Tag: মনিরামপুর

  • নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাবার হোটেলে কাভার্ডভ্যান, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৫

    নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাবার হোটেলে কাভার্ডভ্যান, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৫

    যশোরের মনিরামপুরে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার যশোর-মণিরামপুর সড়কের ব্যাগারিতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কাভার্ডভ্যানটি রাস্তা ছেড়ে দোকান, হোটেলের মধ্যে ঢুকে গেলে চাপায় এই পাঁচ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে বাবা-ছেলেও রয়েছেন। মনিরামপুর থানার ওসি শেখ মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে যশোর থেকে সাতক্ষীরাগামী একটি কাভার্ড ভ্যান যশোর-মণিরামপুর সড়কের ব্যাগারিতলা এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানটি রাস্তার পাশে হোটেল, চায়ের দোকানসহ অন্তত দশটি দোকানে আঘাত করে। এতে চায়ের দোকানে ও হোটেলে নাস্তা করতে আসা এবং পথচারী মিলে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে বাবা-ছেলেও রয়েছেস।

    নিহতরা হলেন, মনিরামপুরের ব্যাগারিতলা এলাকার হাবিবুর রহমান (৪৫) ও তার পুত্র তাওশিদ হোসেন (৭)। বাকিদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

    মনিরামপুর থানার ওসি শেখ মো. মনিরুজ্জামান জানান, কাভার্ড ভ্যানটি রাস্তা ছেড়ে অন্তত দশটি দোকানে আঘাত করেছে। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

  • মণিরামপুরে পল্লী বিদ্যুতের এজিএম করোনা আক্রান্ত

    মণিরামপুরে পল্লী বিদ্যুতের এজিএম করোনা আক্রান্ত

    যশোর প্রতিনিধি : যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২(মণিরামপুর)সদর দপ্তরের রাজগঞ্জ উপকেন্দ্রের (এজিএম) রফিকুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে এক (এনজিও) কর্মী।

    বৃহস্পতিবার সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    এরআগে মণিরামপুরে সর্বশেষ করোনা রোগী শনাক্ত হন গত (২৫ মে)।

    আক্রান্ত ২ জনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ৬ মাস ধরে রাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত আছেন। আর ওই এনজিও কর্মীর বাড়ি উপজেলার কাশিপুর গ্রামে। চাঁদপুর জেলায় কর্মস্থলে থাকতেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেখানে নমুনা দেন। ফলাফল না পেয়ে তিনি মণিরামপুর হাসপাতালে এসে আবারো নমুনা দেন।

    মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা (ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    ডা. শুভ্রা বলেছেন, গত( ৭ জুন) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন রাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম রফিকুল ইসলাম। একই দিন কাশিপুর গ্রামের ওই এনজিও কর্মী হাসপাতালে আসেন। ওই দিন তাদেরসহ ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার দুইজনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

    ডা. শুভ্রা বলেন,আক্রান্ত এজিএম রফিকুল ইসলাম ও এনজিও কর্মী দুইজনই এখন সুস্থ আছেন। তারা নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেবেন।

    পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেছেন, হাসপাতালে নমুনা দেওয়ার পর থেকে আমি বাসায় আলাদা কক্ষে থাকছি। জ্বরের পর ৮ জুন কিছুটা কাশি ছিল। এখন সুস্থ আছি।

    যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (মণিরামপুর) সদর দপ্তরের পরিচালক অরুণকুমার কুণ্ডু বলেছেন, হাসপাতালে নমুনা দেওয়ার দিন থেকে এজিএম রফিকুল ইসলাম বাসায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তার স্থানে অন্য লোক দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজগঞ্জ উপ-কেন্দ্র লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

    এই পর্যন্ত মণিরামপুরে ১৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৩ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। যাদের অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়

     

  • মনিরামপুরে ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে রাস্তার ২ লক্ষাধিক টাকার ৩১ টি সরকারি গাছ কর্তন

    মনিরামপুরে ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে রাস্তার ২ লক্ষাধিক টাকার ৩১ টি সরকারি গাছ কর্তন

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:ঝড়ের দোহায় দিয়ে যশোরের মনিরামপুরে সড়কের সরকারি ৩১ টি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    অভিযোগ রয়েছে উপজেলার হরিহরনগর ইউপির ১ জন ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে গাছ কেটে ভাগাভাগি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ পিচ মেহগনির লগ পার্শ্ববর্তি রোহিতা ইউনিয়নের মুড়াগাছা বাজারে একটি স -মিলে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। আর এই বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় জনমনে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

    জানা যায় যে ,উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের পুটিমারা বটতলা থেকে মদনপুর বাজার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে যশোর জেলা পরিষদের আওতাধিন প্রায় কয়েক শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতের গাছ রয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে এসব গাছপালা রক্ষনাবেক্ষন করা হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি ঝড়ের প্রভাবে এই সড়কের বেশ কিছু গাছ হেলে পড়ে।

    অভিযোগ করা হয়েছে, এই সুযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য শামছুর রহমানের নেতৃত্বে জামিল হোসেন, আকবর আলী,সেকেন্দার আলী, বারীক হোসেন,আলীম হোসেন,শফিকুল ইসলাম,ইমন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন (২৮ মে) ৩১ টি মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছেন।জানা গেছে গাছ কাটার পর অধিকাংশ বিক্রী করা হয়। বাকী কাঠ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়েছে।

    এর মধ্যে ইউপি সদস্য শামছুর রহমান নিজে নেন ৫০ মন, কিছু দেওয়া হয় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ছবিরোন্নেছাকে,ঝিকরগাছার মহিনকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিদুর কুমারকে দেয়া হয় ৫০ মন।

    তবে বিদুর কুমার জানিয়েছেন,তিনি ইউপি সদস্য শামছুর রহমানের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকায় ৫০ মন জ্বালানী কাঠ ক্রয় করেছেন।

    ইউপি সদস্য শামছুর রহমান জানান, ১৩ জন শ্রমিক নিয়ে সড়ক থেকে গাছসমুহ কাটা হয়।

    ফলে বিদুর কুমারের কাছে ৪ হাজার টাকার জ্বালানী কাঠ বিক্রি করে ওই শ্রমিকদের দেয়া হয়। গাছকাটার বিষয়টি জানা জানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। ফলে ইউপি সদস্য শামছুর রহমান রাতের অন্ধকারে ৩১ পিচ লগ গত বৃহস্পতিবার ২টি আলমসাধুতে বোঝাই দিয়ে পার্শ্ববর্তি রোহিতা ইউনিয়নের মুড়াগাছা বাজারের আবদুল মান্নানের সমিলে এনে স্তুপ করে রাখে।

    তবে সমিলের মালিক আবদুল মান্নান জানান, তার অনুমতি না নিয়েই রাতের অন্ধকারে ইউপি সদস্য শামছুর রহমান ৩১ পিচ মেহগনির লগ তার সমিলে রাখেন।

    এই ব্যাপারে কথা হয় ইউপি সদস্য শামছুর রহমানের সাথে গাছ বিক্রি করার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, ঝড়ে গাছ পড়ে যাবার কারনে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হরিহরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের নির্দেশে তিনি শ্রমিক নিয়ে গাছ কাটেন।

    হরিহরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন,গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হওয়ায় ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছিল অপসারন করতে। কিন্তু বিক্রি করতে বলা হয়নি।

    জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মিলন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ওই কাঠ জব্দ করা হয়েছে।

    জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এমএ মনজু জানান,খবর পেয়ে তিনি মুড়াগাছা বাজারের আবদুল মান্নানের সমিলে গিয়ে ৩১ পিচ মেহগনির লগ জব্দ করেন।

    তিনি আরো জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে ২/১ মধ্যে দোষিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মনিরামপুরে র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

    মনিরামপুরে র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

    যশোর প্রতিনিধি:যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রামপুরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে রুবেল হোসেন শাওন (২২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

    শনিবার দিবাগত রাত ৪ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ও ৬৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

    নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত রুবেল হোসেন শাওন অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের বাচ্চু হওলাদারের ছেলে।

    মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, র‌্যাবের ১টি টিম মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নে টহলে ছিল। রাতে তারা রামপুর গ্রামে মাদক বেচাকেনার খবর পায়। এরপর তারা অভিযান চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

    এসময় র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

    তিনি আরো বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ও ৬৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। রুবেল হোসেন শাওন অভয়নগর উপজেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে অভয়নগর থানায় মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০ টি মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়

  • মনিরামপুরে পানি আনতে গিয়ে কিশোরী ধর্ষিত, ধর্ষক আটক

    মনিরামপুরে পানি আনতে গিয়ে কিশোরী ধর্ষিত, ধর্ষক আটক

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:যশোর জেলার মনিরামপুরের পল্লীতে সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে টিউবয়েলে পানি আনতে যাওয়ার সময় এক কিশোরীকে জাহিদ হাসান নামে এক লম্পট যুবক জোরপূর্বক ধরে নিয়ে পার্শ্ববর্তি ১টি পরিত্যক্ত বাড়িতে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়।

    এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। ওই রাতেই পুলিশ জাহিদ হাসানকে আটক করেছে। জাহিদ হাসান হরিহরনগর ইউনিয়নের দশআনী গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। পুলিশ জাহিদ হাসানকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেছে।

    মনিরামপুর থানার (এসআই) আবদুর রহমান জানিয়েছেন, উপজেলার দশআনী গ্রামের এক স্বামী পরিত্যক্তার ১৩ বছর বয়সী মেয়ে গত ৬ মে সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে টিউবয়েলে পানি আনতে যায়। অভিযোগ রয়েছে পথিমধ্যে একই গ্রামের মুজিবুর রহামনের ছেলে রাজমিস্ত্রীর সহকারি লম্পট জাহিদ হাসান ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তি নূর মোহাম্মাদের পরিত্যক্ত বাড়িতে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। পরে ওই কিশোরী বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনার বিবরন দেয়।

    কিশোরীর মা জানিয়েছেন, বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষক জাহিদ হাসানের পিতা এবং তার চাচা আবুল হোসেন ধর্ষনের ঘটনা ধামাপাচা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে মুজিবুর এবং আবুল হোসেন কিশোরীর মাকে আয়ত্ব করতে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখায়। কিন্তু তাতে কিশোরী ও তার মা সম্মত না হওয়ায় জাহিদ হাসানের পিতা আবুল হোসেনের সহায়তায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতিয়ার রহমান, গোলাম রসুল, এক জন ইউপি সদস্যসহ কতিপয় গন্যমান্য ব্যক্তির সরনাপন্ন হয়। এক পর্যায়ে তারা কিশোরী ও তার মাকে আয়ত্ব করতে ব্যর্থ হওয়ায় মিমাংশার উদ্যোগ ভন্ডুল হয়।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, ধর্ষনের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জাহিদ ও তার অভিভাবকরা ব্যর্থ হয়েছে।

    তবে মিমাংশার উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতিয়ার রহমান অস্বীকার করেছেন।

    হরিহরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। মনিরামপুর থানার ওসি(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ধর্ষনের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই রাতেই জাহিদ হাসানকে আটক করা হয়। ইতিমধ্যে অসুস্থ্য ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক/দুই দিনের একের মধ্যে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মনিরামপুরে কৃষক করোনায় আক্রান্ত,বাড়ি লকডাউন

    মনিরামপুরে কৃষক করোনায় আক্রান্ত,বাড়ি লকডাউন

    মনিরামপুর (যশোর):যশোরের মণিরামপুরে এবার নতুন করে এক কৃষক (৫৫) করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামে।

    রবিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্টের তথ্য জানানো হয়েছে। মণিরামপুর হাসপাতালের ইউএইচও ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ডা. (শুভ্রা রানী) বলেছেন, আক্রান্ত কৃষক গত ২ দিন ধরে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলো। গতকাল তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো। আজ তার পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

    মণিরামপুর হাসপাতালের চিকিৎসক মুসাব্বিরুল ইসলাম বলেন, আজ (রবিবার) আক্রান্ত কৃষক হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি আসেন। সন্ধ্যায় তার পজেটিভ খবর আসার পর উপজেলা প্রশাসনসহ আমরা কৃষকের বাড়ি যাই। আক্রান্ত কৃষকের দেহে এখন কোনও করোনা উপসর্গ নেই। তবে তিনি এজমার রোগী। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে থাকছে।

    মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (আহসান উল্লাহ শরিফী) বলেছেন, খবর পেয়ে ওই কৃষকের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।

    রবিবার পর্যন্ত মণিরামপুরে( ১১ জনের) করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪জন সুস্থ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরেছে। বাকিরা আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়

  • মনিরামপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ : ধর্ষক আটক

    মনিরামপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ : ধর্ষক আটক

    মনিরামপুর (যশোর):বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মণিরামপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় হারুন অর রশিদ নামে এক পল্লী চিকিৎসকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী বাদি হয়ে মনিরামপুর থানায় মামলা করে। পরে পুলিশ হারুনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করে।

    মামলার তদন্তকারী অফিসার (এসআই) সৈয়দ আজাদ জানিয়েছেন, কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালী গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক হারুন অর রশিদ কয়েক মাস আগে বিয়ে করার জন্য ঘটকের সাথে পাত্রী দেখতে আসেন মনিরামপুরের শ্যামকুড় ইউনিয়নের বাঙ্গালীপুর গ্রামে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে। পাত্রী দেখে হারুনের পছন্দ হয়। কিন্তু বিয়ের দিন নির্ধারন না করে ওই পাত্রীর সাথে হারুন মোবাইল ফোনে প্রায়ই কথাবার্তা বলেন।

    এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। সেই সূত্র ধরে হারুন ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে। ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, বিয়ের কথা বললে হারুন আজ না কাল বলে সময় ক্ষেপন করে । এক পর্যায়ে তাকে ব্লাকমেইল করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছে। এরই মধ্যে সু-চতুর হারুন তার প্রেমিকা মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ে না করে গতমাসে অন্যত্র বিয়ে করে। আর এই খবর জানতে পেরে ওই ছাত্রী গত বৃহস্পতিবার কেশবপুরের খতিয়াখালী গ্রামে হারুনের এক আত্বিয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে খবর পেয়ে হারুন সেখানে আসলে ওই ছাত্রী তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে।

    এক পর্যায়ে হারুন শুক্রবার ভোররাতে ওই ছাত্রীকে সাথে নিয়ে বাঙ্গালীপুর গ্রামে তার পিতার বাড়িতে আসে। এই সময় ওই ছাত্রী তার অভিভাবকদের জানিয়েছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হারুন তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ফলে অভিভাবকরা হারুনকে আটকিয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ শনিবার বেলা ১২ টার দিকে সেখানে থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

    মণিরামপুর থানার ওসি(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন , ধর্ষনের ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদি হয়ে হারুনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে পুলিশ তাকে আদালতে চালান দেয়। আদালত হারুনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়

  • মনিরামপুরে আম্ফানে নিহত ৫ : ক্ষয়-ক্ষতি পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা চেয়ারম্যান

    মনিরামপুরে আম্ফানে নিহত ৫ : ক্ষয়-ক্ষতি পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা চেয়ারম্যান

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:- সুপার সাইক্লোন আম্ফানে গাছ ও ঘর চাঁপা পড়ে মনিরামপুরে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে মনিরামপুরের উপর দিয়ে প্রবল বেঁগে বয়ে যাওয়া আম্পানের আঘাতে ফসলি ক্ষেত, গাছপালা, ঘরবাড়িসহ ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুত ও মোবাইল নেটওয়ার্কসহ এলাকার বহু রাস্তাঘাট। তবে সরকারীভাবে এখনও পর্যন্ত কোন প্রকার ক্ষয়-ক্ষতির হিসেব দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার মশ্বিমনগর ইউনিয়নের পার খাজুরা গ্রামের ওয়াজেদ আলী মোড়ল (৫৫) ও তার ছেলে ইছা মোড়ল (২২) ঘরের উপর গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু বরন করেন। একই গ্রামের ঋষিপাড়ার খোকন দাস (৬০) ও তার স্ত্রী রঙ্গ দাসি (৫৫)) এবং দাই পাড়ার জবেদ আলীর স্ত্রী জয়গুন বেগম (৪৮) গাছ ও ঘরের দেওয়াল চাঁপা পড়ে মৃত্য়ু বরন করেন। এছাড়াও চাকলা ও চাঁপাতলা গ্রামের ২ জন ব্যক্তি গুরুত্বর আহত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি দ্রুত বিদ্যুত ও যতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

    এই দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে নিহতের খবর পেয়ে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম নিহতদের বাড়িতে হাজির হয়ে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মনিরামপুরে কোটি টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে কোঁন্দলে সৃষ্ট চাউল কান্ড,পলাতক আদায়কারী

    মনিরামপুরে কোটি টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে কোঁন্দলে সৃষ্ট চাউল কান্ড,পলাতক আদায়কারী

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:- যশোর মনিরামপুরে সরকারি চাউল আটক কান্ডে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এবার চাষীদের কাছ থেকে কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য ফাঁস হয়েছে।

    ২ হাজার ৫শত ২৯ মে:টন আমন ধান সংগ্রহের নামে কমিশন বাবদ কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নেয় সিন্ডিকেটটি।

    আর কমিশনের এ টাকা আদায়ের মূল দায়িত্ব পালন করেন সিন্ডিকেট সদস্য ও চাউল কান্ডে অভিযুক্ত জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী জগদিশ দাসসহ কয়েকজন।

    অভিযোগ করা রয়েছে এই সিন্ডিকেট পরিচালনা করতো ১ জন জনপ্রতিনিধি। তবে চাউল পাচারকান্ডের পর প্রশাসনের বেশ তৎপরতার কারনে জগদিশসহ সিন্ডিকেটের অধিকাংশরাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

    উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন মামুন হোসেন খান জানান, মনিরামপুরে আমন ধান সংগ্রহ করা হয়েয়ে ১ হাজার ৪০ টাকা মন দরে ৬৩ হাজার ২২৫ মন (দুই হাজার ৫২৯ মে:টন)। কৃষি অফিসের প্রস্তুতকৃত চাষীর তালিকা থেকে লটারীর মাধ্যমে চুড়ান্ত করা হয় ২ হাজার ১৫০ জনকে। প্রতি চাষীর কাছ থেকে ১ থেকে দেড় মে:টন ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয় গত বছর ১২ ডিসেম্বর। আর সংগ্রহ শেষ হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে।

    নিয়ম রয়েছে কার্ডধারি যেসব চাষীরা আমন চাষ করেছেন শুধুমাত্র সেই সব চাষিদের নাম ক্রয় তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার।

    কিন্তু কৃষি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি কৃষি অফিসারেরা সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করেই এক প্রকার গোজামিল দিয়ে তড়িঘড়ি করে তালিকা প্রস্তুত করায় ভূয়া নামের ছড়াছড়ি হয়। বাদ পড়ে প্রকৃত চাষীরা।

    কিন্তু ঢালাও এই অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা কৃষি অফিসার হীরক কুমার তরফদার জানিয়েছেন, প্রথম দিকে কিছু গরমিল হলেও পরবর্তিতে তা নিরসন করা হয়। কিন্তু চুড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করতে আমন মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে যায়। ফলে অধিকাশ চাষীদের ঘরে তখন ধান ছিলোনা। এ সুযোগে মধ্যস্বত্তভোগী এ সিন্ডিকেট চাষীদের কাছ থেকে কৃষিকার্ড সংগ্রহ শুরু করেন।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিন্ডিকেটের এক সদস্য জানান, চাষীদের কাছ থেকে কার্ড সংগ্রহের প্রধান দায়িত্ব পালন করেন সিন্ডিকেটের সদস্য জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী জগদিশ দাস। আর জগদিশকে এ কাজে সহায়তা করতেন তার গুরুখ্যাত চাতাল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক অষ্টম দাস।

    এছাড়াও একাজে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত দেবাশীষ দাস, চৈতন্য দাস, শহিদুলসহ বেশ কয়েকজন। এরা চাষীদের বিভিন্ন প্রলোভন ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কৃষিকার্ড সংগ্রহের পর নির্ধারিত ফরমে স্বাক্ষর আদায় করতেন। পরবর্তিতে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বাজার থেকে কম মূল্যে (ছয়’শ টাকা মন প্রতি) ধান ক্রয়ের পর ওই সব কৃষিকার্ড এবং স্বাক্ষর করা ফরম নিয়ে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করেন।

    আবার অনেকের কাছ থেকে মন প্রতি দুই থেকে ৩শত টাকা নিয়ে ধান দেওয়ার জন্য কৃষি কার্ড বিক্রি করতেন। সব মিলিয়ে আমন ধান থেকে এই সিন্ডিকেট কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নেয়।

    কমিশনের এই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সিন্ডিকেটের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ঠান্ডা বিরোধও দেখা দেয়। সিন্ডিকেটের অপর এক সদস্য জানান, মূলত: এ বিরোধকে কেন্দ্র করেই গত ৪ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে পুলিশ ভাই ভাই রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে সরকারি ৫৪৯ বস্তা চালসহ আটক করে চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ট্রাক চালক ফরিদ হাওলাদারকে।

    অবশ্য এসময় সেখানে চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,পুলিশ, সাংবাদিকসহ উপস্থিতিদের সামনে চাল পাচারের ঘটনায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসিএলএসডি), প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও), সিন্ডিকেট নেতা শহিদুল ইসলাম, অষ্টম দাস, জগদিশ দাসসহ জড়িত অনেক কুশিলবদের নাম প্রকাশ করে।

    অথচ অজ্ঞাত কারনে পুলিশ বাদি হয়ে শুধুমাত্র চাতাল মালিক মামুন এবং ট্রাকচালক ফরিদের নামে মামলা করেন।

    পুলিশ (৫ এপ্রিল) মামুন এবং ফরিদকে আদালত দুই দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে (৭ এপ্রিল) তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সম্পা বসুর আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক মামুন এবং ফরিদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

    জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেছেন, চাউল পাচারের ঘটনায় তাদের সাথে আরো জড়িত ছিলেন সিন্ডিকেট নেতা শহিদুল ইসলাম, জগদিশ দাসসহ ২ জন সরকারি কর্মকর্তা। অবশ্য উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তি বাচ্চুর বিরুদ্ধে সরকারি চাল পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। পরদিন উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুও উল্টো চেয়ারম্যানকে ঈঙ্গিত করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। এক পর্যায়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ২১ এপ্রিল যশোর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামুনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চাউল পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ মে রাতে ডিবি পুলিশের একটি টিম পৌরশহর থেকে সিন্ডিকেট নেতা শহিদুল ইসলামকে আটক করে।

    পরে শহিদুল ইসলাম আদালতে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন সরকারি চাল পাচারের ঘটনায় তার সাথে জড়িত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তি বাচ্চু এবং পাতন-জুড়ারপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যুবলীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস।

    তবে এ অভিযোগকে অনেকেই দলীয় এবং সিন্ডিকেটের ভাগবাটোয়ার কোন্দলের ফসল হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।

    অপরদিকে সিন্ডিকেটের প্রধান আদায়কারি জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী জগদিশ দাসকে পুলিশ এখনও পর্যন্ত আটক করতে পারেনি। তাকে আটক করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরো বড় বড় রুই কাতলার নাম বেরিয়ে আসবে বলে অভিজ্ঞমহলের দাবি।

    তবে সরকারি ৫৪৯ বস্তা চাউল পাচারকান্ড মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের জানান, সরকারি চাল পাচার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মনিরামপুরে করোনা সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করে ঈদের বাজারে উঁপচে পড়া ভীড়

    মনিরামপুরে করোনা সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করে ঈদের বাজারে উঁপচে পড়া ভীড়

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের মনিরামপুরে মহামারি করোনাভাইরাস উপেক্ষা করে ঈদবাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় লেগেই চলেছে। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোন প্রকার সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব।

    অন্যদিকে পৌরশহর ও বাজারসমূহে যাত্রীবাহী ভ্যান,ইজিবাইক,পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বৃদ্ধির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। তবে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ তৎপরতা রয়েছে।

    তারপরও মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না এখানে। ফলে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পৌরশহর এবং উপজেলার রাজগঞ্জ, খেদাপাড়া, চিনাটোলা,নেহালপুর,ঢাকুরিয়া, কুয়াদাসহ, মনিরামপুর, নওয়াপাড়া বিভিন্ন বাজারের বিপনী বিতানগুলোতে বেচাকেনা জমে উঠেছে। ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানগুলো এখন সরগরম। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে, ততই ভিড় বাড়ছে।

    মহামারি করোনাভাইরাসকে তুচ্ছ মনে করে ক্রেতাদের পদচারণায় কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত চলছে ধুমছে বেচাকেনা। তার ওপর কোন প্রকার সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার তোয়াক্কা করছে না ত্রেতারা। গাদাগাদি হুড়োহুড়ি করে তারা পছন্দের পণ্যটি কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে তারা। কিছু বিপনী বিতানে হ্যান্ডস্যানিটাইজার থাকলেও কাউকে ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।

    মনিরামপুর পৌরশহরের খান গার্মেন্টস, আল-আমীন বস্ত্রালয়, দোলা গার্মেন্টস, চঞ্চল গার্মেন্টস, রিবাত গার্মেন্টস, ভাই ভাই গার্মেন্টস, নিউ শাড়ি প্যালেস, জননী বস্ত্রালয়, শাহআলম বস্ত্রালয়, প্রিয়া গার্মেন্টস, রবি ফ্যাশন, এমএম কথ, শরিফ কথ স্টোরসহ বিভিন্ন বিপনী বিতানেও শনিবার ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে শিশু ও নারী ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে দোকানদারদের রীতিমত হিমশিম খেতে হয়।

    তৈরি পোশাক,শাড়ি,লুঙ্গি,পাঞ্জাবী,জুতা, প্রসাধনীর পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দোকানেও ছিল ভিড়।

    গৃহবধূ রাশিদা খাতুন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে একনাগাড়ে ঘরে বন্দি জীবন আর ভাল লাগে না। তাই সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে সন্তানদের নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি।

    নাসরিন সুলতানা বলেন, এত নিয়মকানুন মেনে কেনাকাটা করা সম্ভব নয়।

    খান গার্মেন্টস’র মালিক মহিউদ্দিন খান জানান, দোকানে হ্যান্ডস্যানিটাইজার থাকলেও ক্রেতারা তা ব্যবহার করতে অনীহা প্রকাশ করছে।এছাড়াও অনেক ক্রেতা মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে না।

    রবি ফ্যাশানের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, চেষ্টা করছি ক্রেতাদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে।

    মনি ফ্যাশানের মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সক্রিয়তায় কোন ধনের অপ্রীতিকর ঘটনা এই পর্যন্ত ঘটেনি। জুতার দোকানের মধ্যে লিবার্টি,সম্রাট,প্রাইম,নাজ,বাটা, পাদুকাভবনে বেচাকেনা চোখে পড়ার মত। তবে অধিকাংশ দোকানে ক্রেতারা সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মানছেন না।

    তার ওপর পৌরশহরে যাত্রীবাহী ভ্যান, ইজিবাইক, পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বৃদ্ধির কারণে শনিবার সকাল থেকেই সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।

    ফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীর নেতৃত্বে সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পৌরশহরে ঝটিকা অভিযানে নামেন। এসময় সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব না মানায় বেশ কয়েকজন দোকানিকে ভৎর্সনা করা হয়। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একটু দূরে সরে গেলে আবারও সেখানে ভিড় শুরু হয়।

    এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (আহসান উল্লাহ শরিফী) জানিয়েছেন, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি না পেলে করোনা মোকাবেলায় সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বাস্তবায়ন করা দুরহ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর