Tag: ভোট বর্জন

  • বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মনির ভোট বর্জন

    বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মনির ভোট বর্জন

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) নির্বাচনে ১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগম মনি নিজের ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি। প্রতিবাদে মনোয়ারা বেগম মনি নির্বাচন বর্জন করেছেন।

    বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে লালখানবাজার মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মনোয়ারা বেগম মনি। এসময় তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

    মনোয়ারা বেগম মনি অভিযোগ করেন, আমি নিজের ভোটই দিতে পারিনি। আমার এজেন্টদের মেরে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা হয়েছে।

    মনোয়ারা বেগম মনি তার মতো সব বিএনপির প্রার্থীকেও নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, এখনই এ নির্বাচন স্থগিত করতে হবে।

  • মোংলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জন

    মোংলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জন

    মোংলা পৌরসভার নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, ভোটারদের বাধা, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোট শুরুর মাত্র দুই ঘণ্টার মাথায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীসহ ১২ কাউন্সিলর প্রার্থী।

    আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে পৌর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী মো. জুলফিকার আলী। এ সময় মেয়র পদপ্রার্থীর সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ভোট বর্জন করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে মেয়র পদপ্রার্থী জুলফিকার আলী অভিযোগ করেন, ভোট শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি কেন্দ্র দখল করে নেয় আওয়ামী সমর্থকরা। তারা সাধারণ ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেয়। এ ছাড়াও প্রকাশ্যে ভোট দিতে বলে। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে তাঁর এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই মেয়র পদপ্রার্থী।

    জুলফিকার আলী আরো অভিযোগ করেন, তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও পাননি। ভোটের আগের দিন রাতভর তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা ও মারধর করেছে।

    কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হোসেন ও আলাউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি ভাল থাকলেও তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। জোর করে তাঁদের ভোট নেওয়া হয়েছে।’

    অপর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. খোরশেদ আলমের দাবি, র‌্যাব ও পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

    কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এমরান হোসেন দাবি করে বলেন, ‘ভোটের অনিয়ম তুলে ধরায় প্রেসক্লাব সভাপতিসহ মিডিয়ার অনেক ভাইকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে।’

    এদিকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী শেখ আবদুর রহমান দাবি করেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।

  • সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন

    সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে মোবাইল প্রতিকের ভোটারদের ভোটদানে বাঁধা, ইভিএম মেশিন ভাংচুরসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক কমিটির মনোনীত মেয়র প্রার্থী জহিরুল ইসলাম।

    আজ সোমবার বিকাল তিনটার সময় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সন্মেলনে তিনি এ ঘোষনা দেন। জহিরুল ইসলাম এব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।

    সংবাদ সন্মেলনে তিনি বলেন, সকাল থেকে সবকটি কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন কেন্দ্রের বাহিরে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে যায়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আমার সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা প্রদান করে। দুপুর দেড়টার সময় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডস্থ আলম সফি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,৩নং ওয়ার্ডস্থ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ৬নং ওয়ার্ডস্থ সরকারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ আরো বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আমার মোবাইল প্রতিকের সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা প্রদান করেছে।

    এছাড়া ৭নং ওয়ার্ডের আলম-সফি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ভোটের পরিবেশ না থাকায় আমি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালাম।

    এদিকে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পৌর নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু