন্য ৩০ জানুয়ারি নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটের দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি ভোটগ্রহণের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করার জন্য আদালতে রিট করা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি ভোটের দিন পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

  • এরশাদের আসনে ভোট গ্রহণ চলছে

    এরশাদের আসনে ভোট গ্রহণ চলছে

    প্রয়াত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে।

    ৪ লাখ ৪১ হাজার ২২৪ জন ভোটার ১৭৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

    বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। রংপুর সদরের এ আসনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    এই ৬ জনের ৪ জনই বহিরাগত। এই ৪ প্রার্থী আজ ভোট পর্যন্ত দিতে পারবেন না। এরা হলেন : জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ (লাঙ্গল), বিএনপির রিটা রহমান (ধানের শীষ), গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ বায়েজিদ (মাছ) ও এনপিপির শফিউল আলম (আম)।

    বাকি দুই প্রার্থী হচ্ছেন : হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (মোটরগাড়ি) ও খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল (দেয়ালঘড়ি)। আজকের নির্বাচনে আসিফের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে রিটা রহমানের।

    আসনটি লাঙ্গলের হলেও প্রচারে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদের ভাতিজা মোটরগাড়ির হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ।

    সূত্র জানায়, উপনির্বাচনের প্রচারে লাঙ্গলের পক্ষে স্থানীয় জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতাদের অনেককেই দেখা যায়নি মাঠে। জাতীয় পার্টির স্থানীয় দু’জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসিরসহ অনেকেই লাঙ্গলের প্রচারে অনুপস্থিত ছিলেন।

    কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ রাজ্জাক বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, তবে জেলা ও মহানগরের সব নেতা নিষ্ক্রিয় নয়, অনেকে কাজ করছেন।

    জেলা কমিটির সভাপতি ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীরকেও ভোটের মাঠে সেভাবে দেখা যায়নি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ বিশেষ সময়ে নির্বাচনী প্রচারে ছিলাম।

    মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমি দেশের বাইরে আছি আর এমএম ইয়াসির বলেন, পারিবারিক কাজে দীর্ঘদিন রংপুরের বাইরে আছি। এসবই লাঙ্গলের বিপক্ষে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    মোটরগাড়ির প্রার্থী আসিফ ছাড়াও স্থানীয় ভোটার হিসেবে আজ ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মণ্ডল। আসিফ ভোট দেবেন শিশুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এবং তৌহিদুর রহমান ভোট দেবেন রংপুর মডেল কলেজ কেন্দ্রে।

    তবে এনপিপির শফিউল আলম নিজেকে স্থানীয় ভোটার হিসেবে দাবি করেছেন। বলেছেন, আমি নগরীর মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেব।

    তবে হলফনামা অনুসারে তার স্থায়ী ঠিকানা রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। রিটার্নিং অফিসার জিএম সাহাতাব উদ্দিন বলেছেন, সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি ভোটাররা নির্বিঘ্নেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

    শুক্রবার বিকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন নির্বাচন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভোট কেন্দ্রগুলোতে ইভিএম মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে।

    ১৭৫টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৩টি কক্ষে বিরতিহীনভাবে ভোট হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ১৭৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১ হাজার ২৩ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ২ হাজার ৪৬ জন পোলিং অফিসারকে নিয়োজিত করা হয়েছে।

    বিকালে র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস প্রেস ক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসা এবং ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে র‌্যাব কাজ করেছে।

    নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। এ জন্য র‌্যাবের ২০টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে।

    নিরাপত্তা নিয়ে জানতে চাইলে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

    ভোটের আগের দিন থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাড়ে ৩ হাজার আনসার-পুলিশ ছাড়াও ১৮ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ২০টি মোবাইল টিম, ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের মৃত্যুর পর ১৬ জুলাই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।