২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে চলছে লাশের মিছিল। বাংলাদেশের নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে এ প্রাণঘাতী ভাইরাস। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়ে বাড়ছে আক্রান্ত হার।
চট্টগ্রামে এ সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকারী আদেশ অমান্য করে দোকান খোলা রেখে রড-সিমেন্ট, ইট-বালুর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) নগরের বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্টান খোলা রাখার সত্যতা পেয়েছেন জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে
৫০টি মামলায় ১লাখ ১৭ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান জানান, ‘ দক্ষিণ হালিশহরের সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্টান খোলা রেখে রড, সিমেন্ট, ইট-বালু বিক্রি করছিলো দুই ব্যবসায়ী। তাদের ক্যাশ বই যাচাই করে দেখা যায় সরকারী আদেশ অমান্য করে প্রথম থেকেই তারা দোকান বন্ধ না রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। । উভয় দোকানের মালিক তাদের অপরাধ স্বীকার করায় শাহেন শাহ এন্টারপ্রাইজকে ৫০হাজার টাকা এবং এম জি ট্রেডিংকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন চান্দগাঁও, চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪টি মামলায় ৩হাজার ৬শত টাকা জরিমানা করেন।
সদরঘাট, কোতোয়ালী, ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন । তিনি ৭টি মামলায় ৩ হাজার ৩শত টাকা জরিমানা করেন।
পাঁচলাইশ, খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার। তিনি ৮টি মামলায় ৩হাজার ১শত টাকা জরিমানা করেছেন।
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানান, “পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবর শাহ এলাকায় করোনা ভাইরাসজনিত প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ,বাজার মনিটরিং ও সেনা বাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা প্রদানের উদ্দেশ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে এসব এলাকার কাঁচা বাজার পরিদর্শন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকল্পে নগরবাসীকে ব্যাপকভাবে সচেতন করা হয়। এ সময় ৩টি মামলায় ৩হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ আদালত পরিচালনা করে ৫ টি মামলায় ৪হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করেন।
পাঁচলাইশ, খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় আদালত পরিচালনা করেন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানা ৫ টি মামলায় ৫হাজার ৩শত টাকা জরিমানা করেছেন।
পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবর শাহ থানাধীন অঞ্চলে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চাই থোয়াইহলা চৌধুরী ৭টি মামলায় ২হাজার ৩শত টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া চান্দগাঁও, চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কায়সার খসরু ২ টি মামলায় ১০হাজার ৫০০ টাকা ও সদরঘাট, কোতোয়ালী এবং ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এম ইশমাম ৭টি মামলায় ১৩হাজার ৭শত টাকা জরিমানা করেন।
২৪ ঘণ্টা/এম আর