Tag: মদিনা

  • চট্টগ্রাম থেকে ৪১৭ হজযাত্রী নিয়ে মদিনার পথে প্রথম ফ্লাইট

    চট্টগ্রাম থেকে ৪১৭ হজযাত্রী নিয়ে মদিনার পথে প্রথম ফ্লাইট

    চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪১৭ জন হজযাত্রী নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট। এই প্রথম চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ফ্লাইটে হজযাত্রীরা মদিনা যেতে পারছেন।

    বুধবার (১৫ জুন) দুপুর ১টা ৪১মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ফ্লাইট চট্টগ্রাম ছাড়ে।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গণসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ৯টি এবং চট্টগ্রাম মদিনা রুটে ২টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। বৃহস্পতিবার আরেকটি হজ ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে মদিনা যাওয়ার কথা রয়েছে।

    সূত্র জানায়, ১৪ জুন পর্যন্ত ১৬ ফ্লাইটে ৬ হাজার ৫৪৯ জনকে সৌদি নিয়ে গেছে বিমান। এবার প্রি হজে ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। হজের পর ফিরতি ৬৫টি ফ্লাইট পরিচালনার কথা রয়েছে। হজের রিটার্ন টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ৬২ হাজার ৭৯৬ জন ও ২০১৯ সালে ৬৬ হাজার ২৮৬ জন হজযাত্রী আনা-নেওয়া করেছিল বিমান। এবার ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী রয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২৯ হাজার হজযাত্রী বাংলাদেশ বিমান আনা-নেওয়া করবে।

  • মদিনাকে করোনামুক্ত ঘোষণা

    মদিনাকে করোনামুক্ত ঘোষণা

    সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মদিনা মুনাওয়ারা শহরকে করোনামুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার করোনামুক্ত ঘোষণা করার আগে মদিনা মুনাওয়ারার আল-আইস শহরে ১৩ জন কভিড-১৯ রোগী ছিলেন। তারা সবাই এখন সুস্থ হয়েছেন। নবীর শহর মদিনায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করেন।

    সৌদি সরকার হারামাইন ওয়াশ শরিফাইন খ্যাত পবিত্র দুই নগরী মক্কার মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ এবং মদিনার মসজিদে নববির নিরাপত্তায় শুরু থেকেই ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। নিরাপত্তার লক্ষ্যে এ দুই পবিত্র শহরে ওমরাহ ও জেয়ারত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।

    তবে এখনো ব্যতিক্রম পবিত্র নগরী মক্কা ও মক্কার মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ। এ নগরীতে এখনো চলছে কারফিউ। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুকি কমাতে এখনো সেখানে কারফিউ বলবৎ রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কালোজিরা ব্যবহারে করোনার সফল চিকিৎসা আবিষ্কারের দাবি মদিনার গবেষকদের

    কালোজিরা ব্যবহারে করোনার সফল চিকিৎসা আবিষ্কারের দাবি মদিনার গবেষকদের

    হাদিস অনুসারে কালোজিরা ব্যবহার করে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলার দাবি করেছেন মদিনার তাইবাহ ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। যা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা পদ্ধতি।

    ওই গবেষকদলের গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে মার্কিন জার্নাল ‘পাবলিক হেলথ রিসার্চ’-এ। আর সেটা যে কেউ চাইলেই দেখতে পারবে।

    মুসলিম ইঙ্ক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে- হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কালোজিরা হলো সর্বরোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ওষুধ। তবে বিষ ছাড়া। আয়েশা (রা.) জিজ্ঞেস করেছেন, বিষ কী? রাসূল (সা.) বলেছেন, মৃত্যু। (সহীহ বুখারি-৫৩৬৩)

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে সারিয়ে তোলার জন্য গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন-

    দুই গ্রাম কালোজিরা, এক গ্রাম চামেলি ফুল, এক চামচ মধু একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে। এসব খাওয়ার পর জুস কিংবা একটি কমলা খাওয়া যেতে পারে। লেবু খেতে পারলে ভালো হয়। এভাবে প্রতিদিন একবার করে খেতে হবে। করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এভাবে খেতে হবে।

    গবেষকরা আরো বলছেন, রোগী আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলে প্রথম সপ্তাহে দিনে পাঁচবার এভাবে খেতে হবে। আর পরবর্তী সময়ে মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিনে একবার করে খেতে হবে।

    রোগীর যদি কাশি বেশি হয় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাহলে কালোজিরা এবং লবঙ্গ মেশানো পানি গরম করে ধোঁয়া নাক দিয়ে টেনে নিতে পারেন। কিংবা কালোজিরা ও চামেলি পানিতে গরম করেও বাষ্প টেনে নিতে পারেন।

    গবেষকরা বলছেন, যদি অক্সিজেনের অভাব হয়, তাহলে এক চামচ কালোজিরা, এক চামচ চামেলি এবং এক কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে হালকা গরম করতে হবে। এভাবে দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার পানি গরম করে বাষ্প নাক দিয়ে টেনে নিতে হবে।

    জানা গেছে, সৌদি আরবের তাবিয়াহ ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অনুষদের ক্লিনিক্যাল বায়োক্যামিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার মেডিসন বিভাগের গবেষকরা এ নিয়ে গবেষণা করেছেন।

    গবেষকদের একজন ডা. সালেহ মুহাম্মদ বলেন, কালোজিরা এবং চামেলি করোনা সংক্রমণ বন্ধ করে দিতে সক্ষম। আল্লাহর রহমতে, যেসব করোনা রোগীদের তাবিয়াহ ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তাদের সবাই সেরে উঠছে, তারা নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। এই পদ্ধতিতে রোগীদের সেরে উঠতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগছে না।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর