Tag: মন্ত্রিসভা

  • জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা

    জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রীসহ নবনির্বাচিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা শ্রদ্ধা জানাবেন।

    আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় ধানমন্ডি-৩২ নম্বর ও সকাল ১১টা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন তারা।

    বৃহস্পতিবার (১১জানুয়ারী) রাতে প্রধানমন্ত্রী প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷

    এতে বলা হয়, আগামীকাল (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ৩২-এ এবং পরবর্তী সময়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নর্বনিবাচিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন।

    উল্লেখ্য, আজ বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার ৩৭ জন সদস্য। সন্ধ্যা ৭টায় তাদের শপথ-বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

  • মন্ত্রিসভায় কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন

    মন্ত্রিসভায় কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল শপথ নিয়েছেন নতুন সংসদ সদস্যরা। আজ মন্ত্রিসভার ৩৭ সদস্য শপথ নেন। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

    নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য নতুন মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেয়েছেন। এমনকি তাদের কারও কারও পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ও পরিবর্তন হয়নি।

    এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীসহ এবারের মন্ত্রিপরিষদে সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ৩৭ জন। এর মধ্যে ২৫ জনকে পূর্ণ মন্ত্রী এবং ১১ জনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।

    মন্ত্রী হিসেবে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন –

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়)

    আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
    ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়)
    জনাব আবুল হাসান মাহমুদ আলি (অর্থ মন্ত্রণালয়)
    আনিসুল হক (আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
    নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (শিল্প মন্ত্রণালয়)
    আসাদুজ্জামান খান কামাল (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)
    মো. তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়)
    মুহাম্মদ ফারুক খান (বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়)
    মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)
    ডা. দীপু মনি (সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়)
    সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য মন্ত্রণালয়)
    জনাব আব্দুস সালাম (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়)
    মো. ফরিদুল হক খান (ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
    র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়)
    নারায়ণ চন্দ্র দাস (ভূমি মন্ত্রনালয়)
    জাহাঙ্গীর কবির নানক (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়)
    মো. আব্দুর রহমান (মৎস ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রণালয়)
    মো. আব্দুস শহীদ (কৃষি মন্ত্রণালয়)
    স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় )
    ডা. সামন্ত লাল সেন (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়)
    মো. জিল্লুল হাকিম (রেলপথ মন্ত্রণালয়)
    ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়)
    নাজমুল হাসান পাপন (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়)
    সাবের হোসেন চৌধুরী (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়)
    মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা মন্ত্রণালয়)

    প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন –

    নসরুল হামিদ বিপু (বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়)
    খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়)
    জুনাইদ আহমেদ পলক (ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়)
    জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়)
    সিমিন হোসেন রিমি (মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
    কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
    মো. মহিববুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়)
    মোহাম্মদ আলী আরাফাত (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়)
    শফিকুর রহমান চৌধুরী (প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়)
    রুমানা আলী (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়)
    আহসানুল ইসলাম টিটু (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়)।

    উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।

    নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।

    স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হওয়া ৬২ জনের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগের নেতা। জাতীয় পার্টি যে ১১টি আসনে জয়লাভ করেছে সেগুলোতে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এছাড়া জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে আর কল্যাণ পার্টি যে আসনে জিতেছে সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে।

  • শপথ নিলেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা

    শপথ নিলেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা

    বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। এরপর মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথ করান তিনি।

    বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

    মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন যারা

    আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুখ খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, আবদুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আবদুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ইয়াফেস ওসমান, ড. সামন্ত লাল সেন।

    প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন যারা

    বেগম সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মো. আলী আরাফাত, মহিবুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আহসানুল ইসলাম।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন।

    সংসদ নেতা হওয়ার পর বুধবার বিকেলে সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান।

    এরপর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপর মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার রাতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তালিকায় থাকা ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন। ওই তালিকার একটি কপি তিনি সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন।

    আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।

    নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।

    স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হওয়া ৬২ জনের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগের নেতা। জাতীয় পার্টি যে ১১টি আসনে জয়লাভ করেছে সেগুলোতে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এছাড়া জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে। আর কল্যাণ পার্টি যে আসনে জিতেছে সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে।

  • সাবেক মন্ত্রী হয়ে গেলেন যে সকল হেভিওয়েট

    সাবেক মন্ত্রী হয়ে গেলেন যে সকল হেভিওয়েট

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন ৩৬ জন। এর মধ্যে ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন। এখানে নতুন অনেকেই ডাক পেলেও বাদ পড়েছেন পুরাতন অনেক হেভিওয়েট মন্ত্রী।

    আলোচিত মন্ত্রীদের মধ্যে বাদ পড়েছেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

    আজ সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রি ও প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা সাংবাদিকদের জানান।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আজ রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়োগ করেন এবং তাকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্রপতির সম্মতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন।

    তিানি জানান, এবার মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী থাকছেন ২৫ জন এবং প্রতিমন্ত্রী থাকছেন ১১ জন।

    উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন; যাদের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগেরই নেতা।

    আর জাতীয় পার্টির আসন অর্ধেকের বেশি কমে নেমেছে ১১টিতে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

  • নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন যারা

    নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন যারা

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ-বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আজ শপথ নিয়েছেন ২৯৭ জন সংসদ সদস্য। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন।

    এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

    নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদনের পর মন্ত্রিসভা গঠন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    পরে সন্ধ্যায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, যারা নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের শপথ গ্রহণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    তাদেরকে টেলিফোনে শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, নতুন মন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে শপথ নেবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। শপথগ্রহণ শেষে নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা নিজ নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করবেন।

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুযায়ী নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গকে সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী পদে নিয়োগদানের জন্য নির্ধারণ করা হলো:

    মন্ত্রী
    ১. আ, ক, ম. মোজাম্মেল হক। (গাজীপুর-১)
    ২. ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫)
    ৩. নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪)
    ৪. আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২)
    ৫. ডা: দীপু মনি (চাঁদপুর-৩)
    ৬. মোঃ তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯)
    ৭. মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১)
    ৮. আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪)
    ১. আনিসুল হক (বাহ্মণবাড়িয়া-৪)
    ১০. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭)
    ১১. মোঃ আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪)
    ১২. সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১)
    ১৩. র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩)
    ১৪. মোঃ আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১)
    ১৫. নারায়ন চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫)
    ১৬. আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯৮৮
    ১৭. মহিবুল হাসান চৌধুরী (চাগ্রাম-৯)
    ১৮. ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১)
    ১৯. মোঃ ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২)
    ২০. মোঃ জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২)
    ২১. সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯)
    ২১. জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩)
    ২৩. নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬)
    ২৪. স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট)
    ২৫. সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট)

    প্রতিমন্ত্রী

    ১. সিমিন হোমেন (রিমি) (গাজীপুর-৪)
    ২. নসরুল হামিদ (ঢাকা-৩)
    ৩. জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩)
    ৪. মোহাম্মদ আলী আরাফাত (ঢাকা-১৭)
    ৫. মোঃ মহিববুর রহমান (পটুয়াখালী-৪)।
    ৬. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২)
    ৭. জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫)
    ৮. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি)
    ৯. রুমানা আলী (গাজীপুর-৩)
    ১০. শফিকুর রহমান চৌধুরী (সিলেট-২)
    ১১. আহসানুল ইসলাম (টিটু) (টাঙ্গাইল-৬)

    উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন; যাদের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগেরই নেতা।

    আর জাতীয় পার্টির আসন অর্ধেকের বেশি কমে নেমেছে ১১টিতে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

  • মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হার ৬৭.৭৮ শতাংশ

    মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হার ৬৭.৭৮ শতাংশ

    গত বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    সোমবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

    অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

    তিনি বলেন, ‘গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকে ছয়টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৯০টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৬১টি। ২৯টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন।’

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে দুটি নীতি বা কর্মকৌশল এবং ১১টি চুক্তি বা প্রটোকল অনুমোদিত হয়েছে। এ সময়ে সংসদে আইন পাস হয়েছে চারটি।

  • মন্ত্রিসভায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন

    মন্ত্রিসভায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন

    মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রত্যন্ত এলাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য মন্ত্রিসভা এই আইনের অনুমোদন দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ অনুমোদন দেয়া হয়। তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলায় ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়।

    অন্যান্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসরণ করেই এই আইনটি করা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খসড়া আইনে ৫৫টি ধারা রয়েছে। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও সংজ্ঞা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ধারাগুলোর মধ্যে ৯ ধারা চ্যান্সেলর, ১০-১১ ধারা ভাইস চ্যান্সেলর, ১২ ধারা প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ১৩ ধারা কোষাধ্যক্ষ, ১৮-২০ ধারা সিন্ডিকেট, ২১-২২ ধারা এ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, ২৯-৩০ ধারা অর্থ কমিটি সম্পর্কিত। এছাড়া আইনের আলোকে ২১টি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর ইনিশিয়েটিভ। এই কনসেপ্টটা ওনার মাথা থেকে এসেছে যে- প্রত্যন্ত এলাকাতেও বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়।

    খসড়া আইনের ওপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত গ্রহণপূর্বক গত ২২ আগস্ট ২০১৯ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।

    এর আগে, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে খসড়া আইনটি নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়। এরপর লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মাধ্যমে এর ভেটিং গ্রহণ করা হয়।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ নিয়ে বর্তমানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও প্রকৌশল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০টি। ১৯টি কার্যক্রমে রয়েছে। আর চারটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪২টি। এগুলোর মধ্যে সাধারণ ১৭টি, কৃষি ও ভেটেরিনারি ৬টি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৫টি।
    প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় প্রতি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মধ্যে বর্তমানে ৩২টি জেলা বাকি রয়েছে বলে জানান তিনি।

    এছাড়াও, মন্ত্রিসভা ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০’এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।

    কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে এ নীতিটি বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, বিপণন ও সম্প্রসারণ সেবার সাথে সম্পৃক্ত অংশীজনসহ কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে চাহিদাভিত্তিক গবেষণার বিষয়বস্তু নির্ধারণ এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০ প্রণীত হয়েছে।

  • মন্ত্রিসভায় হজ প্যাকেজ অনুমোদন

    মন্ত্রিসভায় হজ প্যাকেজ অনুমোদন

    চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের সুযোগ রেখে ‘হজ প্যাকেজ, ১৪৪১ হিজরি/২০২০ খ্রিষ্টাব্দ’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই হজ প্যাকেজগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, প্যাকেজ-২ এর আওতায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-৩ এর আওতায় খরচ পড়বে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

    খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজে যাওয়া যেত। সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২০ সালে প্রথম বারের মত ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার নতুন প্যাকেজ-৩ প্রস্তাব করা হয়েছে।

    গতবারের চেয়ে এবার প্যাকেজ-১ এ খরচ বেড়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। আর প্যাকেজ-২ এ খরচ বেড়েছে ১৬ হাজার টাকা বলেও জানান তিনি।

    এই তিনটি প্যাকেজ অনুসরণ করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়ও হজ এজেন্সিগুলোকে যাত্রী পরিবহন করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দূরত্বের উপর ভিত্তি করে এসব প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীরা পবিত্র মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ মিটারের মধ্যে, প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীরা সর্বোচ্চ ১৫০০ মিচারের মধ্যে এবং প্যাকেজ-৩ এর হজযাত্রীরা ১৫০০ মিটার এর অধিক দূরুত্বে অবস্থান করবেন।

    খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এবছর হজযাত্রীদের কাছ থেকে বিমানের টিকিট বাবদ গৃহীত অর্থ এজেন্সির ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারবে না। হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ি সরাসরি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সকে পরিশোধ করতে হবে এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহন বাবদ গৃহীত অর্থ ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক একাউন্ট নম্বর (আইবিএএন) এর মাধ্যমে সৌদি আরবে প্রেরণ ব্যতিত এজেন্সি উত্তেলন করতে পারবে না।

    সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জিলহজ, ১৪৪১/৩০ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

    তিনি বলেন, এবছরও রুট টু ইনভাইটেশান এর অধীনে শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের প্রি-এলাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। হজ যাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সাল পর্যন্ত থাকতে হবে।

    মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, প্রত্যেক হজ এজেন্সি কমপক্ষে ১০০ জন এবং সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবে। হজ এজেন্সি ব্যতিত অন্য কোন এজেন্সিকে হজযাত্রীর টিকেট বিক্রয়ের জন্য দেওয়া যাবে না। কোন হজ এজেন্সিকে কোন অবস্থাতেই ৩০০ এর অধিক টিকেট প্রদান করা যাবে না।

    প্রতি ৪৪ জন হজ যাত্রীর জন্য একজন করে গাইড নিয়োগ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, হজযাত্রলীদের কুরবানী বাবদ ব্যয়ের অর্থ ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করার জন্য সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এই জন্য হজযাত্রীকে প্যাকেজ মূল্যের অতিরিক্ত ৫২৫ সৌদি রিয়ালের সমপরিমান ১২ হাজার ৭৫ টাকা সঙ্গে নিতে হবে।

    এছাড়াও মন্ত্রীসভা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন এবং ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স (সংশোধিত) নীতিমালা-২০২০’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে।

    গত ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতালি সফর, গত ৯ থেকে ১২ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের লন্ডনে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগদান, গত ২২ থেকে ২৩ অক্টোবর আসামের গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্টেক হোল্ডার মিট শীর্ষক সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রীর যোগদান এবং গত ৭ ও ৮ জানয়ারি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড জয়েন্ট ট্রেড কমিটির বেঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী যোগদানের বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।